অর্থাৎ বাংলাদেশকে একটি ইসলামী রাষ্ট্র বানানোর জন্য এবং ইসলাম কায়েম করার জন্য এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে_এমন ধারণাই তুলে ধরা হয়েছিল জাতির সামনে। এরপর খন্দকার মোশতাক টুপি মাথায় দিয়ে শেরওয়ানি পরে রাষ্ট্রপতির আসনে বসেছিলেন। ইসলাম রক্ষার ধুয়া সমাজে বেশ জোরেশোরেই চালানো হয়েছিল। এভাবে চিহ্নিত ব্যক্তিরা দারুণভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছিল এবং সমাজের ধর্মপ্রাণ মানুষের এক বিরাট অংশকে বিভ্রান্তও করা সম্ভব হয়েছিল দারুণভাবে।
এতে দেশ, জাতি ও ইসলাম ধর্ম কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা উপলব্ধি করার কর্তব্য আমাদের তখনো ছিল এবং এখনো রয়েই গেছে। পর্বতপ্রমাণ অপরাধকে ধর্মের নাম ব্যবহারের মাধ্যমে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা ছোটখাটো পাপ নয়। এটা ধর্মের অপব্যবহার, এমনকি ধর্মের মাথায় কুঠার হানার মত কাজ। জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়ার পেছনে এই যে ইসলাম ধর্মের নামের অপব্যবহার করা হলো, এর খেসারত কে দেবে?
http://surjobarta24.com/details/2015/05/123026.php surjobarta24.com |
__._,_.___