Banner Advertiser

Sunday, December 7, 2014

[mukto-mona] এদেশের ৮৬% মানুষ। চরম ধনী আর চরম গরিব এ বৈষম্য এ ব্যপারে নীরব কেন আন্জাম।




বাংলাদেশে গত দুই দশকে গড়ে ৫ শতাংশের বেশি হারে প্রবৃদ্ধি হলেও দেশের প্রায় ৮৬ শতাংশ মানুষের আয় এখনো দৈনিক আড়াই ডলারের কম, যা উন্নয়নের দাবিকে অসার প্রতিপন্ন করে। ফলে রাস্তায় বিলাসবহুল গাড়ি, শহরে নতুন মাল্টিপ্লেক্স বা উচ্চ অট্টালিকা এসব দৃশ্যের বিস্তার ঘটলেও অধিকাংশ মানুষই নিম্ন আয়ের বেড়াজালে আটকে আছে। প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, এখনো নিম্ন আয়ের মধ্যে আটকে আছে দেশের প্রায় ৮৬ শতাংশ বা ১২ কোটি ৭৫ লাখ মানুষ। যাদের দৈনিক ক্রয়ক্ষমতা ২ দশমিক ৫০ ডলার বা ২০০ টাকার নিচে।
মূলত, বাংলাদেশের চলমান অর্থনীতির মূল সুফলভোগী ধনীরা। ধনীরা দ্রুতগতিতে সম্পদ বাড়াচ্ছে ফলে আয়-বৈষম্য বেড়েই চলেছে। কোনো রকমে খড়কুটো ধরে বেঁচে থাকার মতো অবস্থা দরিদ্র মানুষগুলোর। 
চলতি (২০১৪-১৫) অর্থবছরে দেশের উচ্চবিত্তদের একটি হিসাব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেখানেও দেখা যায়, দেশের মোট সম্পদের বেশির ভাগের মালিক মাত্র দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ মানুষ। তাদের বার্ষিক আয় ৪৪ লাখ ২০ হাজার টাকার উপর। এসব ব্যক্তির সম্পদ আছে কোটি টাকার বেশি। এদের মধ্যে অনেকেই আবার শত কোটি থেকে সহস্রাধিক কোটি টাকার মালিক।
এরাই দেশের অর্থনীতির মূল সুবিধাভোগী। অবকাঠামো নির্মাণ থেকে শুরু করে সব সুবিধা কাজে লাগিয়ে সম্পদ সৃষ্টি করছে ধনী শ্রেণীটি। কারণ সরকারের সুবিধা ভোগ করার মতো সব ধরনের ক্ষমতা তাদেরই রয়েছে। এটাই তাদের সম্পদ বহুগুণে বাড়িয়ে দিচ্ছে।
সমাজে ব্যাপক আয়-বেষম্য বিরাজ করছে। কিন্তু এ সম্পর্কিত যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তা বাস্তবের তুলনায় কম। কারণ অতি ধনীরা তথ্য দেয় না। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি থেকে উচ্চবিত্তরা ও ধনীরা বেশি লাভবান হচ্ছে। 
১৯৭০ সালের পাকিস্তানে ২২টি কোটিপতি পরিবারের কথা বলা হতো, যারা রাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায় পাকিস্তানের শিল্প-বাণিজ্যে আধিপত্য বিস্তার করেছিল। ওই ২২ পরিবারের মধ্যে দুটো পরিবার ছিল পূর্ব-পাকিস্তানের, তা-ও একটি ছিল অবাঙালি। ওই বাংলাদেশেই ২০১২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মোতাবেক ২৩ হাজার ২১২ জন কোটিপতি ছিল। ২০১৪ সালে তারা ওই সংখ্যা ৫০ হাজার অতিক্রম করেছে। 
কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোটিপতির এহেন প্রবৃদ্ধির হারকে কৃতিত্বপূর্ণ সাফল্য মনে করতে পারে, কিন্তু এর মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সুফল যে এই ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে গিয়ে পুঞ্জীভূত হয়ে যাওয়ার বিপদ সংকেত পাওয়া যাচ্ছে, সে ব্যাপারে ক্ষমতাসীনদের কি কোনো করণীয় নেই?
সরকারি হিসাবে প্রতিবছর দরিদ্র্যের হার কমেছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দেশে দরিদ্র জনগণের সংখ্যা বেড়েছে। সরকারি দারিদ্র্যের হার নির্ণয় পদ্ধতিতেই রয়েছে গলদ। যাদের আয় দৈনিক ১ ডলারের নিচে তাদের চরম দরিদ্র হিসেবে ধরা হয় বাংলাদেশে। অথচ এ সময়ে প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে। জাতিসংঘ পর্যন্ত এখন ডলারের হিসাবে নয়, মাথাপিছু ক্যালরি গ্রহণকে দারিদ্র পরিমাপের একক হিসেবে বিবেচনা করছে। বলা হচ্ছে, এ হিসাব অনুযায়ী দেশে ৩৬ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। কিন্তু এ হিসেবেও প্রকৃত সংখ্যা ৫০ শতাংশেরও বেশি হবে। 
উল্লেখ্য, বর্তমান উচ্চ দ্রব্যমূল্যের বাজারে ১ ডলার দিয়ে একজন মানুষ তার দৈনিক চাহিদা মেটাতে পারছে না। যারা এক ডলারের হিসাবে তুষ্ট আছে তারা মিলিয়ে দিতে পারবে না এ হিসাব। ১ ডলার বাংলাদেশী ৭৭ টাকা। বর্তমান উচ্চ দ্রব্যমূল্যের বাজারে একজন ব্যক্তি এ টাকা দিয়ে দু'বেলা খাবারেরই চাহিদা মেটাতে পারেন না। যেখানে ১ কেজি মোটা চালের দাম সর্বনিম্ন ৪০ টাকা। আর খাদ্য ছাড়াও রয়েছে বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ইত্যাদি মৌলিক অধিকারের বিষয়।
অপরদিকে মাথাপিছু আয় বাড়লেও মানুষের প্রকৃত আয় না বেড়ে, বরং কমেছে। মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির তুলনায় জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে অনেক বেশি। গত পাঁচ বছরে মানুষের প্রকৃত আয় কমেছে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ।
'চরম দরিদ্রতা' নিয়ে যে আন্তর্জাতিক সংজ্ঞা নিরূপণ করা হয় সেটা হলো বিশ্বের দরিদ্রতম দেশগুলোর দরিদ্র্যসীমার গড়ের আপেক্ষিক দারিদ্র্যমাত্রা, যা অত্যন্ত কম। অর্থাৎ দৈনিক আয় ১.২৫ ডলারের উপরে উঠার অর্থ কোনোভাবেই দারিদ্র্যমুক্তি নয়। বরং সেটা হলো আগের তুলনায় অপেক্ষাকৃত কম দরিদ্রের অবস্থায় যাওয়া। যদিও ২০৩০ সালের মধ্যে দৈনিক ১.২৫ ডলার মানদ-ে বাংলাদেশ ২.৪ শতাংশ দারিদ্র্য কমিয়ে আনতে পারলে তখন তা সরকারের পক্ষ থেকে প্রচার করা হবে বিরাট ঐতিহাসিক অর্জন। কিন্তু সেটা অর্জন করতে সক্ষম হলে পরেও দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষের দৈনিক আয় থাকবে ৪ ডলারের কম।
অপরদিকে বর্তমান সরকারের তরফ থেকে মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৪৫ ডলারের মাধ্যমে মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছে যাওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে; সেটি আসলে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ ছাড়া কিছুই নয়।
কিন্তু আমরা মনে করি, সুষ্ঠু পরিকল্পনা এবং স্বচ্ছ ও সৎ অর্থনীতির মাধ্যমে ২০২১ সাল নয়; মাত্র ১ থেকে ২ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে নয়; বরং পৃথিবীর প্রথম ধনী দেশে পরিণত করা সম্ভব। ইনশাআল্লাহ!
মূলত, সব সমস্যা সমাধানে চাই সদিচ্ছা ও সক্রিয়তা তথা সততা।


__._,_.___

Posted by: Monsur Haider <haidermonsur@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___