http://www.sonarbangladesh.com/blog/post/96816
তাহলে কি ছাত্রীরা পরিমলদের সুবিধার জন্য খোলামেলা পোষাকে ক্লাসে যাবে?!
লিখেছেন পুস্পিতা ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০১২, বিকেল ০৪:৪৪
ছবির বামে-বোরকা পরায় বের করে দেয়ার পর অশ্রুসজল ছাত্রীটি ফিরে যাচ্ছেন রাজউক কলেজ থেকে। সাথে তার বোন। ডানে- আরো কয়েকজনকে বোরকা পরার কারণে ঢুকতে না দিয়ে কলেজ গেইটে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।
বোরকা পরে এসেছিল বলে এক ছাত্রীকে কলেজে ঢুকতে দেননি রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের অধ্যক্ষ বিগ্রেডিয়ার গোলাম হোসেন সরকার। বোরকার কারণে আরো পাঁচ ছাত্রীকে কলেজের মেইন গেইটে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। তিনি বোরকাকে 'অড' বা দৃষ্টিকটু ড্রেস হিসাবে উল্লেখ করে বলেন, 'একটা মেয়ে পায়ের নখ পর্যন্ত বোরকা পরে এসেছে। এটা দৃষ্টিকটু। তার বোন এসেছিল সাথে-খুব গোঁড়া। সে বলছে, তার বোন এ বোরকাই পরে আসবে। আমরা এটা এলাউ করতে পারি না। তাই তাকে ক্লাশে ঢুকতে দেয়া হয়নি।'
বোরকা পরলে অধ্যক্ষের সমস্যা কি? যে ছাত্রী বোরকা পরে তার তো কোন সমস্যা হচ্ছেনা। তাকে কেউ জোর করে বোরকা পরতেও বলেনি। কিন্তু অধ্যক্ষ তাতে বাঁধা দেয়ার কে? বোরকা অপছন্দ হওয়ার কথা পরিমল নামের লম্পটদের। কারণ বোরকা তাদের লালসা পূরণে সহায়ক নয়। বোরকা ছাড়া ছাত্রীদের তারা ধর্ষন করার সুযোগ সবসময় না পেলেও চোখের চাহনি দিয়ে গিলতে পারে। সে ক্ষেত্রে বাঁধা হয় বলেই কি অধ্যক্ষ সাহেবের বোরকা অপছন্দ?
তাহলে কি তার খোলামেলা পোষাকই পছন্দ? তিনি কি চান খোলামেলা পোষাক পরে ছাত্রীরা ক্লাসে আসুক? টাইট জিন্স, টি-শার্ট পরা ছাত্রীকে তিনি কি কখনো বাঁধা দিয়েছিলেন? ওই সব পোষাকে অন্ততঃ চোখের সুখ লাভ করা যায়, তাই তিনি বা পরিমলরা সে সব পোষাককেই পছন্দ করেন? বোরকা পরতে বাধাঁ দিয়ে তিনি কি মেয়েদের কথিত সুশীলদের লালসার শিকারে পরিণত করার জন্য টাইট জিন্স-টি-শার্ট, এরপর হাফ প্যান্ট-হাফ গেঞ্জি, এরপর আরো ছোট পোষাক পরতে উৎসাহ দিতে চান?
বোরকা লম্পটদের লালসা পূরণে সমস্যা। এ ছাড়া তো আর কোন সমস্যা দেখা যায়না। কোন সাহসে তিনি বোরকা পরতে বাঁধা দিয়েছেন? ধর্মনিরপেক্ষতার বাস্তবায়নের প্রচেষ্ঠা হিসেবে কি তিনি এসব করছেন? ছাত্রীরা পরিমলদের হাতে ধর্ষিতা হলেই অধ্যক্ষ সাহেবের ভাল লাগবে?
রিলেটেড পোস্ট- জাফর ইকবালদের ভয় আসলে কোথায়?
__._,_.___