Banner Advertiser

Wednesday, March 5, 2014

[mukto-mona] ভারতের নির্বাচনে বিএনপির নজর



ভারতের নির্বাচনে বিএনপির নজর

06 Mar, 2014















প্রতিবেশী দেশ ভারতের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতির দৃশ্যপটও পরিবর্তনের আশা করছে বিএনপি। নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় এলে বিএনপি 'লাভবান' হবে বলে মনে করছেন দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা।
জানা গেছে, বিজেপি ক্ষমতায় আসছে— এমনটি ধরে নিয়ে কাজ করছে বিএনপি। দলটি ক্ষমতায় এলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ভারত সফরে যেতে পারেন। প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কোন্নয়ন করে দ্রুত সময়ে বাংলাদেশে আরেকটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার অনুরোধ জানাবে দলটি।
বিএনপির কয়েকজন শীর্ষ নেতা জানান, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন অনষ্ঠানের বিপক্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলো। শুধু ভারতের কারণেই বিএনপিবিহীন ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হয়েছে বলে মনে করছেন সবাই। তাই যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শে বিএনপি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন চাইছে।
এর আগে ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠক বাতিল হওয়ার বিষয়টি খুবই 'ভুল' সিদ্ধান্ত ছিল বলে খালেদা জিয়াও উপলব্ধি করছেন। ওই সময় যারা এ সিদ্ধান্ত নিয়ে পরামর্শ দিয়েছিল, তাদের ওপর মনোক্ষুণ্ন তিনি। খালেদা জিয়ার এই উপলব্ধি আগামীতে কাজে আসবে বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারা।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে ভারতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কোন্নয়নে কাজ করছেন তারেক রহমান। খালেদা জিয়াও কূটনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে দলের সংশ্লিষ্ট নেতাদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন করতে চান, এমন মনোভাব জানিয়ে সে দেশের সরকারের কাছে এমন একটি বার্তা পাঠিয়েছেন খালেদা জিয়া। সম্প্রতি গুলশানে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণের মাধ্যমে বার্তাটি পাঠানো হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে এ লক্ষ্যে ভারতের জাতীয় নির্বাচনের পরপরই খালেদা জিয়া ভারত সফরে যাবেন।
যুক্তরাষ্ট্রসহ গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর বরাত দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিএনপি নেতারা জানান, বাংলাদেশের রাজনীতির ওপর বিশ্বসম্প্রদায় তীক্ষ্ন নজর রাখছে। খুব শীঘ্রই দেশের রাজনৈতিক সঙ্কট কেটে যাবে বলে মনে করে বিএনপি। নিরপেক্ষভাবে কোনো নির্বাচন হলে, তাতে যদি সব দল অংশ নেয়, তাহলেই আগামী নির্বাচনে বিএনপিও অংশ নেবে। এই পরিবেশ তৈরি করতে হলে সংলাপের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করে দলটির নেতারা।
নির্বাচনের পর বিএনপি নেতারা যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ প্রভাবশালী দেশগুলোকে বলেছে, তারা আন্দোলন বন্ধ করে দিয়েছেন। এখন তাদের বাকি কাজ করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রও বিএনপিকে আশ্বস্ত করে বলেছে, আগামী এক বছরের মধ্যে আরেকটি নির্বাচন যাতে হয়, সে জন্য কাজ করবেন তারা।
সম্প্রতি খালেদা জিয়া বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেছেন, 'ভারতও বিএনপির পক্ষে। কিন্তু যারা বেশি সুযোগ-সুবিধা দেবে, তাদের পক্ষেই কথা বলে ভারত। আমরা হচ্ছি জাতীয়তাবাদী দল। আওয়ামী লীগের মত আমরা তো দেশের স্বার্থ বিকিয়ে দিতে পারি না। চীন আগের মতই আমাদের বন্ধু রয়েছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোও আমাদের পক্ষে রয়েছে।'
সূত্র জানায়, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে যারা কূটনীতিক বিষয়গুলো দেখভাল করতেন, তাদের গুরুত্ব বা তত্পরতা অনেকটাই কমিয়ে আনা হয়েছে। দেশে কূটনীতিক পর্যায়ে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলে, বৈঠকের সব ধরনের তথ্যই চলে যায় সরকারের হাতে। এ কারণেই নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হাতে বিএনপির অনেক কৌশলই 'মার' খেয়েছে। সে কারণেই এখন থেকে দলটির পক্ষে সব ধরনের কূটনীতিক তত্পরতা লন্ডন থেকে পরিচালিত হবে। এই কূটনীতিক তত্পরতার নানা দিক দেখভাল করছেন দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পুরো আন্তর্জাতিক বিষয়গুলো লন্ডনে বসেই এখন দেখভাল করছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র মতে, বাংলাদেশ সৃষ্টির পর একটি মাত্র নির্বাচনই তফসিল ঘোষণার পর বাতিল করা হয়েছে। তা হচ্ছে ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচন। তাও সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের কারণে বাতিল করা হয়েছে। এ পর্যন্ত আন্দোলন করে কোনো নির্বাচনই কোনো রাজনৈতিক দলই বন্ধ করতে পারেনি।
তারপরও প্রধান বিরোধী দলবিহীন ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে দেশের সাধারণ মানুষ ভোট কেন্দ্রে যায়নি। বিএনপির এই সন্তুষ্টি নিয়ে সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক নানা চাপ বাড়াতে কূটনৈতিক তত্পরতা চালাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে গত মাসের ১৭ ফেব্রুয়ারি তারেক রহমান কমনওয়েলথের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল মিস মাসেগো মাসিরে-মুয়াম্বার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এছাড়া লন্ডনে বসে অব্যাহতভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ গুরুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। সরকারের যে কোনো অনিয়ম বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে সঙ্গে সঙ্গে জানানো হচ্ছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও গুরুত্বপূর্ণ সরকারকে। প্রবাসী বেশ কয়েকজন আইনজীবী ও সেখানকার বিএনপি নেতাদের সহযোগিতায়ই তারেক রহমান এ সব কাজ করছেন।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর গুলশানে হোটেল হেরিটেজে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী অতুল কেশাপ। সেখানে বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
সোমবার রাতে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনার সঙ্গে প্রায় সোয়া ঘণ্টা বৈঠক করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। মজীনার বাসায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে সরকারের সব কর্মকাণ্ড তুলে ধরা হয়। এছাড়াও অব্যাহতভাবে নানাভাবে কূটনীতিক পর্যায়ে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, লে. জেনারেল অব. মাহবুবুর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক। এছাড়া রয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহ উদ্দিন আহমেদ।
আজ দুপুরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের একটি প্রতিনিধি দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করবেন। গুলশানে একটি হোটেলে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠকে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা হবে।
জানা গেছে, সম্প্রতি জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি নেইল ওয়াকার জাতিসংঘের সদর দফতরে গেছেন। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে তার একটি প্রতিবেদন জমা এবং সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্তদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। ফিরে আসার পর তার কাছ থেকে জাতিসংঘের মনোভাব জানবে বিএনপি।
উৎসঃ   manabkantha

Also Read:
Prothom Alo

বিএনপির দৃষ্টি এখন ভারতের নির্বাচনের দিকে

সেলিম জাহিদ | আপডেট: ০৩:০৮, মার্চ ০৬, ২০১৪ প্রিন্ট সংস্করণ




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___