Banner Advertiser

Friday, April 19, 2013

[mukto-mona] মাহমুদুর পবিত্র কাবা শরীফের ক্ষমাহীন অসম্মান করেছেন



 

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০১৩, ৭ বৈশাখ ১৪২০
মাহমুদুর পবিত্র কাবা শরীফের ক্ষমাহীন অসম্মান করেছেন
মুহম্মদ শফিকুর রহমান
অবশেষে সরকার দৈনিক আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে এবং তাঁর পত্রিকার ছাপাখানায় তালা লাগিয়ে দিয়েছে। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, আমার দেশ কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে অন্য প্রেস থেকে ছাপতে পারবেন।
অবশ্য মাহমুদুরকে সেদিনই গ্রেফতার করা উচিত ছিল, যেদিন তিনি পবিত্র কাবা শরীফের গিলাপের ছবি বিকৃত করে পত্রিকায় ছেপে বলেছেন, কাবা শরীফের ইমামগণ যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বা দেইল্লা রাজাকারের সৎ চরিত্রের সাক্ষ্য দিচ্ছেন কিংবা পবিত্র কাবার খতিবের নেতৃত্বে মানববন্ধন করে বাংলাদেশের চলমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন।
এ ধরনের একটি মিথ্যা, বানোয়াট এবং বিকৃতি পবিত্র কাবা শরীফকে নিয়ে করা হলো, বাংলাদেশের আলেম সমাজ, বিশেষ করে হেফাজতী আলেমরা এর বিরুদ্ধে কোন মন্তব্যও করলেন না। বরং যে মাহমুদুর একটি ওয়েবসাইট থেকে নিয়ে কাবা শরীফের এমন অমর্যাদা-অপমান করলেন হেফাজতীরা তারই মুক্তি দাবি করলেন। এঁরা কথায় কথায় একে 'নষ্ট' ওকে 'নাস্তিক' ওকে মুরতাদ' বলে চলেছেন। সমাজে এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করে চলেছেন। মূলত বিএনপি-জামাত-হেফাজত এই মাহমুদুর, খালেদা জিয়া, নিজামী, গোলাম আযম, সাঈদী, সাকা চৌধুরী কিংবা তাদের পত্রিকা, সবই আজ নাশকতার মাধ্যমে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছে। এদের টার্গেট হলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়া থেকে ছাড়িয়ে নেয়া। খালেদা জিয়ার দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত সন্তানদের বিদেশে পলাতক জীবন থেকে ফিরিয়ে আনা। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হলো এতদিন জানতাম দেশের কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক আলেমরা জামায়াতকে দেখতে পারতেন না। জামায়াতে ইসলামীকে ইসলামী দল বলেও মানতেন না, সেই আলেমদেরই একটি অংশ আজ জামায়াতীদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।
আরেক শ্রেণীর মানুষ আছেন যাঁরা ধোলাই করা সাদা কাপড় পরেন, লেখাপড়ার ভড়ং আছে কিংবা বুদ্ধিজীবীর নামাবলি গায়ে দিয়ে সমাজে বিচরণ করেন। কোন কোন ক্ষেত্রে দাপটের সঙ্গেই করেন, তাদের মুখোশও মাহমুদুরের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে উন্মোচিত হয়ে গেল। এই শ্রেণীর মানুষের মন যেমন কাদায় ভরা তেমনি এদের তথাকথিত সুন্দর চেহারার আড়ালেও বসবাস করে কুৎসিত সব হায়েনার দল। এদের ভদ্রবেশী চেহারাটাও মাহমুদুরের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে উন্মোচিত হয়ে গেল। এঁরা মাহমুদুরের গ্রেফতারের নিন্দা করছেন, কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর থেকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে সংখ্যালঘু হিন্দু-বৌদ্ধদের বাড়িঘর-মন্দির ভাঙ্গা হলো, আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়া হলো, পুলিশের ওপর চোরাগোপ্তা হামলা করা হলো, পুলিশ হত্যা করা হলো, ওই তথাকথিত হেফাজতে ইসলাম বা সাদা কাপড় পরা তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা প্রতিবাদ করলেন না। বরং তাঁরাও বিএনপির মিথ্যার কারখানার প্রোডাক্টেড মতো বলতে থাকলেন 'ওসব আওয়ামী লীগের লোকেরা করেছে।' তাঁরা বলতে থাকলেন পুলিশই 'পাখির মতো গুলি' করে মানুষ হত্যা করছে। বিশ্লেষণে বলা যায় হেফাজতের ওই অংশটি পবিত্র কাবা শরীফের অবমাননাকারীর পক্ষে দাঁড়িয়ে প্রমাণ করলেন তাঁরা ইসলামের হেফাজত করছেন না, করছেন জামায়াত-শিবির এবং ভ-দের হেফাজত।
পবিত্র কাবা শরীফের একটি ঘটনাকে বিকৃত করে যে ওয়েবসাইট বা যেসব পত্রিকা খবর ছেপেছে তাঁরা তাকে অপরাধ মনে করেন কি না জানি না,তবে তাতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আহত করেছে। বিস্মিত করেছে। সৌদি আরবের বাদশাহ পদাধিকারবলে পবিত্র কাবা শরীফ এবং মদিনা মুনাওয়ারা বা মসজিদে নববী (স)- এই দুই পবিত্র মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণকারী (পধংঃড়ফরধহ ড়ভ ঃড়ি যড়ষু সড়ংয়ঁব)। সৌদি বাদশাহ প্রতিবছর কাবা শরীফের গিলাফ পাল্টে দেন। সাধারণত হজের আগে আনুষ্ঠানিকভাবে গিলাফ পাল্টানো হয়। গত বছর এমনি গিলাফ পরিবর্তনের সময় ইমামগণের গিলাফ ধরা একটি ছবি ওয়েবসাইটে রিলিজ করা হয়। এই ছবি বিকৃত করে যুদ্ধাপরাধী জামায়াত-শিবির তাদের ওয়েবসাইটে লেখেÑ "বাংলাদেশে 'আওয়ামী কুকুরগুলো' যেখানে মাওলানা সাঈদীর চরিত্রে কালিমা দেয়ার জন্য মরিয়া! সেখানে মাওলানা সাঈদীর সৎ চরিত্রের সাক্ষ্য দিচ্ছেন পবিত্র কাবার ইমাম।" ফেসবুকের এই কুৎসিত লেখাটি যে মিথ্যা তা পাঠকের সামনে তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশের ইংরেজী ঞযব উধরষু ঝঃধৎ পত্রিকা ১৭ মার্চ সংখ্যায় প্রধান সংবাদ হিসেবে একাধিক প্রতিবেদনে প্রতিটির ওপর লাল কালিতে 'খওঊ' দখওঊ' লিখে পরিবেশন করেছে :
"পবিত্র কাবার গিলাফ পরিবর্তন একটি ট্রাডিশন এবং প্রতিবছর তা আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবর্তন হয়ে আসছে। গত বছর অক্টোবর মাসে এমনি আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে ভাবগাম্ভীর্যেওর মধ্যে পবিত্র কাবা শরীফের গিলাফ পাল্টে দেয়া হয়, যার একটি ছবি অনলাইনে রিলিজ করা হয় বিশ্বব্যাপী। ছবিতে দেখা যাচ্ছে নতুন গিলাফ হাতে পবিত্র কাবার ইমামগণ দাঁড়িয়ে।" একটি বাংলা ওয়েবসাইট এই ছবি বিকৃত করে এমন মিথ্যা বানোয়াট জঘন্য ক্যাপশন দেয় যে, "পবিত্র কাবা শরীফের ইমামগণ সাঈদীর সৎ চরিত্রের সাক্ষ্য দিচ্ছেন ঞযব রসধস ড়ভ যড়ষু শধধনধ যবৎব াধঁপযবং ভড়ৎ ঝধুবফবব'ং মড়ড়ফ পযধৎধপঃবৎ)" লেখাটি পড়ে বেশ আগের একটি সেøাগান মনে পড়লÑ যখন এরশাদের নারী কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রতিদিন মুখরোচক খবর ছাপা হচ্ছিল তখন 'এরশাদের চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র' এই সেøøাগানটি খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
এই ছবি আবার অন্যভাবে বিকৃত করে একই ওয়েবে ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ আরেকটি মিথ্যা মেসেস দেয়া তাদের উদ্দেশ্য। এবার ছবির ক্যাপশন দেয়া হয়েছেÑ 'পবিত্র কাবা শরীফের খতিবের নেতৃত্বে একটি মানববন্ধন থেকে বাংলাদেশের চলমান যুদ্ধাপরাধের বিচারানুষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। (অ ঐঁসধহ ঈযধরহ নফ নু কধনরঃ ড়ভ যড়ষু কধধনধ চৎড়ঃবংঃব ঃযব ধিৎ ঈৎরসবং ঃৎরধষ রহ ঢ়ৎধহমরধফবংয)
দ্য ডেইলি স্টারকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি যে, তারা এসব ক্যাপশনের ওপর লাল কালিতে দখওঊ' দখওঊ' দখওঊ' লিখে তবেই ছেপেছে এবং আমরা বাংলাদেশের তাবত জনগণ ওই মিথ্যাটি জানতে পারলাম আমাদের সামনে সত্য 'সত্য' এবং মিথ্যা 'মিথ্যা' হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলো। কেননা আগে বিএনপি-জামায়াত-শিবিরপন্থী কয়েকটি পত্রিকা এই ছবি ও ক্যাপশনকে 'সত্য' ঘটনা হিসেবে ছেপেছে। যদ্দুর শুনেছি পত্রিকাগুলো হলো রাজাকার মাওলানা মান্নানের পুত্রের সম্পাদনায় দৈনিক ইনকিলাব (শুনেছি তারা নাকি পরে ক্ষমা চেয়েছে), জামায়াতের মুখপত্র দৈনিক 'সংগ্রাম'। দ্য ডেইলি স্টার ওইসব ভ- ইসলামিস্টদের মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছে। একজন মুসলমানও কি আছে যে বিশ্বাস করতে পারে পবিত্র কাবা শরীফের ইমামগণ কোন এক ব্যক্তির জন্য মানববন্ধন করছেন? (নাউজুবিল্লাহ) না, পারেন না। এই মাহমুদুর সেই মিথ্যাটাকেই সত্যি করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছিলেন।
কে এই দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী? স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত তার নাম ছিল দেলাওয়ার হোসেন শিকদার, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় নাম দেইল্লা রাজাকার। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ আইন ট্রাইব্যুনালের বিচারে তার ফাঁসির দ-াদেশ হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয় তার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানী হানাদার সামরিক জান্তার সহযোগী হিসেবে গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, লুটপাট, মানুষকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া, জ্বালিয়ে দেয়া ইত্যাদি। অথচ মাহমুদুর জামায়াত-শিবিরের মতো তাকে বাঁচানোর জন্য জঘন্য মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিলেন। বিষয়টি ঠিক এভাবেও বলা যায় যে, বহির্বিশ্বে বসবাসকারী জামায়াত-শিবির রাজাকার-আলবদররা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে যতখানি অপরাধ করছে মাহমুদুরও সমপর্যায়েরই অপরাধ করছেন।
অথচ এই মাহমুদুরের মুক্তি চেয়ে তথাকথিত পেশাজীবী পরিষদ (জামায়াত-শিবিরপন্থী) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় মানববন্ধন করে চলেছে। প্রায় প্রতিদিন। কাগজে দেখলাম এক সমাবেশে বক্তৃতা করছেন কবি ফরহাদ মজহার। এই ভদ্রলোককে আমি প্রথম দেখেছি স্বাধীনতার কাছাকাছি আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মহসীন হলে কবি ও লেখকদের আড্ডায়। আমার সঙ্গে তাঁর কোন রকম ঘনিষ্ঠতা না থাকলেও তাঁকে চিনি। ইদানীং তিনি সাদা লুঙ্গি সাদা শার্টের ওপর এ শতাধিক রঙের উত্তরীয় পরেন এবং মাথায় লম্বা চুল রেখে খোঁপা বাঁধেন। তাঁকে জানতাম বামপন্থী কবি ও লেখক বলে। অর্থাৎ কমিউনিস্ট বলে। তাঁর নাম জামায়াত-শিবির রাজাকার-আলবদরদের পেশাজীবী সমাবেশে দেখে আমি অবাক হয়েছি। তাও আবার মাহমুদুরের মতো এক মতলববাজ সম্পাদকের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে। এবং ইদানীং তাঁর কথাবার্তায় মনে হয়েছে তিনি বামপন্থা ছুড়ে ফেলে বিএনপির চেয়েও বড় বিএনপি এবং জামায়াতের চেয়েও বড় জামায়াতী হয়ে উঠেছেন। সেই পুরনো কথাÑ মাছের মাথা পচলে যেমন সারা অঙ্গ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ায়, তেমনি কমিউনিস্ট পচলেও সমাজ দুর্গন্ধময় হয়ে ওঠে। আরেক কবি আল মুজাহিদী। আমার অগ্রজ শ্রদ্ধেয় একজন মানুষ। সেই ইউনিভার্সিটিতে থাকাকাল থেকে কর্মজীবনে। দৈনিক ইত্তেফাকে আমরা এক সঙ্গে কাজ করেছি দীর্ঘদিন। তিনি যেমন আমার শ্রদ্ধার মানুষ তেমনি আমিও তার পছন্দের বলেই জানতাম। কিন্তু এই পছন্দের মানুষই যখন বলেন, 'মাহমুদুর রহমান বর্তমান বিশ্বের সাহসী সম্পাদকদের অন্যতম।' সম্প্রতি একটি টিভি টকশোতে মুজাহিদী ভাই কথাটি বলেছেন। আমার বলতে ইচ্ছে করে, আল মুজাহিদী ভাই 'সাহস' আর 'মতলববাজি' সমার্থক শব্দ নয় এবং আপনার অন্তত তা না জানার কথা নয়। ভাবছি, মানুষ সব সময় এক রকম থাকে না বা থাকতে পারে না। আরেক ভদ্রলোক এ্যাডভোকেট (বিলাতিও হতে পারে) অসীম, এক টকশোতে তাকে বলতে শুনলাম মাহমুদুর নাকি বাংলা সাংবাদিকতার ইতিহাসের কিংবদন্তি, মরহুম তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার 'সমতুল্য সম্পাদক।' এই ভদ্রলোক হলেন বেগম জিয়ার উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট অসীম। আমি জানি না, মানিক মিয়ার জীবদ্দশায় এই অসীমের জন্ম হয়েছিল কি না? আমার ধারণা হয়নি। এবং মানিক মিয়া সম্পর্কে তার ধারণা একেবারেই নেই। প্রশ্নটি হলো কার সঙ্গে কার তুলনা? যে লোকটি সাংবাদিকতা সম্পর্কে অ আ ক খ জানেন না, জ্ঞানও নেই, তাকে মানিক মিয়ার সঙ্গে তুলনা তারাই করতে পারে যারা মতলববাজ অথবা কোন কোয়ার্টার দ্বারা প্লানটেড। এই এ্যাডভোকেটের জোট ১৮ দলপন্থী আইনজীবীরা গত ১১ এপ্রিল সুপ্রীমকোর্ট অঙ্গনে সমাবেশ করে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে '৭৫-এর ১৫ আগস্টের ভয় যেমন দেখিয়েছেন তেমনি বলেছেন, "কুকুরের জন্য উপযুক্ত ওষুধ হচ্ছে মুগুর। শেখ হাসিনাকে এমন 'মুগুর' দিতে হবে, যাতে ঘেউ ঘেউ করে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়।" ছিঃ, (দৈনিক আমার দেশ, ১১ এপ্রিল ২০১৩)। দেখলাম ওই সমাবেশে বক্তৃতা করেছেন আরেক ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, এ্যাডভোকেট অসীমও ছিলেন। এইভাবে নোংরা ভাষায় দেশের প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা, যিনি আবার জাতির পিতার কন্যাই শুধু নন, দেশে-বিদেশে সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব, সেইসব লোকই করতে পারে যাদের কোন সম্মান নেই, অর্জন নেই, অর্জনের অহঙ্কার নেই। কতখানি নীচুস্তরের মানুষ হলে এমন ভাষা ব্যবহার করতে পারেন তা কেবল মাহমুদুর নয়, রফিক-অসীমদের দ্বারাই সম্ভব। পত্রিকা বা মিডিয়ার একটি নিজস্ব ভাষা আছে, যা আয়ত্ত করার জন্য যেমন মৌলিক লেখাপড়া লাগে তেমনি সুদীর্ঘকালের অনুশীলনেরও প্রয়োজন হয়। এ কারণেই মাহমুদুররা অযোগ্য থেকে যান এবং এই অযোগ্যতা ঢাকার জন্য আবোল-তাবোল বকতে থাকেন। কেউবা পাগলের মতো রাজপথে নানাভাবে নিজেকে উপস্থাপন করেন। প্রশ্ন হলো, তবে কি মাহমুদুর ফেসবুকের মিথ্যা কথা-ছবি এমনি এমনি ছেপেছেন? না, এমনি ছাপেননি। তার পেছনে উদ্দেশ্য রয়েছে। খালেদা জিয়া বা জামায়াতের স্বার্থে দেশব্যাপী অরাজকতা সৃষ্টিই তার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এই যেমন খালেদা জিয়া এবং হেফাজতের এক নেতা শাহবাগের তরুণ প্রজন্মকে 'নষ্ট' 'নাস্তিক' বলেছেন, আর তাকে সত্যে পরিণত করার জন্য দেশের অন্যতম খ্যাতনামা কথাশিল্পী হাসনাত আবদুল হাই একটি নোংরা গল্প লিখে দিলেন। যদিও পরবর্তীতে প্রকাশক প্রথম আলো ক্ষমাপ্রার্থনা করেছে এবং হাসনাত গল্পটি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। মাহমুদুর তারচেয়েও জঘন্য কাজ করেছেন। উত্তরা ষড়যন্ত্রের নায়ক এই ভদ্রলোক সুপ্রীমকোর্টের একজন বিচারপতির ভাষায় (সম্ভবত বিচারপতি খায়রুল হক) 'বাই চান্স এডিটর' হয়ে প্রথম দিন থেকেই (ষড়যন্ত্রে ব্যর্থ হয়ে) দেশে সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে চলেছেন। আরেকটি কথা এখানে অপ্রাসঙ্গিক হবে না যে, হেফাজতের যে অংশটি আজ বিএনপি-জামায়াত-মাহমুদুরকে সমর্থন দিচ্ছে, তাঁরা সত্যিকারভাবে ইসলামের হেফাজতকারী হলে অবশ্যই মসজিদ থেকে মাইকে প্রচার করে দাঙ্গা লাগানো বা হিন্দুদের বাড়িঘরে আগুন-আক্রমণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেন। তাঁরা জানাননি। তবে কি এই হেফাজতীরা একে জায়েজ মনে করেন? চাঁদে সাঈদীকে দেখা গেছে মসজিদের মাইকে রাত তিনটার দিকে এ কথা প্রচারের পর বগুড়ায় যে রক্তপাত ঘটে গেল, কই তার বিরুদ্ধেও বলতে শুনলাম না। পক্ষে-বিপক্ষে এতজন মানুষ মারা গেল তার কি তবে তাদের কাছে সঠিক কাজ হয়েছে? ফটিকছড়িতেও মাইকে ঘোষণা দিয়ে আওয়ামী লীগের মিছিলে হামলা করে কয়েকজনকে হত্যা ও শতাধিক গাড়ি পোড়ানোও কি তবে সঠিক? গতকাল শুক্রবারের (এপ্রিল ১৯, ২০১৩) ডেইলি স্টারে একটি শিরোনাম দেখলাম "অঃঃধপশ অখ ংরশব রহ ঋধঃরশপযধৎর।" সংবাদটি হয়েছে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ১৮ দলীয় জোটের সমাবেশ নিয়ে। সংবাদে বলা হয়েছে, "ফটিকছড়ির মতো আওয়ামী লীগের হরতালবিরোধীদের ওপর আক্রমণ চালাতে জোটের কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন (ঞড়ঢ় খবধফবৎং ড়ভ ঃযব ইঘচ-ষবফ ১৮ চধৎঃু ধষষরধহপব ুবংঃবৎফধু ধংশবফ রঃং ধপঃরারঃরবং ঃড় পধৎৎু ড়ঁঃ ঃযব "ভরবৎপবংঃ ধঃঃধপশং" ড়হ ধহঃর-যড়ৎঃধষ ষবধফবৎং ধহফ ধপঃরারংঃং ড়ভ ঃযব ৎঁষরহম অধিসর খবধমঁব ধং রহ ঋধঃরশপযধৎর ড়ভ ঈযরঃঃধমড়হম). দ্য ডেইলি স্টারের রিপোর্টে বলা হয়েছে এই নির্দেশটি দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা। তিনি ফটিকছড়িতে হামলাকারীদের সাহস দিয়েছেন, বলেছেন (ণড়ঁ (ধষষরধহপব সবহ) রিষষ যধাব ঃড় পধৎৎু ড়ঁঃ ভরবৎপবংঃ ধঃঃধপশং ধমধরহ ড়হ অধিসর খবধমঁব ষবধফবৎং ধহফ অপঃরারংঃং রভ ঃযবু নৎরহম ড়ঁঃ অহঃর-যড়ৎঃধষ চৎড়পবংংরড়হং ষরশব ঃযব ড়হব (নৎড়ঁমযঃ ড়ঁঃ) নু ঃযব ঢ়ধৎঃু'ং সড়ঃড়ৎপুপষরংঃ পধফবৎং....ণড়ঁ রিষষ যধাব ঃড় ফরংঃৎড়ু ঃযবস.)।" ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের মিছিলে যে সশস্ত্র হামলা হয় তাও হয় স্থানীয় মসজিদ থেকে মাইকে একটি মিথ্যা প্রচারের ওপর ভিত্তি করে 'মসজিদ আক্রান্ত হয়েছে' বলে। হামলায় তিনজনের মৃত্যু এবং শতাধিক গাড়ি ও মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল।
বস্তুত বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান মহাজোট সরকার গত ৪ বছর যেভাবে দেশের আর্থ-সামাজিক মানবসম্পদের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন, ক্ষেত্রবিশেষে ভারতকেও পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছেন; যেভাবে বিগত নির্বাচনের অঙ্গীকার অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধী বিচার করে চলেছেন কিংবা যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্মের উত্থান তথা দেশব্যাপী গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে, তাতে করে সাদেক খোকা এবং তাঁর নেত্রী বুঝতে পেরেছেন আগামী নির্বাচনেও তাঁদের ভরাডুবি হবে। এভাবে দুর্নীতিবাজ সন্তানদের বিদেশ থেকে আনা বা যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর দিবাস্বপ্নও দিনে দিনে ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে। তাই দেশব্যাপী অরাজকতা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে হচ্ছে। তাই তো দেখা যাচ্ছে, কখনও বলছেন সরকার ইমার্জেন্সি দিচ্ছেÑ অর্থাৎ তাঁরা চাচ্ছেন, সরকার চিন্তাও করছে না, আবার কখনও সেনাবাহিনীকে ডাকছেন, তাঁরাও আসছেন না, না করে দিয়েছেন। হেফাজতেরও মনে রাখা দরকারÑ 'স্বাধীনতার অন্তর্নিহিত শক্তি অপ্রতিরোধ্য এবং কালজয়ী।' 


ঢাকা, ১৯ এপ্রিল, ২০১৩
লেখক : ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক





__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___