বিশেষ নিবন্ধ
সৌদি-ইসরাইল-মিশর অতি গোপনীয় আঁতাত
০৪ আগস্ট,২০১৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আরটিএনএন
রিয়াদ: আরব রাষ্ট্রগুলোর একটি যৌথ কমান্ড গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন অব্যাহতভাবে চালিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে শলা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।
ডেবকা নেট উইকলি নামে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এক ওয়েবসাইট নিশ্চিত করেছে যে সৌদি বাদশাহ আব্দুল্লাহ এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি দৈনিক আলাপচারিতার মাধ্যমে অব্যাহতভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
ওয়েবসাইটের তথ্য মতে, টেলিফোন আলাপের মাধ্যমে এই যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু তাদের এই সহযোগিতার সম্পর্ক রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ আদান-প্রদানে বিশ্বস্ত কাউকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
আর এজন্য কায়রোর সামরিক বিমানবন্দরে স্থায়ীভাবে পার্ক করা আছে একটি বিশেষ বিমান। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসির মধ্যে যখনই অতি গোপন কোনো সংবাদ বিনিময়ের প্রয়োজন হচ্ছে তখনই এই বিশেষ বিমান ব্যবহার করা হচ্ছে। গন্তব্যে পৌঁছতে বিশেষ এই বিমানের ৯০ মিনিটের কম সময় লাগে।
দৈনিক এই তথ্য আদান-প্রদানে বাদশাহ আব্দুল্লাহর বিশ্বস্ত লোক হচ্ছেন যুবরাজ বন্দর বিন সুলতান যাকে বাদশাহ গোয়েন্দা প্রধানের পদ থেকে বরখাস্ত করেছিলেন। কিন্তু এখন আবার তাকে ইরাকের সুন্নী যোদ্ধা বা ইসলামিক স্টেট বিষয়ে বাদশাহর বিশেষ উপদেষ্টা হিসাবে ভাড়া করা হয়েছে। এই বন্দর বিন সুলতান এখন মোসাদ প্রধান তামির পারদোর সাথে সরাসরি যোগাযোগ রক্ষা করছেন।
আর এদিকে মিশরের সাথে যোগাযোগ চলছে শিন বেট প্রধান ইয়োরাম কোহেনের মাধ্যমে। নিয়মিতই তিনি কায়রোতে যান। এজন্য তাকে 'ফ্রিকোয়েন্ট ভিজিটর' হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
অন্যদিকে সিসির উপদেষ্টা এবং মিশরের গোয়েন্দা বিভাগ জেনারেল ইন্টেলিজেন্টস ডিরেক্টরেটের প্রধান আহমেদ ফরিদ আল তোহামি ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক সমন্বয়ক আমোস গিলাদ এবং নেতানিয়াহুর শীর্ষ একজন উপদেষ্টা ইজহাক মলচোর সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করছেন।
ওয়েবসাইটটি বলেছে, গাজা যুদ্ধের লক্ষ্য হচ্ছে হামাসের সামরিক শাখাকে ধ্বংস করে দেওয়া, দলটির রাজনৈতিক প্রভাব খর্ব করা, ইসরাইলের অভ্যন্তরীণ নীতিতে আমেরিকার হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ করা এবং হামাসকে হটিয়ে গাজায় এক নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা করা।
আর এ ব্যাপারে সৌদি আরব এবং মিশরের সম্মতি পেতে নেতানিয়াহুকে ইসরাইলের মূলনীতিগুলোর একটি বিসর্জন দিতে হয়েছিল। আর সেটা হচ্ছে গাজা এবং পশ্চিম তীরকে আলাদা করে রাখা।
এর পরিবর্তে নেতানিয়াহু গাজা আক্রমণকালে মূল্যবান রাজনৈতিক সমর্থন পেয়েছেন।
আরব রাষ্ট্রগুলো বিশেষ করে মিশর ও সৌদি আরব এবার ইসরাইল ও দেশটির সামরিক বাহিনীর উপর কোনো ধরনের আন্তর্জাতিক চাপ আসতে দেয়নি।
গাজা আগ্রাসনকে ইসরাইল-সৌদি-মিশর জোটের জন্য একটা অগ্নিপরীক্ষা হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে। এই জোটের পরিকল্পনা হচ্ছে ইরান এবং ইসলামপন্থীদের চাপের মুখে রাখতে একে অপরকে সহযোগিতা করা।
মিডল ইস্ট আইতে প্রকাশিত Israel, Saudi Arabia and Egypt in daily contact over Gaza শীর্ষক নিবন্ধের ভাষান্তর করেছেন জামির হোসেনhttp://www.rtnn.net/bangla//newsdetail/detail/8/40/86858#.U9_oH-NdU-0
ইসরাইলকে অভিশাপ দেয়া হারাম : সৌদি মুফতি
সোমবার, 04 আগস্ট 2014 17:18
Related:
রক্তাক্ত ফিলিস্তিন
Avgv‡`i mgq.Kg : 30/07/2014
http://www.amadershomoys.com/newsite/2014/07/30/67647.htm#.U9m2IeNdU-0
__._,_.___