Banner Advertiser

Friday, February 22, 2013

[mukto-mona] জামায়াতী সশস্ত্র তান্ডব বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি ছিঁড়েছে জাতীয় পতাকা জনতার প্রতিরোধ শুরু সারাদেশে



বাংলা না এলে
home sitemap rss
শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৩, ১১ ফাল্গুন ১৪১৯
জামায়াতী সশস্ত্র তান্ডব
০ ছিঁড়েছে জাতীয় পতাকা 
০ ভেঙ্গেছে শহীদ মিনার ও গণজাগরণ মঞ্চ
০ নিহত ৪
০ বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি 
০ টার্গেট সাংবাদিকরাও 
০ জনতার প্রতিরোধ শুরু সারাদেশে
জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সহিংস হামলা চালিয়েছে জামায়াত-শিবির। দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা জাতীয় পতাকা ছিঁড়ে ফেলে, শহীদ মিনারে হামলা, গণজাগরণ মঞ্চ ভাংচুর, প্রেসক্লাবে আক্রমণ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, গুলি, বোমাবাজি, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো, টিয়ারশেল নিক্ষেপ, ইটপাটকেল বিনিময়ে সহিংস হামলা ঘটিয়েছে। এতে গাইবান্ধায় ২ জন, সিলেটে ১ জন, ঝিনাইদহে ১ জনসহ ৪ জন নিহত এবং রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ১৫ সাংবাদিক, পুলিশ, জামায়াতÑশিবিরের কর্মীসহ তিন শতাধিক আহত হয়েছে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমকে সহিংস হামলার ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছে তারা। রাজশাহী, বগুড়া, জয়পুরহাট, বরিশাল, কুড়িগ্রাম, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর, পাবনা, ফেনী, গাইবান্ধা, নারায়ণগঞ্জ, নাটোর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের গণজাগরণ মঞ্চ ভাংচুর করা হয়েছে। এর মধ্যে ফেনী ও সিলেটে শহীদ মিনার ভাংচুর করা হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধীর বিচার ঠেকাতে ব্যর্থ হয়ে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের গণজাগরণ মঞ্চ সম্পর্কে মনগড়া ও মিথ্যা অভিযোগ করে জামায়াত-শিবিরের নেতৃত্বে সমমনা উগ্রপন্থী দলগুলো শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালিয়েছে। সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালানোর পর তারা রবিবার 
সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছে।
শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের গণজাগরণ মঞ্চে হামলার জন্য জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম, চানখাঁর পুল, কাঁটাবনসহ চতুর্দিক থেকে হামলা চালানোর চেষ্টা করে জামায়াতÑশিবিরের নেতৃত্বে তাদের সমমনা দলগুলো। পুলিশ বাধা দিলে তাদের ওপর হামলা করে জামায়াতÑশিবির সন্ত্রাসের তা-বলীলা চালিয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, ঝিনাইদহে জামায়াত-শিবিরের হামলায় আহত হয়েছেন কর্তব্যরত সাংবাদিকরা। সিলেট, রাজশাহী ও বগুড়ায় গণজাগরণ মঞ্চ ভাংচুর করেছে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর দৈনিক বাংলা থেকে শুরু করে পল্টন, প্রেসক্লাব হয়ে হাইকোর্ট এলাকা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে সংঘর্ষ। এতে গুলিবিনিময়, ইটপাটকেল নিক্ষেপ, রবার বুলেট, কঁাঁদানেগ্যাস নিক্ষেপ করায় গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। একই ধরনের ঘটনা ঘটে রাজধানীর কাকরাইল, বাংলামোটর, কাওরানবাজার, মিরপুর ও পান্থপথ এলাকায়। প্রতিটি স্থানেই পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ ঘটিয়েছে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা।
বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে 
সংঘর্ষ ॥ বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে জুমার নামাজ শেষে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে তাদের সমমনা উগ্রপন্থী দলগুলোর কর্মীরা শাহবাগ অভিমুখে স্লোগানমুখর মিছিল বের করে। প্রেসক্লাবের দিকে এগোনোর সময় তোপখানা রোডে ওয়ার্কার্স পার্টির কার্যালয়ের সামনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে তৈরি তোরণ ভাংচুর করে। এক পর্যায়ে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালালে শুরু হয় সংঘর্ষ। এ সময় একযোগে বায়তুল মোকাররম মসজিদ থেকে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় জামায়াত-শিবির ও উগ্রপন্থী কর্মীরা। সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ১০ সাংবাদিকসহ পুলিশের এক এসি ও শাহবাগ থানার ওসি আহত হন কাঁটাবনে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রবার বুলেট ও কাঁদানেগ্যাস ছুড়তে থাকে। এ সময় হামলাকারীরা বৃষ্টির মতো ঢিল ছুড়তে থাকে। সহিংসতা ঠেকাতে পুলিশ শটগানের ছররা গুলি ব্যবহার করে। সাংবাদিকদের ওপর হঠাৎ করেই হামলা করে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকসহ ক্যামেরাম্যানদের ওপর মারমুখী হয়ে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। আহত সবাইকে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দুপুর থেকেই ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টিকারী দলগুলোর বিক্ষোভ কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে বায়তুল মোকাররম ও আশপাশের এলাকার পরিস্থিতি হয়ে ওঠে উত্তপ্ত। জুমার নামাজের আগে বন্ধ রাখা জাতীয় মসজিদের বেশ কয়েকটি গেট ভেঙ্গে ফেলে ইসলামী দলগুলোর নেতাকর্মীরা।
এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের ওপর জামায়াত-শিবির উগ্রপন্থী নেতাকর্মীরা চড়াও হয়। এ সময় কয়েকটি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরা ভাংচুর করা হয়। আবারও মিছিল নিয়ে শাহবাগের দিকে যেতে চাইলে হাইকোর্টের সামনে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে আহত সাংবাদিকদের মধ্যে রয়েছেন মাছরাঙার সিনিয়র রিপোর্টার আবদুল্লাহ তুহিন, এটিএন বাংলার ক্যামেরাম্যান ইমরান তুহিন ও এটিএন নিউজের সাংবাদিক ফেরদৌস। এছাড়া একাত্তর টিভির ক্যামেরাম্যান ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। হামলায় কয়েকটি টিভি চ্যানেলের ক্যামেরা ভাংচুর করা হয়েছে। পুলিশ সাংবাদিকদের রক্ষা করতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালায় তারা। কাঁটাবনে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হামলায় আহত হয়েছেন। জোট বেঁধে জামায়াত-শিবির সমর্থকরা মসজিদের ভেতর থেকে সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ও জামায়াতের রাজনীতিকে নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগের আন্দোলনকারীরা শুক্রবার সব ধর্মের উপাসনালয়ে প্রার্থনা ও দোয়ার কর্মসূচী দেয়ার পর জামায়াতের নেতৃত্বে তাদের সমমনা উগ্রপন্থী দলগুলো মিথ্যা অভিযোগ এনে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে জুমার পর বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচী ঘোষণা করে। এই কর্মসূচী ঘোষণা করে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সহিংসতা ছড়িয়ে দেয়। সহিংসতার কেন্দ্রবিন্দু ছিল রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদ। 
বায়তুল মোকাররম মসজিদের ভেতরে যা ঘটেছে ॥ বায়তুল মোকাররম মসজিদের লাল গালিচার কার্পেটে আগুন এবং মসজিদের ভেতর থেকে গুলি ও জুতা নিক্ষেপ করে জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। জুমার নামাজের আগে বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর দিকে রাস্তার ওপর মুসল্লিরা নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। জুমার নামাজের খুৎবা চলাকালীন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা এটিএন বাংলার ক্যামেরাম্যান জাহিদুজ্জামান ও মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিক আবদুল্লাহ তুহিনকে মারধর করে। জুমার নামাজের পর জামায়াত-শিবিরসহ ১২টি সমমনা ইসলামী দল উত্তর গেট দিয়ে মিছিল বের করে প্রেসক্লাবের দিকে যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে পল্টনে মিছিলকারীদের বাধা দেয় পুলিশ। এতে বাধা উপেক্ষা করে জঙ্গী মিছিল নিয়ে ব্যারিকেড ভেঙ্গে শাহবাগের দিকে এগোতে থাকে তারা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে কয়েক রাউন্ড কাঁদানেগ্যাস নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে পুলিশ রবার বুলেট নিক্ষেপ করতে থাকে। রবার বুলেটের বিপরীতে জামায়াতের কর্মীরা হাতবোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাতে থাকে। এ সময় মিছিলকারীরা ছাত্রভঙ্গ হয়ে কিছু অংশ বায়তুল মোকাররম মসজিদে ঢুকে পড়ে। পরে জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা মসজিদের ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মসজিদের ভেতর থেকে শিবিরের নেতাকর্মীরা অস্ত্র উঁচিয়ে পুলিশকে গুলি করতে থাকে। এদের হাত থেকে সাংবাদিকরাও রেহাই পাননি। এ সময় বায়তুল মোকাররমের উত্তর দিকের সিঁড়ি সংলগ্ন এলাকায় পাতা নামাজের গালিচায় আগুন ধরিয়ে দেয় জামায়াতঘেঁষা ইসলাম আশ্রয়ী দলগুলোর নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশও পাল্টা বিক্ষোভরতদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে থাকে। ঘটনার পর মসজিদের খাদেমরা দ্রুত ছুটে এসে আগুন নেভানোর উদ্যোগ নেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এর ফলে বড় ধরনের অগ্নিকা-ের কবল থেকে রক্ষা পায় জাতীয় মসজিদ। এদিকে পল্টনে মিছিলটি ছাত্রভঙ্গ করে দেয়ার পরও মিছিলের বিরাট অংশ পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে প্রেসক্লাবে দিকে যেতে থাকে। এ সময় পুলিশ আবার মিছিলকারীদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করতে থাকে। মিছিলকারীরাও পাল্টা ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় মিছিলকারীরা অলিতে-গলিতে ঢুকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও বোমা নিক্ষেপ করতে থাকে। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় মিছিলকারী ও পুলিশের মধ্যে মুহুর্মুহু গুলিবিনিময় চলতে থাকে। এ ঘটনায় ৮ সাংবাদিক ও পুলিশসহ শতাধিক আহত হয়েছে। এদের মধ্যে সাংবাদিক, পুলিশসহ ৩৫ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 
যেভাবে মুক্ত হয় বায়তুল মোকাররম মসজিদ ॥ জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে ধর্মীয় সমমনা দলগুলোর ব্যানারে জামায়াত-শিবির ও অন্যান্য জঙ্গী সংগঠন শুক্রবার জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররমসহ দেশব্যাপী তা-ব চালাবে এমন আশঙ্কায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেয়া হয়। বায়তুল মোকাররম মসজিদের চারপাশে গতকাল বিপুলসংখ্যক নিরাপত্তাকর্মীর উপস্থিতি থাকা সত্ত্বে¡ও জামায়াতী ক্যাডারদের তা-ব রুখতে পারেনি। পুলিশকে ধোঁকা দিয়ে ভিন্ন কৌশলে জামায়াত-শিবিরের অস্ত্রধারীরা মসজিদে প্রবেশ করে। সেখানে কর্তব্যরত এক পুলিশ জনকণ্ঠকে জানান, মূলত অন্য যে কোন শুক্রবারের তুলনায় এদিন বায়তুল মোকাররমে সাধারণ মুসল্লিদের সংখ্যা ছিল কম। ফলে ধারণা করা হয়, নামাজ শুরুর বেশ আগে থেকেই জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা মসজিদে ঢুকে পড়তে সক্ষম হয়। বিপত্তি ঘটে বেলা সাড়ে বারোটার দিকে। মসজিদে প্রবেশ করার সময় কয়েকজন তরুণের আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় তাদের উত্তর গেটে পুলিশ চেক করতে চায়। পুলিশ দেহতল্লাশি করতে চাইলে তাদের একজন ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। 'আপনারা কি এদেশে শান্তি মতো ধর্মকর্ম করতে দেবেন না- মন্তব্য করে এক যুবক জোরে চিৎকার করতে থাকে। এ সময় মোটরসাইকেলযোগে আসেন আরেক মুসল্লি। পুলিশের তল্লাশি দেখে তিনিও উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
প্রত্যক্ষদর্শীর মতে, নামাজ শেষ হওয়ার পরই পরই গোলযোগের আশঙ্কায় শান্তিকামী সাধারণ মুসল্লিরা দ্রুত মসজিদ থেকে বের হয়ে আসতে থাকেন। হঠাৎ মসজিদের ভেতর থেকে শোনা যায় সেøাগান। মুসল্লিবেশী জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা মুরতাদের ফাঁসি চেয়ে সেøøাগান দিতে থাকলে পুলিশসহ সব নিরাপত্তাকর্মী সতর্ক অবস্থান নেয়। এ সময় পূর্বদিক থেকে পুলিশ পশ্চিমে আসতে থাকলে মসজিদের ভেতর থেকে তাদের ওপর ইটপাটকেল মারতে থাকে জামায়াতীরা। তারপর মুহূর্তেই পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে ওঠে। মসজিদ থেকে বের হয়েই তারা মিছিল আকারে শাহবাগের যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে মৎস্য ভবনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখনই অতর্কিতে হামলা চালায়। শুরু হয় ওদের তা-ব। দেড় ঘণ্টাব্যাপী পুলিশের ওপর তা-ব চালায় তারা। এ সময় দেখে দেখে মিডিয়ারকর্মীদের ওপরও হামলা চালানো হয়। নির্বিচারে তাদের ওপর চালানো হয় গুলি। পল্টন থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বায়তুল মোকাররমে কাল যারা নামাজ পড়তে গিয়েছিল তাদের বেশিরভাগই জামায়াত-শিবির ও বিভিন্ন উগ্র ইসলামী জঙ্গী সংগঠনের সক্রিয় কর্মী ও সমর্থক। তারা পরিকল্পনা মতো মসজিদের ভেতর থেকেই পুলিশকে টার্গেট করেই চতুর্মুখী হামলা চালায়। উত্তর গেটে সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে যারা ককটেল নিক্ষেপ ও গুলি চালিয়েছে তারা ছিল তরুণ। বেপরোয়া মনোভাবে তারা নির্বিচারে গোলাগুলি, ককটেল নিক্ষেপ ও ইটপাটকেল মেরেছে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা মসজিদের নিচে থাকা হকারদের রেখে যাওয়া চৌকি ও চেয়ার-টেবিলে আগুন ধরিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে হোটেলের উত্তর গেটের তোপখানা রোডের বাসিন্দা ফখরুল বলেন, মসজিদ প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এখানে নিয়মিত শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ছি। কখনও দেখিনি নামাজ শেষে কোন মুসল্লিকে মসজিদের ভেতরের সীমানায় আগুন দিতে। ওদের সহিংস তা-ব রুখতে পুলিশ যথেষ্ট ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায়। কিন্তু এতে হামলাকারীরা আরও আক্রমণাত্মক হয়ে মসজিদের ভেতর থেকে মুহুর্মুহু গুলি চালায়। বার বার মিছিল বের করার চেষ্টা চালায়। এক পর্যায়ে পুলিশও মসজিদের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। মসজিদের ভেতর আটকে পড়া মুসল্লি মান্নান জনকণ্ঠকে বলেন, বেলা দুটোর পরও মসজিদ থেকে কিছুতেই হামলাকারীদের বের করে আনতে পারেনি পুলিশ। এরপর বেলা আড়াইটায় পুলিশ মাইকে ঘোষণা দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সবাইকে মসজিদ থেকে বাইরে আসার আহ্বান জানায়। তারপর মসজিদের ভেতর থেকে ঢিল ছোড়া বন্ধ হয়। পুলিশ জানায়, বেলা আড়াইটা থেকে মসজিদের উত্তর দিকের গেট থেকে পুলিশ কিছুটা দূরে সরে আসে। এতে হামলাকারীরা পূর্বদিকে মার্কেটের বিভিন্ন গলি দিয়ে যে যার মতো করে বের হতে থাকে। এভাবে পৌনে পাঁচটার আছরের নামাজের পর মুসল্লিদের সঙ্গে জামায়াতীরাও বের হয়ে আসে। এক পর্যায়ে মসজিদের আশপাশের এলাকা শান্ত হয়ে এলে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। 
তবে পল্টন থানার পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মাগরিবের আজানের পরও বেশ কয়েকজন জামায়াত-শিবির কর্মী মসজিদে মুসল্লিবেশে অবস্থান করছিল। তারা মসজিদের ভেতরে অবস্থান করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিল। 
কাঁটাবন মসজিদ থেকে হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা ॥ পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার জুমার আগে মাওলানা শেখ নুরে আলম হামিদি নামের হেফাজতে ইসলাম নামের সংগঠনের ১৫ জন একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে কাঁটাবন মসজিদের সামনে নামে। পরে মসজিদে ঢুকে হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দেয়, নামাজের পর মিছিল বের করা হবে। নামাজ শেষে মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় ওই সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুলিশকে গালাগাল করতে থাকে। মিছিলের প্রস্তুতির এক পর্যায়ে তারা অদূরে দাঁড়ানো রমনা জোনের এসি শিবলী নোমান, শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলামসহ কয়েক পুলিশ সদস্যকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করে। এ সময় ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন। এক পর্যায়ে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে মিছিলটি ছাত্রভঙ্গ করে দেন। পরে কিছুক্ষণ পুলিশের সঙ্গে মিছিলকারীদের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া হয়। সংঘর্ষ চলাকালীন পুলিশ ওই এ্যাম্বুলেন্সের ভেতর থেকে হেফাজতে ইসলাম কমিটির মৌলভীবাজার জেলার আহ্বায়ক মাওলানা শেখ নুরে আলম হামিদি, হুসাইন আহমেদ খান, আহমেদ বিন কাসিমসহ চারজনকে আটক করেছে। পরে পুলিশ তাদের কাছ থেকে উস্কানিমূলক বক্তব্য সংবলিত অবৈধ লিফলেট উদ্ধার করে। আটককৃতদের শাহবাগ থানায় আনা হয়েছে। পরে কাঁটাবন এলাকা থেকে আরও ১২ জনকে আটক করা হয়। এ সময় পুলিশ এ্যাম্বুলেন্সটি রেকারিং করে নিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজিত জনতা সেটি ভাংচুর করেছে। এর কিছুক্ষণ পরই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগের নেতৃত্বে আরও কিছু বামপন্থী সংগঠন মিলে মিছিল বের করে শাহবাগ থেকে কাঁটাবন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। সেখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আশপাশে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 
কামরাঙ্গীরচর মসজিদ ॥ স্থানীয় সূত্র থেকে জানা গেছে, তিন শতাধিক মসজিদের জনপদ রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে অধিকাংশ মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জিন জামায়াতপন্থী। জুমার নামাজের আগে পূর্বরসূলপুর ৩ নম্বর গলির বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদ, ৮ নম্বর গলির মাস্টারবাড়ি মসজিদ, রনি মার্কেটের বায়তুল মামুর জামে মসজিদ, খলিফাঘাট আল আমিন ইসলামিয়া মাদ্রাসাসহ বেশ কয়েকটি মজজিদ থেকে উস্কানিমূলক বয়ান করা হয়। সেখান থেকে জেহাদের নাম করে মিছিলে যোগ দেয়ার জন্য মুসল্লিদের উদ্বুদ্ধ করে ইমামরা। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েক মুসল্লি জানান, ইসলাম শান্তি ও মানবতার ধর্ম অথচ ইসলামের নাম ব্যবহার করে জামায়াত-শিবির মুসলমানের ওপর হামলা চালিয়েছে। বহু গাড়ি ভাংচুর করেছে। এটি কিসের ইসলাম। এদের বিরুদ্ধে ইমামরা কিছু বলেন না। এসব ইমামের বিরুদ্ধে তদন্ত করা দরকার বলে মনে করেন তারা। পরে জুমার নামাজ শেষে হুজুরপাড়া হাফিজি হুজুরের মাদ্রাসা থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। প্রথমে পুলিশ মিছিলকারীদের বাধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় সেখান থেকে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।
ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা ॥ শুক্রবার জামায়াত সমর্থক দলগুলোর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত কনস্টেবল, সাংবাদিক, ছাত্র-শিক্ষকসহ ৩৫ জনকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আনা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এদের মধ্যে আনসার আলী (৩০) নামে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিকেলে শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরের আহ্বায়ক ডা. ইমরান এইচ সরকার হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান। জানা গেছে, পুরান ঢাকার কাপ্তানবাজার এলাকা থেকে আহত ওয়ারী থানা পুলিশের কনস্টেবল আব্দুল আজিজ, বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে গুলিবিদ্ধ জনকণ্ঠের ফটোসাংবাদিক শেখ মামুন রশিদ, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির আমিনুল হক ভুঁইয়া, চ্যানেল ৭১-এর ক্যামেরাম্যান আরিফুজ্জামান পিয়াস, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির ক্যামেরাম্যান নুরুল ইসলাম, আমার দেশের চীফ ফটোগ্রাফার মীর আহম্মেদ মীরু, জিটিভির মাসুদুর রহমান, মাছরাঙা টেলিভিশনের সাংবাদিক আবদুল্লাহ তুহিন, এটিএন বাংলার ক্যামেরাম্যান জাহিদুজ্জামান ও নিউএজের নিতাই দাস, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন প্রথম বর্ষের ছাত্র গুলিবিদ্ধ সুমন সরকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগের কর্মী ইমরান, হাইকোর্ট মোড়ে ইটের আঘাতে আহত গাজীপুরের মাওনার কলেজ শিক্ষক আমিনুল ইসলাম, আল আমিন, আসিম, হাসান, ফজলে রাব্বি, বিল্লাল হোসেন, সুমন, রফিক, সেলিম, ইমরান, জাকির, মহিউদ্দিন, মাইনুদ্দিন, মোঃ জাকির, ইফনুছসহ অজ্ঞাত কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি হন। আহতদের দেখতে যান তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আফম রুহুল হক।

রাজশাহী ॥ আমাদের স্টাফ রিপোর্টার জানান, ইসলামী দলগুলোর হামলায় রাজশাহীজুড়ে রণক্ষেত্র পরিণত হয়। গণজাগরণ মঞ্চ ভাংচুর করে জামায়াত- শিবির ক্যাডাররা। অন্যদিকে গণজাগরণ মঞ্চ ভাংচুরের খবরে বিক্ষুব্ধ জনতা ইসলামী ব্যাংকের একটি শাখায় আগুন দিয়েছে। দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টসহ বেশ কয়েকটি এলাকা। সংঘর্ষে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেনসহ অন্তত শতাধিক আহত হয়। নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট থেকে গণকপাড়া পর্যন্ত লাঠিসোটা ও বোমা ককটেল নিয়ে নাশকতা সৃষ্টি করে জামায়াত-শিবির। এ সময় বিপুল পরিমাণ বোমা ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। শুক্রবার বেলা দেড়টার পর জুমার নামাজের পর নগরীর সাহেব বাজার, কুমারপাড়া, আলুপট্টি, গণকপাড়া, লক্ষ্মীপুর ও কোর্ট স্টেশন এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নগরীর আলুপট্টি মোড়ে রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের গাড়িতেও হামলা চালায় জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। লক্ষ্মীপুর এলাকায় ছাত্রলীগের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। বজলুর রহমান নামের এ ছাত্রলীগ কর্মীকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ টিয়ারশেল, রবার বুলেট ও ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে। 
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর নগরীর সাহেব বাজারের আশপাশের বিভিন্ন মসজিদ থেকে ইসলামী সমমনা দলের ব্যানারে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে দলে দলে লোক আসতে থাকে সাহেব বাজার বড় মসজিদের সামনে। বেলা পৌনে দুটোর দিকে তারা সেখানে জমায়েত হয়ে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করে সামনে অগ্রসর হলে বিপুল পরিমাণ পুলিশও তাদের পিছু নেয়। এক পর্যায়ে মিছিলকারীরা রাস্তায় দোকানপাট ও ছোট ছোট যানবাহনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ভাংচুর শুরু করলে পুলিশ এতে বাধা দেয়। পরে মিছিলকারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। সমমনা দলের সদস্যরা লাঠিসোটা, ইটপাটকেল নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালালে জবাবে পুলিশও লাঠিচার্জের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ারশেল, রবার বুলেট নিক্ষেপ করা শুরু করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করে।
এক পর্যায়ে মিছিলকারীরা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে নগরীর গণকপাড়া, আলুপট্টি ও কুমারপাড়া এলাকায় ভাংচুর শুরু করে। একটি দল নগরীর আলপট্টি মোড়ে গিয়ে সেখানে 'গণজাগরণ' মঞ্চে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও টাঙানো ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে তাতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এ সময় সেখানে সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের গাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায়। মহানগর ছাত্রলীগের এক নেতা বিষয়টি নিশ্চিত করলেও সিটি মেয়র তাঁর গাড়িতে হামলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। এ ছাড়া সাহেব বাজার এলাকার উত্তরা ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংকের বাইরের কাচ ভাংচুর করে এবং রূপালী ও ব্র্যাক ব্যাংকের এটিম বুথেও ভাংচুর চালানো হয়।
এদিকে গণজাগরণ মঞ্চ ভাংচুরের খবর পেয়ে স্থানীয়রা সংঘবদ্ধ হয়ে আলুপট্টিতে ইসলামী ব্যাংকে হামলা ও জ্বালিয়ে সেখানে অগ্নিসংযোগ করে। পরে পুলিশের জলকামানের গাড়ির সাহায্যে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে নেয়। এসব ঘটনায় নগরীজুড়ে আতঙ্ক অবস্থা বিরাজ করছে। সংঘর্ষের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩৫ জনকে আটক করেছে। এরা সবাই জামায়াত- শিবিরের কর্মী বলে পুলিশ জানিয়েছে। রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এর আগে নগরীর কোর্ট স্টেশন জামে মসজিদের ইমাম শাহবাগের আন্দোলন নিয়ে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিলে মুসল্লিরা মসজিদের মধ্যে হৈ চৈ শুরু করে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া একই সময় নগরীর লক্ষ্মীপুর, এলাকায়ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এদিকে চারঘাটের নন্দনগাছিতে জামায়াত কর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে পুলিশের দুই কনস্টেবল আহত হয়েছেন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার এসএম মনিরুজ্জামান জানান, নগরীর পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

জরুরি সংবাদ
 ❖ জামায়াতী সশস্ত্র তান্ডব   ❖ প্রজন্ম চত্বরে ॥ 


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___