সরেজমিন ঢামেক বার্ন ইউনিট : বাঁচার আকুতি দগ্ধদের দুশ্চিন্তায় স্বজনরা
শফিকুল বারী
বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবরোধ যত দীর্ঘ হচ্ছে সন্ত্রাস, সহিংসতা ও নৈরাজ্যের পরিমাণও তত বেড়ে চলেছে। প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও পেট্রলবোমায় দগ্ধ হতে হচ্ছে এদেশেরই নাগরিককে। যে সাধারণ মানুষ জীবন-জীবিকার লড়াইয়ে সদা ব্যস্ত, তারা আজ পেট্রলবোমা, ককটেল আর আগুনের ভয়ে আতঙ্কিত। ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল জুড়ে আজ শুধু আগুনে পোড়াদের আর্তচিৎকার, আর স্বজনদের আহাজারি। একদিকে আগুনে পোড়ারা ক্ষতের জ্বালায় প্রতি মুহূর্তে চিৎকার করে বাঁচার আকুতি প্রকাশ করছেন। অন্যদিকে স্বজনরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুঃশ্চিন্তা ও হতাশায় ভুগছেন।
প্রায় একমাস যাবত পেট্রলবোমা, ককটেল বিস্ফোরণ ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ আর এর সূত্র ধরে হতাহতের মতো নৃশংসতা চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ছে ক্ষতিগ্রস্তদের আহাজারি, বিলাপ আর বেঁচে থাকার আকুতি।
গতকাল রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ডিএমসি) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে গিয়ে আঁতকে উঠতে হয় দগ্ধ মানুষদের আহাজারিতে। পুরো বার্ন ইউনিটজুড়ে আহতদের আর্তচিৎকার আর স্বজনদের কান্না। বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানান, ৫ জানুয়ারির পর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক গণপরিবহনে পেট্রল বোমায় দগ্ধ হয়ে বার্ন ইউনিটে ৮৬ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন পাঁচ জন। ৩১ জনকে চিকিৎসা দিয়ে ছুটি দেয়া হয়েছে। ৫০ জন এখনও ভর্তি রয়েছেন। তিনি জানান, যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রলবোমায় দগ্ধ ২৯ জনের মধ্যে কারো কারো শরীর ১২ থেকে ৪৮ ভাগ পর্যন্ত পুড়ে গেছে। দগ্ধদের মধ্যে ৯ জনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক বলে জানান বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম।
গতকাল সোমবার বার্ন ইউনিটে গিয়ে দেখা যায়, রোগীর ভারে পুরো বার্ন ইউনিটটিই এখন পর্যুদস্ত। এখানকার আইসিইউতে আছেন ৬ জন, পোস্ট অপারেটিভ ইউনিটে আছেন ৬ জন ও হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) আছেন ৭ জন। বাকি ১৩ জন আছেন ১০১ নম্বর ওয়ার্ড ও বারান্দায়।
এইচডিইউতে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে বেডে জীবন্ত মমির মতো অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন নূর আলম (৪০)। গত শুক্রবার যাত্রাবাড়ীতে পেট্রলবোমায় পুড়ে গেছে তার শরীরে ৪৮ ভাগ। মুখ, বুক, পিঠসহ দুই হাতই পুড়ে গেছে তার। তার পুরো শরীরেই ব্যান্ডেজ। তার আহাজারি আর চিৎকার চলছে অনবরত। পাশে বসে কাঁদছেন স্ত্রী চম্পা, ভগ্নিপতি মিন্টু মিয়া ও শাশুড়ি। রাজউকের ঠিকাদার নূর আলম শুক্রবার অনেকদিন পর মিরপুরে ছোটবোনের বাসায় বেড়াতে যান। মিরপুর থেকে নিজ বাড়ি সোনারগাঁওয়ে ফেরার পথে নরপশুদের পেট্রলবোমা হামলায় দগ্ধ হন তিনি।
স্ত্রী চম্পা মানবকণ্ঠকে বলেন, যারা পেট্রলবোমা মারে তারা মানুষ না। তাদেরকেও ধরে আগুনে পোড়ানো উচিৎ। তাহলে তারা বুঝতে পারত দগ্ধ হওয়ার কি যন্ত্রণা। এ সময় নূর আলম বলে ওঠেন, 'আমার কি দোষ? আমি তো ক্ষমতা চাই না, রাজনীতি করি না। দুই নেত্রীকে বলেন, এসব বন্ধ করতে। আর কত?'
পোশাক কারখানার কর্মচারী আবুল হোসেন (৩৫)। যাত্রাবাড়ীতে সহিংসতার পেট্রলবোমায় দগ্ধ হয়েছে তার শরীরের ৩০ ভাগ। তারও মুখ, বুক, পিঠসহ দুই হাত দগ্ধ হয়েছে। পাশে বসে কাঁদছিলেন স্ত্রী রিনা বেগম। তিনি বলেন, আমাদের ৭ বছর বয়সের এক ছেলে রয়েছে। স্থানীয় স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে পড়ে। কাঁঠালবাগানে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাব এলাকার নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন তিনি। শান্তির নীড়ে ফেরার আগেই পেট্রলবোমায় দগ্ধ হন তিনি। এখন ছোট এই ছেলে নিয়ে আমি কার কাছে যাব, কি করব। সংসারের একমাত্র উপার্যজনক্ষম ব্যক্তিটিই দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে। কি হবে আমাদের ভাবতে পারছি না।
দুই তলার বারান্দায় শুয়ে আছেন যাত্রাবাড়ীতে আগুনে পোড়া বাসের আরেক যাত্রী সালাউদ্দিন পলাশ (৩০)। নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরের বাসিন্দা পলাশ বসুন্ধরা সিটির 'আমিন সুজ' নামে একটি জুতার দোকানের কর্মচারী।
বৃদ্ধ বাবা মা, দুই সন্তান আরিফ (৬) ও ইভা (৩) এবং স্ত্রী নাসরিনকে নিয়ে পলাশ নারায়ণগঞ্জে থাকতেন। প্রতিদিন সেখান থেকেই বাসে আসতেন ঢাকা। নাসরিন বলেন, 'দোকানের কাম শেষে পোলার জন্য ক্রিকেট ব্যাট কিনা বাসে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু বাসে আগুন লাগায় জানালার কাঁচ ভাইঙ্গা সে বাইর হইছিল। হাত, মুখের ২৫ ভাগ পুইড়া গেছে। বাম পাও ভাইঙ্গা গেছে।'
ইউনিটের এইচডিইউ ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, মুখ হাত ঝলসে গেছে এলিফ্যান্ট রোডের সিটি সুপার মার্কেটের কর্মচারী মো. সালাহউদ্দিন ভূঁইয়ার। তার শরীরের ২৮ ভাগ পুড়ে গেছে। তার স্ত্রী উর্মি বলেন, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে তাদের বাসা। শুক্রবার রাতে দোকানের কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে পেট্রলবোমায় আক্রান্ত হয় সালাউদ্দিন। তিনি জানান, দগ্ধ সালাহ উদ্দিন শ্বাস নিতে কষ্ট পাচ্ছেন।
একই ওয়ার্ডে ৪৮ ভাগ দগ্ধ হয়ে নাটোরের পাটুল গ্রামের বাসিন্দা নূর আলম, ৩৫ ভাগ পোড়া মো. মাসুদ, ২০ ভাগ পোড়া মো. খোকনকে অনেকটা অচেতন হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।
এদিকে গতকাল দুপুর সোয়া ২টার দিকে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বার্ন ইউনিটে রোগীদের সমবেদনা জানাতে যান। এছাড়া সাইফ পাওয়ার টেক ও আসমত আলী ফাউন্ডেশন নামে দুটি প্রতিষ্ঠান বার্ন ইউনিটের রোগীদের সাহায্যে ১৩ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন। সাইফ পাওয়ার টেক চিকিৎসা শেষে ১০ জনকে পুনর্বাসনের ঘোষণা দেয়।
- See more at: http://www.manobkantha.com/2015/01/26/209140.html#sthash.dCPJ91YL.dpufবিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের অবরোধ যত দীর্ঘ হচ্ছে সন্ত্রাস, সহিংসতা ও নৈরাজ্যের পরিমাণও তত বেড়ে চলেছে। প্রতিদিনই দেশের কোথাও না কোথাও পেট্রলবোমায় দগ্ধ হতে হচ্ছে এদেশেরই নাগরিককে। যে সাধারণ মানুষ জীবন-জীবিকার লড়াইয়ে সদা ব্যস্ত, তারা আজ পেট্রলবোমা, ককটেল আর আগুনের ভয়ে আতঙ্কিত। ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল জুড়ে আজ শুধু আগুনে পোড়াদের আর্তচিৎকার, আর স্বজনদের আহাজারি। একদিকে আগুনে পোড়ারা ক্ষতের জ্বালায় প্রতি মুহূর্তে চিৎকার করে বাঁচার আকুতি প্রকাশ করছেন। অন্যদিকে স্বজনরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুঃশ্চিন্তা ও হতাশায় ভুগছেন।
প্রায় একমাস যাবত পেট্রলবোমা, ককটেল বিস্ফোরণ ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ আর এর সূত্র ধরে হতাহতের মতো নৃশংসতা চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ছে ক্ষতিগ্রস্তদের আহাজারি, বিলাপ আর বেঁচে থাকার আকুতি।
গতকাল রোববার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ডিএমসি) জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে গিয়ে আঁতকে উঠতে হয় দগ্ধ মানুষদের আহাজারিতে। পুরো বার্ন ইউনিটজুড়ে আহতদের আর্তচিৎকার আর স্বজনদের কান্না। বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানান, ৫ জানুয়ারির পর থেকে দেশের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক গণপরিবহনে পেট্রল বোমায় দগ্ধ হয়ে বার্ন ইউনিটে ৮৬ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন পাঁচ জন। ৩১ জনকে চিকিৎসা দিয়ে ছুটি দেয়া হয়েছে। ৫০ জন এখনও ভর্তি রয়েছেন। তিনি জানান, যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রলবোমায় দগ্ধ ২৯ জনের মধ্যে কারো কারো শরীর ১২ থেকে ৪৮ ভাগ পর্যন্ত পুড়ে গেছে। দগ্ধদের মধ্যে ৯ জনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক বলে জানান বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম।
গতকাল সোমবার বার্ন ইউনিটে গিয়ে দেখা যায়, রোগীর ভারে পুরো বার্ন ইউনিটটিই এখন পর্যুদস্ত। এখানকার আইসিইউতে আছেন ৬ জন, পোস্ট অপারেটিভ ইউনিটে আছেন ৬ জন ও হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) আছেন ৭ জন। বাকি ১৩ জন আছেন ১০১ নম্বর ওয়ার্ড ও বারান্দায়।
এইচডিইউতে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালে বেডে জীবন্ত মমির মতো অসহ্য যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন নূর আলম (৪০)। গত শুক্রবার যাত্রাবাড়ীতে পেট্রলবোমায় পুড়ে গেছে তার শরীরে ৪৮ ভাগ। মুখ, বুক, পিঠসহ দুই হাতই পুড়ে গেছে তার। তার পুরো শরীরেই ব্যান্ডেজ। তার আহাজারি আর চিৎকার চলছে অনবরত। পাশে বসে কাঁদছেন স্ত্রী চম্পা, ভগ্নিপতি মিন্টু মিয়া ও শাশুড়ি। রাজউকের ঠিকাদার নূর আলম শুক্রবার অনেকদিন পর মিরপুরে ছোটবোনের বাসায় বেড়াতে যান। মিরপুর থেকে নিজ বাড়ি সোনারগাঁওয়ে ফেরার পথে নরপশুদের পেট্রলবোমা হামলায় দগ্ধ হন তিনি।
স্ত্রী চম্পা মানবকণ্ঠকে বলেন, যারা পেট্রলবোমা মারে তারা মানুষ না। তাদেরকেও ধরে আগুনে পোড়ানো উচিৎ। তাহলে তারা বুঝতে পারত দগ্ধ হওয়ার কি যন্ত্রণা। এ সময় নূর আলম বলে ওঠেন, 'আমার কি দোষ? আমি তো ক্ষমতা চাই না, রাজনীতি করি না। দুই নেত্রীকে বলেন, এসব বন্ধ করতে। আর কত?'
পোশাক কারখানার কর্মচারী আবুল হোসেন (৩৫)। যাত্রাবাড়ীতে সহিংসতার পেট্রলবোমায় দগ্ধ হয়েছে তার শরীরের ৩০ ভাগ। তারও মুখ, বুক, পিঠসহ দুই হাত দগ্ধ হয়েছে। পাশে বসে কাঁদছিলেন স্ত্রী রিনা বেগম। তিনি বলেন, আমাদের ৭ বছর বয়সের এক ছেলে রয়েছে। স্থানীয় স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে পড়ে। কাঁঠালবাগানে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাব এলাকার নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন তিনি। শান্তির নীড়ে ফেরার আগেই পেট্রলবোমায় দগ্ধ হন তিনি। এখন ছোট এই ছেলে নিয়ে আমি কার কাছে যাব, কি করব। সংসারের একমাত্র উপার্যজনক্ষম ব্যক্তিটিই দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে। কি হবে আমাদের ভাবতে পারছি না।
দুই তলার বারান্দায় শুয়ে আছেন যাত্রাবাড়ীতে আগুনে পোড়া বাসের আরেক যাত্রী সালাউদ্দিন পলাশ (৩০)। নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরের বাসিন্দা পলাশ বসুন্ধরা সিটির 'আমিন সুজ' নামে একটি জুতার দোকানের কর্মচারী।
বৃদ্ধ বাবা মা, দুই সন্তান আরিফ (৬) ও ইভা (৩) এবং স্ত্রী নাসরিনকে নিয়ে পলাশ নারায়ণগঞ্জে থাকতেন। প্রতিদিন সেখান থেকেই বাসে আসতেন ঢাকা। নাসরিন বলেন, 'দোকানের কাম শেষে পোলার জন্য ক্রিকেট ব্যাট কিনা বাসে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু বাসে আগুন লাগায় জানালার কাঁচ ভাইঙ্গা সে বাইর হইছিল। হাত, মুখের ২৫ ভাগ পুইড়া গেছে। বাম পাও ভাইঙ্গা গেছে।'
ইউনিটের এইচডিইউ ওয়ার্ড ঘুরে দেখা গেছে, মুখ হাত ঝলসে গেছে এলিফ্যান্ট রোডের সিটি সুপার মার্কেটের কর্মচারী মো. সালাহউদ্দিন ভূঁইয়ার। তার শরীরের ২৮ ভাগ পুড়ে গেছে। তার স্ত্রী উর্মি বলেন, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে তাদের বাসা। শুক্রবার রাতে দোকানের কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে পেট্রলবোমায় আক্রান্ত হয় সালাউদ্দিন। তিনি জানান, দগ্ধ সালাহ উদ্দিন শ্বাস নিতে কষ্ট পাচ্ছেন।
একই ওয়ার্ডে ৪৮ ভাগ দগ্ধ হয়ে নাটোরের পাটুল গ্রামের বাসিন্দা নূর আলম, ৩৫ ভাগ পোড়া মো. মাসুদ, ২০ ভাগ পোড়া মো. খোকনকে অনেকটা অচেতন হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।
এদিকে গতকাল দুপুর সোয়া ২টার দিকে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বার্ন ইউনিটে রোগীদের সমবেদনা জানাতে যান। এছাড়া সাইফ পাওয়ার টেক ও আসমত আলী ফাউন্ডেশন নামে দুটি প্রতিষ্ঠান বার্ন ইউনিটের রোগীদের সাহায্যে ১৩ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন। সাইফ পাওয়ার টেক চিকিৎসা শেষে ১০ জনকে পুনর্বাসনের ঘোষণা দেয়।
ডা. ওয়াহিদ নবি
বেগম জিয়া চলমান অবরোধের ডাক দিয়েছিলেন বর্তমান সরকারকে তার ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করার জন্য। উদ্দেশ্যটা শতকরা ১০০ ভাগ রাজনৈতিক। আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে বলতে হয় যে, এই রাজনীতি ক্ষমতা দখল করার রাজনীতি। অবরোধ বলতে সাধারণ মানুষ যা বোঝে তা অবশ্য হচ্ছে না। অবরোধ বলতে সাধারণ মানুষ বোঝে বেষ্টন করে রাখা বা আরো সোজা ভাষায় ঘেরাও করে ...বিস্তারিত
__._,_.___