হরতালে দগ্ধ নাসিমার আর গার্মেন্টসে যাওয়া হল না
আবুল খায়ের
গার্মেন্টস কর্মী নাসিমার (৩০) আর কর্মস্থলে যাওয়া হলো না। গত বুধবার রাত ৯টায় নাসিমা ভাই বোন ও সহকর্মীদের কাছে আকুতির সুরে বলেছিলেন তিনি আবার গার্মেন্টসে যাবেন, কাজ করবেন। কাজ না করলে তার ভাই-বোনেরা না খেয়ে থাকবে। নাসিমা জানেন না কিংবা ভাই বোন ও স্বজনরাও বুঝতে পারেননি এটা তার জীবনের শেষ কথা হবে। কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার আকুতি জানাবার মাত্র সোয়া ৪ ঘণ্টার মাথায় ঐ রাত সোয়া ১টায় নাসিমা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। শুরু হয় স্বজনদের আহাজারি। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে শোকের ছায়া নেমে আসে। নাসিমার পিতা মফিজ উদ্দিন ঢালী অনেক আগে মারা যান। ৪ বোন ও ৩ ভাইয়ের মধ্যে নাসিমা সংসারের অন্যতম উপার্জনক্ষম সদস্য ছিলেন। তার আয়ের উপর সংসার অনেকটা নির্ভরশীল ছিল।
নাসিমার ভগ্নিপতি মাসুদ জানান, মোহাম্মদপুরে তুরাগ হাউজিংয়ের ১/এ নম্বর রোডে নিউ ডেল্টা গার্মেন্টসের শ্রমিক ছিলেন নাসিমা। গত ৫ বছর ধরে ঐ গার্মেন্টসে মাসিক ৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে আসছিলেন। বিরোধী দলের হরতালের আগের দিন গত ২৬ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টায় গার্মেন্টসের ভাড়া করা বাসে নাসিমা কর্মস্থল থেকে ফিরছিলেন। মোহাম্মদপুর রায়েরবাজার ঢাকা উদ্যানের গেটে আসলে হঠাত্ কয়েকজন তরুণ বাসে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহূর্তে আগুন বাসে ছড়িয়ে পড়ে। অন্য শ্রমিকরা লাফিয়ে পড়ে আত্মরক্ষা করেন। এসময় নাসিমার দেহের বেশ কিছু অংশ ঝলসে যায়। এসময় ১০/১২ জন শ্রমিক আহত হন। নাসিমাকে ঐ রাতে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
বার্ন ইউনিটের পোড়া বিশেষজ্ঞ ডা. শামন্ত লাল সেন বলেন, আগুনে নাসিমার দেহের ৪০ ভাগ পুড়ে যায়। তার শ্বাসনালী পুড়ে যায় বলে তিনি জানান। নাসিমা মৃত্যুর সঙ্গে টানা ১৯ দিন পাঞ্জা লড়ে অবশেষে গত বুধবার রাতে সোয়া ১টায় মারা যান।
৪ বছর আগে গার্মেন্টস কর্মী মো. মানিকের সঙ্গে নাসিমার বিয়ে হয়। সেই বিয়ে বেশি দিন টিকেনি। তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র থাকে। নাসিমা রায়ের বাজারে বড় বোন রহিমার বাসায় থাকতো। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার আরজি কালিকাপুর গ্রামে তাদের বাড়ি। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে নাসিমার লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ দাফন করার উদ্দেশ্যে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
নাসিমার ভগ্নিপতি মাসুদ জানান, মোহাম্মদপুরে তুরাগ হাউজিংয়ের ১/এ নম্বর রোডে নিউ ডেল্টা গার্মেন্টসের শ্রমিক ছিলেন নাসিমা। গত ৫ বছর ধরে ঐ গার্মেন্টসে মাসিক ৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করে আসছিলেন। বিরোধী দলের হরতালের আগের দিন গত ২৬ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টায় গার্মেন্টসের ভাড়া করা বাসে নাসিমা কর্মস্থল থেকে ফিরছিলেন। মোহাম্মদপুর রায়েরবাজার ঢাকা উদ্যানের গেটে আসলে হঠাত্ কয়েকজন তরুণ বাসে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। মুহূর্তে আগুন বাসে ছড়িয়ে পড়ে। অন্য শ্রমিকরা লাফিয়ে পড়ে আত্মরক্ষা করেন। এসময় নাসিমার দেহের বেশ কিছু অংশ ঝলসে যায়। এসময় ১০/১২ জন শ্রমিক আহত হন। নাসিমাকে ঐ রাতে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
বার্ন ইউনিটের পোড়া বিশেষজ্ঞ ডা. শামন্ত লাল সেন বলেন, আগুনে নাসিমার দেহের ৪০ ভাগ পুড়ে যায়। তার শ্বাসনালী পুড়ে যায় বলে তিনি জানান। নাসিমা মৃত্যুর সঙ্গে টানা ১৯ দিন পাঞ্জা লড়ে অবশেষে গত বুধবার রাতে সোয়া ১টায় মারা যান।
৪ বছর আগে গার্মেন্টস কর্মী মো. মানিকের সঙ্গে নাসিমার বিয়ে হয়। সেই বিয়ে বেশি দিন টিকেনি। তার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র থাকে। নাসিমা রায়ের বাজারে বড় বোন রহিমার বাসায় থাকতো। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার আরজি কালিকাপুর গ্রামে তাদের বাড়ি। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে নাসিমার লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়না তদন্ত শেষে তার লাশ দাফন করার উদ্দেশ্যে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
__._,_.___