Banner Advertiser

Wednesday, November 16, 2011

Re: [mukto-mona] Dr Puspita's blog on Zafar iqbal sahib's fear of Hijab

I will not be surprised if some of them are just using Hijab as a cover to avoid sexual predators or agitators on the street corners. I heard stories like this before.
 
It seems like - religious people pay much more importance to women's attires than anything else in the society. Can't they just suggest women what's their right and wrong dresses as per religious sanction, and let them make their own decision?

Jiten Roy

From: S A Hannan <sahannan@sonarbangladesh.com>
To: 'dahuk' <dahuk@yahoogroups.com>; khabor@yahoogroups.com; mukto-mona@yahoogroups.com; inquisitive_sisters@yahoogroups.com; 'sahannan' <sahannan@yahoogroups.com>
Sent: Tuesday, November 15, 2011 8:28 PM
Subject: [mukto-mona] Dr Puspita's blog on Zafar iqbal sahib's fear of Hijab

 
 

জাফর ইকবালদের ভয় আসলে কোথায়?

লিখেছেন পুস্পিতা ১৫ নভেম্বর ২০১১, সন্ধ্যা ০৭:৪১
ঢাকার একটি স্কুলের ছাত্রীরা রাস্তায় হাটছে, নয় জনের ভিতর পাঁচ জনই পর্দা করেছে।


চট্টগ্রামের একটি স্কুলের পর্দানশীল ছাত্রীরা বৃষ্টির ভিতর হেটে যাচ্ছে।


বৈশাখি মেলাতেও নারীরা বোরকা পরে যাচ্ছে।


ভিকারুন্নেসা স্কুলে ছাত্রী লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে পর্দানশীল নারীরা।


শেয়ারমার্কেটে কারসাজীর প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন পর্দানশীল নারী।


রাসুল (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তিকারী ধানমন্ডী স্কুলের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবীতে নারীরা স্কুলের অধ্যক্ষের অফিস ঘেরাও করে আছে।



তুরস্ক সহ বিভিন্ন মুসলিম দেশে কথিত ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরা যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই তাদের প্রধান কাজ ছিল নারীদের পর্দার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ। অমুসলিম দেশগুলোতেও তথাকথিত আধুনিকদের বড় ভয় পর্দা।

আমাদের দেশেও বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে দেশের স্থিতিশীলতা বিরোধী অন্যান্য কাজের সাথে সাথে নারীর পর্দার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। আদালতের অবৈধ নির্দেশের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্কার্ফ সহ বোরকা তুলে দেয়ার চেষ্ঠা চালানো হচ্ছে, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নামাজী পর্দানশীল ছাত্রীদের নির্যাতন করা হচ্ছে, হল থেকে বহিঃস্কার করছে, বিভিন্ন জায়গায় পর্দানশীল মহিলাদের জঙ্গী আখ্যায়িত করে গ্রেফতার করা হচ্ছে, কথিত প্রগতিশীল লেখকরা বোরকা বা পর্দার বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে। তাদের কর্মকান্ড দেখলে মনে হয় খুব পরিকল্পিত ভাবেই তারা পর্দার বিরুদ্ধে নতুন প্রজন্মকে অবস্থান নিতে উদ্বুদ্ধ করছে।

তার ধারবাহিকতায় কিছুদিন আগে কথিত প্রগতিশীলদের শিরোমনি . জাফর ইকবাল সরাসরি পর্দার বিরুদ্ধে কলাম লিখেছেন। তিনি লিখেছেন, ....মেয়েদের ঘরের ভেতর আটকে রাখতে পারলে সবচেয়ে ভালো। একান্তই যদি ঘরের ভেতর আটকে রাখা না যায় অন্তত বোরকার ভেতর আটকে রাখা যাক। তার মানে বোরকাকে তিনি নারীর জন্য জেলখানা বা বাঁধা হিসেবে বুঝাতে চেয়েছেন।

কিন্তু আসলে কি বোরকা নারীর জন্য বাঁধা? বাংলাদেশে কি বোরকার কারণে নারীর উন্নয়ন হচ্ছেনা? নারী শিক্ষিত হতে পারছেনা? এধরনের উদাহরণ কি কেউ দিতে পারবে? বোরকা পরে এমন ছাত্রীরা কি পড়ালেখা শেষ করতে পারেনি? বোরকা পরে এমন কোন উচ্চশিক্ষিতা মহিলা দেশে নেই? তার লিখাতে জাফর ইকবাল যে নারীর উদাহরণ দিয়েছেন সে নারীও তার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বোরকা পরেই উচ্চশিক্ষা শেষ করেছেন। তাহলে বুঝা যাচ্ছে পর্দা নারীকে উচ্চশিক্ষা গ্রহনে বাঁধা দেয়নি। হ্যাঁ পর্দা বাঁধা দিয়েছে সেই নারীর উপর জাফর ইকবালদের কু-দৃষ্টিকে।

তারপরও ধরে নিলাম জাফর ইকবালের ভাষায় বোরকা যদি বাঁধা হয় তাহলে তা হচ্ছে মুসলিম নারীর জন্য। আমাদের দেশে ২০% অন্যান্য ধর্মাবলী আছেন। অন্যান্য ধর্মাবলী উপজাতি মহিলাদের ক্ষেত্রে বোরকার বিষয় নেই। তাহলে কি হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান-উপজাতি সকল মহিলা উচ্চশিক্ষিতা? তাদের সকল নারী জাফর ইকবালের ভাষায়, "পুরুষ আর নারী সমান সমান ভাবে পাশাপাশি থেকে কাজ করে"? হিসাব করলে বরং দেখা যাবে তাদের নারীরা শিক্ষা-দীক্ষায় অনেক পিছিয়ে আছে। উপজাতিরা তো একেবারেই পিছিয়ে। তাদের এই পিছিয়ে পড়া কোন বোরকার কারণে ঘটেছে?

উপরের ছবি গুলোর কথা চিন্তা করলে, সাথে সারা দেশে খবর নিলে দেখা যাবে বোরকা বা ধর্মের কারণে নারী বঞ্চিত হয়নি। বরং নারীর উন্নয়ন ঘটছেনা দারিদ্রতা, অসচেতনতা, সরকারী অব্যবস্থাপনা সহ নানা কারণে। নারীরা বোরকাকে নয় বরং বখাটেদের ভয় করে। বখাটেদের ইভটিজিংয়ের কারণে শত শত নারীর পড়ালেখা বন্ধ হয়েছে, স্কুলে যাওয়া বন্ধ করেছে। কিন্তু বোরকার কারণে কয়জন নারীর পড়ালেখা বন্ধ হয়েছে? বখাটেদের অত্যাচারে অনেক নারী আত্মহত্যা করেছে। বোরকা পরতে বলেছে সে জন্য কোন নারী আত্মহত্যা করেছে? তাই ধর্ম বা বোরকা নারী উন্নয়নে বাঁধা তা কেউ বলতে পারেনা।

কিন্তু তারপরও জাফর ইকবালরা ধর্ম বা বোরকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে কেন? আসলে জাফর ইকবালদের মতো তথাকথিত প্রগতিশীলদের মূল উদ্দেশ্য নারীদের ভোগ করা। তাই তারা উন্নয়নের নামে, সংস্কৃতির নামে, প্রগতির নামে, আধুনিকতার নামে নারীদের উলঙ্গ করতে চায়। তারা নারীদের নিয়ে নাচানাচি করতে চায়, নিজের হাতে নিয়ে ঘুরাতে চায়, সুযোগ বুঝে সবকিছু লুটতে চায়। আর তাদের কুপ্রবৃত্তির পথে বাঁধা হলো ধর্ম বোরকা। তাই তারা ছলে-বলে-কৌশলে বোরকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।

তারা চায় বোরকাহীন মিলা-শিলা-প্রভা-আদ্রিতারা তাদের কাছে আসুক, শত শত পুরুষের বাহুতে জড়িয়ে পড়ুক, তাদের আনন্দ দিক। এরপর আনন্দ পাওয়া শেষে ডাষ্টবিনে ছুড়ে ফেলে দিবে। এখন সকল নারী যদি বোরকা পরা শুরু করে তাহলে জাফর ইকবালরা নাচার জন্য মিলা-শিলা-প্রভা-আদ্রিতার মতো মেয়ে পাবে কোথায়? এখানে নারী উন্নয়ন কোন বিষয় নয়। বরং আছে তাদের কুপ্রবৃত্তি চরিত্রার্থ করার গোপন ইচ্ছা। আর তাদের সে ষড়যন্ত্র ললুপ প্রবৃত্তির কথা নারীরা বুঝতে শুরু করেছে। সেটিই জাফর ইকবালদের আসল ভয়...

আগের পোস্ট- আদৃতা, আর কি হারানোর পর তোমরা সচেতন হবে?