Banner Advertiser

Friday, September 12, 2014

[mukto-mona] ‘সব শালা কবি হতে চায়’



শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ২৯ ভাদ্র ১৪২১
'সব শালা কবি হতে চায়'
মুহম্মদ শফিকুর রহমান
জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ যখন কবিতা লিখতে শুরু করলেন এবং বিভিন্ন পত্রিকা কৃতজ্ঞতাভরে ছাপতে শুরু করল, দৈনিক বাংলা (অধুনালুপ্ত) পত্রিকার তৎকালীন সম্পাদক বাংলাদেশের সমসাময়িককালের প্রধান কবি শামসুর রাহমানও যখন এরশাদের কবিতা ছাপতে বাধ্য হয়েছিলেন, তখন কবি মুহম্মদ রফিক (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজীর অধ্যাপক) একটি কবিতা লিখেছিলেন, যার শিরোনাম এবং প্রথম লাইনটি ছিল সব শালা কবি হতে চায়। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চীফ অব স্টাফ এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) এ কে খন্দকারের '১৯৭১ : ভেতরে বাইরে পড়তে পড়তে অজান্তে মুখ থেকে লাইনটি বেরিয়ে এলো- সব শালা কবি হতে চায়। যদিও এটি কবিতা নয়, গদ্য; তবু অনেক সময় গদ্যও কবিতা হয়ে ওঠে। যেমন বাঙালী জাতি ও রাষ্ট্রপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণ রাজনৈতিক মহাকাব্য কিংবা বিদ্রোহী কবি নজরুলের 'রাজবন্দীর জবানবন্দী । যে গদ্য কবিতার ভাব, ছন্দ বা শব্দশৈলী-ধারণ করে না তা বটতলার উপন্যাস। এ কে খন্দকারের '১৯৭১ : ভেতরে বাইরে' তেমনি একটি তৃতীয় শ্রেণীর বটতলার স্মৃতিকথা। 
বন্ধু সাংবাদিক-কলামিস্ট স্বদেশ রায় একবার বলেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের ওপর কোন মিলিটারি ব্যক্তির লেখা তিনি পড়েন না। কারণ তারা মুক্তিযুদ্ধটাকে মিলিটারি যুদ্ধ মনে করে, মুক্তিযুদ্ধ যে একটি সর্বাঙ্গীণ জনযুদ্ধ ছিল তা মিলিটারি মিয়ারা মানতে রাজি নন। তাদের বিদ্যার দৈন্য হলো তারা জানেন না একটি স্বাধীনতা সংগ্রাম বা সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত এবং পরিচালিত হয় রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে ও নেতৃত্বে এবং অবশ্যই তা জনগণের ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে। এর অন্যথা হলে তা বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন। কোন বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন কোন জাতির স্বাধীনতা বা আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে এমন কোন নজির নেই। রায়াফ্রার উদাহরণ তো আমাদের সামনেই আছে এবং খুব বেশি দিনেরও নয়। আমি মনে করি, বিশ্বে এত এত পাঠযোগ্য গ্রন্থ আছে পড়ার, মহাকাব্য আছে, বিশ্ব-সাহিত্যের ক্লাসিক্স আছে, আমাদের রবীন্দ্রনাথ-নজরুল আছে, ধর্মগ্রন্থগুলো আছে, মহামানবদের জীবনীগ্রন্থ আছে, এক জীবনে কতটুকুইবা পড়া যায়? তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধ বা স্বাধীনতার কথা পড়তে হলে হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত দলিল, মুনতাসীর মামুনের মুক্তিযুদ্ধ কোষ, রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদীর মুজিবনগর সরকারের দলিল, এমনি শত সহস্র গ্রন্থ দেশে-বিদেশে ছাপা হয়েছে। তার কয়টাইবা পড়েছি? তৃতীয় শ্রেণীর বটতলার স্মৃতিকথা পড়তে যাব কোন্ দুঃখে?
তবু গত শনিবারের কলামে কথা দিয়েছিলাম বইটি সংগ্রহ করে ভালভাবে পড়ে আলোচনা করার চেষ্টা করব। গত কলামটি লেখার আগ পর্যন্ত আমি গ্রন্থটি সংগ্রহ করতে পারেনি। এক বৈঠকে আওয়ামী লীগের তরুণ নেতা, কলামিস্ট টিভি টক-শোর পরিচিত মুখ সুভাষ সিংহ রায়ের কাছে বইটি দেখে কিছু সময় চোখ বুলিয়ে কিছুটা আলোচনা করেছি। তিনদিন আগে গ্রন্থটি আমার হাতে আসে এবং পড়তে গিয়ে এই ধারণা জন্মে যে, গ্রন্থটি এক হাতের রচনা নয়। কারণ, গ্রন্থে অনেক জায়গায় নিজেই নিজেকে কন্ট্রাডিক্ট করেছেন। যে কারণে পুরো বই আমি পড়তে পারিনি অর্থাৎ টানেনি অথচ মিলিটারি লেখকদের মধ্যেও মেজর (অব) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তমের অ ঞধষব ড়ভ গরষষরড়হং বার কয়েক পড়েছি। পড়তে গিয়ে কখনও এতটুকু বিরক্তি বোধ হয়নি। 
এ কে খন্দকার সাহেব ভূমিকায় বলেছেন, 'মুক্তিযুদ্ধ শুরু হবার পর থেকেই আমি প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার নোট রাখতে শুরু করি, যাতে পরবর্তী সময়ে একটি পূর্ণাঙ্গ স্মৃতিকথা লিখতে পারি। লেখার উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষায় যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে এই নোটগুলো আমি সযত্নে আগলে রাখি। কিন্তু দুর্ভাগ্য, ১৯৭৫ সালের পর রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আমাকে দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকতে হয় (তিনি জিয়া-এরশাদের সামরিক সরকারের রাষ্ট্রদূত, মন্ত্রী ছিলেন)। দেশত্যাগের আগে সকল মূল্যবান কাগজপত্রের সঙ্গে আমার মুক্তিযুদ্ধকালে লেখা নোটগুলো এক আত্মীয়ের বাসায় রেখে যাই। প্রায় ১২ বছর পর দেশে ফিরে আমি সেই নোটগুলো আর ফেরত পাইনি... স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই আমি অনেক কিছু বিস্মৃত হয়ে যাচ্ছি'। তাই তাকে অন্যের লেখা গ্রন্থের সাহায্য নিতে হয়েছে। ভাল কথা, একটি স্মৃতিকথা লিখতে হলে অনেক তথ্য উপাত্ত লাগে- সে গ্রন্থ থেকে হোক বা কোন রাষ্ট্রীয় দলিল থেকে হোক। সবচে গুরুত্বপূর্ণ হলো নিজের ডায়েরি। তাও তিনি লিখেছিলেন। তবে হারিয়ে গেছে। এখানে আমার একটি ছোট্ট প্রশ্ন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ এত ব্যাপক এবং বিশাল ঘটনা যে, ৯ মাসের প্রতিটি দিন মুহূর্ত যোদ্ধা এবং যুদ্ধ পরিচালনাকারীদের কাজ করতে হয়েছে, ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। এর মধ্যে ডায়েরি লিখলেন কখন? সময় পেলেন কি করে? রাষ্ট্রভাষা বাংলা আন্দোলনের সময় তাজউদ্দীন সাহেব ডায়েরি লিখেছিলেন, যা ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস হয়ে আছে। সত্য ইতিহাস। কিন্তু এই তাজউদ্দীন আহমদই বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছেন, বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন; কিন্তু কোন ডায়েরি লিখে যাননি। লেখার সময় কোথায় ছিল? প্রতিটি মুহূর্তই তাঁর মাথায় ছিল মুক্তিযুদ্ধ, অস্ত্র-অর্থ সংগ্রহ, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, দেশত্যাগী মানুষের আশ্রয়; এ কে খন্দকার বা জিয়াউর রহমান তথা মিলিটারি যোদ্ধাদের বেতন-ভাতা প্রদান, ডায়েরি লেখার সময় কোথায় তাঁর? মনে রাখতে হবে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ছিল গণআন্দোলন আর মুক্তিযুদ্ধ ছিল সুদীর্ঘকালের গণআন্দোলন, গণঅভ্যুত্থানের পর অস্ত্র ধারণ করে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়াÑ দুটির মধ্যে পার্থক্য আছে। খন্দকার বীরউত্তম সাহেব নিজের নোট হারিয়ে অন্যের গ্রন্থের ওপর নির্ভর করেছেন। স্মৃতির ওপর নির্ভরও করতে পারেননি। তিনি নিজেই বলেছেন, অনেক কিছু 'বিস্মৃতি' হয়ে গেছে। স্মৃতি বিস্মৃতি স্মৃতিভ্রমের জন্ম দেয়। স্মৃতিভ্রম হয়েছে বলেই তিনি বঙ্গবন্ধুর অসহযোগ আন্দোলনের সময় লুটপাট দেখেছেন, বিএলএফ বা মুজিব বাহিনীর গেরিলা যুদ্ধ দেখেননি। তাছাড়া যে বই লেখা হয়ে গেছে তা থেকে তো নতুন কিছু পাওয়া যাবে না। 
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা সম্পর্কে খন্দকার সাহেব লিখেছেন (পৃঃ ৫৩), 'অনেকে বলেন বঙ্গবন্ধু ২৫ মার্চ রাতে এক হাবিলদারের মারফত চিরকুট পাঠিয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আবার বলা হয়, বঙ্গবন্ধু চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমেদ চৌধুরীকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার জন্য সংবাদ পাঠিয়েছিলেন ... এগুলোর কোন যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ আমি কোথাও পাইনি। আর যা প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয় তার বিশ্বাসযোগ্যতা খুঁজে পাইনি'। পাবেন কোত্থেকে? ছাত্রজীবনের মাঝপথে ১৯৫২ সাল থেকে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর এক বৈমানিক হয়ে পাকিস্তানের অনুগত ভৃত্য হিসেবে এয়ার বেজে বেজে কাটিয়েছেন, বেশিরভাগই পাকিস্তানে? আমরা বঙ্গসন্তানরা যখন রাজপথে আন্দোলন করছি তখন তিনি দিব্যি চাকরি করেছেন। তিনি জানবেন কি করে? তাঁর পক্ষে তো বঙ্গবন্ধুকেই জানার কথা নয়। এই মানুষটি ১৯৪৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পরপরই ভারত বিভাগ হয়ে যায়। থাকতেন ইসলামিয়া কলেজের বেকার হোস্টেলে। পাকিস্তান হওয়ার পর যখন ঢাকায় ফিরছিলেন তখন বন্ধুরা জিজ্ঞেস করলে বলেছিলেন, 'ঢাকায় যেতে হবে। আমাদের সত্যিকার স্বাধীনতার লড়াইর প্রস্তুতি নিতে হবে। যে স্বাধীনতা এসেছে তা আমাদের জন্যে নয়।' ঢাকায় এসে কি করেছেন, ছাত্রলীগ বানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ বানিয়েছেন, সাইকেলে-নৌকায়-ট্রেনে করে বাংলার গ্রামে-গ্রামে ঘুরে, খেয়ে, না-খেয়ে সংগঠন করেছেন, পাকিস্তানের বিরাট সময় অর্থাৎ ২৩ বছরের মধ্যে ১১ বছর জেলে জেলে কাটিয়েছেন, তাঁর জন্যে ফাঁসির কাষ্ঠ পর্যন্ত বানানো হয়েছিল- পাকিস্তানীরা তা পারেনি। কারণ, তিনি জনগণকে তৈরি করেছিলেন বলেই। বাংলার এমন একটি গ্রাম একটি রাস্তা পাওয়া যাবে না যাতে বঙ্গবন্ধুর পায়ের ছাপ নেই। 'আওয়ামী লীগের কোন যুদ্ধ প্রস্তুতি ছিল না', এমন মন্তব্য যারা করেন তারা হয় বিকৃত মানসিকতাসম্পন্ন অথবা মতলববাজ অথবা কারও অর্থের কাছে বিক্রীত। ঞযব ঊপড়হড়সরংঃ-এর মতো আন্তর্জাতিকমানের পত্রিকাও যখন কখনও কখনও কারও কাছে আত্মসমর্পণ করে তখন খন্দকার বীরউত্তম এমনকি ধর্মপুত্র যুধিষ্ঠির যে তাকে পোষ মানানো যাবে না? যেমন একটি গুজব শোনা যাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ নাকি খালেদাপুত্র পলাতক আসামি তারেক জিয়ার আত্মকথা লিখছেন। কথাটা সত্যি হলে বলতে হবে বয়স হলে মানুষের যেমন ভীমরতি ধরে তেমনি অর্থের গন্ধ পেলে দিশেহারা হয়ে যায়। হিতাহিত জ্ঞান লোপ পায়। 
খন্দকারের গ্রন্থের ওপর অনেকেই আলোচনা করেছেন। বিশেষ করে শ্রদ্ধেয় আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, প্রফেসর ড. আবদুল মান্নান, স্বদেশ রায় লেখার পর আর লেখার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না, তবু খন্দকার যে যে প্রশ্নের অবতারণা করেছেন তার জবাব দিতে হবে এবং সত্যি ঘটনা তুলে ধরতে হবে। আমিও আজ সংক্ষেপে কিছু কথা বললাম। খন্দকার কখন এই কথাগুলো বলেছেন, যখন খালেদাপুত্র তারেক লন্ডনে বসে বঙ্গবন্ধু তথা আমাদের জাতি রাষ্ট্রের পিতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে। শোনা যায় জামায়াতী অর্থে ভাড়া করা কিছু লোক কতগুলো মিথ্যা তথ্য তার হাতে ধরিয়ে দেয় এবং তা হলো ভাড়া করে বলে দেয়। খন্দকার সম্ভবত এই মিথ্যাচারের সর্বশেষ ডাক হরকরা। বস্তুত ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে হত্যা পর থেকে জিয়া, এরশাদ, খালেদা আমাদের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও লক্ষ্য ভুলিয়ে দিয়ে এক বিকৃত প্রজন্মের জন্ম দিয়ে বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানী ধারায় প্রবাহিত করার যে চক্রান্ত শুরু করে, তা আজও অব্যাহত আছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় না আসলে এবং জাতির জনকের হত্যার বিচার না হলে কিংবা ২০০৮ সালে পুনরায় ক্ষমতায় না আসলে এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু না হলে, ধূর্ত যুদ্ধাপরাধী রাজাকার-আলবদরদের বিচারে ফাঁসির রায় না হলে, আজ বাংলাদেশ পাকিস্তানের আস্তানা হতো, খালেদা-তারেকই তা করতেন বা বাংলাদেশ আল কায়েদা-আইএস-এর স্বর্গরাজ্য হতো। হয়নি, আল্লাহ আমাদের রক্ষা করেছেন। কয়েকদিন আগে এক টক-শোতে (৭১ টিভি) দেখলাম, পাকিস্তানের জিও টিভিতে ধারণ করা বঙ্গবন্ধুর ভাষণের শেষাংশ দেখানো হলো, অর্থাৎ ... 'এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম 'জয় বাংলা'। ভাষণে জয় পাকিস্তান নেই। বঙ্গবন্ধু যদি জয় পাকিস্তান বলতেন তবে তো পাকিস্তানের জিও টিভি তা ফলাও করে প্রচার করত। টক-শোর (সঞ্চালক সম্ভবত নাম শাকিল) তখন বলছেন, 'আমাদের দুর্ভাগ্য, স্বাধীনতা সংগ্রামের সত্য ইতিহাস জানতে হচ্ছে স্বাধীনতার শত্রু পাকিস্তানের টিভি থেকে'। এরপর আর কিছু বলার দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। 
খন্দকার সাহেবকে সর্বশেষ একটা পরামর্শ দেব, আপনি যা লিখেছেন বা অন্য কেউ আপনাকে লিখে দিয়েছে, সে যাই হোক, এর বেশিরভাগই অনুমাননির্ভর এবং অসত্য তথ্যে ভরা। আপনাকে জানাতে চাই, ষাটের দশকে আমরা ছাত্রলীগ কর্মী এবং ৬ দফার পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্র আন্দোলনের কর্মী, আমাদের সামনে বানোয়াট গল্প বলে পার পাবেন না। আপনি শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি। এতটুক ভব্যতাবোধ যদি অবশিষ্ট থাকে তবে নিজেই গ্রন্থটি বাজার থেকে তুলে নিন, নইলে আপনার ইতিহাসের স্থানটুকুও থাকবে না। 

ঢাকা ॥ ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪
লেখক : ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক
প্রকাশ : শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ২৯ ভাদ্র ১৪২১

 Also read:

মুক্তিযুদ্ধের আরও একটি ফরমায়েশি ইতিহাস

একে খন্দকার স্বাধীনতার এত পরে এসেও নিশ্চিতভাবে জানেন না ছাত্ররা সেদিন সশস্ত্র যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি...

http://opinion.bdnews24.com/bangla/archives/20559


 অন্ধকারে খন্দকার | উপ-সম্পাদকীয় | কালের কণ্ঠ

W. Avey mvBwq` :

 

 এই বইটির প্রকাশ কি একটি সমন্বিত চক্রান্তের অংশ?  (১ )
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
লন্ডন ৯ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার, ২০১৪ ॥
প্রকাশ : বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ২৬ ভাদ্র ১৪২১

এই বইটির প্রকাশ কি একটি সমন্বিত চক্রান্তের অংশ (২)
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী
প্রকাশ : বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪, ২৭ ভাদ্র ১৪২১

Related:

ÔÔGK †Lv›`Kv‡i i¶v †bB, Av‡iK †Lv›`Kvi wK Zvi †`vmi?Ó
 B‡ËdvK, Ave`yj Mvd&dvi †PŠayix
¯'vbxq mgq : 1020 N›Uv, 07 †m‡Þ¤^i 2014

http://www.ittefaq.com.bd/print-edition/sub-editorial/2014/09/07/2288.html


Note: On February 22, 1971 the generals in West Pakistan took a decision to crush the Awami League and its supporters. It was recognized from the first that a campaign of genocide would be necessary to eradicate the threat: "Kill three million of them," said President Yahya Khan at the February conference, "and the rest will eat out of our hands." (Robert Payne, Massacre [1972], p. 50.) On March 25 the genocide was launched. The university in Dacca was attacked and students exterminated in their hundreds. Death squads roamed the streets of Dacca, killing some 7,000 people in a single night. It was only the beginning. "Within a week, half the population of Dacca had fled, and at least 30,000 people had been killed. 
..........e½eÜy Ô¯^vaxbZv †NvlYv KijvgÕ K_vwU ejvi m‡½ m‡½ Zviv wbi¯¿ RbZvi Dci Suvwc‡q co‡Zv| GB †NvlYv‡K Ôwew"QbœZvev`x †NvlYvÕ AvL¨v w`‡q Zviv IBw`bB MYnZ¨v ïi" Ki‡Zv| e½eÜy `¶ †mbvcwZi g‡Zv nvbv`vi‡`i GB my‡hvM †`bwb|

Related:


__._,_.___

Posted by: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190





__,_._,___