Banner Advertiser

Thursday, August 21, 2014

[mukto-mona] Please read



Bhorer Kagoj, 22nd August 2014: http://www.bkagoj1.com/new/blog/2014/08/22/192352.php

wePvicwZ †Zvgvi wePvi Ki‡e hviv…  wkZvsï ¸n

 

'বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা--'

'ইমপীচ' শব্দটি আমাদের দেশে পরিচিতি পেয়েছে বিল ক্লিন্টনের আমল হতে। কারণ জনপ্রিয় এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইমপীচ হয়েছিলেন, কিন্তু পার্টি লাইন ভোটে রেহাই পান। ইন্টার্ন মনিকা লিউনিস্কীর সাথে সেক্স স্ক্যান্ডেল তা ধামাচাপা দিতে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত ' তিনি। অনেকদিন আগে ১৮৬৮সালে আর এক প্রেসিডেন্ট এন্ড্রু জ্যাকসন মাত্র এক ভোটের ব্যবধানে ইম্পিচমেন্টের হাত থেকে বেঁচে যান। তবে পদত্যাগ না করলে কংগ্রেস নির্ঘাত রিচার্ড নিক্সন-কে অপসারণ করতো। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের সোয়া দু' বছরের ইতিহাসে কোন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইমপীচ হয়ে বহিস্কৃত হন'নি। যদিও বেশ 'জন বিচারপতি ওই প্রক্রিয়ায় চাকুরী হারিয়েছেন। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের ক্ষমতা আছে বিচারপতিদের ইমপীচ করার। ভারত, ব্রিটেন বা উন্নত গণতান্ত্রিক অনেক দেশেই ব্যবস্থা আছে। তাহলে বাংলাদেশে থাকলে সমস্যা কোথায়?

 

সমস্যা আছে। প্রথম সমস্যা হলো, বাংলাদেশের মানুষ প্রথাগতভাবে সরকার বিরোধী। সেই ব্রিটিশ বা পাকিস্তান আমল হতে সরকার বিরোধিতা করতে করতে মানুষ সরকার বিরোধী হয়ে গেছে। বাংলাদেশ আমলও ব্যতিক্রম নয়। মানুষ সরকারের ওপর আস্থাশীল নয়; বরং সন্দিহান। আমাদের দেশে সর্বকালে সরকারের ওপর মানুষের  আস্থার অভাব ছিলো এবং তা এখনো আছে।  দ্বিতীয়ত: ক্ষমতার অপব্যবহারের ভয়। ২০১২-তে স্পীকারের একটি রুলিং নিয়ে একজন বিচারপতির ভুমিকা জাতি লক্ষ্য করেছে। 'জন সাংসদ ওই বিচারপতিকে অপসারণের দাবীও তুলেছিলেন। মহাজোট সরকারের আমলে 'সুযমটা'- বদৌলতে বিচারপতিগণ আগ বাড়িয়ে বেশকিছু পদক্ষেপ নেন। এমনকি বিশ্বজিত হত্যা বা নারায়নগঞ্জে সাত খুনের বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ জনগণ প্রত্যক্ষ করেছে। এসব পদক্ষেপ জনগণ পছন্দ করলেও সরকার নাখোশ হয়েছেন। সমস্যা হচ্ছে, মানুষ মনে করছে, সরকার বিচারকদের লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করছেন

তৃতীয়ত: ইমপিচমেন্টের পক্ষে যেসব গণতান্ত্রিক দেশের দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হচ্ছে, ওসব দেশে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্টিত। আমাদের গণতন্ত্র এখনো 'হাটি হাটি পা পা' করছে। তাছাড়া ঐসব দেশের পার্লামেন্ট বা কংগ্রেস নিয়ে কোন বিতর্ক নেই। আমাদের দেশে জিয়ার 'গায়ের জোরের' সংসদ, এরশাদের 'ভোটার বিহীন সংসদ' বা এমনকি বর্তমান সংসদের গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু? সাংবিধানিক ধারাবাহিকতায় হয়তো সব সংসদই বৈধ কিন্তু জনগনের কাছে দায়বদ্বতা কোথায়? এমন সংসদে ক্ষমতার অপব্যবহার হবে না সেই গ্যারান্টি কে দেবে?   

 

বলা হচ্ছে, ৭২-এর সংবিধানে এই বিধান ছিলো। ৯৬ অনুচ্ছেদে তা ছিলো বটে, ১৯৭৮ সালে জিয়া তা বাতিল করেন। ওই সময় বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা দেয়া হয় 'সুপ্রীম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের' হাতে। কেউ কেউ বলেন ওটাও অসংবিধানিক। আরো বলা হচ্ছে, সংবিধানের ৫৪ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতিকে; ৭৪- স্পীকারকে বা ৫৭() অনুচ্ছেদে প্রধানমন্ত্রীকে অপসারণের ব্যবস্থা রয়েছে; তাহলে বিচারকদের বেলায় তা থাকতে বাঁধা কোথায়? অকাট্য যুক্তি। কিন্তু অন্যরা বলছেন, এরফলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুন্ন হবে। বিচার বিভাগ দুর্বল হবে। বিচারকরা ভয়ে থাকবেন। বিরোধীরা একথা বলতেই পারেন। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকলে তা- বলতো। এটাই অবিশ্বাস, আস্থাহীনতা। এরও কারণ আছে। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে এসময়ে প্রচুর বিতর্ক চলছে। বিচারকদের ইমপীচ করা নিয়ে নুতন করে সন্দেহ দানা বাধবে বটে। মানুষ বলবে, সরকার মিডিয়ার কন্ঠরোধ বিচার বিভাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্টা করতে চাইছেন। আরো একটি কথা আছে, হটাৎ করে এর প্রয়োজন পড়লো কেন? সন্দেহের তীর ওখানেই। এমনিতে বিচারকদের অভিশংসনের ব্যবস্থা থাকাটা অন্যায় কিছু নয়। কিন্তু সমস্যা হলো, আমরা ৭২-এর সংবিধান থেকে ওটা আনতে চাই, কিন্তু ৭২-এর সংবিধান চাইনা। আমরা এরশাদের 'ভোটারবিহীন সংসদের বিরুদ্বে বলি, কিন্তু ওই সংসদে ৩মিনিটে পাশ হওয়া ৮ম সংশোধনী বাতিলের ক্ষমতা রাখিনা। বিচারকরা ৮ম সংশোধনী বাতিলের কথা বলেছিলেন, সরকারের তা পছন্দ হয়নি, সুতরং গোস্বা তো হবেই।

 

আমাদের দেশে মুহুর্তে একজন বিচারককে অপসারণ করা বেশ কষ্টসাধ্য। একটি দোর্দন্ড প্রতাপশালী সরকারকেও এজন্যে গলদঘর্ম হতে হয়। ইয়াজউদ্দিন তখন রাষ্ট্রপতি, তিনি একজন বিচারপতিকে ডাকলেন। বিচারপতি এলেন, রাষ্ট্রপতি তাকে পদত্যাগ করতে বললেন, মানে মৌখিক নির্দ্দেশ দিলেন। বিচারক জানতে চাইলেন কি তার অপরাধ। রাষ্ট্রপতি কারণ জানাতে বাধ্য নন, তবু বোঝা গেল, ম্যাডাম তাকে চাননা। মাননীয় বিচারপতি পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানালেন। এহেন বিচারকদের শায়েস্তা করতে ইমপিচমেন্টের ব্যবস্থা থাকাটা দরকার বটে। তবে সেজন্যে একপেশে সংসদের দরকার পড়বে; নইলে / সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়া কঠিন হবে। বিচারকদের ভয়ের কারণ থাকতো না যদি ঐরকম সংসদ থাকতো। কার্যকর সংসদ নাই বলে ভয়ের কারণ আছে বটে। যাহোক, এটি নিয়ে বিস্তর কথাবার্তা হওয়া দরকার। মন্ত্রীপরিষদে পাশ হওয়া মানে সব শেষ নয়, সবে শুরু। সময় আছে। তড়িঘড়ি করার দরকার নেই। মিডিয়া বিচার বিভাগের স্বাধীনতা গণতন্ত্রের জন্যে অপরিহার্য্ পূর্বশর্ত। একটা সময় ছিলো যখন দেশের মিডিয়ার বদলে বিবিসি ভোয়ার ওপর মানুষ আস্থাশীল ছিলো, এখন সময় পাল্টেছে এবং কৃতিত্ব আওয়ামী লীগের। বারবার সামরিক শাসকদের বৈধতা দেয়ায় বিচারকদের ওপরও মানুষ বিরক্ত ছিলো, এখন বিচার বিভাগ স্বাধীন, মানুষ আস্থাশীল। এই কৃতিত্বও আওয়ামী লীগের। জনগনের এই আস্থার স্থানটি অটুট থাকা চাই। জনগনের নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারেন জনগনের আস্থা অটুট রাখতে। শুনতে ভালো লাগলেও জনগণ কিন্তু গাইতে চায়না, 'বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা---'

 

শিতাংশু গুহ, কলাম লেখক

নিউইয়র্ক, ২১শে আগস্ট ২০১৪



__._,_.___

Posted by: Sitangshu Guha <guhasb@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___