প্রকাশ : ০২ নভেম্বর, ২০১৪ ১২:৪৮:১৮আপডেট : ০২ নভেম্বর, ২০১৪ ১২:৪৭:৫৯ |
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মীর কাসেম আলীকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল-২।
চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ রোববার এ আদেশ দেন। তার বিরুদ্ধে ১০ অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ আদেশ দেওয়া হয়।
এটি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একাদশতম রায়।
মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ
১. মীর কাসেম আলীর নেতৃত্বে আল-বদর বাহিনী ১৯৭১ সালের ৮ নভেম্বর ওমরুল ইসলাম চৌধুরীকে চাকতাইঘাট থেকে অপহরণ করে। তাকে কয়েক দফায় চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লার ডালিম হোটেল, পাঁচলাইশ থানার সালমা মঞ্জিল ও একটি চামড়ার গুদামে নিয়ে নির্যাতন করা হয়।
২. আসামির নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ১৯ নভেম্বর চট্টগ্রামের চাকতাই থেকে লুৎফর রহমান ফারুককে অপহরণ করে ডালিম হোটেলে নিয়ে নির্যাতন ও বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়া হয়।
৩. ২২ অথবা ২৩ নভেম্বর আসামির নেতৃত্বে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে তার কদমতলার বাসা থেকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেলে নির্যাতন করা হয়।
৪. ডাবলমুরিং থানার সালাহউদ্দিন খানকে তার নিজ বাসা থেকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেলে আল-বদর বাহিনী কর্তৃক নির্যাতন।
৫. ২৫ নভেম্বর আনোয়ারা থানার আবদুল জব্বারকে তার নিজ বাসা থেকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেলে মীর কাসেম আলীর সামনে হাজির করা হয়। এরপর তাকে নির্যাতন করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
৬. চট্টগ্রাম শহরের একটি চায়ের দোকান থেকে হারুনুর রশিদ নামে একজনকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেল ও সালমা মঞ্জিলে নির্যাতন করা হয়।
৭. মীর কাসেম আলীর নেতৃত্বে ৭-৮ জন যুবক ডাবলমুরিং থানা থেকে সানাউল্লাহ চৌধুরীসহ দু'জনকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেলে নির্যাতন করা হয়।
৮. ২৯ নভেম্বর রাতে নুরুল কুদ্দুসসহ চারজনকে অপহরণ করে ডালিম হোটেলে নিয়ে নির্যাতন।
৯. ২৯ নভেম্বর সৈয়দ মোহাম্মদ এমরানসহ ছয়জনকে অপহরণ ও নির্যাতন।
১০. আসামির নির্দেশে মোহাম্মদ যাকারিয়াসহ চারজনকে অপহরণ ও নির্যাতন।
১১. জসিম উদ্দিনসহ ছয়জনকে অপহণের পর নির্যাতন করা হয়। এতে জসিমসহ পাঁচজন নিহত হন এবং পরে লাশ গুম করা হয়।
১২. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ তিনজনকে অপহরণ করে নির্যাতন করা হয়। এতে দুইজন নিহত হন এবং তাদের লাশ গুম করা হয়।
১৩. সুনীল কান্তিকে অপহরণ ও নির্যাতন এবং
১৪. নাসির উদ্দিন চৌধুরীকে অপহরণ ও নির্যাতন।
২০১২ সালের ১৭ জুন একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মীর কাসেমকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
২০১৩ সালের ১৬ মে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন মীর কাসেমের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে। ২৬ মে তা আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ নির্ধারণ করে আদালত।
গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর মীর কাসেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল-১। এরপর মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-২-এ স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানেই ১৮ নভেম্বর প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সীমন ও রেজিয়া সুলতানা চমনের ওপেনিং স্টেটমেন্টের মধ্য দিয়ে শুনানি শুরু হয়।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর থেকে এ বছরের ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত মীর কাসেম আলীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল ইসলামসহ মোট ২৪ জন। এরা হলেন- সৈয়দ মোহাম্মদ এমরান, মোহাম্মদ সানাউল্লাহ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক নাসিরুদ্দিন চৌধুরী, সুনীল কান্তি বর্ধন দুলাল, শহীদপুত্র শিবু দাস, মৃদুল কুমার দে, প্রদীপ তালুকদার, মুক্তিযোদ্ধা এস্কান্দার আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ছুট্টু মিয়া, মোহাম্মদ জাকারিয়া, নাজিমুদ্দিন, মোহাম্মদ হাসান (১), মোহাম্মদ হাসান (২), ফয়েজ আহমেদ সিদ্দিকী, জুলেখা খান, মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর চৌধুরী, হাসিনা খাতুন, এসএম জামাল উদ্দিন, এস এম সরওয়ার উদ্দিন ও লুৎফর রহমান ফারুক। জব্দ তালিকার সাক্ষী হলেন চট্টগ্রাম পাবলিক লাইব্রেরির বুক সর্টার কাউসার শেখ, বাংলা একাডেমির সহকারী গ্রন্থাগারিক এজাব উদ্দিন মিয়া ও বাংলা একাডেমির প্রধান গ্রন্থাগারিক মোবারক মিয়া।
সাক্ষ্য শেষে এদের সবাইকে জেরা করে আসামিপক্ষ।
গত ২১ ও ২২ এপ্রিল মীর কাসেম আলীর পক্ষে তিন সাফাই সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। তারা হলেন- মীর কাসেম আলীর ছোট বোন মমতাজ নুরুদ্দিন, চট্টগ্রামের কোতয়ালী থানাধীন স্টেশন রোডের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী ও চট্টগ্রামের উত্তর হালিশহরের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের খান।
এরপর তাদের জেরা করেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম।
সাক্ষ্য শেষে গত ২৭ ও ২৮ এপ্রিল এ মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, জেয়াদ আল মালুম, সুলতান মাহমুদ সীমন ও রেজিয়া সুলতানা চমন।
গত ২৯, ৩০ এপ্রিল ও ৪ মে কাসেম আলীর পক্ষে যুক্তি দেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার তানভীর আহমেদ আল আমীন।
সমাপনী যুক্তি উপস্থাপন শেষে চলতি বছরের ৪ মে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখা হয়।
চট্টগ্রাম গণহত্যার হোতার মৃত্যুদণ্ড
রায় শুনে মীর কাসেমের তির্যক মন্তব্য
Avgv‡`i mgq.Kg : 02/11/2014
Bmjvgx e¨vs‡Ki mv‡eK cwiPvjK gxi Kv‡mg w`Mš— wgwWqv K‡c©v‡ik‡bi †Pqvig¨vb| IB cÖwZôv‡biB msev`cÎ ˆ`wbK bqv w`Mš— Ges †Uwjwfkb P¨v‡bj w`MšÍ †Uwjwfkb|
http://www.amadershomoys.com/newsite/2014/11/02/135803.htm#.VFXIYzTF8-0
Death for QuasemBreaking
12 out of 14 charges proved; defence to appeal
RELATED NEWS
http://thedailystar.net/death-for-quasem-48513
Charges Mir Quasem found guilty for
The International Crimes Tribunal-2 has found involvement of Jamaat-e-Islami Mir Quasem Ali in 12 wartime offences...
http://thedailystar.net/charges-mir-quasem-found-guilty-for-48519
রবিবার, ২ নভেম্বর ২০১৪, ১৮ কার্তিক ১৪২১
মীর কাসেম আলীর মামলার রায় আজনিজস্ব প্রতিবেদক একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর মামলার রায় আজ রোববার। গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য় করেন। এটি হবে দুই ট্রাইব্যুনালের দেয়া ১১তম রায়। ... http://www.manobkantha.com/2014/11/02/197553.html g †Z gxi Kv‡mg : ZzB ivRvKvi, ZzB ivRvKvi, duvwm PvB, duvwm PvBAvgv‡`i mgq.Kg : 02/11/2014 http://www.amadershomoys.com/newsite/2014/11/02/135602.htm#.VFUyfjTF8-1 Jamaate Islami is জামাত-ই-মুনাফেক!!! |
__._,_.___