Banner Advertiser

Wednesday, October 1, 2014

[mukto-mona] Fwd: প্রকাশ্যের জন্যে-



Bhorer Kagoj, 2nd Oct 2014:

http://www.bkagoj1.com/new/blog/2014/10/02/199608.php

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিউইয়র্ক সফর 


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে এলেন, দেখলেন, জয় করলেন এবং চলেও গেলেন। এই একটা সপ্তাহ নিউইয়র্কের বাঙ্গালী পাড়ায় যথারীতি ভীড়, জটলা, মিন্টিং, সমাবেশ, আড্ডা, সম্বর্ধনায় ভরপুর ছিল। সর্বত্র উত্সবের আমেজ। টুকটাক বিক্ষোভ যে ছিলনা তা নয়, তাও ছিলো। হাজার হলেও আমরা বাংলাদেশের মানুষ, আমেরিকায় আসার সময় আমাদের ভালো-খারাপ দু'টোই নিয়ে এসেছি। আওয়ামী লীগ-বিএনপি দ্বন্দ্বটা তো আছেই। অর্থাৎ বাংলাদেশে আমরা যা করি, এখানেও তাই করি, জিন্দাবাদ-মূর্দাবাদ বা শ্লোগান-পাল্টা শ্লোগান ইত্যাদি ইত্যাদি। ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়। ঢাকার মিডিয়ার সাথে আমরা একটি আড্ডায় বসেছিলাম। নিছক আড্ডা, অতীত দিনের স্মৃতি রোমন্থন। যেখানে আমরা বসেছিলাম, পাশেই বিএনপি'র সমর্থকরা সভা করছিলো, ওদের হৈচৈ-এ কিছুক্ষণ আমরা অস্বস্থিতে ছিলাম। ঢাকার একজন বললেন, ওরা গ্রুপিং-এ জর্জরিত, বিএনপি ৪ভাগে বিভক্ত। তারা দেখলেন, ওদের নিজেদের মধ্যেই ধাক্কাধাক্কি, হৈচৈ। কেউ কেউ আশংকা প্রকাশ করলেন, আমাদের সাথে মারামারি হবেনা? বললাম, তা হবেনা। আমাদের এদিকে ওরা আসবেনা। এটা আমেরিকা। কিছুক্ষণ পর ওরা চলে গেলে পরিবেশ শান্ত হয়, আমাদের আড্ডাটা জমে। অর্থাৎ এদেশে আমরা পাশাপাশি সভা করতে পারি, যেটা বাংলাদেশে সম্ভব নয়।

​আমেরিকায় এলে ​
আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিনিধিদল সচরাচর ম্যানহাটনের গ্র্যান্ডহায়াৎ হোটেলে থাকেন এবং ওই ক'দিন হোটেল লবিতে বাঙালী উপচে পড়ে। জটলা, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বৈঠক, রুমে রুমে আড্ডা, আনাগোনা সবই চলে। আর হবেই না কেন, এতগুলো লোক এসেছেন, তাদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পাড়া-প্রতিবেশী তো ভীড় করতেই পারে।
​অবশ্য 
এবার ভীড় একটু কম, কারণ সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কাজ, যদিও রাতের বেলায় সেটা পুষিয়ে যায়। হয়তো সেজন্যে এবার হোটেল কর্তিপক্ষ আমাদের বের করে দেয়নি। আগের দুই বছর ভীড়ে অতিষ্ঠ হয়ে নিরাপত্তার কারণে ওরা আমাদের বের করে দিয়েছিলো।
​যদিও 
সেটা অল্প সময়ের  জন্যে, ঘন্টা খানেক বাদে 
​বাঙ্গালীরা 
আবার সুড়সুড় করে ঢুকে পড়ে এবং যথারীতি ভীড় জমে উঠে। জ্যাকসন হাইটস বা অন্যান্য বাঙালী পাড়ায় একই অবস্থা। সর্বত্র সাঁজ সাঁজ রব। এবার একজন এসএসএফ কর্মকর্তা জনৈক জয়নালকে নিরাপত্তা কর্মী ডেকে চ্যাংদোলা করে হোটেল থেকে বের করে দেন। প্রবাসীরা বিষয়টি ভালোভাবে নেয়নি।

প্রধানমন্ত্রীর সফরে এবার অর্জন অনেক। বিশেষত: জাতিসংঘে বাংলাদেশের ৪০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানটি দেশের মর্যাদা বাড়িয়েছে। অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ দেশের প্রতিনিধিবৃন্দ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সম্পর্কে বেশ ভালো ভালো কথা বলেছেন। মার্কিন প্রতিনিধি বলেছেন, একসময় বাংলাদেশ সবার কাছে সাহায্যের জন্যে হাত পাততো, এখন বিশ্বের নানান সমস্যা সমাধানে আমরা বাংলাদেশের সাহায্য চাই। জাতিসংঘ মহাসচিব বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার প্রশংসা করেন। রাশিয়ার প্রতিনিধি বলেছেন, যখনই প্রয়োজন তখনই আমরা বাংলাদেশের পাশে আছি। এছাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন, শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের ভুমিকা, খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা, নারী উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন এসব তো ছিলোই। শুনলাম মার্কিন প্রতিনিধি প্রথমে আসতে চাননি। রাষ্ট্রদূত ড: মোমেন তাকে বোঝাতে সক্ষম হন যে, মার্কিন সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করলেও ৭২-এর পর যুক্তরাষ্ট্র ১৩বার বাংলাদেশের পক্ষে ভোট দিয়েছে- ইত্যাদি। তারপর তিনি আসেন এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। জাতিসঙ্ঘে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে সন্ত্রাসের বিরুদ্বে 'জিরো টলারেন্স' পলিসি সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। এছাড়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে বৈঠক একটি মাইলফলক হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে এবং এর প্রয়োজন ছিলো। মোদী আগের মতই আবার বলেছেন, শেখ মুজিব বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন, তার কন্যা দেশকে রক্ষা করছেন। একথার গুরুত্ব অনেক, বিশেষত: যখন তা বারবার উচ্চারিত হয়। তিস্তাসহ দু'দেশের মধ্যেকার সমস্যা নিয়ে কথাবার্তা হয়েছে। সমস্যা ছিলো, আছে বা থাকবে; কিন্তু বাংলাদেশের উন্নয়নে মোদী পাশে থাকার যে অঙ্গীকার করেছেন তা প্রনিধানযোগ্য। তিনি বাংলাদেশে আসবেন বলেও কথা দিয়েছেন, এখন অপেক্ষা কবে আসেন।

​অনেকের মতে 
গ্লোবাল সিটিজেন ফ্যাস্টিভেলে যাওয়ার প্রোগ্রাম বাতিল করাটা ঠিক হয়নি।প্রায় ৬০হাজার মার্কিনীর সমাবেশে কথা বলার সুযোগটা অযথাই আমরা হাতছাড়া করলাম। হোকনা সেটা ৫ মিনিটের। ওই অর্ধলক্ষ মানুষকে বাংলাদেশের পক্ষে শুভেচ্ছা জানাতে পারলেও তো লাভ হতো। আমরা হয়তো প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশকে মার্কিন টিভিতে দেখতে পারতাম। হয়তো টাইম-স্কয়ারে বিশাল বিশাল টিভির পর্দায় প্রধানমন্ত্রীকে দেখে যেকোন বাংলাদেশী খুশি হতে পারতো। যতদুর জেনেছি, মোদীর পরপরই শেখ হাসিনার স্লটটি ছিলো। মোদিকে টিভিতে দেখিয়েছে, আমরা হেলায় সুযোগ হারালাম। এদেশের মিডিয়ায় মোদী এসেছেন, আমরা নাই। টাইম-স্কয়ারে মোদীর বক্তৃতা শুনতে বা দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভীড় জমায়। সোমবার অফিসে গেলে আমার একজন স্প্যানিশ সহকর্মী জানালেন তিনি ইন্ডিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে টিভিতে দেখেছেন। রোববার হোটেলে রাষ্ট্রদূত ড: মোমেন-কে পেয়েছিলাম। তাকে জিজ্ঞাসা করলাম,  গ্লোবাল সিটিজেন ফ্যাস্টিভেল প্রোগ্রাম বাতিল হলো  কেন? তার বক্তব্য হলো, তিনি প্রোগ্রাম সেট করতে পারেন, বাতিল করার ক্ষমতা তার নাই।  ঐসময় অনিল দাশগুপ্তও পাশে ছিলেন। আরো অনেকেই ছিলেন। এরমধ্যে কেউ একজন বললেন, সম্বর্ধনার জন্যে ওটা বাতিল হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেও প্রেস কনফারেন্সে বলেছেন, তিনি বাংলাদেশের মানুষের সাথেই  কথা বলার পক্ষপাতি। যাহোক, যারা প্রধানমন্ত্রীকে বুঝিয়েছেন তারা প্রোগ্রামের গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ প্রসঙ্গে শুধু এটুকু বলা  যায়, শিকাগোতে জিয়ার নামে রাস্তা হওয়ায় যদি কনসালের চাকুরী যায়, তবে যারা ওই অনুষ্ঠান বাতিল করেছেন, তাদের প্রধানমন্ত্রীর ধারেকাছে থাকা উচিত নয়।

এবার সম্ভর্ধনার কথায় আসা যাক। সম্ভর্ধনা সফল, কারণ প্রচুর মানুষ হয়েছে, হাউজফুল। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আসেন ৭:৩০মিনিটের দিকে। তিনি আসার আগে ঘন্টা দুয়েক ফ্রী-স্টাইলে কবিতা, গান হয়েছে। বারবার বিভিন্ন জন এসে মাইকে দর্শককে জানিয়েছেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী আসবেন। আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবার আগে বোঝা যাচ্ছিলো না ৪/৫জনের মধ্যে কে অনুষ্টানটি পরিচালনা করছেন।আমার পাশে বসা ঢাকার একজন নেতা বললেন, 'দাদা, নিউইয়র্ক-এ আমরা মার্কিন স্ট্যান্ডান্ডের অনুষ্টান চাই, কেরানীগঞ্জের অনুষ্টান নয়। যাহোক, অনুষ্টান শুরু হলো, ছিমছাম ভালো অনুষ্ঠান, অন্তত: দুই ডজন নেতা বক্তৃতা দিলেন। ঘন্টা দুই শ্রোতারা তা শুনতে বাধ্য হলেন। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় টিএসসি-তে কারো বক্তৃতা শুনতে না চাইলে মেঝের সাথে জুতার খসখসানি শুরু হয়ে যেত, এবং বক্তা তা বুঝে থামতেন। এখানে সেটা নেই, তবে অকারণে হাততালি বা একটু হৈচৈ ছিলো। কিন্তু তাতে বক্তারা ঘাবড়ে যাবার পাত্র নয়, সাফল্যের সাথে তারা প্রধানমন্ত্রীকে তাদের কথা শুনিয়েই বক্তব্য শেষ করেন। ফলে প্রধানমন্ত্রীর হাতে যখন মাইক এলো তখন ১০টা ছুইছুই এবং জননেত্রী শুরুতেই বললেন, 'অনেক রাত হয়ে গেছে।' আমরা না বুঝলেও তিনি জানেন প্রবাসীরা পরের দিন কাজে যাবেন। এবার প্রধানমন্ত্রীর আগের 
​অধিকাংশ ​
​বক্তাদের 
বক্তব্যের সুরটা একটু 
​দেখা যাক
। একজন মন্ত্রী বললেন, বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য পেয়েছি, জননেত্রীর সাথে কাজ করছি, জয়ের সাথেও থাকবো। আরেকজন মন্ত্রী বললেন, আপনারা প্রবাসীরা জয়-কে ছাড়বেন না, তাকে রাজনীতিতে নামাতেই হবে।  ইত্যাদি।
​আসলে, 
আমরা যেটা ভুলে যাই তা হলো, মানুষ আসে জননেত্রীকে দেখতে এবং তার কথা শুনতে, সাথে বড়জোড় জয়-এর।
​এর বাইরে কারো নয়।​

এখন ভারতের প্রধানমন্ত্রী সম্বর্ধনার কথা একটু বলি। ওখানে একমাত্র বক্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আমরা শিখবো কবে! আমাদের স্টেজের ছবিটি তো আমরা দেখেছি, এবার ইন্টারনেটে গিয়ে সবাইকে মোদীর সম্বর্ধনার স্টেজের ছবিটি দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। সাথে সম্ভব হলে সন্মুখের দুই সারির মানুষগুলোকে। মোদীর অনুষ্ঠানে প্রায় অর্ধশত মার্কিন আইনপ্রণেতা, গভর্নর, সিনেটর এবং এদেশের মিডিয়ায় ছয়লাব ছিলো। এসব নিয়ে আমাদের দৈন্যতার কথা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী একজনকে জানালে তিনি বলেন, 'ভারতের সাথে আপনি বাংলাদেশের তুলনা করছেন?' আমি অবশ্য বুঝতে পারিনা ভারতের চেয়ে আমরা কম কিসে, ভারত পারলে আমরা পারি না কেন? যাহোক, প্রধানমন্ত্রী চলে গেছেন, হোটেলে কোন বাঙালীকে
​এখন ​
আর খুঁজে পাওয়া যাবেনা। উত্সব-এর সমাপ্তি। তবে এ সপ্তাহে নুতন উত্সব শুরু, দুর্গাপূজা এবং শনিবার ঈদ। সবাই-কে ঈদ ও পূজার শুভেচ্ছা।

শিতাংশু গুহ, কলাম লেখক।
নিউইয়র্ক, ১লা অক্টোবর ২০১৪।
 

 






__._,_.___

Posted by: Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___