Banner Advertiser

Friday, April 26, 2013

[mukto-mona] জমিয়তুল ফালাহর খতিব ও হাটহাজারী মাজারে হামলা হেফাজতের



জমিয়তুল ফালাহর খতিব ও হাটহাজারী মাজারে হামলা হেফাজতের নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
জুমার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় চট্টগ্রামের জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের খতিব ও জামেয়া আহমদিয়া সুনি্নয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জালালুদ্দিন আল কাদেরীর ওপর জুতা, সেন্ডেল ও পাথর নিক্ষেপ করেছে হেফাজতের কর্মীরা। এ সময় সাধারণ মুসলি্লরা আল্লামা জালালুদ্দিনকে উদ্ধারে এগিয়ে এলেও খতিবসহ সবাইকে মসজিদের ভেতর অন্তত চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে খতিব ও মুসলি্লদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। গতকাল শুক্রবার জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ মাঠে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ মাঠে গতকাল সকাল ১০টা থেকে হেফাজতের মহাসমাবেশ চলছিল। জুমার নামাজ শুরুর আগ থেকে মসজিদে অবস্থান নেয় হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। জুমার নামাজের পর মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত শেষ করে খতিব মাওলানা জালালুদ্দিন আল কাদেরী মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় অতর্কিতভাবে তাঁর ওপর হেফাজতের কর্মীরা হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শী মুহাম্মদ আবু মুছা কালের কণ্ঠকে বলেন, 'জুমার নামাজের পর খতিব জালালুদ্দিন আল কাদেরী মিলাদ ও মোনাজাত পরিচালনা শেষ করে বের হওয়ার সময় দুপুর পৌনে ২টায় তাঁর ওপর একের পর এক পাথর, জুতা, সেন্ডেল নিক্ষেপ করে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তারা খতিবকে মুর্তাদ ও নাস্তিক বলে গালাগাল করতে থাকে। '
আবু মুছা আরো বলেন, 'আমরা প্রায় ৪০-৫০ জন মুসলি্ল খতিবকে ঘিরে উদ্ধারের চেষ্টা করি। কিন্তু মসজিদের বাইরে হেফাজতের মহাসমাবেশ চলায় ওই সময় মসজিদ থেকে আর বের হতে পারিনি। পরে পুলিশ এসে খতিবকে মসজিদের নিচতলার ইমামের বিশ্রামাগারে নিয়ে যায়। সেখানে তিনি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ ছিলেন। পরে হেফাজতের মহাসমাবেশ শেষ হলে পুলিশি প্রহরায় তাঁকে বাসায় পেঁৗছে দেওয়া হয়।'
এদিকে আল্লামা জালালুদ্দিন আল কাদেরীর ওপর হেফাজতের হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে নগরীর মুরাদপুর এলাকায় রাস্তায় নেমে আসে জামেয়া আহমদিয়া সুনি্নয়া মাদ্রাসার হাজার হাজার শিক্ষার্থী। এ সময় তারা সড়কে ব্যারিকেড দেয়। প্রায় দুই ঘণ্টার পর পুলিশের আশ্বাসে ব্যারিকেড তুলে নেওয়া হয়। এ ছাড়া নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে মাদ্রাসা ছাত্র ও আহলে সুন্নত আল জামা'আতের সমর্থকরা।
এদিকে নগরীর বাইরে হাটহাজারী, পটিয়া, বোয়ালখালী ও চন্দনাইশসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মুসলি্লরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এ সময় তারা সড়কে নেমে ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে এবং ঘটনায় জড়িত হেফাজতের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবি করে।
আমাদের পটিয়া প্রতিনিধি জানান, খতিবকে লাঞ্ছিত ও অবরুদ্ধ করে রাখার প্রতিবাদে বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম-কঙ্বাজার মহাসড়ক আধা ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের নেতা-কর্মীরা। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তারা অবরোধ তুলে নেয়।
আহলে সুন্নাতের সংবাদ সম্মেলন : গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের নেতারা খতিব জালালুদ্দিন আল কাদেরীর ওপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন। এতে সংগঠনের সদস্যসচিব মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার বলেন, 'হেফাজতের কাছে এখন মসজিদও নিরাপদ নয়। তারা মসজিদের ভেতর আলেম-ওলামা-মুসলি্লদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। হেফাজতের হাতে ইসলাম তো দূরের কথা, কোনো মানুষই নিরাপদ নয়। যেকোনো সময় তারা দেশে বড় ধরনের সংঘাতের জন্ম দিতে পারে। তাই এখনই সরকার ও বিরোধী দলের উচিত তাদের দমন করা। না হয় তারা এ দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করবে।'
এ সময় আহলে সুন্নাত আল জামা'আতের নেতারা খতিব জালালুদ্দিন আল কাদেরীর ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, আল্লামা জালালুদ্দিন আল কাদেরী সুনি্ন মতাদর্শী একজন বিশিষ্ট আলেম। ২০ এপ্রিল তাঁর নেতৃত্বে চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে হেফাজতের বিরুদ্ধে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের ব্যানারে এক মহাসমাবেশ হয়। সেখানে ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের কারণে জামায়াত-শিবির ও হেফাজতকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়।
হাটহাজারীতে মাজারে হেফাজতের হামলার অভিযোগ : চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে আল্লামা শেরে বাংলা (রহ.)-এর মাজারে হেফাজতের কর্মীরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী রাস্তায় নেমে আসে। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ব্যারিকেড দেয়। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং রাস্তায় অবস্থান নেওয়া জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে হেফাজতের শানে রেসালত সমাবেশ শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে হেফাজতের কর্মীরা চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কের বাসস্টেশনের পাশে আল্লামা শেরে বাংলা (রহ.)-এর মাজারে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ খবর হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী রাস্তায় নেমে আসে। হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভের মুখে হাটহাজারী সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়িসহ উত্তর চট্টগ্রামের চারটি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সড়কের উভয় দিকে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। তবে সড়কে দুই পক্ষের লোকজনের অবস্থানের কারণে পুরো হাটহাজারীর বিভিন্ন এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ প্রসঙ্গে গত রাত ৯টায় হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান পান্না বলেন, 'দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। যদি পরিস্থিতি শান্ত না হয়, তবে রাতেই ১৪৪ ধারা জারি করা হতে পারে।'
বর্তমানে এলাকায় র‌্যাব, পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন রয়েছে।


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___