Banner Advertiser

Tuesday, March 24, 2015

[mukto-mona] পেট্রোলবোমানির্ভর আন্দোলন : ওয়াহিদ নবি



পেট্রোলবোমানির্ভর আন্দোলন
Published : Tuesday, 24 March, 2015 at 9:43 PM
  
পেট্রোলবোমানির্ভর আন্দোলনওয়াহিদ নবি
১৩ মার্চের সংবাদ সম্মেলনে বেগম জিয়া বোঝাতে চাইলেন যে, গত সোয়া দুই মাস নাশকতা সরকার করেছে। তার নিজের ও তার দলের নেতাদের কানে কথাগুলো কেমন শুনিয়েছে কে জানে। জনগণের কানে কেমন শুনিয়েছে রাজনৈতিক দল হিসেবে এটা তাদের বিশ্লেষণ করা উচিত। অবশ্য যদি তারা সুস্থ রাজনৈতিক পথে চলতে চান। আমরা বেগম জিয়া ঘোষিত তথাকথিত অবরোধ আর হরতালের সময় কি দেখেছি? প্রথমেই বলতে হয় এই আন্দোলনের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততার কথা। এটা স্পষ্ট যে, এই আন্দোলনের সঙ্গে জনগণের কোনোই সম্পর্ক নেই। জনগণকে কোথাও দেখা যায়নি কিংবা যাচ্ছে না। এর কারণ কি? প্রথম কথা হচ্ছে কেন জনগণ এই আন্দোলনকে সমর্থন করবে? বেগম জিয়ার দল বলছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দ্বারা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য। এই দাবির প্রতি জনগণের কতটা সমর্থন রয়েছে, সেটা বেগম জিয়ার দল খতিয়ে দেখেছে কি? তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটা অনির্বাচিত সরকার। ওই রকম একটা সরকারের হাতে সরকার তুলে দিলে পরিণতি কি হতে পারে তা আমরা উদ্দিনদের সরকারের আমলে দেখেছি। ওই রকম সরকার আমরা আর দেখতে চাই না। বেগম জিয়া বলেছিলেন যে, শুধু ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকারটি খারাপ ছিল আর অন্যগুলো ভালো ছিল। কিন্তু তিন উদ্দিনের সবাই ছিলেন তার নিজের লোক। এ কথা সবার জানা। ওই সরকার খারাপ ছিল। কারণ তিনি ওই সরকারের দ্বারা আয়োজিত নির্বাচনে হেরে গিয়েছিলেন। সমস্যাটা হচ্ছে এই যে, জনগণ সবসময় তার মতো করে চিন্তা করে না। আর তাছাড়া মাগুরার মতো অবস্থা ২০১৩ সালে বিরাজ করছিল না। ২০১৩-১৪ সালের জনসম্পর্কবিহীন আন্দোলনে তথাকথিত আন্দোলনকারীরা অনেক মানুষ পোড়ালেন, অনেক ধ্বংসযজ্ঞ করলেন। কিন্তু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো। তিনি নির্বাচনে গেলেন না। অনেক রকমের পরিসংখ্যান পেশ করা হলো, কিন্তু জনগণ শান্তিতে নিজের নিজের কাজ করতে শুরু করল। এমনি পটভূমিকায় তিনি আবার একই ইস্যু নিয়ে আন্দোলন শুরু করলেন। খালেদা জিয়ার দাবির প্রতি জনসমর্থন আছে কিনা এটা ভেবে দেখার প্রয়োজন বোধ করলেন না তিনি। হরতাল ছেলেখেলা নয়। আমাদের নিজের দেশের সফল হরতালগুলোর ইতিহাস তার জানা উচিত। জনগণের সমর্থন শক্তভাবে থাকলেই তবে তারা সমর্থনে এগিয়ে আসে।
গত সোয়া দুই মাসে আমরা কি দেখলাম। গুপ্তস্থান থেকে একজন হরতালের ঘোষণা দিচ্ছেন। বেগম জিয়া নিজে দিচ্ছেন না কেন? তার জন্য সম্ভাব্য সমস্যা হচ্ছে এই যে, আজ হয়তো এরা বেগম জিয়ার পক্ষে ঘোষণা দিচ্ছেন, কিন্তু ভবিষ্যতে কেউ হয়তো নিজেকেই 'হরতালের ঘোষক' বলে দাবি করে বসবেন। জানি বলা হবে যে, তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। যিনি সংবাদ সম্মেলন করতে পারেন রীতিমতো ঘোষণা দিয়ে তিনি অবরুদ্ধ ছিলেন, এমন কথা শুনলে বহুল প্রচলিত চুটকির কথা মনে পড়ে 'ঘোড়ায় হাসবো'। 'কথা বলবার অধিকার নেই' এমন কথা সব জায়গায় বলেন সরকারবিরোধীরা। এই কথা বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলেন অনেকে টেলিভিশনে। যদি তাদের বক্তব্য সত্য হয় তাহলে তারা গণমাধ্যমসহ সর্বত্র কথা বলেছেন কি করে? এই সোয়া দুই মাসে আবার দেখলাম বিদেশিদের কাছে ধরনা দেয়া। এদের কাছে এমনভাবে ধরনা দেয়া হয় যে, মনে হয় যেন এরা আমাদের প্রভু। মনে হয় এরা মালিক। এদের কাছ থকে নিজের দেশের ক্ষমতা আমরা ভিক্ষা করে নেব। এমন কি তাদের নামে মিথ্যাচার করা হলো। বলা হয়েছিল যে, বিজেপির সভাপতি অমিত শাহ ফোন করেছিলেন বেগম জিয়াকে। কথাটা সত্য নয়। কংগ্রেসম্যানদের স্বাক্ষর জাল করা হয়েছিল। এসব মিথ্যাচার দেখলে সত্যকে অবিশ্বাস করার ঝুঁকি দেখা দেয়। অমিত শাহের কথায় মনে পড়ে বিজেপি সম্পর্কে বিএনপির মনোভাবের কথা। তাদের লজিকটি বেশ মজার। তাদের মনোভাবটি হচ্ছে এমন যে, কংগ্রেস আওয়ামী লীগের পক্ষে। বিজেপি হচ্ছে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। কাজেই বিজেপি আওয়ামী লীগবিরোধী কাজেই বিএনপির পক্ষে। বিজেপির বিজয়ে তাই বিএনপির মধ্যে এক ধরনের উল্লাস দেখা গিয়েছিল। তারা ভাবতেই পারেনি যে, দল আর রাষ্ট্র এক নয়। আর দল বলতে একজন মাত্র ব্যক্তিকে বোঝায় না।
আর একটা হাসির উদ্রেক করা শব্দ হচ্ছে অবরোধ। 'টানা অবরোধ' এমন শব্দও ব্যবহার করা হয়েছে। অবরোধ করতে মানুষ লাগে। অনেক মানুষ লাগে। দৃঢ় প্রতিজ্ঞ মানুষ লাগে, যারা বৃষ্টি বাদলেও তাদের অবস্থান থেকে নড়বে না। আমরা তো কোনো মানুষ দেখলাম না অবরোধ করার জন্য। আর একটা অতি সহজ প্রশ্ন হচ্ছে এই যে, কাকে অবরোধ করা হচ্ছে? বিপক্ষ পক্ষ তো আওয়ামী লীগ বা সরকার। তাদের কাউকে তো অবরোধ করা হয়নি। আসলে কাউকেই অবরোধ করা হয়নি এই তথাকথিত 'টানা অবরোধে'। অবরোধ আর হরতালের নামে যা করা হয়েছে, সেটা হচ্ছে চোরাগোপ্তা হামলা। পেট্রলবোমা নিক্ষেপ, নরহত্যা আর ব্যাপক ধ্বংসলীলা। সোয়াশ'র মতো নিরপরাধ মানুষ নির্মমভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছে, যাদের মধ্যে আছে শিশু ও নারী। আহত হয়েছে অসংখ্য মানুষ। এসব মানুষের করুণ  অবস্থা দেখার পর কে সমর্থন করবে এই আন্দোলন! পরীক্ষার ক্ষতি হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। কোনো কিছুর লাভ হয়নি। মানুষকে বাঁচতে হবে। বড় মানুষদের দেশে-বিদেশের ব্যাংকে টাকা আছে। কাজ না করলে তাদের কিছু এসে-যায় না। কিন্তু খেটে খাওয়া মানুষদের কাজে যেতে হবে। বোমার ভয়ে কাজে না গেলে সন্তান-সন্ততি নিয়ে না খেয়ে মরে যেতে হবে। এ সমস্যা বিএনপি সমর্থকদেরও। এই উপলব্ধির ফলে দেখা যাচ্ছে যে, জীবন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বোমাবাজির ভয় সত্ত্বেও। মানুষের গায়ে দলের নাম লেখা থাকে না। গাড়ি-ঘোড়ার গায়েও নয়। সবাই মরতে পারে বোমাবাজির ফলে। ২০ দলীয় জোট নির্বিকার। বিএনপি ক্ষমতা চায়। জামায়াত মানবতাবিরোধীদের বিচার থামিয়ে দিতে চায়। জনগণকেও তারা দাবার ঘুঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা বুঝতেই চাইছে না যে, বাস্তবতাবিবর্জিত আন্দোলন চালাতে গিয়ে তারা নিজেদের ভবিষ্যৎকে সংকটাপূর্ণ করে তুলছে। 
লেখক: রয়াল কলেজ অব সাইকিয়াটিস্টের
একজন ফেলো এবং যুক্তরাজ্য প্রবাসী বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক
- See more at: http://www.manobkantha.com/2015/03/25/22131.php#sthash.x5Pgin7J.dpuf



__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___