They have taken my advice .
It will be a big slap on the face of JAMAAT-HEFAJOT !!
শাপলা চত্বরে ২৭ এপ্রিল গার্মেন্টস শ্রমিক মহাসমাবেশ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা কর্মসূচীর প্রতিবাদে ২৭ এপ্রিল মতিঝিল শাপলা চত্বরে বেলা দু'টায় গার্মেন্টস শ্রমিক মহাসমাবেশ সফলের আহ্বান জানিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক রক্ষা আন্দোলন। মহাসমাবেশ সফলের লক্ষ্যে শুক্রবার গার্মেন্টস শ্রমিক রক্ষা আন্দোলনের এক প্রতিনিধি সভায় শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এই আহ্বান জানান।
রাজধানীর তোপখানা রোডে প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন গার্মেন্টস শ্রমিক নেত্রী লিমা ফেরদৌস। সভায় বক্তব্য রাখেন জাহানারা বেগম, সাথী আক্তার, ফেরদৌসী বেগম, শামীমা নাসরিন, নাজমা বেগম, শামীমা শিরীন, আবুল হোসাইন, বদরুদ্দোজা নিজাম, সিরাজুল ইসলাম রনি, নুরুল ইসলাম, বাহারানে সুলতান বাহার, রুহুল আমিন, মঈনউদ্দিন ম-ল, আলমগীর রনি, মাহাতাবউদ্দিন শহীদ, শহিদুল্লাহ বাদল ও রফিকুল ইসলাম সুজন।
সভায় বলা হয়, গার্মেন্টস শ্রমিকের জীবন-জীবিকা ও গার্মেন্টস শিল্প তথা জাতীয় অর্থনীতি ধ্বংসের কার্যক্রম বন্ধ, মৌলবাদ-জঙ্গীবাদ তথা ধর্মের নামে রাজনীতি বন্ধ করা, নারী সাংবাদিকদের ওপর হামলা, নারীনীতি ও শিক্ষানীতি বাতিলের অযৌক্তিক দাবি প্রত্যাহার তথা নারীদের ঘরে বন্দী করার সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার দাবিতে মতিঝিল শাপলা চত্বরে গার্মেন্টস শ্রমিক এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ মহাসমাবেশ সর্বাত্মক সফল করার জন্য গার্মেন্টস শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সভায় শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ চলছে তখন জামায়াত-শিবির দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। তারা দেশে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সম্প্রতি ইসলাম ধর্মকে হেফাজতের নামে 'হেফাজতে ইসলাম' নামক সংগঠনটিকে দিয়ে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। 'হেফাজতে ইসলাম' ইসলামের হেফাজতের নামে তারা দেশের সংবিধান ও মানবাধিকার পরিপন্থী বক্তব্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণœ করছে। কিন্তু দেশের স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষ তাদের এই ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না। বিশেষ করে এ দেশের শ্রমজীবী নারীরা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করবে। আর এ লক্ষ্যেই আগামী ২৭ এপ্রিল মতিঝিলে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মহাসমাবেশ হবে। সভায় সেদিন কারখানা বন্ধ করে গার্মেন্টস শ্রমিকদের এই মহাসমাবেশে দলে দলে যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
মহাসমাবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি শ্রমিক নেতা আবুল হোসাইন জনকণ্ঠকে বলেন, হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা অগ্রহণযোগ্য। বিশেষ করে তারা নারীদের বিষয়ে যে দাবি তুলেছে, তা বাস্তবায়িত হলে নারীদের স্বাধীনভাবে জীবিকা অর্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। আর দেশের ৩০ লাখ নারী কাজ করেন গার্মেন্টসে। হেফাজতের দাবি গার্মেন্টস শিল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সে কারণে গার্মেন্টস শ্রমিক মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি গার্মেন্টস শ্রমিকদের প্রতি মহাসমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, হেফাজতে ইসলাম নামক সংগঠনের পক্ষ থেকে ১৩ দফা কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। ১৩ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ৬ এপ্রিল মতিঝিলে লংমার্চ শেষে সমাবেশ করেছে তারা। একই দাবিতে আগামী ৫ মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচী পালন করবে সংগঠনটি। হেফাজতের ৪ নম্বর দফায় 'ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বলনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা'র কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের ৫ দফায় ইসলামবিরোধী নারীনীতি বন্ধের কথা বলেছে। বর্তমান যে নারীনীতি দেশে প্রচলিত আছে তার বিরোধিতা করছে হেফাজত। তাদের ঘোষিত ১৩ দফা বাস্তবায়িত হলে নারীরা পুরুষের পাশাপাশি কাজ করতে পারবে না। গার্মেন্টসে কর্মরত নারী শ্রমিকরা হেফাজতের দাবিকে 'নারীকে ঘরে বন্দীর ষড়যন্ত্র' হিসেবে দেখছেন। সে কারণে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
রাজধানীর তোপখানা রোডে প্রতিনিধি সভায় সভাপতিত্ব করেন গার্মেন্টস শ্রমিক নেত্রী লিমা ফেরদৌস। সভায় বক্তব্য রাখেন জাহানারা বেগম, সাথী আক্তার, ফেরদৌসী বেগম, শামীমা নাসরিন, নাজমা বেগম, শামীমা শিরীন, আবুল হোসাইন, বদরুদ্দোজা নিজাম, সিরাজুল ইসলাম রনি, নুরুল ইসলাম, বাহারানে সুলতান বাহার, রুহুল আমিন, মঈনউদ্দিন ম-ল, আলমগীর রনি, মাহাতাবউদ্দিন শহীদ, শহিদুল্লাহ বাদল ও রফিকুল ইসলাম সুজন।
সভায় বলা হয়, গার্মেন্টস শ্রমিকের জীবন-জীবিকা ও গার্মেন্টস শিল্প তথা জাতীয় অর্থনীতি ধ্বংসের কার্যক্রম বন্ধ, মৌলবাদ-জঙ্গীবাদ তথা ধর্মের নামে রাজনীতি বন্ধ করা, নারী সাংবাদিকদের ওপর হামলা, নারীনীতি ও শিক্ষানীতি বাতিলের অযৌক্তিক দাবি প্রত্যাহার তথা নারীদের ঘরে বন্দী করার সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার দাবিতে মতিঝিল শাপলা চত্বরে গার্মেন্টস শ্রমিক এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ মহাসমাবেশ সর্বাত্মক সফল করার জন্য গার্মেন্টস শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
সভায় শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ চলছে তখন জামায়াত-শিবির দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। তারা দেশে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাজ বানচাল করার ষড়যন্ত্র করছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সম্প্রতি ইসলাম ধর্মকে হেফাজতের নামে 'হেফাজতে ইসলাম' নামক সংগঠনটিকে দিয়ে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। 'হেফাজতে ইসলাম' ইসলামের হেফাজতের নামে তারা দেশের সংবিধান ও মানবাধিকার পরিপন্থী বক্তব্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণœ করছে। কিন্তু দেশের স্বাধীনতাপ্রিয় মানুষ তাদের এই ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না। বিশেষ করে এ দেশের শ্রমজীবী নারীরা এর বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করবে। আর এ লক্ষ্যেই আগামী ২৭ এপ্রিল মতিঝিলে গার্মেন্টস শ্রমিকদের মহাসমাবেশ হবে। সভায় সেদিন কারখানা বন্ধ করে গার্মেন্টস শ্রমিকদের এই মহাসমাবেশে দলে দলে যোগ দেয়ার আহ্বান জানানো হয়।
মহাসমাবেশের বিষয়ে জানতে চাইলে টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি শ্রমিক নেতা আবুল হোসাইন জনকণ্ঠকে বলেন, হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা অগ্রহণযোগ্য। বিশেষ করে তারা নারীদের বিষয়ে যে দাবি তুলেছে, তা বাস্তবায়িত হলে নারীদের স্বাধীনভাবে জীবিকা অর্জনের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। আর দেশের ৩০ লাখ নারী কাজ করেন গার্মেন্টসে। হেফাজতের দাবি গার্মেন্টস শিল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সে কারণে গার্মেন্টস শ্রমিক মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। তিনি গার্মেন্টস শ্রমিকদের প্রতি মহাসমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, হেফাজতে ইসলাম নামক সংগঠনের পক্ষ থেকে ১৩ দফা কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। ১৩ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ৬ এপ্রিল মতিঝিলে লংমার্চ শেষে সমাবেশ করেছে তারা। একই দাবিতে আগামী ৫ মে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচী পালন করবে সংগঠনটি। হেফাজতের ৪ নম্বর দফায় 'ব্যক্তি ও বাকস্বাধীনতার নামে সব বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে নারী-পুরুষের অবাধ বিচরণ, মোমবাতি প্রজ্বলনসহ সব বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুপ্রবেশ বন্ধ করা'র কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের ৫ দফায় ইসলামবিরোধী নারীনীতি বন্ধের কথা বলেছে। বর্তমান যে নারীনীতি দেশে প্রচলিত আছে তার বিরোধিতা করছে হেফাজত। তাদের ঘোষিত ১৩ দফা বাস্তবায়িত হলে নারীরা পুরুষের পাশাপাশি কাজ করতে পারবে না। গার্মেন্টসে কর্মরত নারী শ্রমিকরা হেফাজতের দাবিকে 'নারীকে ঘরে বন্দীর ষড়যন্ত্র' হিসেবে দেখছেন। সে কারণে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে গার্মেন্টস শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
__._,_.___