শাহবাগ আন্দোলনের শুরুতেই দাবী তোলা হয়েছিল ২৬ শে মার্চের মধ্যে জামাত শিবিরকে নিষিদ্ধ করতে হবে। দাবীর ধাক্কায় কেঁপে উঠেছিল ক্ষমতাশালী আর সুবিধাবাদীদের প্রাসাদ আর দুর্গ। ব্লগার রাজীব হায়দারের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত উচ্চারণ করেছিলেন, 'জামাত শিবিরের রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই'। সবাই ভেবেছিল এবারে বুঝি সত্যই প্রত্যাশার পূরণ হবে। হয়নি। আন্দোলনের ঢেউয়ের ধাক্কা একটু ফিকে হতে না হতেই আমরা খবরের কাগজে দেখলাম – 'জামাতকে নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে না সরকার'। তারপর থেকেই সবাই যা বোঝার বুঝে নিয়েছে। পাবলিককে যত বোকা ভাবা হয় তত বোকা না। ভিতরে ভিতরে কি খেলা চলছে সেটা কাউকে না বলে দিলেও চলে।
এভাবেই হয়তো চলত, যেভাবে চলেছে স্বাধীনতা-উত্তর বেয়াল্লিশটা বছর। হতাশার গহীন আঁধারে যেমনি ভাবে ছিলাম, তেমনিভাবেই হয়তো থাকতাম। কিন্তু তা মেনে নিলেননা সাতজন উদ্যমী তরুণ। তারা কবি নজরুলের মতোই 'দেখিয়া শুনিয়া খেপিয়া গেলেন'। শুরু করলেন অনশন কর্মসূচী। তারা এর পিছনে কারণ হিসেবে বললেন, 'গণজাগরণ মঞ্চের ২১ ফেব্রুয়ারির মহাসমাবেশ থেকে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াত-শিবিরের নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য ২৬ মার্চ পর্যন্ত যে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল, সরকার সেটি না মানায় ও এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায়, শহীদ রুমী স্কোয়াড-এর সাত তরুণ এ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।'
তারপর এখানে -
__._,_.___