Banner Advertiser

Tuesday, March 18, 2014

[mukto-mona] কার্ফু দিয়ে জিয়া প্রতিরাতে হাজার হাজার মানুষ মেরেছে ॥ প্রধানমন্ত্রী




বুধবার, ১৯ মার্চ ২০১৪, ৫ চৈত্র ১৪২০
কার্ফু দিয়ে জিয়া প্রতিরাতে হাজার হাজার মানুষ মেরেছে ॥ প্রধানমন্ত্রী
সংসদ রিপোর্টার ॥ বিএনপি নির্বাচনে না আসায় সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপনকারীদের একহাত নিলেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একশ্রেণীর মানুষ আছে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে, দেশের মানুষ শান্তিতে ও ভাল থাকলেই তাঁদের জ্ঞান-বুদ্ধির দরজা খুলে যায়। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, উন্নতি হচ্ছে, দেশের মানুষ শান্তিতে আছে- এটা তাঁদের পছন্দ নয়। সন্ত্রাসী-জঙ্গীবাদ ও দুর্নীতিবাজদের ক্ষমতায় দেখতেই যেন তাঁদের এতো মায়াকান্না! কিন্তু যে যত কথাই বলুক না কেন, দেশের মানুষের কীসে কল্যাণ হয়, ভাগ্যের পরিবর্তন ও উন্নতি হয়- তা আমাদের ভাল করেই জানা আছে। আওয়ামী লীগ তা ভাল করেই জানে। মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধানমন্ত্রী সমালোচকদের জবাব দিতে গিয়ে আরও বলেন, এবারের নির্বাচনের আগেও অনেক খেলা হয়েছে। সেই খেলা এখনও শেষ হয়নি। নবম জাতীয় সংসদে ৪১৮ কার্যদিবসের মধ্যে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী (খালেদা জিয়া) মাত্র ৮-১০ দিন উপস্থিত ছিলেন। যে বিরোধী দল সংসদেই আসেনি, সংসদে ছিল না- তাদের জন্য কিছু শ্রেণীর লোকের এখন মায়াকান্না দেখা যাচ্ছে। জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাস-দুর্নীতিবাজদের ক্ষমতায় আনতে তাই কত পরামর্শ, কত রিপোর্ট বের করা হচ্ছে। 
প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হলো, জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত হলো পুরো দেশ- তখন আজ যারা মায়াকান্না করছেন তখন তাদের চেতনা ও জ্ঞান-বুদ্ধি অসাড় হয়ে পড়েছিল। মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন, তখন তাঁদের মুখে কোন কথা শোনা যায়নি। বিএনপি-জামায়াতের সময় তাঁদের জ্ঞান-বুদ্ধি লোপ পেয়ে গিয়েছিল। তখন মানবাধিকার নিয়ে যারা কাজ করেন তাদেরও কোন কথা শোনা যায়নি। কারণ তারা ভাল করেই জানতেন ওই কথা বললে তারেক জিয়ার হাতে তাঁদের ছ্যাঁচা খেতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই এই শ্রেণীর মানুষদের জ্ঞান-বুদ্ধি জেগে উঠে। নির্বাচনের পর আমরা দেশকে স্বাভাবিক করেছি, দেশ আজ সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে, দেশের মানুষ শান্তিতে রয়েছে- এসব তাঁদের পছন্দ হচ্ছে না। বিএনপি-জামায়াত জোটকে ক্ষমতায় আনতেই যেন প্রতিদিনই নানা পরামর্শ, নানা ধরনের রিপোর্ট বের করা হচ্ছে। কিন্তু এসব করে কোন লাভ হবে না। মানুষের কী ভাবে কল্যাণ করতে হয়, ভাগ্যের পরিবর্তন করতে হয়- তা আমাদের ভাল করেই জানা আছে। সেভাবেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে। 
সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতি-লীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় আরও বক্তব্যে রাখেন প্রবীণ নেতা আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, বেগম মতিয়া চৌধুরী, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা মাহবুবউল আলম হানিফ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ফজিলাতুন্নেসা ইন্দিরা ও সুজিত রায় নন্দী। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনাসভা পরিচালনা করেন ড. হাছান মাহমুদ ও অসীম কুমার উকিল। 
বিএনপি-জামায়াতের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এদের চরিত্র এখনও বদলায়নি। বিএনপি নেতারা বলেন, জিয়া নাকি গণতন্ত্র এনেছিলেন! আসলে জিয়া গণতন্ত্রের নামে দেশে 'কার্ফু গণতন্ত্র' চালু করেছিলেন। প্রতিরাতে কার্ফু দিয়ে জেনারেল জিয়া হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। নামে মুক্তিযোদ্ধা হলেও আসলে জিয়াউর রহমানের অবস্থান ছিল স্বাধীনতার বিরুদ্ধে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জেনারেল জিয়া একাত্তরের পরাজিত গোষ্ঠী, যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার-আলবদরদের নিয়ে সরকার গঠন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা একে একে ধ্বংস করে দিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত এবং ইনডেমনিটি দিয়ে বিচারের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। 
তিনি বলেন, '৭৫ সালের ১৫ আগস্টের আগে দেশে কেউ রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হননি। কিন্তু অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে জেনারেল জিয়া দুর্নীতির দরজা খুলে দিয়েছিলেন, ঋণখেলাপী কালচার চালু করেছিলেন। ওই সময় গরিব আরও গরিব হয়েছে, মুষ্টিমেয় ধনিক শ্রেণী সৃষ্টি করে উনি (জিয়া) অবৈধ ক্ষমতাকে বৈধ করার চেষ্টা করেছেন। এদের যে চরিত্র বদলায়নি ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর তা প্রমাণ হয়েছে। পাঁচটি বছর ধরে দেশের মানুষ দুর্নীতি, জঙ্গীবাদ, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে নির্বিচারে মানুষ হত্যার দৃশ্য দেশের জনগণ প্রত্যক্ষ করেছেন। এবারের নির্বাচনের আগেও দেশের মানুষ তাদের আসল রূপ প্রত্যক্ষ করেছে। 
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘ ২৩ বছরের লড়াই-সংগ্রাম ও নির্যাতনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, শেখ মুজিব শুধু একটি নাম নয়, এই একটি নামের মধ্যে বাঙালী জাতি পেয়েছে তাদের জাতিসত্তা, রক্তস্নাত স্বাধীনতা, একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ও লাল-সবুজের একটি স্বাধীন পতাকা। ২৩ বছরের সংগ্রামে বছরের পর বছর কারাগারে বঙ্গবন্ধুকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়েছে- কিন্তু নিজ কর্তব্য ও বাঙালীর স্বাধীনতা ও মুক্তির প্রশ্নে এতটুকু বিচ্যুত হননি। কারোর কাছে কোনদিন আপোস কিংবা মাথানত করেননি। 
সংগঠনকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে এতো রাস্তাঘাট ছিল না। বঙ্গবন্ধু কখনও সাইকেলে চড়ে, পায়ে হেঁটে, নৌকা কিংবা সাম্পানে চড়ে সারাদেশ চষে বেরিয়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করেছেন, স্বাধীনতার যুদ্ধের জন্য দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। কারণ বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষের ভাষা ভাল করেই বুঝতেন। তাঁর দূরদৃষ্টি ছিল অসাধারণ। তিনি ভাল করেই জানতেন যুদ্ধ ছাড়া দেশকে স্বাধীন করা যাবে না। তাই ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার আগেই বঙ্গবন্ধু কী ভাবে যুদ্ধ করতে হবে, কোথায় থেকে অস্ত্র আসবে, কে আশ্রয় দেবে- তার সব পরিকল্পনা সম্পন্ন করে গিয়েছিলেন। 
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে অল্প সময়ের মধ্যেই নতুন করে গড়ে তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। কিন্তু একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয় স্বাধীনতাবিরোধীরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যখন দেশ গড়ার কাজে ব্যস্ত ছিলেন তখন 'আল্টা লেফটিস্ট' (উগ্র বামপন্থী) ও 'আল্টা রাইটিস্ট'রা (উগ্র ডানপন্থী) নানা সংগঠন গড়ে তোলে বঙ্গবন্ধুকে সহযোগিতার পরিবর্তে তাঁকে ব্যর্থ করতে নানা ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চালিয়ে যায়। আওয়ামী লীগের ১১ জন নির্বাচিত প্রতিনিধিকে সর্বহারাসহ নানা নামে হত্যা করা হয়। 
তিনি বলেন, শত ষড়যন্ত্রের বাধা ডিঙ্গিয়ে বঙ্গবন্ধু যখন দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন, আন্তর্জাতিক সমর্থন যতই বাড়ছিল- তখনই মরণ কামড় দেয় স্বাধীনতাবিরোধীরা। বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকেও হত্যা করে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উল্টো পথে দেশকে চালিত করে ক্ষমতা দখলকারীরা। দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে দেশকে আবার মুক্তিযুদ্ধের পথে ফিরিয়ে আনে। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম পাঁচ বছর ছিল উন্নয়নের স্বর্ণযুগ।
প্রকাশ : বুধবার, ১৯ মার্চ ২০১৪, ৫ চৈত্র ১৪২০



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___