Banner Advertiser

Monday, March 4, 2013

[mukto-mona] Re: একাত্তরেও এমন হামলা দেখেনি সংখ্যালঘুরা কালের কণ্ঠ ডেস্ক



Why ask the question when nobody is really preventing you joining their organization? If you think you can contribute to their cause, just join them! But the question is whether you really mean it? Or, you got an axe to grind with these people? What is your problem bro?
-SD
   

2013/3/3 Mir Ahmad <mirahmadf@hotmail.com>
বাংলাদেশে মুসলমানও বাস করে ।
ঐক্য পরিষদ তারাও থাকলে ঐক্যটা আরো ভালো হয় ।
Sent: Saturday, March 02, 2013 11:21 PM
Subject: একাত্তরেও এমন হামলা দেখেনি সংখ্যালঘুরা কালের কণ্ঠ ডেস্ক
 

একাত্তরেও এমন হামলা দেখেনি সংখ্যালঘুরা কালের কণ্ঠ ডেস্ক


'একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার ও রাজাকাররা যা করেনি, এবার জামায়াত-শিবির ও তাদের দোসর বিএনপি তাই করল। তারা আমাদের বাড়িঘরে আগুন দিল।
অগ্নিসংযোগ করল মন্দিরেও। স্বাধীন বাংলাদেশে যদি এমন হয় আমরা কোথায় যাব?' ক্ষোভের সঙ্গে বলছিলেন নোয়াখালীর রাজগঞ্জ ইউনিয়নের আলাদিনগরের বৃদ্ধ রাধারানী দে। গত বৃহস্পতিবার দেলাওয়ার হোসেইন সাঈদীর ফাঁসির রায়ের পর চালানো নারকীয় হামলার সাক্ষ্য নিয়ে এখন দাঁড়িয়ে আছে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের দুটি গ্রাম আলাদিনগর ও টঙ্গিরপাড়।
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর দয়াল হরি শীলের মেয়ে স্বপ্না শীল বৃহস্পতিবার তাঁর নিরাপত্তা বোধই শুধু হারাননি, খুইয়েছেন তাঁর বাবাকে। গতকাল কালের কণ্ঠকে স্বপ্না বলছিলেন, প্রবীণ দয়াল হরিকে পেটাতে পেটাতে হত্যা করা, তারপর পৈশাচিক উল্লাসে মেতে ওঠা- এ দৃশ্য তিনি ভুলবেন কী করে! রায়কে কেন্দ্র করে জয়পুরহাট, কক্সবাজার ও লক্ষ্মীপুরেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় জামায়ত-শিবিরের হামলার শিকার হয়।
বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) : গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের আলাদিনগর ও টঙ্গিরপাড় গ্রামের সংখ্যালঘু পরিবারগুলোর মধ্যে ঘরহারা অনেকেই খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। বৃহস্পতিবার দুটি গ্রামের ৭৬টি বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬টি ভস্মীভূত হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এখন ভীতসন্ত্রস্ত। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলো হচ্ছে গঙ্গপ্রসাদ ভুয়াদের দুটি বাড়ি, কুড়িবাড়ি, দুটি বনিঙ্ক বাড়ি, শান্তিবাবুর বাড়ির, আলাদিনগরের মালি বাড়ি, গণক ঠাকুরের বাড়ি ও শীল বাড়ি। এ ছাড়া ছয়টি কালীমন্দিরও ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। মন্দিরগুলো হচ্ছে রাজগঞ্জ বাজার কালীমন্দির, বনিঙ্ক বাড়ির মন্দির, হরিসেবা মন্দির, মনষা মন্দির ও কুরিবাড়ি মন্দির। এ ছাড়া রাতে একলাশপুর ইউনিয়নের কুরি বাড়ি ও কামদেব পুরে মিস্ত্রি বাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা পুলিশ প্রতিহত করে।
বৃদ্ধা রাধারানী দে জানান, তাঁর চোখের সামনেই হামলাকারীরা আগুন ধরিয়ে দিলো স্বামীর রেখে যাওয়া বসতভিটায়। এর আগে ঘরের জিনিসপত্র লুট, এমনকি জানালার গ্রিলও তারা খুলে নেয়। জানা যায়, হামলায় বাধা দিতে গেলে আহত হন এক সংখ্যালঘু পরিবারের গৃহকর্ত্রী জয়ন্তী প্রভা চৌধুরী (৬২)। তাঁদের ঘরের কাঁচের তৈজসপত্র, স্বর্ণালংকার থেকে শুরু করে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায় হামলাকারীরা। বাড়ির দরজা, জানালা ও আসবাবপত্রও ভাঙচুর করা হয়।
একটি বাড়িতে দেখা যায়, আগুনে ঘর পুড়ে যাওয়ায় শ্যামলী রানী চৌধুরী নামের একজন চিৎকার করে কাঁদছেন। জানা যায়, সংখ্যালঘু জহর লাল চৌধুরী, বেনু লাল চৌধুরী ও যুবলীগ নেতা পুলক ভূঞার ঘরেও বৃহস্পতিবার চলে হামলা। শংকর চৌধুরী (৬৫) নামের একজন বৃহস্পতিবারের ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেন, '৭১ সালেও এ বাড়িতে আক্রমণ হয়েছে; কিন্তু এমন হয়নি। হামলা যারা করেছে তাদের সবাই দেখেছে, আমরা কী বলব।'
আলাদিনগরের কুরিবাড়ির শিপরারানী দে (৩৫) জানান, তাঁর স্বামী স্বপন চন্দ্র দে বাজারে ব্যবসা করেন। তিনি দুই ছেলেকে নিয়ে রান্না শেষে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করছিলেন। এ সময় দেড়-দুই শ লোক লাঠি নিয়ে এসে তার ঘরে পেট্রল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। কিছু বোঝার আগেই পার্শ্ববর্তী আরো তিনটি ঘরে তারা আগুন ধরিয়ে দেয়। দ্রুত তিনি তাঁর দুই বাচ্ছাকে সঙ্গে নিয়ে এক কাপড়ে বের হয়ে আসেন। তারা এসে বলছে, হিন্দুরা সাক্ষী দেওয়াতে সাঈদীর ফাঁসি হয়েছে। তাই কোনো হিন্দুকে তারা এ দেশে রাখবে না।
গঙ্গাপ্রসাদ ভূঁইয়া বাড়ির পুলক প্রসাদ জানান, মহিলাদের টেনে-হিঁচড়ে ঘর থেকে বের করে ঘরের মালামাল লুট করে একদল। আরেক দল পেট্রল ঢেলে এই জঘন্য ঘটনা ঘটায়। হামলকারীরা মন্দিরও গুঁড়িয়ে দিয়েছে।
গতকাল সকালে এই মর্মান্তিক ঘটনা দেখতে আসেন নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. এ বি এম জাফর উল্যা, চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র মামুনুর রশিদ কিরণ, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. সিরাজুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মাহবুবুর রশিদ। তাঁদের মধ্যে জেলা পরিষদ থেকে প্রতি মন্দিরের জন্য এক লাখ টাকা ও ক্ষতিগ্রস্ত প্রতি বাড়ির জন্য ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার জন্য ঘোষণা দেন জেলা পরিষদের প্রশাসক। মামুনুর রশিদ কিরণও ব্যক্তিগত উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও মন্দিরগুলোয় সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। গতকাল গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করেন। নোয়াখালী জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে।
গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে এসে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. সিরাজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। '৭১-এ যে ঘটনা দেখিনি, মনে হয় এ ঘটনা '৭১-কেও হার মানিয়েছে। এই অপশক্তিকে না রোখা গেলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি থাকবে না।' তিনি আশ্বাস দেন ক্ষতিপূরণে প্রশাসন সহযোগিতা দেবে। পুলিশ সুপার মাহবুবুর রশিদ জানান, এ পর্যন্ত সন্দেহভাজন পাঁচজনকে ধরা হয়েছে।
জাহাঙ্গীর নামের একজন এলাকাবাসী জানান, আগুন দেওয়ার ঘটনার ভিডিওচিত্র ধারণ করতে গিয়ে হামলাকারীদের বেধড়ক পিটুনিতে আহত হন মোহনা টেলিভিশনের নোয়াখালী প্রতিনিধি মোহতাসিম বিল্লাহ সবুজ এবং এসএ টিভির নোয়াখালী প্রতিনিধি আবদুর রহিম বাবুল।
বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) : উপজেলা সদরের ধোপাপাড়ার সাতটি বসতঘর, অদ্বৈতানন্দ আশ্রম, লোকনাথ আশ্রম ও ১৮টি দোকানঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নাপোড়া জলদাসপাড়া কালীবাড়িসহ চার শতাধিক দোকানঘর লুটপাট ও ভাঙচুর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার জামায়াত-শিবিরের হামলায় নিহত দয়াল হরি শীলের মেয়ে স্বপ্না শীল বলেন, 'আমার বাবাকে সন্ত্রাসীরা জোর করে তুলে নিয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মারে। এ সময় হামলাকারীরা উল্লাস করছিল। এখনো আমরা আতঙ্কে আছি।'
লক্ষ্মীপুর : বৃহস্পতিবার জেলার রায়পুর উপজেলার গাইয়ার চরে হরি গুরু জিউ মন্দির ও রামগতি উপজেলার স্থানীয় ব্যবসায়ী মৃণাল কান্তির বসতঘর জ্বালিয়ে দেয় জামায়াত-শিবির ক্যাডারা। রামগঞ্জ, কমলনগরসহ অন্যান্য এলাকায়ও হিন্দুদের কয়েকটি বাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও মন্দির পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ বাজারে বিক্ষোভ প্রদর্শনের নামে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা তিনটি সোনার দোকান ও একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ভাঙচুর এবং মালামাল লুট করে। এ সময় বাজারের অরুণ শিল্পালয়, বিশ্বকর্মা শিল্পালয়, অপর্ণা শিল্পালয় ও বেঙ্গল স্টোরে ভাঙচুর এবং স্বর্ণালংকার, টাকাসহ কোটি টাকার মালামাল লুট করা হয়।
জয়পুরহাট : রায়ের পর আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরেও হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। কেন্দুল বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সমর্থকদের চাটিসহ মাধাইনগর বাজারের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অন্তত ১৭টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালামাল লুট করে সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। পাঁচবিবির কুশুম্বা ইউনিয়নে অরুণ কবিরাজ, মনোরঞ্জন ও বিদ্যুৎ কবিরাজের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
কক্সবাজার : বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল করে এসে জড়ো হয় উপজেলা সদরে। এরপর মধ্যরাত পর্যন্ত বিভিন্ন স্থাপনার পাশাপাশি উপজেলার বড়ঘোপের সংখ্যালঘুদের জলদাশপাড়ায়ও তারা হামলা চালায় এবং তিনটি মন্দিরসহ বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ করে।
কুতুবদিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুচ্ছফা কালের কণ্ঠকে বলেন, জামায়াতের সংসদ সদস্য হামিদুর রহমান আজাদের গ্রামের বাড়ি উত্তর ধুরুং এলাকা থেকে কয়েক হাজার দলীয় কর্মী এসে এ হামলা চালায়। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর (আরডিসি) মো. নায়েরুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার রাতের তাণ্ডবের পর গতকাল বিকেলেও জামায়াত-শিবিরকর্মীরা জড়ো হয়ে হামলার চেষ্টা করে। তবে পুলিশ তা ভণ্ডুল করে দেয়।
চকরিয়া : জুমার নামাজের পর চকরিয়া পৌর শহরে বেশ কয়েকটি মসজিদ থেকে সাঈদী মুক্তি পরিষদের ব্যানারে জামায়াত-শিবির মিছিল বের করে। মিছিলে যোগ দেয় বিএনপিও। মিছিলে 'নারায়ে তাকবির- আল্লাহু আকবর'-এর সঙ্গে 'পাকিস্তান জিন্দাবাদ' ধ্বনিও শোনা যায়। চিরিঙ্গা বাসস্টেশনে তাদের সঙ্গে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকেও মিছিল নিয়ে আরো অনেকে যোগ দেয়। চকরিয়া উপজেলার লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা নুর মোহাম্মদ মানিক এবং কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা শরিফুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বেও পৃথক মিছিল এখানে যোগ দেয়। বিকেলে মিছিলকারীরা তাণ্ডব সৃষ্টির চেষ্টা করে। তারা স্থানীয় বায়তুশ শরফ মসজিদসংলগ্ন সংখ্যালঘু পাড়ায় হামলার চেষ্টা করলে বিজিবি কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনার পর বিকেল ৪টার দিকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চকরিয়া পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ ৮০০ জনকে আসামি করে তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে। (কালের কণ্ঠের স্থানীয় প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি)
কালের কন্ঠ

--
 
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ,নিউ ইংল্যান্ড,বস্টন
--
 
---
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "Americanbangladeshi" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to americanbangladeshi+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/groups/opt_out.
 
 

--
 
---
You received this message because you are subscribed to the Google Groups "Americanbangladeshi" group.
To unsubscribe from this group and stop receiving emails from it, send an email to americanbangladeshi+unsubscribe@googlegroups.com.
For more options, visit https://groups.google.com/groups/opt_out.
 
 



--
"All great truths begin as blasphemies." GBS

__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___