Banner Advertiser

Friday, January 29, 2016

[mukto-mona] রাজনৈতিক দলের ভাঙাগড়া ও আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ







বকুলতলার বাঁশি
রাজনৈতিক দলের ভাঙাগড়া ও আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ
Published : Saturday, 30 January, 2016 at 12:00 AMUpdate: 29.01.2016 10:59:12 PM
মোনায়েম সরকার
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
রাজনৈতিক দলের ভাঙাগড়া ও আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎপাকিস্তানি সরকারের নাগপাশ ছিঁড়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যার হাতে পূর্ণতা পায় তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবের সুযোগ্য নেতৃত্বে ও আওয়ামী লীগের দলীয় তৎপরতায় ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে আওয়ামী লীগ। ১৯৭০ সালের নির্বাচনেই নির্ধারিত হয় বাঙালি জাতির ভাগ্য। '৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যদি এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে না পারত তাহলে আজ ভিন্ন রকমের হতে পারত বাংলাদেশের ইতিহাস।
১৯৭০ সালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এক ধরনের নীরব ভাঙচুর শুরু হয়েছিল। তখন বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকেই স্থানীয় শৃঙ্খলা ও জনপ্রীতির কারণে আওয়ামী লীগ হারিয়ে দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে। ১৯৭০ সালেও আওয়ামী লীগের বিপরীতে অসংখ্য রাজনৈতিক দল ছিল। কিন্তু শেখ মুজিবের আদর্শের কাছে, তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণে অন্য কোনো দলই আশানুরূপ সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। 
নির্বাচন : ১৯৭০ (পূর্ব পাকিস্তান)
ক্র. নং    রাজনৈতিক দল    মোট প্রার্থী    প্রাপ্ত আসন    শতাংশ
১.    আওয়ামী লীগ    ৩০০    ২৮৮    ৮৯.০০
২.    পিডিপি        ২    ১.০০
৩.    নিজামে ইসলামী        ১    
৪.    জামায়াতে ইসলামী        ১    ৩.০০
৫.    ন্যাপ (ওয়ালী)        ১    ০.৯০
৬.    পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কাউ)        ০    ০.০৫
৭.    পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কনভেন)    ০    ১.০০
৮.    পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কাইউম)    ০    ০.০৫
৯.    স্বতন্ত্র        ৭    ৫.০০
     মোট :        ৩০০    
তাই যতবারই বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে ততবারই আওয়ামী লীগ সর্বাধিকসংখ্যক ভোট পেয়েছে। 
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মাত্র পৌনে চার বছর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ পরিচালনা করার সুযোগ পান। তারপর নিষ্ঠুর ঘাতকরা রাতের আঁধারে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করে দেশনায়ক বঙ্গবন্ধুকে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর দেশ চলে যায় পাকিস্তানি কায়দায় সামরিক বাহিনীর বুটের তলায়। আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য চলতে থাকে নানারকম চক্রান্ত। পরিস্থিতি তখন এতই নাজুক হয়ে পড়ে যে, বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করার মতো মানুষও খুঁজে পাওয়া কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেদিন যারা মুজিব আদর্শ বুকে ধারণ করে টিকে থাকেÑ তারাই আজ হাল ধরে আছে আওয়ামী লীগের।
১৯৭৫ সালের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যাপক ভাঙাগড়া শুরু হয়। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান বন্দুকের নলের সাহায্যে বাংলাদেশের ক্ষমতা ছিনিয়ে নিয়ে জন্ম দেয় ওরস্যালাইন মার্কা এক রাজনৈতিক দলের, যার নাম বিএনপি। বিএনপি গঠিত হয় এ দেশের সুবিধাবাদী ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তির সমর্থনে। জিয়াউর রহমান অত্যন্ত চতুর আর ঠা-া মাথার খুনি ছিলেন। যারা জিয়াউর রহমানের ইতিহাস জানেন তাদের ভুলে যাওয়ার কথা নয়, হত্যার রাজনীতি শুরু করে জিয়া কীভাবে বাংলাদেশের সুস্থধারার গণতান্ত্রিক রাজনীতিকে রক্তে রঞ্জিত করেছিলেন। জিয়া নিজেই ঘোষণা করেছিলেন   "I will make politics difficult for politicians"   কেন তিনি এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা উচ্চারণ করেছিলেন সেদিন? করেছিলেন এ জন্য যে, সেদিন যেহেতু তিনি আওয়ামী লীগের মতো ঐতিহ্যবাহী, গণসম্পৃক্ত রাজনৈতিক দলকে ভেঙেচুরে তছনছ করে দিয়েছিলেন এবং ছোটখাটো সুবিধাবাদী রাজনৈতিক দলগুলোকে তার বশংবদ করতে পেরেছিলেন তাই তার সামনে কোনো প্রতিপক্ষ ছিল না। কিন্তু তিনি জানতেন না যে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে রয়েছে বাঙালি জাতির ভালবাসার বন্ধন, গণমানুষের চাওয়া-পাওয়ার আবেদন। তাই জিয়ার আমলে আওয়ামী লীগ সাময়িক সময়ের জন্য পর্দার আড়ালে চলে গেলেও এক সময় ঠিকই এসে রাজনৈতিক মঞ্চে আসন করে নেয়।

জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বিএনপিতে আজ ভাঙনের সুর শোনা যাচ্ছে। তা তো যাবেইÑ ওরস্যালাইনের কার্যকারিতা একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে শেষ হয়ে যায়Ñ তখন তা আর কোনো কাজে আসে না। সেদিন জিয়া মুসলিম লীগ, ন্যাপ, জামায়াতের সংমিশ্রণে যে দল করেছিলেন সময়ের পরিবর্তনে আজ তাতে পচন ধরেছে। ইতিমধ্যেই দেখা দিয়েছে আসল বিএনপি আর নকল বিএনপি দ্বন্দ্ব। দলের সিনিয়র নেতারা বর্তমানে এতটাই হতাশ যে, তারা আর বর্তমান বিএনপিতে আস্থা রাখতে পারছেন না। কেউ কেউ নতুন দল গঠনের চেষ্টা করছেন, কেউ বা দলছুট হয়ে ভিড়ে যাচ্ছেন অন্য দলে। কেউ আবার রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন, শেষ পর্যন্ত কোন দলে ভিড়লে লাভ বেশি হবে এই আশায়। জিয়াউর রহমানের কাল থেকেই বিএনপির প্রতি মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সংগঠন জামায়াতের সহানুভূতি ছিল। বর্তমানে খালেদা জিয়ার প্রতিও জামায়াতের পূর্ণ সমর্থন আছে। কিন্তু জামায়াত আজ নিজেই টালমাটাল অবস্থায় পতিত। যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে ফাঁসিতে ঝুলে পড়ছে একের পর এক জামায়াত নেতা। এ সময় তাদের নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষাই মুশকিল হয়ে পড়ছে। তাই বিএনপির দিকে তাকানোর এখন আর তাদের সময় নেই। জামায়াত নাটকের এখানেই শেষ নয়। 
বিএনপির মতো জাতীয় পার্টিতেও চলছে ভাঙাগড়ার খেলা। বর্তমানে জাতীয় পার্টির খ--বিখ- হওয়ার মেলোড্রামা দারুণভাবে জমে উঠেছে। এই দলটির ভবিষ্যৎও আজ সংকটের মুখোমুখি, জাতীয় পার্টির জন্ম হয়েছিল জিয়াউর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরি সামরিক শাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের হাত থেকে। বিএনপির মতো জাতীয় পার্টিও ওরস্যালাইন পার্টি। নব্বইয়ের স্বৈরাচারী শাসক এরশাদ বাংলাদেশের রাজনীতিতে কম খেলা দেখাননি। দল গঠনের প্রথম পর্যায়ে তিনিও জিয়ার মতো বীরদর্পে হাজির হয়েছিলেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক মঞ্চে। মাত্র তিন দশকের ব্যবধানে এরশাদও আজ রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন। এরশাদ এখন বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিণত হয়েছেন সার্কাসের কাউন হিসেবে। তার কথায় বাংলাদেশের মানুষ আস্থা না পেলেও যথেষ্ট পরিমাণে হাসির খোরাক পায়। জাতীয় পার্টি আর কতদিন টিকবে কে জানে। জাতীয় পার্টির কার্যকারিতাও আজ প্রায় নিঃশেষিত।
১৯৭০ সালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এক ক্রান্তিকাল দেখা দিয়েছিল। ঠিক ৪৬ বছর পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এখন সেই ধরনের ক্রান্তিকালই দেখা দিয়েছে। ১৯৭০ সালে যেভাবে অন্য রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক তৎপরতার কাছে হেরে গিয়েছিল, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এখনো অন্য রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগের কাছে হেরে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ যদি এভাবে দেশ ও দেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার বাস্তবায়ন ঘটাতে পারে, তাহলে বাংলাদেশের অন্য রাজনৈতিক দলগুলো যে কীভাবে দেউলিয়া হয়ে পড়বে, তা আমরা কেউ কল্পনাও করতে পারছি না। বাংলার মানুষ আজ বুঝে ফেলেছে আওয়ামী লীগ ছাড়া বাংলাদেশের সার্বিক মুক্তি অসম্ভব। তাই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্রই আজ আর কাজে আসছে না। এই কথাটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও আজ উপলব্ধি করা দরকার।
রাজনৈতিক এই ক্রান্তিকালের সদ্ব্যবহার আওয়ামী লীগ যত বেশি করতে পারবে, ততই আওয়ামী লীগের লাভ। কিছুতেই এমন সুসময় হাতছাড়া করা ঠিক হবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এখনই আওয়ামী লীগকে দুর্বার বেগে এগিয়ে যেতে হবে। নিশ্চিত করতে হবে একান্ন শতাংশ ভোট, এককভাবে পেতে হবে ১৫১টি সংসদীয় আসন। কাউকে ভাগ দিয়ে নয়, নিজেদেরই সরকার গঠন করার ক্ষমতা অর্জন করতে হবে। যেই কাজ ১৯৭০ সালে বঙ্গবন্ধু পেরেছিলেন, সেই কাজ ২০১৬ সালে এসে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে করতেই হবে।  
বর্তমান বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের কাছে মডেল। উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের হাল ধরেছে গণমানুষের সংগঠন, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর যে দল এক সময় মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল তারাই আজ সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সম্ভাবনাময় বাংলাদেশকে। দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতা ছাড়া কোনো দলই টিকে থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগ আদর্শে বিশ্বাসী দল। দেশপ্রেমে উজ্জীবিত, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। আওয়ামী লীগের বর্তমান দলীয় অবস্থা সন্তোষজনক হলেও তাকে এখানেই থেমে থাকলে চলবে না। এখনই দলের ভেতর-বাইর পরিচ্ছন্ন করার সময়। আজ আওয়ামী লীগে যেসব দুর্বৃত্ত নেতাকর্মী আছে, বয়স্ক ও বিভ্রান্ত মন্ত্রী-উপদেষ্টা আছে তাদের বিষয়ে ভাবতে হবে। আবেগ দিয়ে আওয়ামী লীগকে চললে হবে না, গণমুখী ও বিবেকবান হতে হবে (ভারতে কংগ্রেসের অবস্থার দিকে তাকিয়ে দেখতে হবে)। সুবর্ণ সুযোগ বারবার আসে না। আজ মানুষ ১৯ দল, ১৪ দল, জাতীয় পার্টি কিংবা বিএনপি নয়Ñ তাকিয়ে আছে বঙ্গবন্ধুর গড়া আওয়ামী লীগের দিকে। কীভাবে দলের সাংগঠনিক শক্তিকে তৃণমূল পর্যন্ত ছড়িয়ে দিয়ে আরও বেশি শক্তিশালী করা যায় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এখন সেদিকেই বেশি করে মনোযোগ দিতে হবে। আসন্ন জাতীয় সম্মেলনের আগেই দলের চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ ও দুর্বৃত্তদের দল থেকে বিতাড়ন করতে হবে। ১২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর কর্মী পোস্টার নূরুল ইসলাম নীরবে চলে গেছেন, তার মতো কর্মী দরকার। তাহলেই আওয়ামী লীগ জনগণের কাছে আস্থাভাজন হবে। যেভাবেই হোক দেশবাসীর স্বার্থে শেখ হাসিনাকে এই কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে। কেননা আওয়ামী লীগের হাতেই নির্মিত হবে বাংলাদেশের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ।
লেখক : কলামনিস্ট
- See more at: http://www.dainikamadershomoy.com/2016/01/30/70782.php#sthash.DXbRKp8R.dpuf

শনিবার, ঢাকা ॥ ৩০ জানুয়ারি ২০১৬ ॥ ১৭ মাঘ ১৪২২ ॥ ১৯ রবিউস সানি ১৪৩৭ 

Also read:

গণতন্ত্রে শেষ হাসি জনগণই হাসে বকুলতলার বাঁশি

http://www.dainikamadershomoy.com/2015/10/29/55289.php

বকুলতলার বাঁশি

বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যেতে হবে

Books by মোনায়েম সরকার:
  •  

         
See more at:



__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___