ঝকঝকে মিহিদানার, চিনি অনেক ক্ষতিকর
বাঙালির বিদেশপ্রীতির কথা নতুন করে বলার নেই। মুখে মুখে দেশপ্রেমের বুলি আওড়ালেও বিদেশী জিনিস না হলে যেন বাঙালির চলেই না। নাঊযুবিল্লাহ! এরমধ্য দিয়ে আভিজাত্য প্রকাশের একটি অনাবশ্যক প্রবণতা থাকে। অথচ আমাদের দেশের পাটজাতীয় পণ্য, তাঁত শিল্প, জামদানি, বেনারসি পৃথিবীর যেকোনো মানদ-ে বিচার্য। ভুলে গেলে চলবে না- মসলিন তৈরি হতো আমাদেরই দেশেই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বণিকরা আসতো এসবের টানে। এখন গার্মেন্টস শিল্প তো পৃথিবী জয় করেছে।
'মেড ইন বাংলাদেশ'- এখন এক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড। অথচ সেই দেশে এখনো কৃষিজাত অনেক পণ্য নিদারুণ অবহেলার শিকার। বিশেষ করে সম্ভাবনাময় চিনিশিল্প এখন ধ্বংসের মুখে। মুনাফালোভী মানসিকতার কারণে আমদনি নির্ভরতা আমাদের দেশীয় চিনি শিল্পকে ধ্বংস করছে। অথচ গুণে-মানে কোনো অংশেই বিদেশী চিনির থেকে দেশীয় চিনি পিছিয়ে নেই। বরং এগিয়ে আছে। বিশেষজ্ঞরা বলছে, সঠিক নীতি গ্রহণ করে চিনি শিল্পকে বাঁচানো যায়। এতে একদিকে মানুষজন যেমন অপেক্ষাকৃত কম দামে চিনি পাবে তেমনি আখচাষীরাও লাভবান হবে। বাঁচবে চিনি কলগুলোও।
উল্লেখ্য, ফলমুল, শস্য, বাদাম এবং শাক-সবজি থেকে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় এক ধরনের চিনি পাওয়া যায়। এর বাইরে দানাদার চিনির প্রয়োজন খুব একটা হয় না। যদি খেতেই হয়, সেক্ষেত্রে দেশীয় ব্রাউন সুগার গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়। এটিই স্বাস্থ্যকর। অথচ বাস্তবে দেখা যায়, বিদেশ থেকে আমদানি করা ও বিদেশী র-চিনি এনে দেশে পরিশোধিত করা সাদা রঙের চিনির দিকেই সবার আকর্ষণ বেশি।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছে- পরিশোধিত চিনি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, দেহে খনিজ লবণের ভারসাম্য নষ্ট করে, শিশুদের বদমেজাজি, অমনোযোগী ও একরোখা করে, ডায়াবেটিকস-এর ঝুঁকি বাড়ায়, টিস্যুর স্থিতিস্থাপকতা ও কার্যক্রম কমিয়ে দেয়, ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় বিশেষ করে স্তন, ওভারি, প্রোস্টেট ও রেকটাম, অভুক্ত অবস্থায় গ্লুকোজ লেভেল বাড়ায়, কপারের অভাব দেখা দেয়, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম শোষণে বাধা দেয়, দৃষ্টিশক্তি কমায়, এসিডিটি তৈরি করে, কম বয়সেই বার্ধক্য আনে, এলকোহলিজমের ঝুঁকি বাড়ায়, দাঁত ক্ষয় করে, স্থূল হতে সাহায্য করে, অন্ত্রনালীর প্রদাহ বাড়ায়, গ্যাস্ট্রিক সৃষ্টি করে, অ্যাজমার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, পিত্তথলির পাথর, হƒদরোগ, এপেনডিসাইটিস, অশ্ব, দন্তরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি, হাড়ক্ষয়, ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা হ্রাস, রক্তে ভিটামিন ই-এর পরিমাণ হ্রাস, গ্রোথ হরমোন হ্রাস, কোলেস্টেরল বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
জানা যায়, শিল্প-কারখানা রিফাইনিং (পরিশোধিত) পদ্ধতিতে আখের রস থেকে চিনি তৈরির সময় ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন, এনজাইম এবং অন্যান্য উপকারী পুষ্টি উপাদান দূর হয়ে যায়। এই চিনি মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর প্রধান কারণÑ এটি সম্পূর্ণ রাসায়নিক একটি উপাদান (হেরোইনের মতো) এবং যখন শোধন করা হয় তখন সব ধরনের প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান দূর করা হয়, যা স্বাভাবিকভাবেই একটি গাছে থাকে। হেরোইন এবং চিনির রিফাইনিং প্রক্রিয়া প্রায় একই রকম।
হেরোইন তৈরির ক্ষেত্রে- প্রথমে পপিগাছের বীজ থেকে অপিয়াম আলাদা করা হয়। তারপর অপিয়ামকে রিফাইন করে মরফিন এবং মরফিনকে আবার রিফাইন করে হেরোইন তৈরি করা হয়। ঠিক একই রকমভাবে আখ বা বিট থেকে রসে বের করা হয়। রিফাইন করে মোলাসেস তৈরি করা হয়। তারপর একে রিফাইন করে ব্রাউন সুগার এবং সবশেষে রিফাইন করে সাদা স্বচ্ছ চিনি প্রস্তুত করা হয়। অন্যদিকে পরিশোধিত চিনির ক্ষতির আরো কারণÑ এই চিনি পরিষ্কার বা সাদা করার ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে মানুষসহ পশুপাখির হাড়ের গুঁড়া। ভারত, পকিস্তান, আফগানিস্তান, আর্জেন্টিনাসহ চিনি রফতানীকারক দেশগুলো হাড় ব্যবহার অন্যতম পন্থা হিসেবে বেছে নিয়েছে। এছাড়া ব্লিচিং এবং সালফোনেশন পদ্ধতিতে চিনি পরিশোধিত করা হয় এবং সেখানে সালফার ব্যবহƒত হয়। এই সালফার বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান এবং যখন চিনি বা চিনিজাতীয় যেকোনো মিষ্টিদ্রব্য গ্রহণ করা হয়, তখন খুব অল্প পরিমাণে এই বিষাক্ত উপাদান মানবদেহে প্রবেশ করে।
এসব কারণে উৎপাদন অব্যাহত রাখলেও এর বিপরীতে চাষিদের অর্থ ঠিকমতো পরিশোধ করতে পারছে না সরকার। লোকসানে থাকায় পুরনো পদ্ধতি ও মেশিন বদলে নতুন মেশিনও স্থাপন করা যাচ্ছে না। এছাড়া আখের রস দিয়ে তৈরি চিনির উৎপাদন খরচ স্বাভাবিকভাবেই বেশি হওয়ায় ইউনিট প্রতি খরচও কমছে না। বরং বিভিন্ন কারণে তা দিন দিন বাড়ছেই। এছাড়া আখের চিনি গুণগতমানে আমদানিকৃত চিনির চেয়ে ভালো হলেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা না থাকায় তা গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না। এক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রচার-প্রচারণা চালানোর মতো সামর্থ্যও কর্পোরেশনের নেই।
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, এক্ষেত্রে সরকারকে বড় বিনিয়োগ করতে হবে এ খাতে। কারখানাগুলোকে আধুনিকায়ন করে উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে হবে। আখের পাশাপাশি সুগারবিটের চিনি উৎপাদনে যেতে হবে কর্পোরেশনকে। এছাড়া আখের চিনির গুণাগুণ জনগণের মধ্যে প্রচারের উদ্যোগ নিলে মানুষ একটু বেশি দাম দিয়ে হলেও দেশীয় চিনি কিনবে এবং পরিশোধিত বিদেশী বা স্বাস্থ্যের জন্য মহাক্ষতিকর বিদেশী চিনি পরিহার করবে।
পাশাপাশি উল্লেখ্য, আখ কেনা এবং তা থেকে চিনি উৎপাদনের ক্ষেত্রে কর্পোরেশনের অনেক অব্যবস্থাপনা রয়েছে। লোকসান কমাতে হলে সরকারকে এদিকে নজর দিতে হবে। এছাড়া উৎপাদন পর্যায়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত শ্রমিক-কর্মচারী যদি কমানো যায়, তাহলে চিনিকলগুলোর উৎপাদন ব্যয় কমে আসবে। এর মধ্য দিয়ে লোকসানও কমে আসবে। বিদেশী চিনিতে শুল্ক বাড়িয়ে দেশীয় চিনি বিক্রি বাড়ানোর চিন্তাটি ঠিক না। এটি স্থায়ী সমাধান নয়। বাজারে প্রতিযোগিতা থাকবেই। এটিকে মাথায় নিয়েই উৎপাদন প্রক্রিয়া চলাতে হবে। কিভাবে চিনিকলগুলোকে লাভজনক করা যায় তার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে সরকারকেই এবং সদিচ্ছা থাকলে তা অসম্ভবও নয়।
অপরিশোধিত কৃত্রিম চিনি; যা বাংলাদেশে আমদানি করে পরিশোধের পর বিক্রি হচ্ছে, যা দেখতে ঝকঝকে মিহিদানার, চিনি অনেক ক্ষতিকর
দিকের মধ্যে একটি হচ্ছে যে, এই চিনি শরীরের ওজন বাড়ায়, স্থূলতা বাড়ায়। যুক্তরাষ্টের ৬০ শতাংশ মানুষ স্থূলতায় ভুগছে এই চিনি ব্যবহার করে।
বাঙালির বিদেশপ্রীতির কথা নতুন করে বলার নেই। মুখে মুখে দেশপ্রেমের বুলি আওড়ালেও বিদেশী জিনিস না হলে যেন বাঙালির চলেই না। নাঊযুবিল্লাহ! এরমধ্য দিয়ে আভিজাত্য প্রকাশের একটি অনাবশ্যক প্রবণতা থাকে। অথচ আমাদের দেশের পাটজাতীয় পণ্য, তাঁত শিল্প, জামদানি, বেনারসি পৃথিবীর যেকোনো মানদ-ে বিচার্য। ভুলে গেলে চলবে না- মসলিন তৈরি হতো আমাদেরই দেশেই। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে বণিকরা আসতো এসবের টানে। এখন গার্মেন্টস শিল্প তো পৃথিবী জয় করেছে।
'মেড ইন বাংলাদেশ'- এখন এক আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড। অথচ সেই দেশে এখনো কৃষিজাত অনেক পণ্য নিদারুণ অবহেলার শিকার। বিশেষ করে সম্ভাবনাময় চিনিশিল্প এখন ধ্বংসের মুখে। মুনাফালোভী মানসিকতার কারণে আমদনি নির্ভরতা আমাদের দেশীয় চিনি শিল্পকে ধ্বংস করছে। অথচ গুণে-মানে কোনো অংশেই বিদেশী চিনির থেকে দেশীয় চিনি পিছিয়ে নেই। বরং এগিয়ে আছে। বিশেষজ্ঞরা বলছে, সঠিক নীতি গ্রহণ করে চিনি শিল্পকে বাঁচানো যায়। এতে একদিকে মানুষজন যেমন অপেক্ষাকৃত কম দামে চিনি পাবে তেমনি আখচাষীরাও লাভবান হবে। বাঁচবে চিনি কলগুলোও।
উল্লেখ্য, ফলমুল, শস্য, বাদাম এবং শাক-সবজি থেকে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় এক ধরনের চিনি পাওয়া যায়। এর বাইরে দানাদার চিনির প্রয়োজন খুব একটা হয় না। যদি খেতেই হয়, সেক্ষেত্রে দেশীয় ব্রাউন সুগার গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয়। এটিই স্বাস্থ্যকর। অথচ বাস্তবে দেখা যায়, বিদেশ থেকে আমদানি করা ও বিদেশী র-চিনি এনে দেশে পরিশোধিত করা সাদা রঙের চিনির দিকেই সবার আকর্ষণ বেশি।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছে- পরিশোধিত চিনি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়, দেহে খনিজ লবণের ভারসাম্য নষ্ট করে, শিশুদের বদমেজাজি, অমনোযোগী ও একরোখা করে, ডায়াবেটিকস-এর ঝুঁকি বাড়ায়, টিস্যুর স্থিতিস্থাপকতা ও কার্যক্রম কমিয়ে দেয়, ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় বিশেষ করে স্তন, ওভারি, প্রোস্টেট ও রেকটাম, অভুক্ত অবস্থায় গ্লুকোজ লেভেল বাড়ায়, কপারের অভাব দেখা দেয়, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম শোষণে বাধা দেয়, দৃষ্টিশক্তি কমায়, এসিডিটি তৈরি করে, কম বয়সেই বার্ধক্য আনে, এলকোহলিজমের ঝুঁকি বাড়ায়, দাঁত ক্ষয় করে, স্থূল হতে সাহায্য করে, অন্ত্রনালীর প্রদাহ বাড়ায়, গ্যাস্ট্রিক সৃষ্টি করে, অ্যাজমার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়, পিত্তথলির পাথর, হƒদরোগ, এপেনডিসাইটিস, অশ্ব, দন্তরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি, হাড়ক্ষয়, ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা হ্রাস, রক্তে ভিটামিন ই-এর পরিমাণ হ্রাস, গ্রোথ হরমোন হ্রাস, কোলেস্টেরল বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
জানা যায়, শিল্প-কারখানা রিফাইনিং (পরিশোধিত) পদ্ধতিতে আখের রস থেকে চিনি তৈরির সময় ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন, এনজাইম এবং অন্যান্য উপকারী পুষ্টি উপাদান দূর হয়ে যায়। এই চিনি মানবদেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এর প্রধান কারণÑ এটি সম্পূর্ণ রাসায়নিক একটি উপাদান (হেরোইনের মতো) এবং যখন শোধন করা হয় তখন সব ধরনের প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদান দূর করা হয়, যা স্বাভাবিকভাবেই একটি গাছে থাকে। হেরোইন এবং চিনির রিফাইনিং প্রক্রিয়া প্রায় একই রকম।
হেরোইন তৈরির ক্ষেত্রে- প্রথমে পপিগাছের বীজ থেকে অপিয়াম আলাদা করা হয়। তারপর অপিয়ামকে রিফাইন করে মরফিন এবং মরফিনকে আবার রিফাইন করে হেরোইন তৈরি করা হয়। ঠিক একই রকমভাবে আখ বা বিট থেকে রসে বের করা হয়। রিফাইন করে মোলাসেস তৈরি করা হয়। তারপর একে রিফাইন করে ব্রাউন সুগার এবং সবশেষে রিফাইন করে সাদা স্বচ্ছ চিনি প্রস্তুত করা হয়। অন্যদিকে পরিশোধিত চিনির ক্ষতির আরো কারণÑ এই চিনি পরিষ্কার বা সাদা করার ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে মানুষসহ পশুপাখির হাড়ের গুঁড়া। ভারত, পকিস্তান, আফগানিস্তান, আর্জেন্টিনাসহ চিনি রফতানীকারক দেশগুলো হাড় ব্যবহার অন্যতম পন্থা হিসেবে বেছে নিয়েছে। এছাড়া ব্লিচিং এবং সালফোনেশন পদ্ধতিতে চিনি পরিশোধিত করা হয় এবং সেখানে সালফার ব্যবহƒত হয়। এই সালফার বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান এবং যখন চিনি বা চিনিজাতীয় যেকোনো মিষ্টিদ্রব্য গ্রহণ করা হয়, তখন খুব অল্প পরিমাণে এই বিষাক্ত উপাদান মানবদেহে প্রবেশ করে।
এসব কারণে উৎপাদন অব্যাহত রাখলেও এর বিপরীতে চাষিদের অর্থ ঠিকমতো পরিশোধ করতে পারছে না সরকার। লোকসানে থাকায় পুরনো পদ্ধতি ও মেশিন বদলে নতুন মেশিনও স্থাপন করা যাচ্ছে না। এছাড়া আখের রস দিয়ে তৈরি চিনির উৎপাদন খরচ স্বাভাবিকভাবেই বেশি হওয়ায় ইউনিট প্রতি খরচও কমছে না। বরং বিভিন্ন কারণে তা দিন দিন বাড়ছেই। এছাড়া আখের চিনি গুণগতমানে আমদানিকৃত চিনির চেয়ে ভালো হলেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা না থাকায় তা গ্রহণযোগ্য হচ্ছে না। এক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রচার-প্রচারণা চালানোর মতো সামর্থ্যও কর্পোরেশনের নেই।
প্রসঙ্গত আমরা মনে করি, এক্ষেত্রে সরকারকে বড় বিনিয়োগ করতে হবে এ খাতে। কারখানাগুলোকে আধুনিকায়ন করে উৎপাদন খরচ কমিয়ে আনতে হবে। আখের পাশাপাশি সুগারবিটের চিনি উৎপাদনে যেতে হবে কর্পোরেশনকে। এছাড়া আখের চিনির গুণাগুণ জনগণের মধ্যে প্রচারের উদ্যোগ নিলে মানুষ একটু বেশি দাম দিয়ে হলেও দেশীয় চিনি কিনবে এবং পরিশোধিত বিদেশী বা স্বাস্থ্যের জন্য মহাক্ষতিকর বিদেশী চিনি পরিহার করবে।
পাশাপাশি উল্লেখ্য, আখ কেনা এবং তা থেকে চিনি উৎপাদনের ক্ষেত্রে কর্পোরেশনের অনেক অব্যবস্থাপনা রয়েছে। লোকসান কমাতে হলে সরকারকে এদিকে নজর দিতে হবে। এছাড়া উৎপাদন পর্যায়ে প্রয়োজনের অতিরিক্ত শ্রমিক-কর্মচারী যদি কমানো যায়, তাহলে চিনিকলগুলোর উৎপাদন ব্যয় কমে আসবে। এর মধ্য দিয়ে লোকসানও কমে আসবে। বিদেশী চিনিতে শুল্ক বাড়িয়ে দেশীয় চিনি বিক্রি বাড়ানোর চিন্তাটি ঠিক না। এটি স্থায়ী সমাধান নয়। বাজারে প্রতিযোগিতা থাকবেই। এটিকে মাথায় নিয়েই উৎপাদন প্রক্রিয়া চলাতে হবে। কিভাবে চিনিকলগুলোকে লাভজনক করা যায় তার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে সরকারকেই এবং সদিচ্ছা থাকলে তা অসম্ভবও নয়।
অপরিশোধিত কৃত্রিম চিনি; যা বাংলাদেশে আমদানি করে পরিশোধের পর বিক্রি হচ্ছে, যা দেখতে ঝকঝকে মিহিদানার, চিনি অনেক ক্ষতিকর
দিকের মধ্যে একটি হচ্ছে যে, এই চিনি শরীরের ওজন বাড়ায়, স্থূলতা বাড়ায়। যুক্তরাষ্টের ৬০ শতাংশ মানুষ স্থূলতায় ভুগছে এই চিনি ব্যবহার করে।
__._,_.___