----- Forwarded Message -----
From: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>
To: notun Bangladesh <notun_bangladesh@yahoogroups.com>
Sent: Saturday, June 9, 2012 8:55 AM
Subject: [notun_bangladesh] আন্তর্জাতিক অপরাধসমূহ (ট্রাইবুনালস) আইন-৭৩ : ন্যুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালের চেয়েও অনেক বেশি স্বচ্ছ।'
From: SyedAslam <Syed.Aslam3@gmail.com>
To: notun Bangladesh <notun_bangladesh@yahoogroups.com>
Sent: Saturday, June 9, 2012 8:55 AM
Subject: [notun_bangladesh] আন্তর্জাতিক অপরাধসমূহ (ট্রাইবুনালস) আইন-৭৩ : ন্যুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালের চেয়েও অনেক বেশি স্বচ্ছ।'
যুদ্ধাপরাধের বিচার হবে ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের চেয়েও স্বচ্ছ
শামীম খান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি
ঢাকা: বিশ্বে য্দ্ধুাপরাধের বিচারে গুরুত্বপূর্ণ ও অন্যন্য এক দৃষ্টান্ত ন্যুরেমবার্গ ট্রায়াল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয় এই ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের মাধ্যমে। বাংলাদেশে '৭১ এর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াটিও চলছে এই ট্রায়ালকে দৃষ্টান্ত হিসেবে অনুসরণ করে।
জাতীয় সংসদে প্রণীত আন্তর্জাতিক অপরাধসমুহ (ট্রাইবুনালস) আইন-৭৩ এ ৭১-এ মানবতাবিরোধী কর্মকা-ের বিচার হবে। বিচার সংশ্লিষ্টদের দাবি, যুদ্ধাপরাধের বিচারে ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের চেয়েও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে।
ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে ২৪ জন শীর্ষস্থানীয় নাৎসি নেতা ও উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এদের ১২ জনকে ফাঁসি এবং অন্যদেরকে যাবজ্জীবনসহ দীর্ঘ মেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হয়।
মানবতা বিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বের শান্তি ও গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে ন্যুরেমবার্গ ট্রায়াল উজ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের বিচার স্বচ্ছ হবে জানিয়ে বুধবার ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (প্রশাসন), সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেয়াদ আল মালুম বাংলানিউজকে বলেন, 'আন্তর্জাতিক অপরাধসমূহ (ট্রাইবুনালস) আইন, ৭৩ ন্যুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালের চেয়েও অনেক বেশি স্বচ্ছ।'
তিনি বলেন, 'এখানে আসামি পক্ষের স্বার্থ ও অধিকার অনেক বেশি নিশ্চিত করা হয়েছে। ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে আপিলের অধিকার ছিল না, আমাদের এ ট্রাইব্যুনালে আপিলের অধিকার আছে।'
আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদও ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের চেয়ে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালকে বড় করে দেখছেন।
তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালকে যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত হিসাবে উল্লেখ করলেও বলতে দ্বিধা করেননি, 'তবে ন্যুরেমবার্গ ট্রায়াল থেকে আমাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পার্থক্য রয়েছে।'
ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের পিছিয়ে থাকা নিয়ে তিনি বলেন, 'দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিচার হয় এবং দ্রুত রায় কার্যকর হয়। সেখানে তো আপিলের কোনও সুযোগ ছিল না।'
তিনি বলেন, 'আমরা বিচার করছি আন্তর্জাতিক আইনে, মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধের। গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, বাড়ি-ঘর এবং সম্পদে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের। এগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধ, আন্তর্জাতিক অপরাধ। এখানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিলের সুযোগ রয়েছে।'
উল্লেখ্য, সারা বিশ্বেই য্দ্ধুাপরাধের বিচারে গুরুত্বপূর্ণ ও অনন্য দৃষ্টান্ত ন্যুরেমবার্গ ট্রায়াল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীদের এখানে বিচার হয়।
হিটলারের নাৎসি বাহিনীর গণহত্যা, ধ্বংসযজ্ঞসহ নৃশংসতার বিচারের কাজ শুরু হয় ১৯৪৫ সালের ২০ নভেম্বর।
এ ট্রায়ালে ৪ টি মিত্র দেশের ৮ জন বিচারক ছিলেন।
বিচারকমণ্ডলির সভাপতি ছিলেন যুক্তরাজ্যের লর্ড জাস্টিস জিওফ্রে লরেন্স। আদালতের স্থান ছিলো জার্মানির ন্যুরেমবার্গ শহরের ঐতিহাসিক 'প্যালেস অব জাস্টিস' ভবন।
এ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ল্েয লন্ডনে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। কমিশন অপরাধগুলোকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে তিনভাগে ভাগ করে।
এগুলো হলো শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ অর্থাৎ যেসব দেশ শান্তিপ্রিয় তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের চক্রান্ত। যুদ্ধের আইন লঙ্ঘন অর্থাৎ বন্দি, জিম্মি বা বেসামরিক ব্যক্তিদের হত্যা করা। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ অর্থাৎ বেসামরিক লোক নির্বিচারে হত্যা, বন্দি করা ইত্যাদি।
এ মামলায় ২৪ জন ব্যক্তির পাশাপাশি ৭ টি সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়। বিচারের রায়ে নাৎসি পার্টিসহ এসব সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
সংগঠনগুলো হলো, নাৎসি পার্টির নেতৃত্ব, রাইখ সরকারের মন্ত্রিসভা, এসএস, গেস্টাপো, এসডি, এসএ এবং জার্মান হাইকমান্ড।
বিচার শুরু হওয়ার আগে নাৎসি পার্টির প্রধান হিটলার আত্মহত্যা করায় তাকে বিচার থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এর আগে ১৯৪৫ সালের ফেব্র"য়ারিতে সোভিয়েত ইউনিয়নের ইয়াল্টায় সোভিয়েত প্রধান জোসেভ স্টালিন, যুক্তরাষ্ট্রের রুজভেল্ট ও ব্রিটেনের উইনস্টন চার্চিলের উপস্থিতিতে মিত্রশক্তির এক সম্মেলনে যুদ্ধাপরাধী নাৎসি নেতাদের বিচারের সিদ্ধান্ত হয়।
বিচারের রায় ঘোষিত হয় ১৯৪৬ সালের ১ অক্টোবর। রায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশ শুনে এক আসামি আত্মহত্যা করেন এবং নাৎসি পার্টির সেক্রেটারি মার্টিন বোরম্যান অনুপস্থিত ছিলেন।
১৬ অক্টোবর ১০ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
পরে ১৯৪৫ থেকে ৪৯ সাল পর্যন্ত ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে ৯৯ জনের বিচার হয়। এদের অধিকাংশকেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আদালত বার্লিনে স্থানান্তর করা হয়।
ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের পর টোকিও ট্রায়ালসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলেও বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে দণি এশিয়ায় এ ধরনের ট্রাইব্যুনাল এটাই প্রথম।
বিশ্বে যুদ্ধাপরাধের বিচারের ইতিহাসে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত ছিল টোকিও ট্রায়াল বা টোকিও ওয়ার ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত জাপান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নেতা, আমলা ও সমরনায়কদের বিচারের জন্য ১৯৫১ সালের ৩ মে জাপানের রাজধানী টোকিওতে এ আদালতের বিচার কাজ শুরু হয়।
টোকিও ট্রায়ালে ২৮ জন জাপানির বিচার হয়। বিচার চলাকালে ২ জনের মৃত্যু হয় এবং একজন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। ২৫ জন বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত হয়।
এদের মধ্যে ৪ জন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, ৩ প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ কয়েকজন প্রাক্তন মন্ত্রী, প্রাক্তন জেনারেল ও তাত্ত্বিক ছিলেন।
অভিযুক্তদের ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকিদের যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অন্যদিকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল আইন, ৭৩-এ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইবুনালকে হাইকোর্টের সমমর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
এ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিলের সুযোগ রয়েছে। ২০০৯ সালে এই আইনের সংশোধনী এনে আপীলের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় ১৯৫৬ ঘন্টা, নভেম্বর ১০, ২০১০
জাতীয় সংসদে প্রণীত আন্তর্জাতিক অপরাধসমুহ (ট্রাইবুনালস) আইন-৭৩ এ ৭১-এ মানবতাবিরোধী কর্মকা-ের বিচার হবে। বিচার সংশ্লিষ্টদের দাবি, যুদ্ধাপরাধের বিচারে ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের চেয়েও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে।
ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে ২৪ জন শীর্ষস্থানীয় নাৎসি নেতা ও উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এদের ১২ জনকে ফাঁসি এবং অন্যদেরকে যাবজ্জীবনসহ দীর্ঘ মেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হয়।
মানবতা বিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে বিশ্বের শান্তি ও গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে ন্যুরেমবার্গ ট্রায়াল উজ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে।
বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের বিচার স্বচ্ছ হবে জানিয়ে বুধবার ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর (প্রশাসন), সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেয়াদ আল মালুম বাংলানিউজকে বলেন, 'আন্তর্জাতিক অপরাধসমূহ (ট্রাইবুনালস) আইন, ৭৩ ন্যুরেমবার্গ ট্রাইব্যুনালের চেয়েও অনেক বেশি স্বচ্ছ।'
তিনি বলেন, 'এখানে আসামি পক্ষের স্বার্থ ও অধিকার অনেক বেশি নিশ্চিত করা হয়েছে। ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে আপিলের অধিকার ছিল না, আমাদের এ ট্রাইব্যুনালে আপিলের অধিকার আছে।'
আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদও ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের চেয়ে একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালকে বড় করে দেখছেন।
তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালকে যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত হিসাবে উল্লেখ করলেও বলতে দ্বিধা করেননি, 'তবে ন্যুরেমবার্গ ট্রায়াল থেকে আমাদের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পার্থক্য রয়েছে।'
ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের পিছিয়ে থাকা নিয়ে তিনি বলেন, 'দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিচার হয় এবং দ্রুত রায় কার্যকর হয়। সেখানে তো আপিলের কোনও সুযোগ ছিল না।'
তিনি বলেন, 'আমরা বিচার করছি আন্তর্জাতিক আইনে, মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধের। গণহত্যা, নারী ধর্ষণ, বাড়ি-ঘর এবং সম্পদে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের। এগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধ, আন্তর্জাতিক অপরাধ। এখানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিলের সুযোগ রয়েছে।'
উল্লেখ্য, সারা বিশ্বেই য্দ্ধুাপরাধের বিচারে গুরুত্বপূর্ণ ও অনন্য দৃষ্টান্ত ন্যুরেমবার্গ ট্রায়াল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের যুদ্ধাপরাধীদের এখানে বিচার হয়।
হিটলারের নাৎসি বাহিনীর গণহত্যা, ধ্বংসযজ্ঞসহ নৃশংসতার বিচারের কাজ শুরু হয় ১৯৪৫ সালের ২০ নভেম্বর।
এ ট্রায়ালে ৪ টি মিত্র দেশের ৮ জন বিচারক ছিলেন।
বিচারকমণ্ডলির সভাপতি ছিলেন যুক্তরাজ্যের লর্ড জাস্টিস জিওফ্রে লরেন্স। আদালতের স্থান ছিলো জার্মানির ন্যুরেমবার্গ শহরের ঐতিহাসিক 'প্যালেস অব জাস্টিস' ভবন।
এ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ল্েয লন্ডনে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। কমিশন অপরাধগুলোকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে তিনভাগে ভাগ করে।
এগুলো হলো শান্তির বিরুদ্ধে অপরাধ অর্থাৎ যেসব দেশ শান্তিপ্রিয় তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের চক্রান্ত। যুদ্ধের আইন লঙ্ঘন অর্থাৎ বন্দি, জিম্মি বা বেসামরিক ব্যক্তিদের হত্যা করা। মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ অর্থাৎ বেসামরিক লোক নির্বিচারে হত্যা, বন্দি করা ইত্যাদি।
এ মামলায় ২৪ জন ব্যক্তির পাশাপাশি ৭ টি সংগঠনকে অভিযুক্ত করা হয়। বিচারের রায়ে নাৎসি পার্টিসহ এসব সংগঠনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
সংগঠনগুলো হলো, নাৎসি পার্টির নেতৃত্ব, রাইখ সরকারের মন্ত্রিসভা, এসএস, গেস্টাপো, এসডি, এসএ এবং জার্মান হাইকমান্ড।
বিচার শুরু হওয়ার আগে নাৎসি পার্টির প্রধান হিটলার আত্মহত্যা করায় তাকে বিচার থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এর আগে ১৯৪৫ সালের ফেব্র"য়ারিতে সোভিয়েত ইউনিয়নের ইয়াল্টায় সোভিয়েত প্রধান জোসেভ স্টালিন, যুক্তরাষ্ট্রের রুজভেল্ট ও ব্রিটেনের উইনস্টন চার্চিলের উপস্থিতিতে মিত্রশক্তির এক সম্মেলনে যুদ্ধাপরাধী নাৎসি নেতাদের বিচারের সিদ্ধান্ত হয়।
বিচারের রায় ঘোষিত হয় ১৯৪৬ সালের ১ অক্টোবর। রায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশ শুনে এক আসামি আত্মহত্যা করেন এবং নাৎসি পার্টির সেক্রেটারি মার্টিন বোরম্যান অনুপস্থিত ছিলেন।
১৬ অক্টোবর ১০ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
পরে ১৯৪৫ থেকে ৪৯ সাল পর্যন্ত ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালে ৯৯ জনের বিচার হয়। এদের অধিকাংশকেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আদালত বার্লিনে স্থানান্তর করা হয়।
ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের পর টোকিও ট্রায়ালসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলেও বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের যে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে দণি এশিয়ায় এ ধরনের ট্রাইব্যুনাল এটাই প্রথম।
বিশ্বে যুদ্ধাপরাধের বিচারের ইতিহাসে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত ছিল টোকিও ট্রায়াল বা টোকিও ওয়ার ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে পরাজিত জাপান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ নেতা, আমলা ও সমরনায়কদের বিচারের জন্য ১৯৫১ সালের ৩ মে জাপানের রাজধানী টোকিওতে এ আদালতের বিচার কাজ শুরু হয়।
টোকিও ট্রায়ালে ২৮ জন জাপানির বিচার হয়। বিচার চলাকালে ২ জনের মৃত্যু হয় এবং একজন মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। ২৫ জন বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত হয়।
এদের মধ্যে ৪ জন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, ৩ প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ কয়েকজন প্রাক্তন মন্ত্রী, প্রাক্তন জেনারেল ও তাত্ত্বিক ছিলেন।
অভিযুক্তদের ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকিদের যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অন্যদিকে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল আইন, ৭৩-এ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইবুনালকে হাইকোর্টের সমমর্যাদা দেওয়া হয়েছে।
এ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিলের সুযোগ রয়েছে। ২০০৯ সালে এই আইনের সংশোধনী এনে আপীলের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় ১৯৫৬ ঘন্টা, নভেম্বর ১০, ২০১০
http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=c14a8df1e1b4d5297e9cb30cb34d5a00&nttl=2011061816203
Related:
যে পথ দেখিয়েছিল ন্যুরেমবার্গ অনীক শাহরিয়ারhttp://www.dailykalerkantho.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=21-02-2010&feature=yes&type=gold&data=Economics&pub_no=80&cat_id=3&menu_id=77&news_type_id=1&index=17
অবশেষে যুদ্ধাপরাধের বিচার চলছে
নাদিরা মজুমদার
আগে হবে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার
অপরাধবোধ থেকে মুক্তি পাওয়ার সুযোগ মেলেছে'
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
শিক্ষাবিদ
নিজেকে সবসময়ই অপরাধী মনে হতো। আমাদের বিজয়ের মধ্যেও একটা কালো ছায়া ছিল। এই ছায়া দূর করে ৩০ লাখ শহীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন অনেক জরুরি ছিল। অবশেষে সেই অপরাধবোধ থেকে মুক্তি পাওয়ার সুযোগ মেলেছে। সরকারের এই ঘোষণা তাই আমাদের প্রীত করেছে। এখন সুষ্ঠুভাবে বিচার সম্পন্ন করার পালা। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে দায়সারা গোছের বিচার করার কোনো সুযোগ নেই। সময় নিয়ে হলেও সঠিক বিচার করতে হবে। আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে আবার কোনো প্রশ্ন যেন তৈরি না হয়। যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের নিয়েও কোনো প্রশ্নের সুযোগ নেই। এটা একটি জাতীয় দায়িত্ব। যারা দায়িত্ব পেয়েছেন, তাদের ব্যাপারেও আমি আশাবাদী। তারা নিশ্চয় তাদের দায়িত্ব গুরুত্বসহকারে পালন করবেন। তথ্য-প্রমাণের আলোকে আইনসিদ্ধভাবে বিচার করে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে ইতিহাসের পাতায় তারা নিজেদের নাম লেখাতে পারবেন। তাদের সামনেও তাই এটা বিরাট একটি সুযোগ।
সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
শিক্ষাবিদ
নিজেকে সবসময়ই অপরাধী মনে হতো। আমাদের বিজয়ের মধ্যেও একটা কালো ছায়া ছিল। এই ছায়া দূর করে ৩০ লাখ শহীদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন অনেক জরুরি ছিল। অবশেষে সেই অপরাধবোধ থেকে মুক্তি পাওয়ার সুযোগ মেলেছে। সরকারের এই ঘোষণা তাই আমাদের প্রীত করেছে। এখন সুষ্ঠুভাবে বিচার সম্পন্ন করার পালা। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে দায়সারা গোছের বিচার করার কোনো সুযোগ নেই। সময় নিয়ে হলেও সঠিক বিচার করতে হবে। আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে আবার কোনো প্রশ্ন যেন তৈরি না হয়। যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের নিয়েও কোনো প্রশ্নের সুযোগ নেই। এটা একটি জাতীয় দায়িত্ব। যারা দায়িত্ব পেয়েছেন, তাদের ব্যাপারেও আমি আশাবাদী। তারা নিশ্চয় তাদের দায়িত্ব গুরুত্বসহকারে পালন করবেন। তথ্য-প্রমাণের আলোকে আইনসিদ্ধভাবে বিচার করে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে পারলে ইতিহাসের পাতায় তারা নিজেদের নাম লেখাতে পারবেন। তাদের সামনেও তাই এটা বিরাট একটি সুযোগ।
বিচারের দাবি-সময় থেকে সময়ে
মিলু শামস
বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে যুদ্ধাপরাধ ও বিচার
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালেই রয়েছে আপিলের সুযোগ
শামীম খান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
Bangladesh, Bangladesh 1971 Trials, Bengali, Dhaka, Due Process & Trial Standards, International Crimes Tribunal (ICT), International Crimes trial, Judiciary,Justice, Nuremberg Trial, Report, War Crimes Trial, জনকন্ঠ »
[7 Jan 2011 | No Comment ]
আইন শাস্ত্রের ইতিহাসে ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের মতো এত ব্যাপক আয়োজনে পৃথিবীর কোথাও গণহত্যার বিচার হয়নি। ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের রায়ে ১৭ হাজার পৃষ্ঠার ধারাবিবরণী ছাপা হয়েছিল। যা পরবর্তীকে ৪২ খণ্ডে প্রকাশিত হয়। জার্মানির নাৎসি বর্বরদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয় ৬৫ পৃষ্ঠার। ১০ মাস ১০ দিন ধরে চলা এই আদালতে শুনানির অধিবেশন বসেছিল ৪শ' ৩টি। ১শ' ২৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছে ২শ' ১৬ দিন ধরে। ১শ' ৪৩টি লিখিত জবানবন্দী আদালতে জমা দেয়া হয়। চার হাজার দালিলিক প্রমাণ এবং ৩৮ হাজার এফিডেভিট আদালতে জমা দেয়া হয়। শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের …