Banner Advertiser

Thursday, August 21, 2014

[mukto-mona] জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান -২ (২০ আগস্টের পর)



শুক্রবার, ২২ আগষ্ট ২০১৪, ৭ ভাদ্র ১৪২১
জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান
মুনতাসীর মামুন
(২০ আগস্টের পর)
দু'টি বই লিখেছেন লে. কর্নেল (অব.) শরিফুল হক ডালিম বীর উত্তম। লেখক হিসেবে নামের আগে রাষ্ট্রদূত শব্দটি যুক্ত করেছেন, যেন এ শব্দটি ব্যক্তির মর্যাদা বৃদ্ধি করবে। বীর উত্তম উপাধিটি খুব ছোট অক্ষরে। এতে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধে বীর উত্তম হওয়া থেকে তার কাছে গর্বের বিষয় রাষ্ট্রদূত হওয়া। এই দৃষ্টিভঙ্গিই স্পষ্ট করে দেয় ব্যক্তির মানসিকতা। লে. কর্নেল ডালিম পাকিস্তান থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, বীরউত্তম উপাধি পেয়েছেন। কিন্তু এটি নিয়েই তিনি আজীবন সম্মানের সঙ্গে থাকতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। তিনি ক্ষমতান্বেষী হয়েছেন। খুনের জন্য ষড়যন্ত্র করেছেন, এ কারণে পুরস্কার হিসেবে তাকে রাষ্ট্রদূত করা হয়েছিল, যা তার কাছে গৌরবের। তিনি আমাদের কাছে বঙ্গবন্ধুর খুনী মেজর ডালিম হিসেবে পরিচিত। খুনের দায়ে তার বিচার হয়েছে। শাস্তি হিসেবে ফাঁসির হুকুম হয়েছে। এখন তিনি পলাতক।
কর্নেল ডালিমের বই দুটি বেরিয়েছে ২০০১ ও ২০০২ সালে। প্রথম বইটির নাম 'যা দেখেছি যা বুঝেছি যা করেছি।' দ্বিতীয়টির নাম কিছু কথা কিছু ব্যথা। বই দুটি প্রকাশ করেছে ঢাকার নবজাগরণ প্রকাশনী।
৬৪ পৃষ্ঠার কিছু কথা কিছু ব্যথা ১০টি আত্মজৈবনিক কাহিনীর সঙ্কলন। মূলত মুক্তিযুদ্ধের সময়কার যুদ্ধ, যোদ্ধাদের নিয়ে স্মৃতিচারণ। ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ, আলোচনার তেমন কিছু নেই।
আমাদের আলোচনা দ্বিতীয় বইটিকে ঘিরে। ৫৪৭ পৃষ্ঠার বইটিতে আছে ২৩টি পরিচ্ছেদ। এটিতে স্মৃতিচারণ আছে কিছু কিছু, তবে ১৯৪৭ পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস বিধৃত হয়েছে। এই ইতিহাস বর্ণনায়ই পাওয়া যাবে একজন সৈনিকের দৃষ্টিভঙ্গি।
এই দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যাবে গ্রন্থের শেষ প্রচ্ছদে 'ডালিম বলছি' শিরোনামে বক্তব্য-
''বাংলাদেশ এবং স্বাধীনতার যুদ্ধ সম্পর্কে কিছু লেখা হলেও পুরো সত্য এখনও উদঘাটিত হয়নি। যারা প্রথম থেকেই ভারতীয় নীলনকশা সম্পর্কে অবগত ছিলেন [বাক্যটি লক্ষ্য করুন] এবং শেখ মুজিবের বিরোধিতা করেছিলেন তাদের পক্ষে বিশ্বাস করা তেমন কঠিন ছিল না যে, দেশের সার্বিক অবস্থা ক্রমান্বয়ে চরম পরিণতির দিকেই ধাবিত হবে। কিন্তু যারা শেখ মুজিবের ওপর অগাধ বিশ্বাস রেখেছিলেন তাদের পক্ষে তেমনটি যে ঘটবেই সেটা মেনে নেয়া কিছুতেই সম্ভব ছিল না। শেখ মুজিব সাধারণ ব্যক্তি ছিলেন না। যে পদে তিনি অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন সেটাও ছিল অসাধারণ। সমভাবে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিষয়টিও ছিল অত্যন্ত জটিল। সেদিক থেকে বিচার করলে এই বইয়ের মাধ্যমে বেরিয়ে আসা প্রত্যেকটি ইস্যুই বিশদ বিশ্লেষণের দাবিদার। আন্দোলনের সময় শেখ মুজিব ছিলেন অতি জনপ্রিয় একজন কাক্সিক্ষত নেতা কিন্তু স্বাধীনতা উত্তরকালে তিনিই হয়ে ওঠেন জনধিক্কৃত, নিকৃষ্টতম এক স্বৈরাচারী শাসক [বাক্যটি লক্ষ্য করুন]...''
সুতরাং মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিলেও তার অন্তিম বিশ্বাসটি কী তা বোঝা যায়। বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগের প্রতি লে. কর্নেল ডালিমের ক্ষোভ স্বাভাবিক। কারণ, ঐ সময় তিনি চাকরিচ্যুত হয়েছিলেন। সেই ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে তিনি অবস্থান নিয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধের বিপরীতে। এভাবেই দেখি সৈনিকরা গুরুত্ব দিয়েছে ব্যক্তিগত ক্ষোভ, সামগ্রিকভাবে সব কিছু তারা বিচার করেননি।
প্রথম পৃষ্ঠা থেকে ৯৩ পৃষ্ঠা পর্যন্ত বর্ণিত হয়েছে ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাস; এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাঝে মাঝে বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তার স্মৃতিচারণ।
এই বিবরণ নিহায়ত মামুলি। সাধারণ যে কোন পাঠ্যপুস্তকেই এই বিবরণ পাওয়া যাবে, তবে এর মধ্যেই আছে তার নিজস্ব চিন্তাধারা, যা মাঝে মাঝে কয়েক বাক্যে প্রকাশিত হয়েছে। আমি সেগুলোই আলোচনা করব।
১৯৭০ সালের নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি শেখ মুজিবুর রহমান ও জুলফিকার আলী ভুট্টো এবং আওয়ামী লীগ ও পিপলস পার্টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। তার মতে, নির্বাচন করলেও দুটি দলই আঞ্চলিক দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। শেখ মুজিব সম্পর্কে তার আপত্তি দুটি। প্রথমত, নির্বাচনে তিনি ৬ দফাভিত্তিক প্রচারণা করেন এবং ঘোষণা করেন ইসলামবিরোধী কোন আইন প্রণীত হবে না। ''পরে অবশ্য এ বক্তব্যের মাধ্যমে দেয়া ওয়াদার তিনি বরখেলাফ করেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর মুজিব রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে ধর্মনিরপেক্ষতার ভূত চাপিয়ে দেন গোটা দেশবাসীর ওপর" [পৃ. ৫২]। দ্বিতীয়ত, নির্বাচনী প্রচারণাকালে তিনি ঘোষণা করেন "কোন শক্তিই পাকিস্তানকে ধ্বংস করতে পারবে না।" কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর একই শেখ মুজিব বলেন, ১৯৬৮ সাল থেকে নাকি তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তিনি আরও বলেন, "১৯৪৮ সালেই সূত্রপাত ঘটে স্বাধীনতা আন্দোলনের। ১৯৫২, ১৯৫৪, ১৯৬২, ১৯৬৯ এবং ১৯৭০-এর গণআন্দোলনের পরিপক্বতা লাভ করে স্বাধীনতার চেতনা। ফলে ১৯৭১-এ স্বাধীনতা সংগ্রামের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় বাংলাদেশ" [পৃ.৫৪]। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক বৈষম্য কমিয়ে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার কথা বলে তিনি "জাতীয় নীতি হিসেবে সমাজতন্ত্রের জোয়াল তুলে দিলেন জাতির ঘাড়ে" [ঐ]। 
বোঝা যাচ্ছে, জাতীয় নীতিগুলো ডালিমের পছন্দ হয়নি তাই হয়ত বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রে তিনি লিপ্ত ছিলেন। ডালিম ভুলে গেছেন, পাকিস্তানের ফ্রেমে নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ জিতেছিল এবং শাসকরা বিশ্বাসঘাতকতা করে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে গণহত্যা শুরু করেছিল। ডালিম স্বয়ং সেই অবিচারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। নিজেই একথা লিখেছেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর পুরো প্রেক্ষাপট বদলে গিয়েছিল। সে সময় পাকিস্তানের ফ্রেমে নির্বাচনী প্রচারণার কোন স্থান ছিল না। গণহত্যা যুদ্ধের পর সাধারণ মানুষ এমন এক বাংলাদেশ চাচ্ছিলেন যা পাকিস্তানী মানসিকতা থেকে মুক্ত থাকবে এবং ঐ কারণে রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতির কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। ফলে ডালিম যা লিখেছেন বা যেসব যুক্তির অবতারণা করেছেন সেগুলো অবান্তর।
নির্বাচনের পর মার্কিন প্রতিনিধিরা মুজিবের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রাখতে থাকেন। তৎকালীন কনসাল আর্চার ব্লাডের এ কার্যকলাপ পছন্দ হয়নি মার্কিন সরকারের। সে জন্য ঢাকা থেকে ব্লাডকে সরিয়ে নেয়া হয় এবং রাষ্ট্রদূত ফারল্যান্ড মুজিবের সঙ্গে সাক্ষাত করে পরিষ্কার জানিয়ে দেন, বিছিন্নতাবাদী কোন প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র কোনরূপ সাহায্য কিংবা সহযোগিতা করবে না" [পৃ. ৫৫]।
এটি সম্পূর্ণ ভ্রান্ত তথ্য। গণহত্যা শুরু হলে আর্চার ব্লাড যেসব রিপোর্ট পাঠাতে থাকেন তা মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পছন্দ হয়নি। ফলে তখনই তাকে সরিয়ে নেয়া হয়।
আর্চার ব্লাড তার স্মৃতিকথায় লিখেছেন, ইয়াহিয়া খান বা কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতের যে সূত্রপাত হচ্ছিল বঙ্গবন্ধু তা এড়াতে চেয়েছিলেন। এবং তার প্রতিনিধি আলমগীর রহমানের মাধ্যমে জানতে চেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্র এতে মধ্যস্থতা করতে রাজি কিনা। রাষ্ট্রদূত ফারল্যান্ড ১২ ফেব্রুয়ারি এক বার্তায় জানিয়েছিলেন, তারা পাকিস্তানকে সমর্থন করবেন।
২৫ মার্চের পর ব্লাড যেসব রিপোর্ট পাঠিয়েছিলেন তা মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের নীতিনির্ধারকরা পছন্দ করেনি। তাছাড়া ব্লাডের সহকর্মীরা একটি 'ডিসেন্ট নোট'ও পাঠিয়েছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির সমালোচনা করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ব্লাডকে সরিয়ে দেয়া হয় এবং তিনি জুন ১৯৭১ সালে ঢাকা ত্যাগ করেন। [অৎপযবৎ ক. ইষড়ড়ফ, ঃযব পৎঁবষ নরৎঃয ড়ভ ইধহমষধফবংয টচখ, ২০০২]
নির্বাচনী প্রচার বক্তৃতা ডালিমরা আগ্রহ ভরে শুনেছিলেন এবং ডালিমের মনে হয়েছিল 'টিভিতে জনাব ভুট্টোর উপস্থাপনা শেখ মুজিবের চেয়ে বেশি চটকদার হয়েছিল" [পৃ.৫৬]।

(চলবে)

প্রকাশ : শুক্রবার, ২২ আগষ্ট ২০১৪, ৭ ভাদ্র ১৪২১



জিয়া-ডালিম ও ১৫ আগস্ট লে. কর্নেল (অব) ডালিমের বয়ান - 
মুনতাসীর মামুন

প্রকাশ : বুধবার, ২০ আগষ্ট ২০১৪, ৫ ভাদ্র ১৪২১

†hfv‡e †mbvcÖavb n‡jb †Rbv‡ij wRqv

How Gen Zia took the helm of army

As biggest beneficiary of Aug 15, he became chief martial law administrator, and finally, president

http://www.thedailystar.net/frontpage/how-gen-zia-took-the-helm-of-army-37291

Bangabandhu Killing : Zia passively involved

Zia passively involved - The Daily Star

  1. Mar 15, 2011 - Zia decided to kill Taher as he wanted to appease the army officers ... was passively involved in the assassination of Bangabandhu Sheikh ...
  2. Video:

http://www.youtube.com/watch?v=dglIcOQtYUk

The killer duo Rashid and Farook tells Anthony Mascarenhas in an interview why they killed Mujib and the role of Zia and Mustaq and how they featured in their plan. The interview was taken in 1976 in London

ফিরে দেখা পঁচাত্তর: মুজিব হত্যা, খুনি মেজররা ও আমাদের দ্বিচারিতা

সোহরাব হাসান: কবি, সাংবাদিক।
sohrabo3@dhaka.net




__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___