অতিথি লেখক হিসেবে লেখা প্রকাশ করার নিমিত্তে একটি লেখা পাঠালাম। নিজের নাম এবং লেখার শিরোনামসহ লেখাটি নিচে দেয়া হলো.
ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
"ধর্মপালন নাকি Hypocrisy?!?"
লেখকের নাম: মোঃ তারিকুল ইসলাম
কিছু ব্যাপার নিয়ে চিন্তা করে, মনের ভেতর অস্থিরতা অনুভব করছিলাম। এরমধ্যেই আজ সকালে ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ খুন হওয়ার সংবাদটি পেয়ে হতবাক হয়ে গেলাম! এই প্রেক্ষিতে কিছুটা 'মনের ভাব প্রকাশ' টাইপ এর কারণেই আজকে লিখতে বসলাম। তবে, বিষয়বস্তু খুব জরুরী কিছু না, কারো সময় না থাকলে পড়ার দরকার নেই!
বলে রাখা ভালো: "এই পোস্টের উদ্দেশ্য কোনো ধর্মকে আঘাত করা নয়, ধর্মের চকচকে প্যাকেটে মোড়ানো একটি Hypocrite জনগোষ্ঠীর ওপর এটি নিতান্তই ব্যক্তিগত বিরক্তি প্রকাশ মাত্র!"
সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে হোলি/পহেলা বৈশাখ/শারদীয় দুর্গাপূজা/ইংরেজি বর্ষবরণ ইত্যাদি উৎসবগুলো আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অসাম্প্রদায়িকতা অবশ্যই খুবই প্রশংসনীয়। বিভিন্ন ধর্মের মানুষ জাতি/ধর্ম/বর্ণ নির্বিশেষে আলাদা-আলাদা উত্সব একসাথে পালন করবে, ভাবতেই তো ভালো লাগে। এটা আমাদের পৃথিবীকে আরো বেশি বাসযোগ্য করে তুলবে।
কিন্তু আমার প্রশ্নটা অন্য জায়গায়: আমাদের 'তথাকথিত ধর্মপ্রাণ মুসলমান'দের ধর্মীয় অনুভূতিতে কি এটা একটুও আঘাত করে না?!! স্বাধীন মত-প্রকাশ এর অপরাধে যদি অভিজিৎ রায়কে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়, তাহলে ‘হোলির রঙ্গে রঙিন মুসলমানদের’ কেন কোপানো হবে না??!
কিংবা শারদীয় দুর্গাপূজায় দল বেধে পূজো দেখতে যাওয়া মুসলমানের দল কি আপনাদের ধর্ম কে অপমান করছে না?!?
সর্বশেষ পহেলা বৈশাখে টিএসসি তে ঘটে যাব ন্যাক্কারজনক ঘটনায় যারা ধর্মের দোহাই দিয়ে ক্রমাগত বলে যাচ্ছেন যে: সব নারীদের দোষ/তারা কেনো ঐখানে গেলো/তাদের কাপড় ঠিক ছিল না ইত্যাদি, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, "নারীরা যদি নগ্ন হয়েও বের হয়, সেটা তার সমস্যা। কিন্তু তাকে অন্যায়ভাবে লাঞ্চিত করার অধিকার কি আপনাকে আপনার ধর্ম দিয়ে থাকে?!?" যদি সেই অধিকার দিয়ে থাকে তাহলে "ধিক" জানাই আমি এমন ধর্ম কে!
আপনারা সকালে ফেসবুকে ইসলামিক পোস্ট শেয়ার করছেন, দুপুরে 'হোলি'তে গিয়ে রং মাখছেন, বিকালে কোনো মিলাদ এ গিয়ে তবারক খাচ্ছেন আর রাতে সানি লিওনের মুভি দেখে ঘুমাতে যাচ্ছেন - তারপরও আপনারা নিষ্পাপ এবং আপনাদের ধর্ম সুরক্ষিত!!! কিন্তু, নাস্তিক দেখলেই আপনাদের মাথা ব্যথা-পেটে ব্যথা শুরু হয়ে যায়! আরে আহাম্মক এর দল, নাস্তিকরা অন্তত নিজেদের বিশ্বাস-চেতনার সাথে এমন বেহায়ার মত লুকোচুরি খেলে না!
আপনাদের মত ক্ষণে ক্ষণে রং-বদলানো মুসলমানদের দেখলে, একজন নাস্তিক হিসেবে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি এই ভেবে যে: 'তথাকথিত ঈমানের পথে না থাকতে পারি, কিন্তু অন্তত আপনাদের মত Hypocrisy'র পথের পথযাত্রীও আমি নই।'
কিংবা শারদীয় দুর্গাপূজায় দল বেধে পূজো দেখতে যাওয়া মুসলমানের দল কি আপনাদের ধর্ম কে অপমান করছে না?!?
সর্বশেষ পহেলা বৈশাখে টিএসসি তে ঘটে যাব ন্যাক্কারজনক ঘটনায় যারা ধর্মের দোহাই দিয়ে ক্রমাগত বলে যাচ্ছেন যে: সব নারীদের দোষ/তারা কেনো ঐখানে গেলো/তাদের কাপড় ঠিক ছিল না ইত্যাদি, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, "নারীরা যদি নগ্ন হয়েও বের হয়, সেটা তার সমস্যা। কিন্তু তাকে অন্যায়ভাবে লাঞ্চিত করার অধিকার কি আপনাকে আপনার ধর্ম দিয়ে থাকে?!?" যদি সেই অধিকার দিয়ে থাকে তাহলে "ধিক" জানাই আমি এমন ধর্ম কে!
আপনারা সকালে ফেসবুকে ইসলামিক পোস্ট শেয়ার করছেন, দুপুরে 'হোলি'তে গিয়ে রং মাখছেন, বিকালে কোনো মিলাদ এ গিয়ে তবারক খাচ্ছেন আর রাতে সানি লিওনের মুভি দেখে ঘুমাতে যাচ্ছেন - তারপরও আপনারা নিষ্পাপ এবং আপনাদের ধর্ম সুরক্ষিত!!! কিন্তু, নাস্তিক দেখলেই আপনাদের মাথা ব্যথা-পেটে ব্যথা শুরু হয়ে যায়! আরে আহাম্মক এর দল, নাস্তিকরা অন্তত নিজেদের বিশ্বাস-চেতনার সাথে এমন বেহায়ার মত লুকোচুরি খেলে না!
আপনাদের মত ক্ষণে ক্ষণে রং-বদলানো মুসলমানদের দেখলে, একজন নাস্তিক হিসেবে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি এই ভেবে যে: 'তথাকথিত ঈমানের পথে না থাকতে পারি, কিন্তু অন্তত আপনাদের মত Hypocrisy'র পথের পথযাত্রীও আমি নই।'
একজন নাস্তিকের নিন্দা করার আগে (কিংবা হত্যা করার আগে) একবার জীবিত অবস্থায় পচন ধরা নিজের দিকে তাকান, আগে নিজেকে শুধরান। আর যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে অন্তত মুক্ত চিন্তার মানুষ গুলোকে আক্রমণ/আঘাত করা থেকে বিরত থাকুন!
(# অতি সংবেদনশীল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের কাছে আমার অনুরোধ, লিখাটি পছন্দ না হলে নিজ দায়ীত্বে এড়িয়ে যাবেন। তর্কযুদ্ধের মত অতিমাত্রার গতানুগতিক প্রক্রিয়ায় যেতে চাচ্ছি না! - ধন্যবাদ)
__._,_.___