মনিরামপুরে
মাইকে ডাকাত ঘোষণা দিয়ে পুলিশের ওপর জামায়াত-শিবিরের হামলা : নিহত ১
গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
যশোর অফিস ও প্রতিনিধি মনিরামপুর
যশোরের মনিরামপুর উপজেলার জয়পুর গ্রামে জামায়াত-শিবির কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও গুলিবিদ্ধসহ আরও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। নিহত জামায়াত কর্মী আনিসুর রহমান (৩২) জয়পুর গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে। গতকাল শুক্রবার ভোরে উপজেলা জামায়াতের আমিরকে ধরতে গিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষকালে পুলিশ ২০ রাউন্ড চাইনিজ রাইফেল ও ১৫৭ রাউন্ড শর্টগানের গুলিবর্ষণের কথা নিশ্চিত করেছে।
এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িতে অগি্নসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে। একইসঙ্গে সকাল ৭টা থেকে যশোর-মনিরামপুর সড়কও অবরোধ করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এ পরিস্থিতিতে মনিরামপুরে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) সৈয়দ মোস্তফা কামাল জানান, জয়পুর গ্রামে আসামি ধরতে গেলে জামায়াত শিবির কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় অন্তত ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। এতে একজন নিহত ও আরও ১০ জন আহত হয়েছেন।
মনিরামপুর থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) হাফিজুর রহমান জানান, গতকাল শুক্রবার ভোরে মনিরামপুর থানা পুলিশ ও যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ জয়পুর গ্রামে অভিযান চালায়। বিভিন্ন সময়ে এ এলাকায় জামায়াত-শিবিরের হামলা সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামিদের গ্রেফতারের জন্য এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৫ জনকে আটকও করা হয়। কিন্তু এর পরপরই জামায়াত-শিবির কর্মীরা মসজিদের মাইকে ঘোষণা করে গ্রামে ডাকাত এসেছে। এ প্রচারে লোকজন ঘরের বাইরে এসে পুলিশদলকে ঘিরে ফেলে এবং পুলিশের ওপর বেপরোয়া হামলা চালায়। তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের গাড়ি ঘেরাও করে ভাঙচুর ও বেধড়ক মারপিট শুরু করে।
এতে উপ পরিদর্শক (এসআই) শঙ্কর চন্দ্র, কনস্টেবল মনিরুল, মোশাররফ, তন্ময়সহ ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন। এক পর্যায়ে পুলিশ শর্টগানের গুলিবর্ষণ শুরু করলে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
এতে জামায়াত-শিবিরের কর্মীসহ ১০ গ্রামবাসী আহত হন। এরা হলেন, জয়পুর গ্রামের কাউসার আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন (২৮), মতিয়ার রহমানের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৫), মোহাম্মদ আলীর ছেলে রফিকুল (৩৫), ইউনুসের ছেলে আলী (৪৫), আবদুর রাজ্জাকের ছেলে সবুজ (২৮), ইবাদত হোসেনের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন (৫৫), নূর ইসলামের স্ত্রী জোহরা বেগম (৪২), কাদের মোল্লার ছেলে আমজাদ (৪২), মশিয়ার রহমানের ছেলে এনামুল (১৮) ও ফরহাদ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪২)। আহতদের যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষকালে পুলিশ ২০ রাউন্ড চাইনিজ রাইফেল ও ১৫৭ রাউন্ড শর্টগানের গুলিবর্ষণের কথা নিশ্চিত করেছে।
এ ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িতে অগি্নসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে। একইসঙ্গে সকাল ৭টা থেকে যশোর-মনিরামপুর সড়কও অবরোধ করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এ পরিস্থিতিতে মনিরামপুরে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) সৈয়দ মোস্তফা কামাল জানান, জয়পুর গ্রামে আসামি ধরতে গেলে জামায়াত শিবির কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এ সময় অন্তত ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। এতে একজন নিহত ও আরও ১০ জন আহত হয়েছেন।
মনিরামপুর থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) হাফিজুর রহমান জানান, গতকাল শুক্রবার ভোরে মনিরামপুর থানা পুলিশ ও যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ জয়পুর গ্রামে অভিযান চালায়। বিভিন্ন সময়ে এ এলাকায় জামায়াত-শিবিরের হামলা সংঘর্ষের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামিদের গ্রেফতারের জন্য এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় ৫ জনকে আটকও করা হয়। কিন্তু এর পরপরই জামায়াত-শিবির কর্মীরা মসজিদের মাইকে ঘোষণা করে গ্রামে ডাকাত এসেছে। এ প্রচারে লোকজন ঘরের বাইরে এসে পুলিশদলকে ঘিরে ফেলে এবং পুলিশের ওপর বেপরোয়া হামলা চালায়। তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশের গাড়ি ঘেরাও করে ভাঙচুর ও বেধড়ক মারপিট শুরু করে।
এতে উপ পরিদর্শক (এসআই) শঙ্কর চন্দ্র, কনস্টেবল মনিরুল, মোশাররফ, তন্ময়সহ ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন। এক পর্যায়ে পুলিশ শর্টগানের গুলিবর্ষণ শুরু করলে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
এতে জামায়াত-শিবিরের কর্মীসহ ১০ গ্রামবাসী আহত হন। এরা হলেন, জয়পুর গ্রামের কাউসার আলীর ছেলে আলমগীর হোসেন (২৮), মতিয়ার রহমানের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৫), মোহাম্মদ আলীর ছেলে রফিকুল (৩৫), ইউনুসের ছেলে আলী (৪৫), আবদুর রাজ্জাকের ছেলে সবুজ (২৮), ইবাদত হোসেনের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন (৫৫), নূর ইসলামের স্ত্রী জোহরা বেগম (৪২), কাদের মোল্লার ছেলে আমজাদ (৪২), মশিয়ার রহমানের ছেলে এনামুল (১৮) ও ফরহাদ আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪২)। আহতদের যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ নিহত আনিছুরের লাশ উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সংঘর্ষের পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে গেলে জয়পুর গ্রামের অন্তত ২০ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এ সময় তারা বাড়িগুলোতে লুটপাটও চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া সকালে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কও অবরোধ করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। পরে র্যাব, বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।
মনিরামপুর থানার এসআই শরিফুল জানান, সংঘর্ষে পুলিশ ২০ রাউন্ড চাইনিজ রাইফেল ও ১৫৭ রাউন্ড শর্টগানের গুলিবর্ষণ করেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মনিরামপুরে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবির টহল দিচ্ছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত।
যশোরে নাশকতা পরিকল্পনার
অভিযোগে সহকারী সেটেলমেন্ট
কর্মকর্তা আটক
যশোর অফিস
যশোরে নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে বায়েজিত মোস্তফা নামে এক সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক বায়েজিত মোস্তফা যশোরের শার্শা উপজেলার শালকোনা গ্রামের আমানত বিশ্বাসের ছেলে ও খুলনার রূপসা উপজেলার সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার রাতে যশোর শহরের খোলাডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে আটকের পর গতকাল শুক্রবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি গোলাম রহমান জানান, বায়েজিত মোস্তফার খোলাডাঙ্গা এলাকায় একটি বাড়ি রয়েছে। ওই বাড়িতে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের আশ্রয় দিয়ে নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে। রাতে আটকের পর গতকাল তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
সংঘর্ষের পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে গেলে জয়পুর গ্রামের অন্তত ২০ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এ সময় তারা বাড়িগুলোতে লুটপাটও চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া সকালে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কও অবরোধ করে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। পরে র্যাব, বিজিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়।
মনিরামপুর থানার এসআই শরিফুল জানান, সংঘর্ষে পুলিশ ২০ রাউন্ড চাইনিজ রাইফেল ও ১৫৭ রাউন্ড শর্টগানের গুলিবর্ষণ করেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মনিরামপুরে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবির টহল দিচ্ছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত।
যশোরে নাশকতা পরিকল্পনার
অভিযোগে সহকারী সেটেলমেন্ট
কর্মকর্তা আটক
যশোর অফিস
যশোরে নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে বায়েজিত মোস্তফা নামে এক সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আটক বায়েজিত মোস্তফা যশোরের শার্শা উপজেলার শালকোনা গ্রামের আমানত বিশ্বাসের ছেলে ও খুলনার রূপসা উপজেলার সহকারী সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার রাতে যশোর শহরের খোলাডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে আটকের পর গতকাল শুক্রবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি গোলাম রহমান জানান, বায়েজিত মোস্তফার খোলাডাঙ্গা এলাকায় একটি বাড়ি রয়েছে। ওই বাড়িতে জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের আশ্রয় দিয়ে নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে। রাতে আটকের পর গতকাল তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
দেশজুড়ে জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবপতাকা দেখে বাড়ি চিনে মামুনকে হত্যাhttp://www.kalerkantho.com/index.php?view=details&type=gold&data=news&pub_no=1176&cat_id=1&menu_id=13&news_type_id=1&index=4#.UTpPqtZHm28
৪ মাসে নিহত ৭, আহত ৫৬৯
হামলা ঠেকাতে গিয়ে মার খাচ্ছে পুলিশ
বিশেষ প্রতিনিধি | তারিখ: ০৭-০৩-২০১৩
জামায়াত-শিবিরের হামলা ঠেকাতে গিয়ে গত চার মাসে পুলিশের সাতজন সদস্য নিহত এবং ৫৬৯ জন আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের ব্যবহূত ৫২টি যানবাহন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। দেশব্যাপী এ হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞ নিয়ে উদ্বিগ্ন পুলিশ প্রশাসন। ..........
Details at:
http://prothom-alo.com/detail/date/2013-03-07/news/334495
ধ্বংসস্তূপে খাওয়া দাওয়া রাতযাপন
বারুদ ছিটিয়ে আগুন নিমেষেই সব শেষ
মাহবুবুর রহমান, নোয়াখালী | তারিখ: ০৭-০৩-২০১৩
জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব : শহরে বেরিয়ে স্তম্ভিত বগুড়াবাসী
শরিফুল হাসান, মিলন রহমান ও আনোয়ার পারভেজ, বগুড়া থেকে | তারিখ: ০৭-০৩-২০১৩
__._,_.___