তারেক, বাবরের নির্দেশে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়
মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তি
স্টাফ রিপোর্টার ॥ তারেক, বাবর এবং মুজাহিদের নির্দেশে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। হাওয়া ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করে দিতেই ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়। জঙ্গী নেতা মুফতি হান্নানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে এদের সকলের নাম উল্লেখ থাকলেও কারও বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি।
মুফতি হান্নান ওই জবানবন্দীতে বলেন, ওই বছর ১৪ তারিখে মিটিং ছিল হাওয়া ভবনে। মিটিং এ ছিল তারেক জিয়া, আলী আহসান মুজাহিদ এবং লুৎফুজ্জামান বাবর। তাঁরা আলোচনা করেন, দেশের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এই আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করছে। আলোচনায় বালা হয়, আপনাদের কথা সত্য। তারা ইসলামের বিরুদ্ধেও কাজ করছে। লুৎফুজ্জামান বাবর (সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) বল্লেন, কথাগুলো সবই সত্য। দুটি পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক মোকাবেলা করা দরকার। নচেৎ তাকে (হাসিনা) এ দেশ থেকে চিরতরে বিদায় করে দেয়া দরকার। অর্থাৎ তাকে শেষ করে দেয়া দরকার।
অপর এক জবানবন্দীতে জর্জ মিয়াও জোট সরকারের নাটকের বিষয়টি স্পষ্ট করে দেন। তাতে জোট সরকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী বানিয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করে। আলোচিত জর্জ মিয়া নাটকের অবসান হয়ে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসে। জর্জ মিয়া পরবর্তীতে দেয়া জবানবন্দীতে জানায়, তার জবানবন্দীর পুরোটাই সাজানো ছিল। আতঙ্ক সৃষ্টি করে আমাকে সাজানো জবানবন্দী দিতে বাধ্য করা হয়। জবানবান্দী দেয়ার সময় তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসপি) বলেন, জজ এইটা বলিস নাই আবার বল। নির্বাহী হাকিমও তিনবার দেয়ার পর জবানবন্দী রেকর্ড শেষ করে।
ওই সময় মগবাজারের সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার মোখলেসুর রহমানকে নির্যাতন করে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সাক্ষ্য আদায়ের চেষ্টা করা হয়। তিনিও নির্যাতনের সেই বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, এখানে মারে ওখানে মারে এভাবে আমকে বলা হয় সাক্ষ্য দিতে।
র্যাবের এক কর্মকর্তা আদালতে দেয়া জবানবন্দীতে জানান, জঙ্গী নেতা মুফতি হান্নান ২০০৫ সালে গ্রেফতারের পর র্যাবের কাছে ২১ আগস্ট হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছিলেন। কিন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের নির্দেশে তখন এই মামলায় আদালতে মুফতি হান্নানের জবানবন্দী নেয়া সম্ভব হয়নি। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এ মেজর আতিকুর রহমান এই সাক্ষ্য দেন। তিনি ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার উপপরিচালক ছিলেন। তিনি ওই সময় জঙ্গীদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গঠিত টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশনের (টিএফআই) সমন্বয়কারী ছিলেন। মুফতি হান্নান ২০০৫ সালের ১ অক্টোবর গ্রেফতারের পর টানা চার মাস র্যাব সদর দফতরে অবস্থিত টিএফআই সেলে রিমান্ডে ছিলেন। তখন রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে মুফতি হান্নান গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছেন। হান্নান জানিয়েছেন যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনাকালে তাঁরা স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারেক ও বাবর হামলাকারীদের প্রশাসনিক সাহায্য ও নিরাপত্তা প্রদানের নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
যদিও বিএনপির তরফ থেকে এর বিরোধিতা করে আসা হচ্ছে।
প্রকাশ : শুক্রবার, ২২ আগষ্ট ২০১৪, ৭ ভাদ্র ১৪২১
২১ শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা নিয়ে মুফতি হান্নানের জবানবন্দী ( টেক্সট কপি)
২১ আগস্ট- স্মরণকালের ভয়াবহ এ হামলার দশ বছর | |
নিউজ-বাংলা ডেস্ক |
বুধবার, ২০ আগস্ট ২০১৪ |
নেপথ্যে প্রাসাদ ষড়যন্ত্র হাওয়া ভবনেই হামলার মূল পরিকল্পনা
|
আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে নৃশংস গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকা আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন প্রায় ৩০০। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার উদ্দেশ্য পুরোপুরি সফল না হলেও বেশ ক'টি তাজা প্রাণ ঝরে যায়। স্পিল্গন্টারের ক্ষত নিয়ে বেঁচে থাকতে হচ্ছে অনেককে। ........................... |
সর্বশেষ আপডেট ( বুধবার, ২০ আগস্ট ২০১৪ ) http://www.news-bangla.com/index.php?option=com_content&task=view&id=13406&Itemid=26 |
দশ বছরেও ধীরগতি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচারে
__._,_.___