নতুন কমিটি এক মাসে, সালামকে বেগম জিয়ার ধমক
.........
খালেদা জিয়া সালামকে ধমক দিয়ে বলেন, 'কমিটি কিভাবে হবে তা তুমি বলার কে? কমিটি করার জন্যই আমি এখানে বসেছি। দুই বছরেও নগরের ওয়ার্ড কমিটি করতে পারনি। তোমরা আন্দোলনে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছো।'
নিজস্ব প্রতিবেদক
আরটিএনএন
ঢাকা: রাজপথের আন্দোলনে ব্যর্থতার দায়ে ঢাকা মহানগর বিএনপি কমিটি অবশেষে ভেঙে দেয়া হচ্ছে। কাউন্সিলের মাধ্যমে আগামী এক মাসের মধ্যে নতুন কমিটি গঠন করা হবে।
মহানগর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
গুলশানের নিজ কার্যালয়ে সোমবার রাত ৯টার দিকে শুরু হওয়া মহানগর নেতাদের সঙ্গে বেগম জিয়ার বৈঠক প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলে। সেখানেই নতুন কমিটি গঠন করার ব্যাপারে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানান বেগম জিয়া।
বৈঠক শেষে মহানগর কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালাম সাংবাদিকদের বলেন, 'বৈঠকে আন্দোলনে ব্যর্থতার বিষয়ে চেয়ারপারসন কথা বলেছেন। পাশাপাশি আগামী দিনের আন্দোলন চাঙ্গা করতে কাউন্সিলের মাধ্যমে মহানগরের কমিটি করার কথা বলেছেন।'
তিনি বলেন, 'দু-একদিনের মধ্যে দলের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতাকে এক মাসের মধ্যে মহানগর কমিটি করার দায়িত্ব দিবেন ম্যাডাম। তারা প্রথমে কাউন্সিলের মাধ্যমে সকল থানা ও ইউনিট কমিটি করবেন। পরে একইভাবে তারা মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করবেন।'
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে নতুনভাবে মহানগর কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত বেগম জিয়া জানানোর পরপরই বর্তমান কমিটির আলোচিত সদস্য সচিব আবদুস সালাম পুরোনো যারা আছেন তাদের নিয়েই নতুন উদ্যোমে কাজ করার বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।
এ সময় খালেদা জিয়া সালামকে ধমক দিয়ে বলেন, 'কমিটি কিভাবে হবে তা তুমি বলার কে? কমিটি করার জন্যই আমি এখানে বসেছি। দুই বছরেও নগরের ওয়ার্ড কমিটি করতে পারনি। তোমরা আন্দোলনে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছো।'
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা আরটিএনএন-কে জানান, বেগম জিয়া আবদুস সালামের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, 'মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচি সফল করার দায়িত্ব ছিল ঢাকা মহানগর বিএনপির। অনেকে অনেক বড় বড় কথা বলে, কিন্তু কেউই কর্মসূচি সফল করতে পারেননি। সারা দেশে আন্দোলন জোরদার হয়েছে। অথচ ঢাকায় কিছুই হয়নি।'
এ সময় সালামসহ বেশ কয়েকজন নেতা বলেন, 'আমরা আমাদের মত চেষ্টা করেছি। কিন্তু সরকারের মারমুখি অবস্থান এবং রাস্তায় নামলেই গুলি করার কারণে আমরা পারিনি।'
তখন উপস্থিত নেতাদের উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া বলেন, 'মামলা ও গ্রেপ্তারের ভয়ে পালিয়ে থাকলে হবে না। আপনারা ঘরে থাকলেও সরকার মামলা দেবে। বিএনপি ছেড়ে দিলেও মামলা দেবে। আপনারা রাজনীতি করতে এসেছেন, তাই রাজপথে থাকতে হবে।'
তিনি মহানগর নেতাদের তিরস্কার করে বলেন, 'তোমরা ব্যর্থ হলেও আমি সফল। জনগণ সফল হয়েছে। তাই তোমাদের দিয়ে হবে না। আমি নতুন কমিটি করব।'
বেগম জিয়া বলেন, 'অনেক বড় বড় কথা বললেও মহানগরে যে কমিটি গঠন করা হয়েছে, তা পকেট কমিটি। এই কমিটিতে অনেক ত্যাগী, পরীক্ষিত, সৎ নেতারা স্থান পাননি। দলের দুর্দিনে যারা কাজ করেছে, তারা নতুন কমিটিতে স্থান পাবে।'
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, 'যারা ব্যর্থ হয়েছে তাদের বাদ দেয়া হবে। আর যারা সফল হয়েছে এবং নতুন ত্যাগী ও যোগ্যদের সমন্বয়ে নতুন কমিটি গঠন করা হবে।'
বৈঠকে নেতাদের কাছে আন্দোলনে ব্যর্থতার কারণ জানতে চান খালেদা জিয়া। তখন উপস্থিত নেতারা এক বাক্যে আন্দোলনে নিজেদের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নেন।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, মহানগরকে দুই ভাগ করে কমিটি করার বিষয়ে খালেদা জিয়া বলেন, 'এখন ঢাকা শহরে প্রায় আড়াই কোটি মানুষ। দুই ভাগে ভাগ করার বিষয়টি বিবেচনাধীন। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।'
কমিটি পুনর্গঠনের বিষয়ে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
বৈঠকে মহানগরের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- সদস্য সচিব আবদুস সালাম, যুগ্ম-আহ্বায়ক এসএ খালেক, সাহাব উদ্দিন, আবু সাঈদ খান খোকন, সামসুল হুদা, সাজ্জাদ জহির, কাজী আবুল বাশার, আবদুল কাইয়ুম, আবদুল আলিম নকি, মুন্সি বজলুল বাতিত আঞ্জু, আবদুল লতিফ, এম মজিদ, আলী আজগর মাতব্বর, আজীজুল্লাহসহ ৪৯ থানার সভাপতি/আহ্বায়ক, সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিব।
কারাগারে থাকায় বৈঠকে অংশ নিতে পারেননি মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা, যুগ্ম-আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পিন্টু ও আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার। এছাড়া আরেক নেতা মো. মোহন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আছেন।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আরএ গণি এবং ড. আবদুল মঈন খানও উপস্থিত ছিলেন।
http://www.rtnn.net//newsdetail/detail/1/1/77899#.Uvm8R2JdU-0
ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটিকে ব্যর্থ বললেন খালেদা:
- কর্মীদের তোপের মুখে সালাম, দালাল বলে স্লোগান
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
আরটিএনএন
ঢাকা: দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে বৈঠক করতে এসে নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়েছেন বহুল আলোচিত ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ও কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম।
সরকারবিরোধী আন্দোলনে রহস্যজনক অবস্থানের কারণে নেতাকর্মীরা জাতীয় পার্টির সাবেক এই নেতাকে কার্যালয়ের সামনে 'দালাল' বলে স্লোগান দেন। - http://www.rtnn.net//newsdetail/detail/1/1/77891
__._,_.___