গণতন্ত্রের ফটিকছড়ি মডেল!
20 April 2013, Saturday
গত বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনে ১৮-দলীয় জোটের সমাবেশটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হওয়ায় দেশবাসী শুকরিয়া আদায় করেছে। কেননা এই সমাবেশে কোনো অঘটন ঘটলে সেই অজুহাতে পুলিশ পাইকারিভাবে জোটের নেতা-কর্মীদের পাকড়াও করে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দিত। আর সেই পাকড়াওয়ের প্রতিবাদে আজ শনিবার না হলেও কাল রোববার সারা দেশে আরেকটি হরতালের গজব নেমে আসত।
শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হওয়ায় আমরা বিএনপিসহ ১৮-দলীয় নেতাদের শতকোটি মোবারকবাদ জানাই। মোবারকবাদ জানাই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বড় কর্তাদেরও। তাঁরা দুই পক্ষ মিলে একটি অনিবার্য সংঘাত থেকে দেশকে আপাতত মুক্তি দিয়েছেন। ধন্যবাদ জানাই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনকেও আলোচনার ব্যাপারে তাঁর যুক্তিপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরার জন্য।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিরোধী দলকে ধ্বংসাত্মক পথ পরিহার করে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এর জবাবে খন্দকার মোশাররফ বলেছেন, 'দলের নেতাদের জেলখানায় আটক রেখে কোনো আলোচনা হতে পারে না। আলোচনার আগে বিরোধী দলের আটক সব নেতাকে মুক্তি দিতে হবে।' খাঁটি কথা। শফিউল আলম প্রধানকে ছেড়ে দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বা মওদুদ আহমদকে জেলখানায় আটক রাখার কী যুক্তি থাকতে পারে? তিনজনের অতীত কর্মকাণ্ডের ইতিহাসটা দেখুন।
এই সমাবেশেই সভাপতির ভাষণে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা যেসব কথা বললেন, তাতে আক্কেলগুড়ুম। তিনি ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের হরতালবিরোধী মিছিলে হামলাকারীদের 'সংগ্রামী সালাম' জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'ফটিকছড়িতে যাঁরা প্রতিরোধ করেছেন তাঁরা সাহসী, দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলাকে এমন সাহসী হতে হবে।'
এটি কি আমরা সাদেক হোসেন খোকার কথা শুনছি, না জামায়াতের কোনো নেতার? কেননা ফটিকছড়িতে তাঁর ভাষায় 'সাহসী প্রতিরোধ' বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী গড়ে তোলেননি। তুলেছে শিবিরের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। ইতিমধ্যে তাদের ছবি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিও ফুটেজেও সেই নির্মম-নৃশংসতার ছবি দেখা গেছে। ফটিকছড়ির মতো 'প্রতিরোধ' গড়ে তোলার কাজটি বিএনপি কখনো পারবে না; জামায়াত-শিবিরের সাহায্য নিতে হবে।
খোকা আরও বলেছেন, 'কোথাও ১৮ দলের কর্মসূচি প্রতিহত করার চেষ্টা হলে সেখানেই আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে হবে।' শব্দ প্রয়োগটি লক্ষ করুন। প্রতিহত করার জবাবে প্রতিহত করা নয়, একেবারে ধ্বংস করে দেওয়া। আমরা এত দিন জানতাম, গণতন্ত্র হলো একসঙ্গে চলা, একসঙ্গে বসা এবং সবাই মিলে দেশ ও জনগণের কল্যাণ সাধন। কিন্তু এখন দেখছি, নেতারা প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করে গণতন্ত্র কায়েম করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
তাহলে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন, জাতীয় সংসদ ইত্যাদির প্রয়োজন কী? আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে বিএনপি গণতন্ত্র কায়েম করবে। আর বিএনপিকে ধ্বংস করে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। দুই পক্ষের ধ্বংসযজ্ঞে দেশ ও জনগণের অবস্থা খুবই শোচনীয়।
সাদেক হোসেন খোকা পুলিশকে বন্দুকের নল বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দিকে তাক না করে মাটির দিকে তাক করতে বলেছেন। খুবই কাজের কথা। স্বাধীন দেশে পুলিশ কেন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি গুলি তাক করবে? কিন্তু এরপরই তিনি যখন পুলিশকে আওয়ামী লীগের দিকে গুলি তাক করতে বলেন, তখন অবাক হই। তাহলে কি সাদেক হোসেন খোকারা ক্ষমতায় এসে এখন যে পুলিশ 'বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দিকে গুলি' তাক করে আছে, সেই পুলিশ তখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি গুলি তাক করার হুকুম দেবেন!
দেশে বহু বছর ধরেই গণতন্ত্রের নামে এই 'তাকতন্ত্র' চলছে। যে যেখানে পারছে, যাকে পারছে 'তাক' করছে। যার হাতে বন্দুক আছে সে গুলি 'তাক' করছে। যার হাতে বোমা আছে সে বোমা 'তাক' করছে। আর আমাদের মতো আম জনগণ, যাদের হাতে কিছুই নেই, তারা বসে বসে মার খাচ্ছে। কাফফারা দিচ্ছে।
সাদেক হোসেন খোকার এসব কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে, দুই দশকেরও বেশি ঢাকা নগর বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েও তিনি দলীয় কর্মীদের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না। এ কারণেই আন্দোলন গড়ে তুলতে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নির্বাচনী এলাকা এবং জামায়াত-শিবিরের শক্ত ঘাঁটি ফটিকছড়ির শরণাপন্ন হয়েছেন। সেখান থেকেই তিনি আন্দোলনের দীক্ষা নিয়ে তা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চান। কী ভয়ংকর কথা!
১১ এপ্রিল ফটিকছড়িতে কী ঘটেছিল? সেদিন ছিল সারা দেশে ইসলামী ছাত্রশিবিরের হরতাল। আর এই হরতালের মধ্যেই বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজিত নেতা পেয়ারুল ইসলাম মিছিল বের করেছিলেন নিজের সাংগঠনিক শক্তি দেখাতে। সেটি ছিল শান্তিপূর্ণ মিছিল। জোহরের নামাজের পর একটি মসজিদের মাইক থেকে 'আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে মসজিদে হামলা এবং পাশের মাদ্রাসার এক হুজুরকে তুলে নেওয়া হয়েছে' বলে ভিত্তিহীন প্রচারণা চালানো হয়। এর পরই জামায়াত-শিবিরের নেতৃত্বে চলে সশস্ত্র আক্রমণ। সেদিন ফটিকছড়িতে কোনো সংঘর্ষ হয়নি। কেউ হরতাল প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়নি। পূর্বপরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে।
এখন খোকা সাহেবেরা যদি সারা দেশে এই জিহাদি আক্রমণ ছড়িয়ে দেন, তাহলে মাটি থাকবে, মানুষ থাকবে না। এর আগে একই ধরনের ঘোষণা দিয়ে জামায়াত-শিবির বগুড়া ও জয়পুরহাটে পুলিশের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল।
সাদেক হোসেন খোকা ফটিকছড়ির মতো আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে বলেছেন। ও রকম 'সাহসী ও ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা' আন্দোলন নাকি আর কোথাও হয়নি। কখনো হয়নি। একাত্তরের রণাঙ্গনের এক যোদ্ধার উপযুক্ত কথাই বটে! আর আন্দোলন বা গণতন্ত্রের ফটিকছড়ি মডেল বাস্তবায়ন করতে হলে তো তাঁকে বিএনপির নেতৃত্ব ছেড়ে জামায়াত-শিবিরেই যোগ দিতে হবে। সেটি করতে তিনি প্রস্তুত আছেন কি?
সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
(সুত্র, প্রথম আলো, ২০/০৪/২০১৩)
শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হওয়ায় আমরা বিএনপিসহ ১৮-দলীয় নেতাদের শতকোটি মোবারকবাদ জানাই। মোবারকবাদ জানাই ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বড় কর্তাদেরও। তাঁরা দুই পক্ষ মিলে একটি অনিবার্য সংঘাত থেকে দেশকে আপাতত মুক্তি দিয়েছেন। ধন্যবাদ জানাই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনকেও আলোচনার ব্যাপারে তাঁর যুক্তিপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরার জন্য।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিরোধী দলকে ধ্বংসাত্মক পথ পরিহার করে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এর জবাবে খন্দকার মোশাররফ বলেছেন, 'দলের নেতাদের জেলখানায় আটক রেখে কোনো আলোচনা হতে পারে না। আলোচনার আগে বিরোধী দলের আটক সব নেতাকে মুক্তি দিতে হবে।' খাঁটি কথা। শফিউল আলম প্রধানকে ছেড়ে দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বা মওদুদ আহমদকে জেলখানায় আটক রাখার কী যুক্তি থাকতে পারে? তিনজনের অতীত কর্মকাণ্ডের ইতিহাসটা দেখুন।
এই সমাবেশেই সভাপতির ভাষণে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকা যেসব কথা বললেন, তাতে আক্কেলগুড়ুম। তিনি ফটিকছড়িতে আওয়ামী লীগের হরতালবিরোধী মিছিলে হামলাকারীদের 'সংগ্রামী সালাম' জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, 'ফটিকছড়িতে যাঁরা প্রতিরোধ করেছেন তাঁরা সাহসী, দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলাকে এমন সাহসী হতে হবে।'
এটি কি আমরা সাদেক হোসেন খোকার কথা শুনছি, না জামায়াতের কোনো নেতার? কেননা ফটিকছড়িতে তাঁর ভাষায় 'সাহসী প্রতিরোধ' বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী গড়ে তোলেননি। তুলেছে শিবিরের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। ইতিমধ্যে তাদের ছবি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ভিডিও ফুটেজেও সেই নির্মম-নৃশংসতার ছবি দেখা গেছে। ফটিকছড়ির মতো 'প্রতিরোধ' গড়ে তোলার কাজটি বিএনপি কখনো পারবে না; জামায়াত-শিবিরের সাহায্য নিতে হবে।
খোকা আরও বলেছেন, 'কোথাও ১৮ দলের কর্মসূচি প্রতিহত করার চেষ্টা হলে সেখানেই আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে হবে।' শব্দ প্রয়োগটি লক্ষ করুন। প্রতিহত করার জবাবে প্রতিহত করা নয়, একেবারে ধ্বংস করে দেওয়া। আমরা এত দিন জানতাম, গণতন্ত্র হলো একসঙ্গে চলা, একসঙ্গে বসা এবং সবাই মিলে দেশ ও জনগণের কল্যাণ সাধন। কিন্তু এখন দেখছি, নেতারা প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করে গণতন্ত্র কায়েম করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।
তাহলে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন, জাতীয় সংসদ ইত্যাদির প্রয়োজন কী? আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে বিএনপি গণতন্ত্র কায়েম করবে। আর বিএনপিকে ধ্বংস করে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। দুই পক্ষের ধ্বংসযজ্ঞে দেশ ও জনগণের অবস্থা খুবই শোচনীয়।
সাদেক হোসেন খোকা পুলিশকে বন্দুকের নল বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দিকে তাক না করে মাটির দিকে তাক করতে বলেছেন। খুবই কাজের কথা। স্বাধীন দেশে পুলিশ কেন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি গুলি তাক করবে? কিন্তু এরপরই তিনি যখন পুলিশকে আওয়ামী লীগের দিকে গুলি তাক করতে বলেন, তখন অবাক হই। তাহলে কি সাদেক হোসেন খোকারা ক্ষমতায় এসে এখন যে পুলিশ 'বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দিকে গুলি' তাক করে আছে, সেই পুলিশ তখন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি গুলি তাক করার হুকুম দেবেন!
দেশে বহু বছর ধরেই গণতন্ত্রের নামে এই 'তাকতন্ত্র' চলছে। যে যেখানে পারছে, যাকে পারছে 'তাক' করছে। যার হাতে বন্দুক আছে সে গুলি 'তাক' করছে। যার হাতে বোমা আছে সে বোমা 'তাক' করছে। আর আমাদের মতো আম জনগণ, যাদের হাতে কিছুই নেই, তারা বসে বসে মার খাচ্ছে। কাফফারা দিচ্ছে।
সাদেক হোসেন খোকার এসব কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে, দুই দশকেরও বেশি ঢাকা নগর বিএনপির নেতৃত্ব দিয়েও তিনি দলীয় কর্মীদের ওপর ভরসা রাখতে পারছেন না। এ কারণেই আন্দোলন গড়ে তুলতে যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর নির্বাচনী এলাকা এবং জামায়াত-শিবিরের শক্ত ঘাঁটি ফটিকছড়ির শরণাপন্ন হয়েছেন। সেখান থেকেই তিনি আন্দোলনের দীক্ষা নিয়ে তা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চান। কী ভয়ংকর কথা!
১১ এপ্রিল ফটিকছড়িতে কী ঘটেছিল? সেদিন ছিল সারা দেশে ইসলামী ছাত্রশিবিরের হরতাল। আর এই হরতালের মধ্যেই বিগত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজিত নেতা পেয়ারুল ইসলাম মিছিল বের করেছিলেন নিজের সাংগঠনিক শক্তি দেখাতে। সেটি ছিল শান্তিপূর্ণ মিছিল। জোহরের নামাজের পর একটি মসজিদের মাইক থেকে 'আওয়ামী লীগের মিছিল থেকে মসজিদে হামলা এবং পাশের মাদ্রাসার এক হুজুরকে তুলে নেওয়া হয়েছে' বলে ভিত্তিহীন প্রচারণা চালানো হয়। এর পরই জামায়াত-শিবিরের নেতৃত্বে চলে সশস্ত্র আক্রমণ। সেদিন ফটিকছড়িতে কোনো সংঘর্ষ হয়নি। কেউ হরতাল প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়নি। পূর্বপরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে।
এখন খোকা সাহেবেরা যদি সারা দেশে এই জিহাদি আক্রমণ ছড়িয়ে দেন, তাহলে মাটি থাকবে, মানুষ থাকবে না। এর আগে একই ধরনের ঘোষণা দিয়ে জামায়াত-শিবির বগুড়া ও জয়পুরহাটে পুলিশের ওপর আক্রমণ চালিয়েছিল।
সাদেক হোসেন খোকা ফটিকছড়ির মতো আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে বলেছেন। ও রকম 'সাহসী ও ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা' আন্দোলন নাকি আর কোথাও হয়নি। কখনো হয়নি। একাত্তরের রণাঙ্গনের এক যোদ্ধার উপযুক্ত কথাই বটে! আর আন্দোলন বা গণতন্ত্রের ফটিকছড়ি মডেল বাস্তবায়ন করতে হলে তো তাঁকে বিএনপির নেতৃত্ব ছেড়ে জামায়াত-শিবিরেই যোগ দিতে হবে। সেটি করতে তিনি প্রস্তুত আছেন কি?
সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
(সুত্র, প্রথম আলো, ২০/০৪/২০১৩)
__._,_.___