Banner Advertiser

Saturday, June 9, 2012

[mukto-mona] Fw: Nuremberg Trial : ন্যুরেমবার্গ ট্রায়াল_২ - গোয়েরিং আড়াই লাখ লোক হত্যার কথা স্বীকার করেন


----- Forwarded Message -----
From: SyedAslam <syed.aslam3@gmail.com>
To: notun Bangladesh <notun_bangladesh@yahoogroups.com>
Sent: Saturday, June 9, 2012 1:00 PM
Subject: Nuremberg Trial : ন্যুরেমবার্গ ট্রায়াল_২ - গোয়েরিং আড়াই লাখ লোক হত্যার কথা স্বীকার করেন



গোয়েরিং আড়াই লাখ লোক হত্যার কথা স্বীকার করেন
ন্যুরেমবার্গ ট্রায়াল_২ 
মামুন-অর-রশিদ ॥ গণহত্যা বিচারে গঠিত ন্যুযরেমবার্গ ট্রায়ালকে চ্যালেঞ্জ করেছিল হিটলারের নাৎসি বাহিনী। নাৎসি বাহিনীর হাত থেকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ফ্রান্স পুনরুদ্ধারের পর হিটলারের বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। কিন্তু তারা নু্যরেমবার্গ ট্রায়ালকে মানতে অস্বীকৃতি জানায় এবং এই আদালতের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে আইনী লড়াই চালিয়ে ব্যর্থ হয়। নাৎসি বাহিনীর বক্তব্য ছিল-কোর্ট গঠন করেছে মিত্র শক্তি। তাই তারা কোর্টকে চ্যালেঞ্জ করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত তারা পরাজিত হয়েছে। নাৎসি বাহিনী সাক্ষ-প্রমাণের অভাব হবে ভেবে গণহত্যার বিষয়টিও অস্বীকার করেছিল। এভাবে চার দফা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে নু্যরেমবার্গ ট্রায়াল শেষ হয়েছে। একই সঙ্গে ফ্রান্স, পোল্যান্ড, জার্মান হাইকমান্ডের বিশেষ ট্রায়ালসহ অন্তত এক ডজন আদালতে বর্বর নাৎসিদের বিচার হয়েছে। এখনও বিচার কার্য চলছে। সর্বশেষ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাড়ে পাঁচ দশক পরে গত সপ্তাহে ৯৭ বছর বয়সী এক নাৎসিকে জার্মান হাইকমান্ডের বিশেষ আদালত শাস্তি দিয়েছে যা গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতায় বিশ্বে আলোড়ন তুলেছে। নু্যরেমবার্গ ট্রায়ালকে চারটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয়েছে_ আদালত, বিচারক, প্রসিকিউটর এবং অভিযুক্তদের পৰে-বিপৰের। এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে ছিল মিত্র শক্তি গঠিত আদালত নিয়ে প্রশ্ন এবং আদালতকে চ্যালেঞ্জ করে আইনী লড়াই এবং শেষ পর্যনত্ম তাতে নাৎসি বাহিনীর পরাজয়, নাৎসি বাহিনী কর্তৃক সকল হত্যাকাণ্ড যথারীতি অস্বীকার করা, সাক্ষ-প্রমাণ খুঁজে বের করা, হিটলার বাহিনীর যোগসাজশ, ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা প্রমাণ করা, জেনারেলদের দায়ভার বহন (কমান্ডার রেসপন্সিবিলিটি) এবং আদালত, বিচারকার্য, বিচারক, প্রসিকিউটর এবং অভিযুক্ত আসামিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই ছিল বিশেষ চ্যালেঞ্জ। পৃথিবীর দু' পরাশক্তিসহ চার শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে নাৎসি বাহিনীর বর্বরতার বিরুদ্ধে বিচার নিশ্চিত করে। নাৎসি বাহিনী মিত্র শক্তির বিচার প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করলেও তা শেষ পর্যন্ত আইনী লড়াইয়ে টেকেনি। জার্মানির যে ভবনে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিচার করা হয় সেই ভবনের নাম রাখা হয় 'প্যালেস অব জাস্টিস।' সেখানে বিচারক, প্রসিকিউটর ও তাদের সহযোগীদের কাজের জন্য পাঁচ শতাধিক কৰ রয়েছে। এটি এখন নু্যরেমবার্গ ট্রায়াল আর্কাইভ হিসাবে সংরৰিত আছে। 
গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের বিরম্নদ্ধে নু্যরেমবার্গ ট্রায়াল বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য বিচার ব্যবস্থা। আনত্মর্জাতিক পর্যায়ে যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরম্নদ্ধে অপরাধের প্রথম বিচার প্রক্রিয়া। বিশ্বে গণহত্যার বিরম্নদ্ধে এটিই সর্বপ্রথম আনত্মর্জাতিক আদালত। প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর বিভিন্ন মৈত্রী ও সামরিক চুক্তি অনুযায়ী বিশ্বের দু' পরাশক্তিসহ চার শক্তিশালী রাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের নাৎসি বাহিনীর হাতে আক্রানত্মদের মিত্র হিসেবে কাজ করে যা বিচার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত এবং নিশ্চিত করে। 
দু'পরাশক্তিসহ চার শক্তিশালী দেশ-আমেরিকা, সোভিয়েত ইউনিয়ন, ব্রিটেন এবং ফ্রান্স নু্যরেমবার্গ ট্রায়ালের জন্য একটি নীতি নির্ধারণ করে, যেখানে চারটি বিশেষ ধরনের আচরণকে বিশ্বে প্রথমবারের মতো অপরাধ হিসেবে বিবেচনায় নেয়া হয়। এই অপরাধ চারটি হচ্ছে-গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ, মানবতার বিরম্নদ্ধে অপরাধ, শানত্মির বিরম্নদ্ধে অপরাধ সজ্ঞায়িত হয়। অথচ এর পূর্বে এই ধরনের অপরাধের কোন সংজ্ঞা-ধারণা ও স্বীকৃতিই ছিল না। এই চারটি অপরাধ সংজ্ঞায়িত হওয়ার পর নাৎসিদের চ্যালেঞ্জ আদালতে টেকেনি। 
মূলত ১৯৩৩ সালে হিটলার জার্মানির ৰমতা গ্রহণের পরই তার নাৎসি বাহিনী (সিমেটিক-অভিজাত, বস্নু বস্নাড গোটা ইউরোপে ইহুদীদের (এরিয়ান-নিম্নবর্ণের) বর্জন, বয়কট উচ্ছেদ শুরম্ন করে। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের উচ্ছেদ, নির্মূল, হত্যা, নিধন শুরম্ন করে। এরপর এই যুদ্ধ গোটা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ে। ১৩টি ক্যাম্প থেকে গোটা ইউরোপে নাৎসি বাহিনী নির্যাতন চালায়। নাৎসি বাহিনী ইহুদিদের 'এরিয়ান' বলে অভিহিত করে নিধন অভিযান চালায়। ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যনত্ম চলে নাৎসি বাহিনীর তা-ব। কিন্তু শেষ পর্যনত্ম রাশিয়ানরা বার্লিন চলে আসায় নাৎসি বাহিনী নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে ১৯৪৫ সালের মাঝামাঝি জুন ও জুলাই মাসে। ১৯৪৫ সালের নবেম্বর মাসে তাদের বিচার করা হয়। এরপর ধারাবাহিকভাবে তাদের বিচার হয়েছে। সর্বশেষ গত সপ্তাহে জার্মানির বিশেষ আদালতে ৯৭ বছর বয়সী এক নাৎসি ঘাতকের বিচার হয়েছে, যা গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়ার ধারাবাহিকতায় বিশ্বে আলোড়ন তুলেছে। হিটলারের নাৎসি বাহিনী নিজেদের সিমেটিক মনে করত এবং সর্বইউরোপ থেকে ইহুদিদের (এরিয়ান) নিমর্ূলে মরণপণ আঘাত হানে। নাৎসি বাহিনী ছয় ঘণ্টা হামলা চালিয়ে ফ্রান্স দখল করে নেয়। মাত্র আধা ঘণ্টায় পোল্যান্ডে তাদের শাসন কায়েম করে। তবে নাৎসিদের ইহুদি নিধন যজ্ঞে শেষ পর্যনত্ম হিটলারের পার্টিও দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছিল। একদিন আকস্মিকভাবে নাৎসি পার্টির ফিজিশিয়ান 'এরিয়ানদের' নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ঘোষণার পর পার্টির অভ্যনত্মরীণ বিরোধ আরও চাঙ্গা হয়। এতে নাৎসি বাহিনী তাৎৰণিক নীতি গ্রহণ ও সিদ্ধানত্মহীনতায় পড়ে গিয়েছিল, যা তাদের চরম পরাজয় পরিণতি ত্বরান্বিত করে। ফ্রান্স এবং পোল্যান্ড দখলের পর হিটলার একই সঙ্গে সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং ব্রিটেনের ওপর হামলার উদ্যোগ নেয়ার পরই বিপর্যসত্ম হয়ে পড়েন। এরপর নাৎসিদের চরম পরিণতি বরণ করতে হয়েছে। কথিত আছে, হিটলার আত্মহত্যা করেছেন। আবার অনেকে বলছেন, সোভিয়েত আক্রমণের পথ ছেড়ে ব্রিটেন আক্রমণের পথে যাত্রাকালীন ব্যাপক তুষারপাতে হিটলারের বিপুল সংখ্যক সৈন্য প্রাণ হারায় এবং তখন থেকেই হিটলার নিখোঁজ রয়েছেন। হিটলারের অবস্থান সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্যচিত্র পাওয়া যায়নি। এদিকে সোভিয়েত ইউনিয়ন বার্লিন চলে আসার পরই নাৎসি বাহিনী নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করে। এই আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে নাৎসি বাহিনী আনুষ্ঠানিকভাবে পরাজয় স্বীকার করে নেয় এবং এর পরই বিশ্ব মানবতার ইতিহাস নতুন বাঁক নেয়। 
কথিত আছে নু্যরেমবার্গ ট্রায়ালের আগেই নাৎসি পার্টির শীর্ষ নেতা এডলফ হিটলার, হিমলার এবং গোয়েবলস তিন জনই আত্মহত্যা করেন। নু্যরেমবার্গ ট্রায়ালে তৎকালীন বিশ্বের দু'পরাশক্তিসহ চার শক্তিধর রাষ্ট্র ২৪ জনের বিরম্নদ্ধে গণহত্যার দায়ে অভিযোগ আনেন। তাদের তিনজন পলাতক ছিল। কিন্তু শেষ পর্যনত্ম হিটলারের ব্যক্তিগত সহকারী মার্টিন বোরম্যানকে চূড়ানত্ম পর্যায়ে ব্রিটেনে খুঁজে পাওয়া যায়। সেখান থেকে তাঁকে নু্যরেমবার্গ ট্রায়ালে হাজির করা হয়। নাৎসি পার্টির নেতা রবার্ট লে'ও গোয়েরিংয়ের মতো ফাঁসি কার্যকরের নির্ধারিত দিনের আগের রাতে আত্মহত্যা করেন। 
নাৎসি বাহিনী নু্যরেমবার্গ ট্রায়ালকে চ্যালেঞ্জ করার পর দু'পরাশক্তিসহ চার শক্তিধর রাষ্ট্র ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নেয়ার কারণে নাৎসি বাহিনী তাদের অপরাধের বিচার ঠেকাতে পারেনি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধোত্তর পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সামরিক ও মৈত্রী চুক্তি অনুযায়ী সোভিয়েত-পোল্যান্ড চুক্তি ছিল পোল্যান্ড আক্রানত্ম হলে সোভিয়েত তার পাশে দাঁড়াবে। আবার বেলজিয়াম-ফ্রান্স চুক্তি ছিল বেলজিয়াম আক্রানত্ম হলে ফ্রান্স বেলজিয়ামের পৰ নেবে। ফ্রান্স ও ব্রিটেন এবং ব্রিটেন ও আমেরিকার সঙ্গে একই ধরনের সামরিক ও মৈত্রী চুক্তি ছিল। তখন দুই পরাশক্তিসহ বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় চার দেশ হিটলারের নাৎসি বাহিনীর বিরম্নদ্ধে অবস্থান নিয়েও নাৎসি বর্বরতা ঠেকাতে পারেনি। 
গণহত্যার কোন চাৰুস প্রমাণ নেই বলে আত্মরৰার চেষ্টা করেছিল নাৎসি বাহিনী। কিন্তু আইনজীবীদের যুক্তিতর্কে উঠে আসে আত্মরৰার চিনত্মায় গণহত্যা পরিদর্শনে কেউ প্রত্যৰদর্শী সাৰী হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না। তাই এই বিচারে গণহত্যার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনাকেই মূল অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে চাৰুস সাৰ্য প্রমাণের চেয়ে সংবাদ, আলোকচিত্র, দালিলিক তথ্যচিত্র, ছবি, ডকুমেন্টারি এবং চলচ্চিত্রকেই মুখ্য প্রমাণপত্র হিসেবে গুরম্নত্ব দেয়া হয়েছে। নু্যরেমাবার্গ আদালতে মৃতু্যদ-াদেশপ্রাপ্ত শীর্ষ অপরাধী গোয়েরিং ফাঁসির জন্য নির্ধারিত দিনের আগের রাতে আত্মহত্যা করেন। বিচারকালীন আদালতে দাঁড়িয়ে নাৎসি বাহিনীর গণহত্যা ও বর্বরতা সম্পর্কে তিনি দম্ভের সঙ্গে বলেছিলেন_ 'এটি ফুটবলের মাঠে জয়-পরাজয়ের মতো।' তিনি আদালতে সাড়ে তিন লাখ লোকের হত্যার দায়ে অভিযুক্ত হওয়ার পর আড়াই লাখ লোক হত্যার কথা স্বীকার করে বলেছেন, 'অন্যরা মৃতু্যবরণ করেছে বিভিন্ন সময়ে নির্যাতনে।' তাই এই কসাই ও ঘাতকের মানসিকতায় আইনজীবীরা তখন ঘৃণা প্রকাশ করেন। 
আট মাস ধরে চলে এই বিচারের তথ্য সংগ্রহ ও কোর্টে শুনানি এবং অপরাধীদের আত্মপৰ সমর্থনের কাজ। এরপর সেপ্টেম্বর মাসে (১৯৪৫) অভিযোগ, অভিযুক্তের বক্তব্য, তথ্য, চিত্র, অভিযোগকারীদের বক্তব্যসহ সবকিছু দু'জনসহকারীসহ বিচারকদের এক মাস সময় দেয়া হয় সামগ্রিক বিষয় বিবেচনা করে রায় প্রস্তুত করার জন্য। প্রথম আদালত ১৯৪৫ সালের ২০ নবেম্বর অভিযুক্ত ২৪ জনের মধ্যে ২২ জনকে দ-াদেশ দেয়। ২২ জনকে দ-াদেশ দিতে পৃথিবীর চার শক্তিধর রাষ্ট্রের ৫৬ প্রসিকিউটর ছিলেন। প্রত্যেক প্রসিকিউটরের দু'জন সহযোগী ছিলেন। প্রত্যেক সহযোগীর আলাদা আলাদা কৰ ও তথ্য সংগ্রহ,তথ্য-উপাত্ত বিশেস্নষণের জন্য প্রয়োজনীয় আয়োজন ছিল। শুরম্ন থেকে শেষ পর্যনত্ম বিচারকার্য শেষ করতে এক বছর সময় লেগেছিল। 
নু্যরেমবার্গ ট্রায়ালে গণহত্যাকারীদের বিরম্নদ্ধে অভিযোগ দাখিল, গণহত্যাকারীদের আত্মপৰ সমর্থনের সুযোগ, বিচার প্রক্রিয়া এবং দ- প্রদানের প্রামাণ্য চিত্র ধারণ করা হয়। গোটা বিচার প্রক্রিয়ায় সময় লাগে ২৫ ঘণ্টা। পুরো বিচারের প্রক্রিয়াটির ডকুমেন্টারি করেন বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা জন ফোর্ড। নু্যরেমাবার্গ বিচার প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছিল হলিউডের বিখ্যাত চলচ্চিত্র 'জাজমেন্ট অব নু্যরেমবার্গ'। যা পৃথিবীব্যাপী আলোড়ন তুলেছিল। 
সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে নু্যরেমবার্গ ট্রায়ালে নাৎসি বর্বরদের বিচার হয়েছিল। নু্যরেমবার্গ ট্রায়ালে দুই পরাশক্তিসহ চার দেশেরই বিচারক এবং প্রসিকিউটর নিয়োগ দেয়া হয়। গ্রেট ব্রিটেনের ষাটোর্ধ বিচারপতি গাফারি ল'রেন্স আদালতের প্রধান বিচারক হিসেবে কাজ করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রেরিত জাস্টিস জ্যাকসন নু্যরেমবার্গ ট্রায়ালের চীফ প্রসিকিউটর হিসেবে কাজ করেন। এতে আমেরিকান এ্যাটর্নি বিড্্ল, ফ্রান্সের বিচারক জার্মান ভাষায় পারদর্শী হেনরি ডোনিডিউই ডি ভাবরেস এবং ইংরেজী ভাষায় পারদশর্ী রবার্ট ফ্যালকোকে বিচারক হিসেবে এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের নিকিচেনকো প্রথমে প্রসিকিউটর এবং পরে বিচারক ও নিকিচেনকো বিচারক হওয়ার পর আলেকজান্ডার ভলকোভ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান। 
নু্যরেমবার্গ ট্রায়ালে দ-প্রাপ্তদের মধ্যে হিটলারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে ছিলেন_ বোরম্যান, হ্যানস ফ্রাঙ্ক, উইলহেলম ফ্রিক, গোয়েরিং (মিনিস্টার অব দি ইন্টেরিয়র), আলফ্রেড জল্ড, সেনাপ্রধান আর্নেস্ট কালটেনব্রম্ননার, এসএস কমান্ডার উইলহেলমকেইটেল, হেড অব আর্মড ফোর্সেস হাইকমান্ড এরিক রিডার, সাবেক কমান্ডার অব নেভি জোয়েসিম ফন রিবানট্রপ, বিদেশমন্ত্রী আলফ্রেড রোজেনবার্গ, প্রোটেকটর অব দ্য ইস্টার্ন অকুপাইড টেরিটরিজ ফ্রিজ সাউকেল, নাৎসি বাহিনীর অন্যতমও কর্তা আর্থার সিয়েস-ইনকার্ট, জুলিয়াস স্ট্রিচার এবং একটি পত্রিকার সম্পাদকসহ ৩০ জন। গণহত্যার বিচারে নু্যরেমবার্গ ট্রায়াল আনত্মর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃত এবং গ্রহণযোগ্য। কিন্তু এই বিচার প্রক্রিয়ায় দ-িতদের পুনর্বিচার কিংবা দ-াদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদনের কোন সুযোগ ছিল না। তাই অনেকে নু্যরেমবার্গ ট্রায়ালকে সামরিক আদালতও বলে থাকেন। সকল চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে নু্যরেমবার্গ ট্রায়াল ৩০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডাদেশ দেয়।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2011-01-05&ni=44606
বুধবার, ৫ জানুয়ারী ২০১১, ২২ পৌষ ১৪১৭