সমকাল ডেস্ক
মালয়েশিয়া সরকার পদ্মা সেতু প্রকল্পে পূর্ণ অর্থায়নসহ সেতু নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর অবকাঠামো বিষয়ক বিশেষ দূত (ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া) দাতো সেরি এস সামি ভেল্লু গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে এ প্রস্তাব দেন। বাসস। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় স্থান পায়। অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ ওয়াহেদুজ্জামান, ঢাকায় মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার জামাল উদ্দিন বিন সাহেব, সেতু বিভাগের সচিব আনওয়ারুল ইসলাম ও প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সোমবার মালয়েশিয়ার বিশেষ দূত যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থায়নের প্রস্তাব দেন। প্রস্তাব সংবলিত একটি পত্র
তিনি যোগাযোগমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন। বিশেষ দূত ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। এর আগেও মালয়েশিয়া পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থায়নের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও চীনসহ বিভিন্ন দেশের কোম্পানি ২ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলারের এই বিশাল প্রকল্পে অর্থায়নে আগ্রহ দেখিয়েছে। বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতির অভিযোগে ৫ মাস আগে এই প্রকল্পের কাজ স্থগিত হয়ে যায়। এরপর এ সেতু নির্মাণে মালয়েশিয়াই প্রথম আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়।
সোমবার মালয়েশিয়ার প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, মালয়েশিয়া পদ্মা সেতু নির্মাণে খুবই আগ্রহী। তারা আমাদের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে এবং আমরা এ প্রস্তাব গ্রহণ করেছি।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী বর্তমান মেয়াদে এই সেতুর কাজ শুরু করতে চায়।
বিশ্বব্যাংক গত আগস্টে দুর্নীতির অভিযোগে এ প্রকল্পের সহায়তা স্থগিত করে। কিন্তু সরকার এই অভিযোগ সরাসরি নাকচ করে দেয়। অবশ্য সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের ঋণের সময়সীমা ৬ মাস বাড়ানো হয়েছে। এই সেতু দক্ষিণাঞ্চলের ২১টি জেলাকে রাজধানীর সঙ্গে যুক্ত করবে।
২৯০ কোটি ডলারের পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ১২০ কোটি ডলার দেওয়ার জন্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি করলেও পরে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অর্থায়ন স্থগিত করে। তাদের এ অভিযোগের তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশনও, যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বরাবরই দুর্নীতির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।