নাশকতার পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি শংকর কুমার দে ॥ যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গী, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাশকতার পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। বড় ধরনের নাশকতার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে রাজধানী ঢাকার ১২ মার্চের কর্মসূচী। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থার কারণে মাঠে নামানো যায়নি যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গী গোষ্ঠী, শীর্ষ সন্ত্রাসী, দাগী অপরাধী ও রাজনৈতিক সশস্ত্র ক্যাডারদের। গোয়েন্দা সংস্থার গোপন প্রতিবেদন অনুযায়ী বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোটে ১২ মার্চের মহাসমাবেশ উপলক্ষে নেয়া হয় নজিরবিহীন স্মরণাতীতকালের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বলয়। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা মহাসমাবেশের পর সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এই ধরনের প্রতিবেদন দিয়েছে। সরকারের উচ্চ পর্যায় সূত্রে এ খবর জানা গেছে। সূত্র জানায়, নাশকতা মোকাবেলায় রাজধানী ঢাকায় নিদ্রি নিরাপত্তার বলয় সৃষ্টি করে তোলার জন্য সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গীগোষ্ঠী, শীর্ষ সন্ত্রাসী ও রাজনৈতিক দলের সশস্ত্র ক্যাডারদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে সর্বক্ষণ। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), আর্মড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি), এপিবিএন, রায়ট ফোর্স, র্যাব, সোয়াত টিম, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা ছিল যুদ্ধের প্রস্তুতিতে। তাদের হাতে ছিল রায়টকার, জলকামান, টিয়ারগ্যাস, ডগস্কোয়ার্ড, বোম ডিসপোজালসহ অত্যাধুনিক অস্ত্র। রাজধানী ঢাকাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলার কৌশল হিসেবে বাস, ট্রেন, লঞ্চসহ সকল প্রকার যানবহান বন্ধ থাকায় অতীতের ন্যায় এবার অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর, বিশৃঙ্খলা, নৈরাজ্যকর পরিস্থিতিকে এড়ানো গেছে। তার পরও বিচ্ছিন্ন ও বিক্ষিপ্তভাবে জামায়াত-শিবির ও বিরোধী দলের কর্মী-ক্যাডাররা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরাও মাঠে থাকায় মাঝে মধ্যেই পরিস্থিতি উত্তেজনাকর হয়ে উঠলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা চরম ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে পরিস্থিতিকে সামাল দেয়ায় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো গেছে। বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি), র্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশ সহস্রাধিক সদস্যের স্থানে স্থানে মোতায়েন, টহলের দৃশ্য ছিল যুদ্ধের দৃশ্যের প্রতিচ্ছবি। রাজধানী ঢাকায় বাস, ট্রেন ও লঞ্চ প্রবেশের অলিখিত নিষেধাজ্ঞার কারণে জনদুর্ভোগ হলেও বড় ধরনের নাশকতার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। রাজধানী ঢাকার অভ্যন্তর ছাড়াও প্রবেশমুখে ছিল নিরাপত্তা বুহ্য সৃষ্টি করে রাখার অভূতপূর্ব দৃশ্য। পথচারীদের চোখে এ দৃশ্য হয়ে ওঠে চিরচেনা রাজধানী ঢাকার বিপরীত। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের নজিরবিহীন স্মরণাতীতকালের নিñিদ্র নিরাপত্তা জাল ফেলার এ দৃশ্য ছিল টক অব দি কান্ট্রি। |