Banner Advertiser

Tuesday, March 24, 2015

[mukto-mona] পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের সূচনা পর্ব



পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের সূচনা পর্ব
Published : Tuesday, 24 March, 2015 at 9:43 PM
  
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যাযজ্ঞের সূচনা পর্বমুস্তাফা নূরউল ইসলাম
আজ ২৫ মার্চ। একাত্তরের এই বিভীষিকাময় রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর পৈশাচিক-বর্বর কাণ্ড বিশ্ব ইতিহাসের এক মর্মন্তুদ এবং ভয়াবহ কালো অধ্যায়। মানবজাতির ইতিহাসে জঘন্যতম ও নৃশংসতম এক কাল রাত। একাত্তরের এই রাতে ঘুমিয়ে থাকা নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ট্যাংক, কামান, মেশিনগান নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। ঢাকার পিলখানায় তৎকালীন ইপিআর সদর দফতর, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা শহরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী। নিরীহ, নিরপরাধ বাঙালিদের নির্বিচার হত্যায় মেতে ওঠে ওরা। ঘুমন্ত বাঙালি কিছু বুঝে ওঠার আগেই লাশে পরিণত হতে থাকে। এরপর কয়েক দিন ধরে রাস্তায় রাস্তায়, ঘরবাড়িতে কেবলই পড়ে থাকে মৃতদেহ। লাশের গন্ধে ভারি হয়ে ওঠে ঢাকার বাতাস। জীবিতরা যে যেভাবে পারে ঢাকা শহর ছাড়তে শুরু করে। শিশু, বৃদ্ধ, নারী, পুরুষের ঢাকা ছাড়ার কাফেলা যারা না দেখেছেন তাদের বলে বোঝানো খুবই কঠিন। অবশ্য বীর বাঙালি রুখে দাঁড়াতেও সময় নেয়নি। 
বর্তমান প্রজšে§র এই ইতিহাস অজানা নয় যদিও কতিপয় কুচক্রী ও হীনস্বার্থবাদী রাজনীতিক ইতিহাস পাল্টে দেয়ার নানা রকম অপচেষ্টা করেছেন। সেই রাতেই স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য  প্রস্তুত বাঙালি জাতি ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে আবার মাথা তুলে দাঁড়ায়। ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তির সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে। পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল বীর বাঙালি। অনভ্যস্ত হাতেই তুলে নিয়েছিল অস্ত্র। সম্মুখযুদ্ধে জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে। শুধু যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গেই লড়াই করতে হয়েছিল তা নয়, বাঙালিকে লড়তে হয়েছিল হানাদার বাহিনীর এ দেশীয় সহযোগী আলবদর, আলশামস, রাজাকারদের বিরুদ্ধেও। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এ দেশীয় কিছু লোককে নিয়ে গড়ে তুলেছিল তাদের তাঁবেদার বাহিনী। সেই তাঁবেদার আলবদর, আলশামস, রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা একাত্তরে অস্ত্র ধরেছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে। 
একাত্তরের ২৫ মার্চ ক্যালেন্ডারের পাতায় কেবলই একটি তারিখ হতে পারে। কিন্তু বাঙালি জাতির কাছে এই তারিখটির মূল্য অনেক। শুধু বাঙালি নয়, বিশ্বের বিবেকবান সব মানুষের কাছেই এই তারিখটি আলাদা বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। একাত্তরের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ, তাঁর অমোঘ উচ্চারণ 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম' আর 'যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা কর, ঘরে ঘরে দুর্গ পড়ে তোল' এই আহ্বান বাঙালির স্বাধীনতার লক্ষ্য স্থির করে দিয়েছিল। কিন্তু সেই দিনটি যে এভাবে আসবে তা বুঝতে বোধ হয় বাকি ছিল অনেকেরই। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সব আলোচনা ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার পর পাকিস্তানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সদলবলে পাকিস্তানে ফিরে যান। যাওয়ার আগে নির্দেশ দিয়ে যান গণহত্যার। 
এই ভূখণ্ডে একাত্তরে যে গণহত্যা পাকিস্তানিরা চালিয়েছিল তা ইতিহাসের এক ভয়ঙ্কর অধ্যায়। এ দেশের কতিপয় স্বজাতদ্রোহী রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় তারা উš§ত্ত ছিল বাঙালি তথা জাতির মেধাবী সন্তানদের নিধনে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ২৫ মার্চ রাতে অপারেশন সার্চলাইটের নামে বাঙালি নিধনযজ্ঞে নেমে পড়েছিল। কিন্তু জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যে বাঙালি জাতি দীর্ঘ সংগ্রামের ভেতর দিয়ে এগিয়েছিল, সেই জাতিকে তো এক রাতে নিধন করা সম্ভব নয়। বাঙালি ঠিকই রুখে দাঁড়িয়েছিল। আবারো বলি, ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে শত্রুর মোকাবিলায় এগিয়ে গিয়েছিল। তাই ২৫ মার্চের কালরাতে বাঙালি জাতির সিদ্ধান্ত নিতে একটুও বিলম্ব হয়নি। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ভেবেছিল, এক রাতেই বাঙালির স্বাধীনতার স্পৃহা ধংস করে দেবে তারা। ভেবেছিল, এক রাতের নিধনযজ্ঞে বাঙালি ভয় পেয়ে চুপসে যাবে। আত্মসর্পণ করবে। কিন্তু বাঙালি তখন অকুতোভয়। ধ্বংসস্তূপ আর মৃত্যুপরী থেকে নতুন জীবনের গান গেয়ে বাঙালি ঢলে যায় যুদ্ধের ময়দানে, শত্রুর মোকাবিলায়। প্রতিটি জাতির জীবনে বিশেষ কিছু দিন থাকে, যে দিনগুলো সেই জাতিকে আলাদাভাবে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়। ২৫ মার্চ আমাদের জাতীয় জীবনে সেই রকম একটি দিন। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা, ধ্বংসযজ্ঞ ও নারকীয় বর্বরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দিন এই ২৫ মার্চ। ২৫ মার্চ এই জাতিকে নতুন প্রত্যয়ে প্রত্যয়ী করে মুক্তিসংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ার অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত করে। ২৫ মার্চ বাঙালি জাতির কাছে কালরাত। কিন্তু এই ২৫ মার্চেই প্রমাণিত হয়েছে অস্ত্র দিয়ে গণতন্ত্রের পথ যেমন রোধ করা যায় না তেমনি স্বাধীনতাকামী জাতিকে অস্ত্রের মুখে স্বাধীনতার আন্দোলন থেকে বিচ্যুত করা যায় না। পাকিস্তানি সামরিক শাসকরা গণহত্যা চালিয়ে বাঙালি জাতির স্বাধীনতার স্পৃহা রোধ করতে পারেনি। বাঙালি ঠিকই রুখে দাঁড়ায় এবং ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতা। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা চলে যদিও শেষ পর্যন্ত অপচেষ্টাকারীরা সফল হতে পারেনি, পারবেও না। 
২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মেতে উঠেছিল গণহত্যায়। মুক্তির মন্দির সোপানতলে ২৫ মার্চের রাতে যারা প্রাণ বলিদান করেছেন, তাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। একই সঙ্গে এখন আবার নবপ্রত্যয়ে হতে হবে প্রত্যয়ীও। স্বাধীনতা অর্জনের দীর্ঘ সময় পর বিলম্বে হলেও একাত্তরের মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি মামলার রায়ও ঘোষিত হয়েছে, কার্যকর হয়েছে চূড়ান্ত দণ্ডও। এই বিচার প্রক্রিয়া গতিশীল করার পাশাপাশি একাত্তরের পরাজিত শক্তির মূলোৎপাটনে রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গীকার জোরদার করতে হবে। নতুন প্রজš§কে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে আরো শাণিত করে মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের আরো অনেক কিছু করে যেতে হবে। 
লেখক: শিক্ষাবিদ
- See more at: http://www.manobkantha.com/2015/03/25/22130.php#sthash.BDJUrw73.dpuf



__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___