Banner Advertiser

Friday, February 3, 2012

[mukto-mona] রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু !!!!!!!!



রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু
এম. আর. মাহবুব
আমাদের জাতীয় ইতিহাসে ভাষা আন্দোলন একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। ভাষা আন্দোলন আমাদের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের সূচক। ভাষা-আন্দোলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি বিশেষ অবদান রয়েছে। আজন্ম মাতৃভাষাপ্রেমী এই মহান নেতা ১৯৪৭ সালে ভাষা আন্দোলনের সূচনা পর্ব এবং পরবর্তী সময়ে আইনসভার সদস্য হিসেবে এবং রাষ্ট্রপতি হিসেবে বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি মৃত্যুর পূর্ব মুহ‚র্ত পর্যন্ত বাংলা ভাষার উন্নয়ন ও বিকাশে কাজ করে গেছেন এবং বাংলা ভাষা ও বাংলাভাষীদের দাবির কথা বলে গেছেন। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে এ আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের সত্যতা প্রমাণিত হয়। ১৯৮৭ সালে পাকিস্তান জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই কলকাতার সিরাজউদ্দৌলা হোটেলে পূর্ব পাকিস্তানের পরবর্তী কর্তব্য নির্ধারণে সমবেত হয়েছিলেন কিছু রাজনৈতিক কর্মী। সেখানে পাকিস্তানে একটি অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক আন্দোলন ও সংগঠন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। সে প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৭ সালের ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তানের কর্মী সম্মেলনে গণতান্ত্রিক যুবলীগ গঠিত হয়। ওই সম্মেলনে ভাষা বিষয়ক কিছু প্রস্তাব গৃহীত হয়। সম্মেলনের কমিটিতে গৃহীত প্রস্তাবগুলো পাঠ করেছিলেন সেদিনের ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান (সূত্র: 'ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা'-গাজীউল হজ, ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু গবেষণা কেন্দ্র, ফেব্রæয়ারি ১৯৯৪)।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভারত থেকে তৎকালীন পূর্ব বাংলায় প্রত্যাবর্তন করার পর সরাসরি ভাষা আন্দোলনে শরিক হন। ভাষা আন্দোলনের শুরুতে তমদ্দুন মজলিসের রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন সংক্রান্ত কার্যক্রমে তিনি অংশগ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর প্রথম জীবনীকার অধ্যাপক ড. মযহারুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, "শেখ মুজিবুর রহমান এই মজলিসকে রাষ্ট্রভাষা সংক্রান্ত বহু কাজে সাহায্য ও সমর্থন করেন" (সূত্র: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, কৃত-মযহারুল ইসলাম: ঢাকা, আগামী প্রকাশনী, ১৯৯৩: পৃ. ১০৪)। ১৯৪৭ সালের ৫ ডিসেম্বর খাজা নাজিমুদ্দিনের বাসভবনে মুসলিম লীগ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক চলাকালে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে অনুষ্ঠিত মিছিলে তিনি অংশগ্রহণ করেন।
১৯৪৭ সালের ডিসেম্বর মাসে সমকালীন রাজনীতিবিদসহ ১৪ ভাষাবীর সর্বপ্রথম ভাষা আন্দোলনসহ অন্যান্য দাবি সংবলিত ২১ দফা দাবি নিয়ে একটি ইস্তেহার প্রণয়ন করেছিলেন। ওই ইস্তেহারে ২১ দফা দাবির মধ্যে দ্বিতীয় দাবিটি ছিল রাষ্ট্রভাষা সংক্রান্ত। ঐতিহাসিক এই ইস্তেহারটি একটি ছোট পুস্তিকা আকারে প্রকাশিত হয়েছিল যার নাম 'রাষ্ট্রভাষা-২১ দফা ইস্তেহার-ঐতিহাসিক দলিল'। এই ইস্তেহার প্রণয়নে শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান ছিল অনস্বীকার্য এবং তিনি ছিলেন অন্যতম স্বাক্ষরদাতা (বিস্তারিত তথ্যের জন্য দেখুন: রাষ্ট্রভাষা-২১ দফা ইস্তেহার-ঐতিহাসিক দলিল, শায়খুল বারী, পুনর্প্রকাশ জানুয়ারি ২০০২)।
১৫০ নং মোগলটুলীর 'ওয়ার্কস ক্যাম্প' ছিল সে সময়ের প্রগতিশীল ছাত্র-যুবক ও রাজনৈতিক কর্মীদের মিলনকেন্দ্র। ওয়ার্কস ক্যাম্পের কর্মীরা বাংলা ভাষাসহ পাকিস্তানের অন্যান্য বৈষম্যমূলক দিক জাতির সামনে তুলে ধরেন। ভাষা আন্দোলনের সপক্ষের কর্মীবাহিনী এখানে নিয়মিত জমায়েত হতো এবং বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার নানা কর্ম পরিকল্পনা এখানেই নেয়া হতো। শেখ মুজিব ছিলেন এই ক্যাম্পের প্রাণশক্তি। (সূত্র: ১৫০ মোগলটুলী-বাহাউদ্দীন চৌধুরী, জনকণ্ঠ ঈদসংখ্যা-২০০৮)। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি গঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে সংগঠনটির ভূমিকা খুবই স্মরণীয়। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত ছাত্রলীগের ১০ দফা দাবির মধ্যে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা বাংলা করার ও সামরিক বাহিনীতে বাঙালীদের নিয়োগ এবং বাধ্যতামূলক সামরিক শিক্ষার দাবি ছিল অন্যতম দাবি। ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা ছিল খুবই স্মরণীয়। ২৬ ফেব্রæয়ারি ধর্মঘটে শেখ মুজিবুর রহমান বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দান করেন। শেখ মুজিবসহ সকল প্রগতিবাদী ছাত্রনেতাই বাংলা ভাষার দাবিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য একটি সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তোলার প্রয়োজনীতা গভীরভাবে অনুভব করেন (সূত্র: ভাষা আন্দোলন ও শেখ মুজিব, পূর্বোক্ত আন্দোলন ও শেখ মুজিব, পূর্বোক্ত পৃ. ১৯-২০)। ১৯৪৮ সালের ২ মার্চ ফজলুল হক মুসলিম হলে তমদ্দুন মজলিস ও মুসলিম ছাত্রলীগের যৌথ সভায় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ পুনর্গঠন করা হয়। এদেশের বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা ২ মার্চ ফজলুল হক মুসলিম হলের এই সভায় যাঁরা উপস্থিত ছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম শেখ মুজিবুর রহমান। সভায় গণপরিষদ সিদ্ধান্ত ও মুসলিম লীগের বাংলা ভাষা বিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সক্রিয় আন্দোলন গড়ে তোলার উদ্দেশে এই সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। এই সংগ্রাম পরিষদ গঠনে শেখ মুজিব বিশেষভাবে সক্রিয় ছিলেন এবং তাঁর ভূমিকা ছিল যেমন বলিষ্ঠ তেমনি সুদূরপ্রসারী।
১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে এক অনন্য অবিস্মরণীয় দিন। এই দিনে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সর্বাত্মক সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। এটাই ছিল ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে তথা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর এদেশে প্রথম সফল হরতাল। এই হরতালে শেখ সাহেব নেতৃত্ব প্রদান করেন এবং পুলিশী নির্যাতনের শিকার হয়ে গ্রেফতার হন। ভাষাসৈনিক অলি আহাদ তাঁর 'জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫ থেকে ১৯৭৫' গ্রন্থে লিখেছেন, "আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার নিমিত্তে শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ হতে ১০ মার্চ ঢাকায় আসেন।" মুনয়েম সরকার সম্পাদিত বাংলা একাডেমী কর্তৃক প্রকাশিত ' বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান: জীবন ও রাজনীতি' শীর্ষক গ্রন্থে বলা হয়েছে, "স্বাধীন পাকিস্তানের রাজনীতিতে এটিই তাঁর প্রথম গ্রেফতার।" ১১ মার্চের হরতাল সফল করতে ১ মার্চ, ১৯৪৮ তারিখে প্রচার মাধ্যমে একটি বিবৃতি প্রকাশিত হয়েছিল। বিবৃতির অন্যতম স্বাক্ষরদাতা ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৪৮ সালের ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ভাষা আন্দোলনকে বেগবান করার লক্ষ্যে এক সাধারণ ছাত্রসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে পূর্ববাংলা আইন পরিষদ ভবন অভিমুখে একটি মিছিল বের হয়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন সদ্য কারামুক্ত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিবুর রহমানের আহানে আইন পরিষদ ভবন ঘেরাও করতে গিয়ে মিছিল পুলিশের প্রতিরোধের মুখে পড়ে।
১৯৪৮ সালের ১৭ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগের আহানে নঈমুদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সে সভায় শেখ মুজিব অংশগ্রহণ করেন (দেখুন জাতীয় রাজনীতি: ১৯৪৫ থেকে ১৯৭৫, অলি আহাদ)। শেখ মুজিবুর রহমান আন্দোলনে জড়িত থাকার কারণে ১৯৪৯ সালে দু'বার গ্রেফতার হন। ১৯৪৯ সালের জুলাই মাসে বঙ্গবন্ধু নারায়ণগঞ্জের এক জনসভায় প্রদত্ত ভাষণে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার কথা বলেছিলেন। এ প্রসঙ্গে মুস্তাফা সরোয়ার বলেন, "বঙ্গবন্ধু সেদিন ছাত্রলীগের ১০ দফার অন্যতম দাবি পাকিস্তান নৌবাহিনীর সেনা দফতর করাচি থেকে চট্টগ্রাম স্থানান্তর ও বাঙালীদের মিলিটারি শিক্ষার দাবিসহ রাষ্ট্রভাষা বাংলার কথা বলেছিলেন" (সূত্র: ভালবাসি মাতৃভাষা, পৃ. ১০৩)। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের বিস্ফোরণ পর্বে শেখ সাহেব জেলে ছিলেন। ব্যক্তিগতভাবে রাজনৈতিক ময়দানে অনুপস্থিত থাকলেও জেলে বসেই আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করতেন (সূত্র : একুশে ফেব্রæয়ারি জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক ড. মোহাম্মদ হান্নান, পৃ. ৫৩)। এ প্রসঙ্গে ভাষাসৈনিক গাজীউল হক তাঁর স্মৃতিকথায় লিখেছেন- '১৯৪৯ সালের অক্টোবর মাসে গ্রেফতার হওয়ার পর জনাব শেখ মুজিবুর রহমান ১৮৫২ সালের ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন জেলে আটক ছিলেন। ফলে স্বাভাবিক কারণেই '৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা জনাব শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে সম্ভব ছিল না। তবে জেলে তিনি আন্দোলনের নেতৃবৃন্দেন সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিতেন (গাজীউল হক, আমার দেখা আমার লেখা, পৃষ্ঠা ৪০)।
জাতীয় নেতা শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের বিপক্ষে অবদান নিয়েছিল। তিনি উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে বিবৃতি দেন। সোহরাওয়ার্দী এই অবস্থানে দৃঢ় থাকলে ভাষা আন্দোলনে অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারত (সূত্র: একুশে ফেব্রয়ারি থেকে আন্তর্জাতিক-ড. মোহাম্মদ হান্নান, পৃ.৫৩)। কিন্তু শেখ মুুজিবুর রহমান সোহরাওয়ার্দীর এই মত পরিবর্তনে সহায়ক ভ‚মিকা পালন করেন এবং বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে তাঁর সমর্থন আদায় করেন। বঙ্গবন্ধুর বাংলা ভাষার প্রতি গভীর দরদ অসমী রাজনৈতিক প্রত্যয়ের ফলশ্রæতিতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে সমর্থন করে বিবৃতি দেন। বিবৃতিটি ১৯৫২ সালের ২৯ জুন সাপ্তাহিক ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ২৭ এপ্রিল ১৯৫২ তারিখে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদের জেলা ও মহকুমা প্রতিনিধি সম্মেলনে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দলের ভারপাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৫২ সালের পরও বঙ্গবন্ধু বাংলা ভাষাকে ছেড়ে যাননি। ১৯৫৩ সালে একুশের প্রথম বার্ষিকীতে আরমানিটোলা ময়দায়ে অনুষ্ঠিত জনসভায় তিনি সেদিন একুশে ফেবুয়ারিকে শহীদ দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়ার আহান জানান এবং অবিলম্বে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি জানান।
১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট সরকারের একজন মন্ত্রী হিসেবে শেখ সাহেব সমকালীন রাজনীতি এবং বাংলা ভাষার উন্নয়নে অবদান রাখেন। ১৯৪৭ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে বাংলাভাষায় ভাষণ দিয়ে যে ঐতিহাসিক ভ‚মিকা পালন করেছেন, তা ইতিহাসের পাতায় চিরদিন ¯^র্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। জাতিসংঘে প্রথম বাংলায় ভাষণ দিয়ে বিশ্বসভায় বাংলা ভাষার পরিচিতির প্রথম বীজ বপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিশ্বসভায় বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার এটাই ছিল প্রথম সফল উদ্যোগ। ১৯৯৯ সালে মাতৃভাষাপ্রেমী তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে ২১ ফেব্রæয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা লাভ এবং বর্তমান সরকার কর্তৃক জাতিসংঘে বাংলাকে দাফতরিক ভাষা করার উদ্যোগ গ্রহণÑ এ সবই বঙ্গবন্ধুর সুদূরপ্রসারী চিন্তার বাস্তব রূপায়ন। ১৯৫৬ সালের ১৭ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আইন পরিষদের অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু সংসদের দৈনন্দিন কার্যসূচী বাংলা ভাষায় মুদ্রণ করার দাবি জানান। ১৬ ফেব্রুয়ারি আইনসভার অধিবেশনেও তিনি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা কারার দাবি জানানু (সূত্র: ভালবাসি মাতৃভাষা-ভাষা-আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্তি স্মারকগ্রন্থ-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মার্চ ২০০২, পৃ.১৮২-১৯১)।
১৯৭৫ সালের ১২মার্চ রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন বঙ্গন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অফিসের কাজে বাংলাভাষা প্রচলনের প্রথম সরকারী নির্দেশ জারি করেন (সূত্র: রাষ্ট্রপতির সচিবালয়, গণভবন, ঢাকা, পত্রসংখ্যা ৩০/১২/৭৫-সাধারণ-৭২৯/৯ (৪০০) তারিখ: ১২মার্চ ১৯৭৫)। ১৯৭১ সালের ১৫ ফ্রেব্রæয়ারি তৎকালীন আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলা একাডেমীতে একটি সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে অফিস আদালতে বাংলা ভাষা ব্যবহারের কথা বলেন (সূত্র: দৈনিক পাকিস্তান, ১৬ ফেব্রæয়ারি ১৯৭১)। ১৯৭৩ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাকালীন সরকারী পর্যায়ে বাংলা প্রচলন কমিটি গঠন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান (সূত্র: দৈনিক বাংলা, ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩)। ১৯৭২ সালের সংবিধানে তিনি বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গ্রহণ করেন। এটাই ছিল পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম বাংলা ভাষার প্রণীত সংবিধান। ভাষা আন্দোলনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্থপতির ভ‚মিকা পালন করে আমাদের একটি স্বাধীন জাতি হিসেবে পৃথিবীর বুকে আত্মপ্রকাশের সুযোগ করে দিয়েছেন।

mrmahbub @ yahoo.com

Enter your message here.
 


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___