Banner Advertiser

Friday, February 3, 2012

[mukto-mona] যাঁরা আওয়ামী লীগের ভরাডুরি ঘটান তাঁরা কাকে আনতে চান? !!!!!!!



যাঁরা আওয়ামী লীগের ভরাডুরি ঘটান তাঁরা কাকে আনতে চান?
মুহম্মদ শফিকুর রহমান
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে এখনও আরও দু'বছর বাকি। এরই মধ্যে কোনও কোনও গণমাধ্যম বর্তমান সরকারের ভরাডুবি ঘটিয়ে বিরোধী দল বিএনপিকে গাড্ডা থেকে তুলে এনে ক্ষমতায় বসানোর আয়োজন করে ফেলেছেন। এদের কথাবার্তা কার্যক্রম বিএনপির মির্জা-মওদুদদের কণ্ঠের সাথে মিলে যাচ্ছে। জরিপ, জনতার কথা, তৃণমূল সংলাপ ইত্যাদি জাতীয় কার্যক্রমের আড়ালে কোন উদ্দেশ্য রয়েছে কি-না এমন প্রশ্ন উড়িয়ে দেয়া যায় না। ভালভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে সচেতনভাবে বা অসচেতনভাবে হোক এরা অগণতান্ত্রিক অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতা দখলকারীদের প্রচেষ্টাকেই উস্কে দিচ্ছে। তিলকে তাল বানিয়ে উপস্থাপন করলে একটি শ্রেণী তো বিভ্রান্ত হবেনই।
গত সপ্তাহ শেষে একটি পত্রিকা নির্বাচনী জরিপ করে বলেছে, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের চেয়ে আড়াই গুণ আসন পাবে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ ৬৯ এবং বিএনপি ১৭০ আসন লাভ করবে। স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেয়া যায় বিএনপি ক্ষমতায় চলে যাবে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগকে বুড়িগঙ্গায় ছুঁড়ে ফেলে বিএনপিকে গাড্ডা থেকে তুলে এনে ক্ষমতার সিঁড়িতে বসিয়ে দেয়া হবে। পারলে আজই শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ার থেকে সরিয়ে খালেদা জিয়াকে সিংহাসনে বসিয়ে দিতেন।
অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় ২০০৮-এর ২৯ ডিসেম্বর এবং তাতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী জোট চার-পঞ্চমাংশ আসনে জয়লাভ করে ২০০৯-এর ৬ জানুয়ারি সরকার গঠন করে শপথগ্রহণ করেন। শেখ হাসিনা দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন। এরই মধ্যে এ সরকারের তিন বছর চলে গেছে। সামনে এখনও দুই বছর। অর্থাৎ সরকারের মেয়াদ শেষ হবে ২০১৪ সালের ৬ জানুয়ারি। এরপর ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে। কোন কোন গণমাধ্যমের জনমত জরিপ একটুখানি আগাম হয়ে যাচ্ছে না কি? এরই মধ্যে কাউকে ডোবানো কাউকে ভাসানোর পেছনে কেউ যদি মনে করে উদ্দেশ্য রয়েছে তা কি উড়িয়ে দেয়া যাবে?
তবে হ্যাঁ, এসব তথাকথিত জরিপের ফলাফলে কোন ঝুঁকি নেই। এ যেমন আমাদের জনগণের মধ্যে একটা ধারণা আছে আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় যাবে আর আওয়ামী লীগ বিরোধী আসনে বসবে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা নিয়ম তো পাকা হয়ে আছে এবার যে-দল ক্ষমতায় আছে আগামীতে তারা বিরোধী দলে যাবে, আবার এবার যে-দল বিরোধী দলে আছে তারা আগামীতে ক্ষমতায় যাবে। এক্ষেত্রে সরকারবিরোধী কারও অবদান কার্যাবলী বা ঢ়বৎভড়ৎসধহপব যেন কোন ভ‚মিকা রাখে না বা রাখতে দেয়া হয় না। যেমন বিএনপির কোন সরকারই আওয়ামী লীগের চেয়ে দেশ ভাল চালাতে পারেনি। বিশেষ করে ১৯৯৬-২০০১-এর সরকারের কথা উল্লেখ করতে হয়। জাতির জনকের হত্যার ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ দেশবাসীর রায় নিয়ে ক্ষমতায় আসে এবং জাতির জনককন্যা শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন। পাঁচ বছর তিনি ক্ষমতায় ছিলেন এবং এ পাঁচ বছর তিনি যেভাবে সততা, দক্ষতা ও দূরদর্শিতার সাথে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন স্বাধীন বাংলাদেশে আর কেউ তা পারেনি। (বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর বাদ দিয়ে, কেননা ঐ সময়টা ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণ পুনর্গঠনের কাল, যা বঙ্গবন্ধু সরকার অত্যন্ত দ্রুতগতিতে সম্পন্ন করেছিলেন) এ সময়টা বাদ দিলে শেখ হাসিনা যে পর্যায়ের Good Governance বা সুশাসন উপহার দিয়েছিলেন তা আর কোন সরকার দিতে পারেনি। বাঘা বাঘা সামরিক জেনারেল স্টারের পর স্টার কাঁধে লাগিয়ে ক্ষমতা দখল করেছেন, লম্বা লম্বা বুলি আওড়িয়েছেন কিন্তু জাতির সামনে সুশাসনের কোন উদাহরণ সৃষ্টি করতে পারেননি। তাঁদের ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে রানী সেজেও কেউ ক্ষমতায় এসেছেন কিন্তু কোনভাবেই শেখ হাসিনার এড়ড়ফ এড়াবৎহধহপব-এর ধারে কাছেও পৌঁছতে পারেননি। তখনকার সময়ে জিডিপির হার ছিল তুলনামূলকভাবে অন্য যে কোন সরকারের চেয়ে ওপরে এবং মূল্যস্ফীতি ছিল সবার নিচে। সবচেয়ে বড় কথা, শেখ হাসিনা সুশাসনের মাধ্যমে মানুষকে ¯^প্ন দেখতে ও দেখাতে শিখিয়েছিলেন, যা একটি জাতির এগিয়ে যাবার জন্য অপরিহার্য। তারপরও ২০০১-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরে যায়; ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হয়।
বস্তুত এবার একদল পরেরবার আরেক দল, এ যে একটা ধারণা মানুষক দেয়া হয়েছে বা ভোটার জনগণের মানসপটে আঁকা হয়েছে, তাতে করে একদিকে যেমন ভোটাররা একটা ভুল ও মিথ্যের ওপর প্রতিষ্ঠিত ধারণা দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে, অপরদিকে অগণতান্ত্রিক শক্তি ক্ষমতা দখলের ছিদ্র খুঁজে পাচ্ছে। একইভাবে যে শক্তি কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচনের ফলকে প্রভাবিত করতে বা পাল্টানের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তারাও একটা সুযোগ পেয়ে যায়। অথচ আমাদের দেশের তথাকথিত বুদ্ধিজীবী-গলাজীবী বা গণমাধ্যম তা বুঝতে পারেন না। জ্ঞানের দৈন্যে নাকি বুঝেও না-বোঝার ভান করে ষড়যন্ত্রকারীদের পথ করে দেন?
এই যেমন একটি দৈনিক লিখে দিলো, 'ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসা দল পরবর্তী নির্বাচনে অভাবনীয় বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় এ যেন এ দেশের রাজনীতির অমোঘ নিয়তি।' এ মিডিয়া একদিকে বলছে নিয়তি, অন্যদিকে আবার দেখাচ্ছে ক্ষমতায় আসীন হবার পর দুর্নীতি, লুটপাট ও ¯^জনপ্রীতির কারণে দলগুলোকে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এখানে 'অমোঘ নিয়তি' এনে ঢ়বৎভড়ৎসধহপব-এর ভ‚মিকাকে অস্বীকার করা হয়েছে। বিষয়টি অসামঞ্জস্যপূর্ণ নয় কি? গ্রিক ট্যাজেডির নিয়তির খেলা দেখেছি। সেখানে নিয়তি কিভাবে যুবরাজ ইডিপাস কিংবা ডেজডিমোনাদের নিয়ন্ত্রিত করেছে আপন সত্তার বিপরীত। ওদের করার কিছুই ছিল না। ওদের চবৎভড়ৎসধহপব- এর ভূমিকা ছিল না। কাজেই আমরা যখন নির্বাচনে হারজিতকে নিয়তির অমোঘ বিধান বলি তখন নিশ্চয়ই সমাজবিজ্ঞানীর বা রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর মতো কথা বলি না। এতে করে আমাদের সমাজ, রাষ্ট্র, রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং আমরা বুঝে হোক না বুঝে হোক এ ক্ষতিটা করে চলেছি।
কিছু গণমাধ্যম যেভাবে জরিপ করে যে ফলাফল প্রকাশ করেছে বা তথাকথিত জনতার কথা বা তৃণমূল সংলাপের নামে ক্ষমতাসীনদের তুলোধুনো করছে, ক্ষমতাচ্যুত করে দিচ্ছে, তাতে করে আওয়ামী লীগ সরকারের বাকি দুই বছর থাকছে না। এই তা কয়েকদিনের মধ্যেই আওয়ামী লীগ বা মহাজোট ক্ষমতা থেকে চলে যেতে বাধ্য হবে। জরিপকারীরা যেভাবে মহাজোট সরকারের ১৬ মন্ত্রীকে আগামী নির্বাচনে ফেলের পাল্লায় ফেলেছেন তার মধ্যে কয়েকজন আছেন যাদের চবৎভড়ৎসধহপব এবং জনসম্পৃক্ততা ভোটার জনগণের মন জয় করার মতোই। তারপরও তারা ফেল?
ফেল করুন। কিন্তু তারপর? আসবে কে? তা-ও বোঝা যায় আসবে বিএনপির নেতৃত্বে জামায়াত-শিবিরের মতো যুদ্ধাপরাধী ও জঙ্গীগোষ্ঠী। রাষ্ট্রক্ষমতার শীর্ষে বসবেন বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর গুণধর পুত্র তারেক রহমান। তা হলে কি কি হতে পারে : (১) প্রথমেই যে কাজটি হবে তা হলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দেয়া হবে। (যদি দুই বছরে বিচারকার্য শেষ হয়ে রায় কার্যকর না হয়)। জেলখানা থেকে বেরিয়ে আসবে গোলাম আযম, নিজামী, মুজাহিদ, কাদের মোল্লা, কামরুজ্জামান, সাকা চৌধুরী, আবদুল আলীম এবং দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। এখানে একজনের পরিচয়ের কিছু কথা বলার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের কুৎসিত চেহারার দু'একটি চিত্র তুলে ধরতে চাই। এ লোকটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় দেলাওয়ার শিকদার নামে এলাকায় পরিচিত ছিল। মুক্তিযুদ্ধ শেষে পালিয়ে আত্মগোপন করে এবং '৭৫-এ জাতির জনককে হত্যার পর তথাকথিত মওঃ দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী নামে আবির্ভূত হয়। এ লোকের কর্মকাণ্ডের সাক্ষী কয়েকজন আদালতকে জানিয়েছেন, হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ বা জবরদস্তি করে হিন্দুদের মুসলমান হতে বাধ্য করার পাশাপাশি যে পাপ কাজ লোকটি করেছে তা হলো সে ৯ মাস ধরে বিশেষ করে হিন্দু মেয়েদের ধর্ষণ করেছে। একজন সাক্ষী দিয়েছেন, এক বাড়িতে একটি মেয়েকে আটকে রেখে মাসের পর মাস ধর্ষণ করেছে। আরেকজন বলেছেন, তার স্ত্রীকে ধর্ষণ করার পর তিনি অন্তঃসত্তা হয়ে যান এবং একটি সন্তানও জন্ম দেন। পরে দেশ ত্যাগ করেন। এ অপরাধীরা নিজেরা যেমন ধর্ষণ করেছে তেমনি পাকি লম্পট সেনাদের হাতেও বাঙালী নারীদের তুলে দিয়েছে, যাদের ধর্ষণ করে করে হত্যা করা হয়েছে। এ ধর্ষকরা বেরিয়ে আসবে যেমন করে বেরিয়ে এসেছিল খালেদা জিয়ার স্বামী ক্যুয়ের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলকারী মিলিটারি প্রেসিডেন্ট জিয়া। তখনকার দণ্ডপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন ১১ হাজার যুদ্ধাপরাধীকে ছেড়ে দিয়েছিলেন। জিয়ার কারণে শাহ আজিজ, আবদুল আলীমরা কেবল ছাড়াই পায়নি, তাদের মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত বানিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ, মুক্তিযোদ্ধা, ¯^াধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের গর্বিত জাতিকে অপমান করেছিলেন। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলে গোলাম আযম-নিজামী-মুজাহিদ-সাকা-সাঈদীদের ছেড়ে দিয়ে দ্বিতীয়বার জাতিকে অপমানিত করবেন। জিয়াউর রহমান যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত অপরাধীদের ছেড়ে দিয়েছিলেন। তাদের কেউ কেউ এখন খালেদা জিয়ার পাশপাশে হাঁটেন।
(২) খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হলে আবার হয়ত ক্যান্টনমেন্টের সেই বাড়িটি পুনর্দখল হবে কিংবা রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীকে আবারও জনগণ জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করার দৃশ্য দেখতে পাবে।
(৩) খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলে তারেক রহমানের নেতৃত্বে এমন এক প্রজন্ম আবারও অন্ধকার বিবর থেকে বেরিয়ে আসবে, যার ফলে মানুষ দেখতে পাবে কালকের বেকার মাস না যেতেই শত শত কোটি টাকার পাহাড় বানিয়েছে, আবার হাওয়া ভবন খোয়াব ভবন গজাবে। আবার ইতিহাস বিকৃতি হবে। আবারও শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলা হবে। আবারও অস্ত্র-ড্রাগের চোরাচালান হবে এবং সবচেয়ে ভয়াবহ হলো আবারও শায়খ আবদুর রহমান, বাংলাভাই তথা জঙ্গী ও জঙ্গীবাদের উত্থান ঘটবে। অর্থাৎ ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত দেশটাকে যেভাবে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছিল, আবারও তা হবে এবং ঐ সময়ের মতো মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সৎ, দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক কর্মী ও সংখ্যালুঘরা নির্যাতিত হবে এবং আবারও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াবে জঙ্গী-সন্ত্রাসী-অপরাধীরা। ঐ সময়ের মতো ভদ্রলোকদের বসবাস অসহনীয় করে তুলবে।
কয়েকদিন আগে একটি তৃণমূল সংলাপে দেখলাম বিএনপির এক নেতা দাবি করলেন চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ বিএনপি সরকারের আমলে হয়েছে। এটি একটি ডাহা মিথ্য কথা। বাস্তব চিত্র হচ্ছে আমাদের ফরিদগঞ্জের (শ্রদ্ধাভাজন) সমাজসেবী মরহুম কসমিক সফিউল্লা সারাজীবন এ রাস্তার জন্য আন্দোলন করেছেন। ¯^াধীনতার পর ১৯৭৪ সালে তৎকালীন বঙ্গবন্ধু সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী জাতীয় চার নেতার অন্যতম মরহুম এম মনসুর আলী বাগাদি চৌরাস্তার মোডে নিজ হাতে কোদাল দিয়ে মাটি তুলে রাস্তার মাটি ভরাটের কাজ উদ্বোধন করেন। আমি পত্রিকার রিপোর্টার হিসেবে তাঁর সাথে ছিলাম। তখন অর্থমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় মাটি কাটার বা কাঁচা রাস্তার কাজ ৯০ ভাগ সমাপ্ত হয়। মিলিটারি জিয়ার গোটা আমলে ছিল অবহেলিত। মিলিটারি এরশাদের সময় যখন মওদুদ আহমদ যোগাযোগমন্ত্রী তখন ফরিদগঞ্জ থানা সমিতির পক্ষ থেকে আমি, সেক্টর কমান্ডার কর্নেল (অব) আবু ওসমান চৌধুরী, কসমিক সফিউল্লাহ ও চাঁদপুর জেলা সমিতির সভাপতি আমির হোসেন খান তার সাথে দেখা করলে তিনি সড়ক ব্রিক সয়েলিং সমাপ্ত করে কিছু অংশে কার্পেটিং পর্যন্ত করে দেন। এরশাদের পতনের পর বিএনপি ক্ষমতায় এলে কার্পেটিং কাজ শেষ করেন। ফরিদগঞ্জ বাজারের কাছের বেইলি ব্রিজটিও আমরাই নিয়ে দিই এরশাদ আমলে আরেক যোগাযোগমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর (ইত্তেফাক সম্পাদক) কাছ থেকে।
বেইলি ব্রিজটি আজ জরাজীর্ণ এবং যে কোন সময় জগন্নাথ হল ট্র্যাজেডির মতো ট্র্যাজেডি ঘটে যেতে পারে।
বিগত নির্বাচনের সময় তৎকালীন মহাজোট নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাঁদপুর পৌরপার্কে ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করেন। সেখানে ফরিদগঞ্জ আসনের আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে আমি মাননীয় নেত্রীর কাছে যে দাবিগুলো করেছিলাম তা হলো : ১. বেইলি ব্রিজটি পাকা করা, ২. উটতলি ব্রিজ নির্মাণ করা, ৩. আর্সেনিক আক্রান্ত ফরিদগঞ্জে আর্সেনিকমুক্ত বিশুদ্ধ পানির একমাত্র সোর্স পর্যাপ্ত পরিমাণ ডিপ টিউবওয়েল দান, ৪. পল্লীবিদ্যুতের ব্যবস্থা, ৫. এবং অবহেলিত ফরিদগঞ্জের রাস্তাঘাট ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন। নেত্রী সুযোগ পেলে অর্থাৎ জনগণের ভোটে সরকার গঠন করতে পারলে এসব করে দেবেন বলে প্রতিশ্রæতি দেন। কেবল গ্যাস সরবরাহের প্রশ্নে নেত্রী বলেন, এ মুহর্‚তে সর্বত্র গ্যাস দেয়া হয়ত সম্ভব হবে না, কেননা কী পরিমাণ গ্যাস আছে না আছে তা আমরা জানি না।
নেত্রীর প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়নে সরকার গঠনের পরেই আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের কাছে যাই এবং আমাদের প্রচেষ্টায় এরই মধ্যে ফরিদগঞ্জের তিন শতাধিক ডিপ টিউবওয়েল বসেছে। প্রাথমিক শিক্ষক, ¯^াস্থ্য সহকারী, পুুলিশে অনেক চাকরি হয়েছে। বেইলি ব্রিজটি পাকা ব্রিজে রূপান্তরিত করায় প্রশ্নে ২০০৯ সালের প্রথমদিকেই আমি তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের কাছে গেলে তিনি ঐ অর্থবছরের মধ্যেই কাজটি করে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী অন্তত দু'বার জরিপ হয়ে টেন্ডারের পর্যায়ে যায়। একইভাবে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানকের নির্দেশে উটতলি ব্রিজেরও জরিপ কাজ সম্পন্ন হয়ে টেন্ডারের পর্যায়ে যায়। কিন্তু এরপর কারা আর এগোতে দেয়নি জানি না।
বিএনপির নেতারা দাবি করেছেন, বেইলি ব্রিজ পাকা করার ক্ষেত্রে স্থানীয় এমপি লায়ন হারুনুর রশীদের প্রচেষ্টায় টেন্ডারের পর্যায় পর্যন্ত যায়। এ কথাটি ডাহা মিথ্যা। বস্তত এমপি এতে কোন অবদান রাখেননি, এমনকি ঐ ধরনের কাজ করানোর মতো যোগ্যতা বা দেশপ্রেম তার আছে বলে মানুষ বিশ্বাস করে না।
কাজেই বিএনপি ক্ষমতায় এলে আবারও জঙ্গীবাদের উত্থান, লুটপাট, হাওয়া ভবন হবে এবং বিশেষ করে একটা 'মিথ্যুক প্রজন্ম' গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। বিষয়টি ভেবে দেখা দরকার।


ঢাকা-০৩/০২/২০১২
লেখক- ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___