Banner Advertiser

Saturday, May 11, 2013

[mukto-mona] সব তো বুমেরাং হলো ॥ এবার তবে কোন্ ষড়যন্ত্র



ويقترح رجل الله يتصرف  [Man proposes, All the almighty disposes]
সব তো বুমেরাং হলো ॥ এবার তবে কোন্ ষড়যন্ত্র
মুহম্মদ শফিকুর রহমান
শ্বাসরুদ্ধকর ২৪ ঘণ্টা যেন এক ভয়ঙ্কর ফিকশন। ৫ মে প্রথম প্রহরে হেফাজতবাহিনী ঢাকা মহানগরীর চতুর্দিকের ৬টি প্রবেশ পথে বসে পড়ে। যান- মানুষের চলাচল বন্ধ করে অবরোধ রচনা করবে। বিকেল ৩টায় বাইরের অবরোধ তুলে এনে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ করে সেখানেই বসে পড়বে, রাত কাটাবে। ৬ মে ভোরে ফজরের নামাজ শেষে বঙ্গভবনের দিকে হেফাজতী কাফেলা যাত্রা করবে এবং বঙ্গভবনে ঢুকে রাষ্ট্রপতি এ্যাডভোকেট আবদুল হামিদকে তাড়িয়ে হেফাজতী নেতা ৯০ উর্ধ বৃদ্ধ আল্লামা আহমাদ শফীকে রাষ্ট্র্পতির আসনে বসাবে। এখান থেকে হেফাজতী কাফেলা যাবে গণভবনে এবং শেখ হাসিনাকে সরিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে (গণভবন) দখল করবে এবং বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসিয়ে দেয়া হবে। মন্ত্রিসভাও নাকি ভাগ হয় এবং হেফাজতের সাধারণ সম্পাদক বাবুনগরীকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
কি ভয়ঙ্কর পরিকল্পনা। এই পরিল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৪ মে শাপলা চত্বরে সমাবেশ ডেকে বক্তৃতায় এক হিংস্র উল্লাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে বলেছিলেন, "কেয়ারটেকারের দাবি আনার জন্য আপনাকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দেয়া হলো। এই সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে ৪৮ ঘণ্টা পর পালাবার পথ পাবে না।"
খালেদা জিয়ার এই হুমকির প্রতিধ্বনি শোনা গেল পরদিন হেফাজতের শাপলা চত্বরের সমাবেশে। হেফাজতী নেতারাও প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে একই আল্টিমেটাম দিয়ে বললেন, "(৫ মে রাত) আজ রাত পোহালে কাল ভোরে কোথায় পালাবেন এখনই ঠিক করে রাখেন।" আমরা লক্ষ্য করলাম তাদের এই নীলনকশা বাস্তবায়নে একদিকে যেমন হেফাজত নেতা আল্লামা শফীকে শাপলা চত্বরের সমাবেশে আসতে দেয়া হয়নি, প্রয়াত তালেবানী হেফাজত মাওলানা ফজলুল হক আমিনীর আখড়া লালবাগ মাদ্রাসা গৃহবন্দী করে রাখে তার অনুসারীরা। কে জানে ৯০ উর্ধ এই বুড়ো না আবার কোন গুবলেট করে বসে। যেমন হেলিকপ্টার করে বগুড়া গিয়ে বলেছেন, অর্থাৎ বাংলাদেশের নারী সমাজকে উপদেশ দিলেন, "নারী সমাজকে পোশাকে- আশাকে শেখ হাসিনার মতো শালীনতা বজায় রেখে চলাফেরা করা উচিত।" অথচ হেফাজতী নেতারা ইতিপূর্বে শেখ হাসিনাকেও 'নাস্তিক' বলেছিলেন। এই নেতারা আশ্বস্ত হয়েছিলেন ওদের দৃষ্টিতে সহি মুসলমান মুহতায়েনা খালেদা জিয়ার বিএনপি, জামায়াতসহ ১৮ দলের নেতাকর্মীরা তাদের সঙ্গে আছে এবং তারা তাদের কাফেলা লক্ষ্যস্থলে পৌঁছাতে কোন বেগ পেতে হবে না। খালেদা জিয়া প্রকাশ্যেই "তার দল এবং ঢাকাবাসীকে হেফাজতীদের পাশে দাঁড়াবার নির্দেশ দিয়েছিলেন।" তার এই নির্দেশে নতুন রাজনীতিতে নামা হেফাজতীদের ব্যাটারি ওভারচার্জ দেয়া হয়ে যায়। ফলে যা খুশি বলতে থাকে এবং এই সুযোগে 'সন্ত্রাসী বিএনপি' ক্যাডার ও রগ কাটা জামায়াত-শিবির ৫ মে বিকেলে সমাবেশ শেষ না হতেই ভাংচুর- জ্বালাও-পোড়াও শুরু করে। তারা গান পাউডার দিয়ে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের বাইরে পবিত্র কোরান শরীফ, হাদিসে রসূলসহ (স) শত শত ইসলামী কিতাব পুড়িয়ে দেয়। সন্ত্রাসীরা আওয়ামী লীগ অফিসে হামলা করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। সেখানকার দোকানদার হকাররা প্রতিরোধ রচনা করলে পিছু হটে পল্টন মোড়ে এসে সিপিবি কার্যালয় মুক্তিভবন জ্বালিয়ে দেয়। সবচে হৃদয়বিদারক ঘটনা হলো পল্টন মোড় থেকে র‌্যাংগস ভবন, আজাদ প্রোডাক্টসে আগুন দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে পল্টন থেকে শাপলা চত্বর পর্যন্ত দুই পাশের গরিব হকারদের তৈরি পোশাকের দোকান, টুপি-তসবিহ্র দোকান, জুতার দোকান পুড়িয়ে ছাই করে দেয়। বায়তুল মোকাররমের পশ্চিম পাশের মার্কেটের সকল দোকানে আগুন দেয়ার সঙ্গে সোনার দোকান লুট করে। গভীর রাত পর্যন্ত ঢাকাবাসী এ এলাকায় দাউ দাউ আগুন জ্বলতে দেখেছে। একটা ভয় আতঙ্কের মধ্যে ঢাকাবাসী সেই রাত অতিবাহিত করেছে।
কিন্তু মূর্খের দল জানে না দেশে নির্বাচিত এবং সাংবিধানিকভাবে বৈধ একটি সরকার রয়েছে, যে সরকারের সবচে বড় ও প্রধান দায়িত্ব হলো জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষা করা, জনজীবনের নিরাপত্তা বিধান করা। যে কারণে আমরা দেখলাম ৬ মে প্রথম প্রহরে মাত্র ১০ মিনিটের পুলিশী অভিযানে হেফাজতীরা পালিয়ে কে কোথায় গেছে কেউ জানে না। তবে হ্যাঁ, হেফাজতের সমাবেশে বা কাফেলায় শতকরা ৬০ ভাগেরও বেশি ছিল তরুণ, বিশেষ করে ১০ থেকে ১৫ বছর বয়েসী কিশোর ছিল অন্তত ৩০ শতাংশ। যে হেফাজতী নেতারা সমাবেশে বলেছিলেন,"প্রয়োজনে ১০ হাজার হেফাজতী শহীদ হবেন, তবু ১৩ দফা দাবি আদায় না করে ঘরে ফিরবে না।" বাস্তবে আমরা কি দেখলাম, এই কিশোর–তরুণদের সমাবেশস্থলে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে সবার আগে পালিয়ে যায় তারা এবং তাদের সঙ্গে সঙ্গে দুই-তৃতীয়াংশই সমাবেশস্থল থেকে পুলিশী অভিযানের আগেই পালিয়ে যায়। অভিযানের প্রাক্কালে সমাবেশের জনসংখ্যা এক-তৃতীয়াংশে নেমে এসেছিল। এরা মূলত অনেক বড় মোনাফিক। এরা একদিকে যেমন কওমি এবং কিছু-সরকারী অনুদানপ্রাপ্ত মাদ্রাসার শিশু-কিশোর-তরুণদের ফেলে পালিয়েছে তেমনি শাপলা চত্বরে সমাবেশ করার জন্যে ঢাকা মেট্রোপলিটান পুলিশকে ওয়াদা দিয়েছিল তারা সন্ধ্যার আগেই সমাবেশ শেষ করে ঢাকা ত্যাগ করবে। কিন্তু তারা তা করেনি, এখানেও চরম মোনাফেকী করেছে। এরা নাকি আবার আল্লামা, মাদানী, অমুক মুফতি, এই- সেই, আরও কি কি যেন?
বেগম খালেদা জিয়া নিজে স্বশিক্ষিত (এক অদ্ভুত শিক্ষাগত যোগ্যতা) হলেও তিনি জানেন ওই হেফাজতী মোল্লাদের যেমন অল্প দামে কেনা যাবে তেমনি অল্প মিথ্যে দিয়েও বিভ্রান্ত করা যাবে। তাই তো আগের দিনের শাপলা চত্বরের সমাবেশে তার মেজাজ ছিল ফুরফুরে, তবে একটুখানি কেমন যেন চোখ-মুখ ঢুলো ঢুলো। মনে হলো (টিভির বদৌলতে যা দেখেছি) অনেক দিন পর তিনি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়ার জন্যে মোক্ষম এক সুযোগ পেয়েছেন। শেখ হাসিনা তাকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেছিলেন এবার তিনিও শেখ হাসিনাকে গণভবনÑ ক্ষমতা দুই থেকেই উচ্ছেদ করবেন। আনন্দে (?) তিনি এমন ঘোরের মধ্যে ছিলেন যে, বার বার বক্তৃতার পয়েন্ট ভুলে যাচ্ছিলেন, আর পাশের জনকে জিজ্ঞেস করে বক্তৃতা শেষ করছিলেন। লেখক, গবেষক, শিক্ষাবিদ কলামিস্ট প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুনের ভাষায় " তিনি, খালেদা একটি ঘোরের মধ্যে ছিলেন, তাই হেফাজতের নামটি পর্যন্ত ভুলে গিয়েছিলেন। তার সহকারী একজন যিনি এখন নেতা তবে প্রাক্তন লাঠিয়াল ও হাইজ্যাকার, তাকে হেফাজতের নাম মনে করিয়ে দিলেন এবং তারপর খালেদা ঘোষণা করলেন, যেহেতু হেফাজত সমাবেশ করবে সেহেতু সরকারকে তাদের দাবি মেনে নেয়ার ৪৮ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দেয়া হলো।" (জনকণ্ঠ ৯মে ২০১৩)
খালেদার এই আল্টিমেটাম এবং হেফাজতের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণার সবচে বেশি উৎসাহিত হয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে রাজাকার- আলবদর- জামায়াত-শিবির।
এই রগ কাটা সন্ত্রাসীরা ইতোপূর্বে যেভাবে দেশব্যাপী পথিপার্শ্বের ছায়াদানকারী গাছ কেটে ব্যারিকেড রচনা করেছে, ৫ মে সন্ধ্যা থেকেও মহানগরীর ঢাকার আইল্যান্ডের গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে লোহা কাটার করাত বা হ্যাকে সা-ব্লেড দিয়ে অতি অল্প সময়ে গাছগুলো কেটে দেয়।

॥ দুই ॥
সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী হেফাজতের সেক্রেটারি জেনারেল জুনায়েদ বাবুনগরীকে গ্রেফতার করেছে। বাবুনগরী পুলিশকে জানিয়েছেন বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের নেতারা তাদের শাপলা চত্বরের সমাবেশের কর্তৃত্ব দখল করে নেয়ায় অঘটনগুলো ঘটেছে এবং চেষ্টা করেও কিছু করতে পারেনি। পুলিশের গোয়েন্দা সূত্রে (প্রথম আলো, ৯ মে ২০১৩) জানা যায় রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের সময় বাবুনগরী খুব কাঁদেন।" তিনি বলেছেন,"সমাবেশের কোন নিয়ন্ত্রণই তাদের হাতে ছিল না। নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন হেফাজতভুক্ত ১৮ দলীয় শরিক দলগুলো যেমন, ইসলামী ঐক্যজোট, নেজামে ইসলামী পার্টি, খেলাফত মজলিশ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম। জিজ্ঞাসাবাদে বাবুনগরী আরও জানেন। তাদের মতিঝিল অবস্থানের কোন পরিকল্পনা ছিল না। সমাবেশ শেষে ঢাকা ছেড়ে চলে যাবার কথা ছিল। রাতে থেকে যাওয়ার ব্যাপারটাও ১৮ দলীয় জোটের শরিক নেতারা ঠিক করে।" এর আগে খালেদা জিয়াও তাদের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। এমনকি (আগেই উল্লেখ করেছি) দলের নেতাকর্মীদের হেফাজতের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ প্রদান করে হেফাজতের সঙ্গে মিলে ধ্বংসযজ্ঞ চালাবার লাইসেন্স দিয়ে দেন। কি পরিমাণ ধ্বংসযজ্ঞ হয়েছে তা এরই মধ্যে জাতি জেনে গেছে তবু এখানে উল্লেখ করছি, কেবল গাড়ি পোড়ানো হয়েছে শতাধিক। 
আমরা জানি একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াত ও এর ছাত্র সংগঠন শিবির (একাত্তরে নাম ছিল ছাত্র সংঘ) সন্ত্রাসী সংগঠন। এই সংগঠনটির মূল নেতা আবুল আ'লা মওদুদী। গত শতকের পঞ্চাশের দশকের প্রথমদিকে পাকিস্তানের লাহোরে এক সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাধিয়ে কয়েক হাজার প্রাণ সংহার করেছিলেন, যে কারণে তার ফাঁসির হুকুম হয়েছিল আদালতে। কিন্তু সে রায় কার্যকর করা যায়নি, কারণ তখনকার সৌদি বাদশাহ তার পক্ষে দাঁড়িয়ে তাকে ফাঁসির দ- থেকে বাঁচিয়ে দেন। এখনকার জামায়াতী শিবির নেতারাও মনে করেন যত ফাঁসির হুকুমই আদালত দিক বা যে দ-ই দিক, কার্যকর করার ক্ষমতা সরকারের নেই। পঞ্চাশের প্রথমদিকে যেমন সৌদি বাদশাহ দেয়াল রচনা করেছিলেন তেমনি এবারও অন্য কোন বাদশাহ বা পাকিস্তানী-কুয়েতী তাদের বাঁচাতে ছুটে আসবেন এবং ফাঁসির দ-ও আর কার্যকর হবে না। কিন্তু ওরা জানে না ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয় না- ঐরংঃড়ৎু ফড়বংহ'ঃ ৎবঢ়বধঃ রঃংবষভ. বরং ইতিহাস প্রগতির পথেই এগিয়ে চলে। তাছাড়া বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের প্রথমার্ধ পার হয়ে আমরা একবিংশ শতকেরও এক দশক পার করে এসেছি- মাঝখানে ফারাক ৬ দশক। আরও মনে রাখা দরকার। এটা মওদুদীর পাকিস্তান নয়, এটা যুদ্ধ করে রক্ত দিয়ে পাকিস্তানকে ও তাদের দোসর রাজাকার-আলবদরদের পরাভূত করা বাংলাদেশ। এখানে রাজাকার-আলবদর-আলশামস বা শান্তি কমিটি বা তাদের বাচ্চাদের কোন ঠাঁই নেই, ঠাঁই হবে না। যারা এখানে থাকবেন জার্মানির নাৎসী বাহিনীর মতো দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক হয়েই থাকতে হবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে ৬৭ বছর হলো, আজও জার্মানিতে হিটলারের নাৎসী বাহিনীর কোন মৌলিক অধিকার নেই। দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিকের মতো বসবাস করছে মাত্র। কয়েক বছর আগে একবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছিল। জার্মান সরকার এমন কঠোর হাতে দমন করেছে যে, কোমর ভেঙ্গে বিছানায় পড়ে আছে। 
মওদুদীর ব্যাপারটা যে জন্য আনলাম যে, এখন বাংলাদেশে জামায়াত-শিবির যে হিংস্র রূপ ধারণ করছে মাঝে-মধ্যে, তার শেকড়ও ওই পাকিস্তানের মওদুদী। এটা মাথায় রেখেই বর্তমান স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী বর্তমান আওয়ামী লীগ তথা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালনকারী ১৪ দলীয় জোট সরকারকে ওই মওদুদীবাদী সন্ত্রাসীদের দমন করতে হবে। আমাদের ভাবতে হবে বাংলাদেশ কি জামায়াত-শিবির নামক এই দৈত্যকে আরও লালন করবে, না এখনই ছুড়ে ফেলে দেবে? কালক্ষেপণ মোটেই কাম্য নয়। তারা তো বাংলাদেশই বিশ্বাস করে না। ফাঁসির দণ্ডে দণ্ডিত কুখ্যাত রাজাকার তথা আলবদর কমান্ডার কামারুজ্জামানের এক পোলা বলেছে, 'বাবা তুমি ঘাবড়ও না, সরকার আর ক'দিন আছে? তারপরই তুমিও মুক্ত হয়ে যাবে? ভাবখানা এমন। ওই কুখ্যাত আলবদরের ফাঁসির রায় হয়েছে গত বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে। শেরপুর তথা বৃহত্তর ময়মনসিংহের মানুষ ৪২ বছর অপেক্ষা করেছে এ রায়টি পাওয়ার জন্য, বিশেষ করে শেরপুরের নালিতাবাড়ীর সোহাগপুর বিধবা পল্লীর বিধবা নারীরা যাদের একটি সচিত্র প্রতিবেদন ডেইলি স্টার ছেপেছে "ঠরষষধমব ড়ভ রিফড়ংি ংববং ঔঁংঃরপব ভরহধষষু." এই গ্রামে এই কামারুজ্জামান নেতৃত্ব দিয়ে শতাধিক মানুষকে হত্যা করে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ২৫ জুলাই। সেই আলবদর কামারুজ্জামান এখন জামায়াত নেতা। আরও তিন আলবদর নিজামী, মুজাহিদ এবং মীর কাশেম আলীরও বিচার চলছে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে। রায় ঘোষণার অপেক্ষায় বাংলাদেশের মানুষ। অনুপস্থিতিতে বিচার চলছে দুই আলবদরের, তারা হলেন লন্ডন পলাতক চৌধুরী মঈনুদ্দিন ও আমেরিকা পলাতক আশরাফ। এই হিংস্র ঘাতকরা তাদেরই সরাসরি শিক্ষকদেরও চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে হত্যা করেছিল। এই আলবদরদেরই বাচ্চা বর্তমান শিবির। এরা তাদের পূর্বসূরির মতো এখনও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ মানুষ হত্যা করে চলেছে। যে কারণে জনগণ আজ রাষ্ট্রের কাছে দাবি তুলেছে, বাংলাদেশে এই শিবির সন্ত্রাসীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। 

॥ তিন ॥ 
কেউ কেউ মনে করেন হেফাজতীরা কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক অথবা ছাত্র। এরা কোন রাজনীতি করে না, এরা নিরীহ প্রকৃতির। কিন্তু গত এপ্রিল ও মে দুইবারে তাদের যে চেহারা জাতি দেখেছে তাতে কি মনে হয় তারা একেবারেই নিরীহ? তাদের মধ্যে যারা ৫৫ উর্ধ তাদের অধিকাংশই কি অরাজনৈতিক না কখনও স্বাধীনতার পক্ষের কোন দলকে কোনদিন ভোট দিয়েছে? দিয়েছে বলে আমি অন্তত বিশ্বাস করি না। আর এদের মধ্যে যারা ১২ থেকে ৩০ বছর বয়েসী তাদের হিংস্র রূপও কম দেখেনি ঢাকাবাসী। তবে হ্যাঁ, একটা জায়গায় আমি মনে করি এই কওমি মাদ্রাসা ছাত্ররা খুবই গরিব ঘরের বা এতিম সন্তান। খুব ছোটবেলায় তাদের কওমি মাদ্রাসায় পাঠানো হয় দ্বীন ইসলাম শেখার পাশাপাশি অন্তত থাকা-খাওয়া ফ্রি পাওয়া যাবে? এরা কওমি মাদ্রাসায় ভর্তি হলে লিল্লাহ বর্ডিং থেকে সবকিছু পায় এবং এজন্যে তাদের কোন টাকা দিতে হয় না। কিন্তু তাদের পাঠসূচিটাই এমন যে, দ্বীনি ইসলামী শিক্ষা (তাও একপেশে, তুলনামূলক নয়) ছাড়া আর কিছুই পড়ানো হয় না এবং এসব মাদ্রাসা যেহেতু সরকারী মঞ্জুরিকৃত নয়, সেহেতু কোন আইনী সংস্থার সার্টিফিকেটও তারা পায় না। ফলে ব্যবহারিক জীবনে অর্থাৎ চাকরি বাকরির ক্ষেত্রে তারা কোথাও দাঁড়াতে পারে না। এসব মাদ্রাসার হুজুররা তাদের এভাবেই তৈরি করে। কাজেই পড়া শেষে তারা কোথাও দাঁড়াতে পারে না বলেই কয়েকজনে মিলে কোন এক ধর্মপ্রাণ মানুষকে বুঝিয়ে তার জায়গায় আরেকটি কওমি মাদ্রাসা গড়ে তোলার কাজ শুরু করে। একটা সময় ছিল যখন এসব মাদ্রাসা চলত পাড়া-প্রতিবেশীর সদকা, ফিতরা, কোরবানির চামড়া, মৌসুমী ফসলের অনুদান থেকে। আজকাল আর সে সবের ধার ধারে না, এখন রাতারাতি বাড়ি ভাড়া করে বা জমি কিনে মাদ্রাসা গড়ে তুলছে। এখন তাদের বার্ষিক আয় কত, আয়ের উৎস কি, বছর বছর তাদের আয়-ব্যয়ের আইনানুগ অডিট হয় কিনা, আয়কর রিটার্ন সাবমিট করে কি-না বা আয়কর দেয় কি-না, এসব প্রশ্ন জনমনে রয়েছে। 
দেশে এখন কত কওমি মাদ্রাসা আছে? ছাত্র সংখ্যা তো লাখে লাখে। এরা তো নিরীহ গরিব ঘরের (বেশিরভাগই) সন্তান। এদেরও যন্ত্রর-মন্তরের মতো মাদ্রাসায় এনে ভর্তি করার পরই আর বাইরের জগতের সঙ্গে মিশতে দেয়া হয় না। যে কারণে তাদের দোষ দেয়া যাবে না। বরং তাদের যেভাবে হোক বাংলাদেশের মানুষ, আবহাওয়া, জীবনাচার, শিল্প-সংস্কৃতি, বহুমত ও পথের সমাজ সম্পর্কে জ্ঞান আহরণ তথা সমাজ সচেতন করে গড়ে তোলার দায়িত্বও রাষ্ট্রেরই। অনেক দেরি হয়ে গেছে। এই সায়েদাবাদ থেকে কাঁচপুর ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার দু'পাশে তাকালে দেখা যাবে মাদ্রাসার কত সাইনবোর্ড। পাকিস্তান, কুয়েত, সৌদি আরব, যুক্তরাষ্ট্রসহ কতগুলো দেশ তাদের পেছনে টাকা ঢালে। আফগানিস্তান পাকিস্তানে তালেবান বানিয়ে সেখানকার মানুষের জীবন নিচ্ছে, ওই দুই দেশের এক ইঞ্চি ভূমিও আজ আর নিরাপদ নেই। আমাদের এখনও সময় আছে। এদের দিকে তাকাতে হবে।

॥ চার ॥ 
গত ২/৩ দিন বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের টকশো কিংবা একটি পত্রিকার কলামে দেখলাম প্রশ্ন তোলা হয়েছে সরকার কেন মধ্যরাতে শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতীদের ছত্রভঙ্গ করতে এ্যাকশনে যেতে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি পাঠালেন? ৬ মে ভোর পর্যন্ত কি অপেক্ষা করা যেত না। এর জবাব আমি কলামের শুরুতেই বলেছি ৬ তাং ফজরের পর হেফাজতীরা বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের প্রত্যক্ষ সহায়তায় কিভাবে বঙ্গভবন বা গণভবন দখল করার ইরাদা করেছিল। হয়ত বিষয়টি একেবারেই উদ্ভট এবং হাস্যকর, কিন্তু একপেশে শিক্ষা (কিছুটা) শিক্ষিত হেফাজতীদের মধ্যে এমন চিন্তা অবাস্তব নয়।

॥ পাঁচ ॥ 
আমাদের তথাকথিত কিছু বুদ্ধিজীবী, যারা শেরাটন-সাকুরায় গলা ভিজিয়ে মধ্যরাতের গলাবাজিতে বসেন তাদের কাছে এসব কথার কোন মূল্য নেই। দুটি টকশোতে দুই শিক্ষককে (ঢা.বিশ্ব.) দেখলাম কথায় কথায় সরকারের ব্যর্থতা আবিষ্কার করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। আরেকজনকে দেখলাম দৈনিক প্রথম আলোতে কলাম লিখে একইভাবে সরকারের ওপর সমস্ত দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন। এদের আমি রাজাকার, রাজাকারের ছোট ভাই বা রাজাকারের বাচ্চা কোনটাই বলতে চাই না। বরং তারা নিজেরাই নিজেদের রাজাকারের দলে অবস্থান নিতে চায় বলে মনে হয়, স্বস্তিবোধ করে। 
ওইসব তথাকথিত টকার যখন বলেন, সরকারের উচিত ছিল সকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করার। তখন তারা ভুলে যান বিকেল থেকে রাত আড়াইটার আগ পর্যন্ত কিভাবে বিজয়নগর, পুরানা পল্টন, পল্টন, বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ, বায়তুল মোকাররম, আওয়ামী লীগ ও সিপিবি কার্যালয়, র‌্যাংগস ভবন, বায়তুল মোকাররমের পশ্চিম পাশের মার্কেট দক্ষিণ ও উত্তর পাশের পবিত্র কোরান, হাদিসসহ (স) ইসলামী কিতাবের দোকানসহ নানান বিষয়ে গ্রন্থের দোকান, রাস্তার দুই পাশের হকারদের রেডিমেড গার্মেন্টস, টুপি-তসবিহ্ ইত্যাদির দোকান কিভাবে জ্বলছিল। মনে হয় তাদের চোখে সিসা ঢেলে দেয়া হয়েছিল বলে তারা কিছুই দেখেনি। আসিফ নজরুল নামক এক ইচড়েপাকা অধ্যাপক তো বলেই দিলেন, এসব ধ্বংসযজ্ঞে আওয়ামী লীগ কর্মীরাও ইন্ধন যুগিয়েছে। তার একথাটি বিএনপির এমকে আনোয়ার (চরম মিথ্যাবাদী) এবং জয়নুল আবদিন ফারুকের কথার সঙ্গে মিলে যায়। আনোয়ার বলেছেন, 'পবিত্র কোরান শরীফে আগুন দিয়েছে দেবাশীষ নামক এক আওয়ামী লীগ কর্মী!' জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন 'ডিসিসির ১০টি ট্রাক লাশ গুমে' কাজ করেছে। তাদের মতে আড়াই/তিন হাজার হেফাজতীকে 'পাখির মতো গুলি করে' হত্যা করা হয়েছে। দেবাশীষের নামটি এ জন্যে আনা হয়েছে যাতে ঘটনার সাম্প্রদায়িক রূপ দেয়া যায়। আমরা বুঝি কেন তারা মৃতের সংখ্যা হাজার বলছেন, বস্তুত তারা এ বিরাট মৃত্যু বলে জনগণকে রাজপথে নামাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু জনগণ জানে ওরা কত বড় মিথ্যুক। আনোয়ার-ফারুকরা এতোই খারাপ এবং এ কারণেই তারা তাদের নেত্রী খালেদার কাছে প্রিয়।
অথচ আমরা দেখেছি পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবির একটি দল দৈনিক বাংলার দিক থেকে, অপর একটি দল নটর ডেম কলেজের দিকে সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ করতে করতে শাপলা চত্বরের দিকে এগোতে থাকলে সেখানে অবস্থানকারী হেফাজতীরা আতঙ্কে দক্ষিণ দিকে দৌড়াতে থাকে। দক্ষিণ দিকটা পুলিশ মুক্ত রাখে তাদের চলে যাবার জন্য এবং তারা তাই করেছে। কিছু হেফাজতী শিশুকে দেখা গেছে পুলিশ আদর করতে করতে পথ দেখিয়ে দিচ্ছে। হ্যাঁ, ১০/১২ জন হয়ত মারা গেছে। এর মধ্যে পুলিশ, বিজিবি এবং আর্মি (হাটহাজারীতে) পর্যন্ত রয়েছে। এক মানুষের অস্বাভাবিক মৃত্যুও দুঃখজনক এবং কাম্য নয়। কিন্তু সংখ্যা ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে হাজার হাজার বলার পেছনে নোংরা রাজনীতি রয়েছে। বস্তুত ওই শয়তানরা আশা করেছিল ওরকম হাজার হাজার মানুষ মারা যাবে এবং তারা তার ফায়দা নেবে। 

॥ ছয় ॥
হেফাজতী-জামায়াতী-শিবিররা তাদের কর্মসূচী চলাকালে কয়েকজন সাংবাদিক ও ফটোসাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেছে, আহত করেছে, সংবাদপত্রের গাড়ি পুড়িয়েছে। তার প্রতিবাদে গত ৭ মে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএফইউজের ও ডিইউজের প্রতিবাদ সভায় আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছি। শেখ হাসিনা জাতিকে এক আতঙ্ক ও শঙ্কাগ্রস্ত অবস্থা থেকে মুক্তি দিয়েছেন।
কিছু কিছু জ্ঞানপাপী টকার চরম সাম্প্রদায়িক টিভি চ্যানেল দিগন্ত টিভি ও ইসলামিক টিভি বন্ধ করে দেয়ায় খুব দুঃখ পেয়েছেন। এই দুটি চ্যানেলের প্রথমটির মালিক হলো যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচারাধীন আলবদর মীর কাশেম আলী, অপরটির মালিক খালেদার খুব কাছের। এরা ওই রাতে এমকে আনোয়ার এবং জয়নুল ফারুকের কথিত হাজার হাজার লাশ আবিষ্কার করে জনমনে হিংসা সৃষ্টির পাঁয়তারা করেছিল বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্প্রচার আইনের ধারা অনুযায়ী তাদের সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছেন। আমি মনে করি দেশপ্রেম বিবর্জিত সাংবাদিকতা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের শামিল। 
এর মাধ্যমে খালেদা জিয়ার সকল ষড়যন্ত্র ভেস্তে চলে যায়। এবার তবে আর কোন্্ ষড়যন্ত্র করবেন খালেদা জিয়া। 

ঢাকা-১০ মে ২০১৩
লেখক : ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক

Also Read:

ويقترح رجل الله يتصرف  [Man proposes, All the almighty disposes]

†f‡¯Í †Mj †eMg wRqvi Ôeøy wcÖ›UÕ


ˆmq` †evinvb Kexi :
f‡¯Í †Mj †eMg Lv‡j`v wRqvi eøy wcÖ›U| wbe©vwPZ miKvi‡K Acmvi‡Yi Rb¨ ˆZwi Kiv n‡qwQj GB bxjbKkv| 4 Zvwi‡L mgv‡ek K‡i wZwb ÔAe¯'vbÕ-Gi ûgwK w`‡qwQ‡jb| 5 Zvwi‡L †ndvR‡Zi Ae‡iv‡a †mB ÔAe¯'vbÕ ev¯Íevqb Ki‡Z †ndvRZ‡K cÖ‡ivwPZ K‡ib| †ndvR‡Zi †bZv Avjøvgv kdx‡K kvcjv PZ¡‡i bv cvVv‡bvi †cQ‡b me KjKwV bv‡o †eMg wRqvi †bZ…Z¡vaxb weGbwc| ......
B-†gBj :
 poriprekkhit@yahoo.com

Details at:


http://www.amadershomoy2.com/content/2013/05/07/news0036.htm


হেফাজতের পাশে থাকার আহবান খালেদার


স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=0be0cde05c6adb6ffd4a6cdd81f64bfc&nttl=05052013194180

বন্ধুর পথে বিএনপি


শত শত কোরআন পোড়াল ওরা! নিজস্ব প্রতিবেদক
'হেফাজতের কিছু লোক আইসাই আমার বইয়ের দোকানডা লাত্থাইতে থাকে। হেরপর চিল্লাইয়া কইতে থায়ে আগুন দে, আগুন লাগা। হের পরই ধরাইয়া দেয়।' হাহাকার ধ্বনি তুলে এ বর্ণনা দেন বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের পাশে কোরআন শরিফ-হাদিস ও নানা ধরনের ইসলামী বইয়ের বিক্রেতা চাঁদপুরের হাইমচরের মো. মূসা। হেফাজতে ইসলামের হিংস্রতার আরো বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি বলেন, 'আমার দোকানে অন্তত ৫০টি কোরআন শরিফ ছিল। হাদিসের বইও ছিল অনেক। আরো ধর্মীয় কিতাব ছিল। মুহূর্তের মধ্যে সব পুড়ে যায়। কয়েকটি পুরো পোড়েনি। সেগুলো বৃষ্টিতে ভিজে গেছে।'
..........................................................'
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানি আজিজ, মকবুল, মানিক, ফারুক, ইউসুফ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'হেফাজতের ওপরের নেতারা নির্দেশ না দিলে কর্মীরা কখনোই এ ধরনের কাজ করতে পারত না। আমরা হুজুর না হলেও কোরআন ছোঁয়ার আগে অজু করি। কিন্তু ওরা তো হুজুর, ওরা কিভাবে কোরআনে আগুন দিল? ওরা কেমন মুসলমান?'

Details At:


মঙ্গলবার, ৭ মে ২০১৩, ২৪ বৈশাখ ১৪২০
গানপাউডার দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হলো পবিত্র কোরান
বায়তুল মোকাররমে হেফাজতী তাণ্ডবে মানুষ হতবাক

http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=15&dd=2013-05-07&ni=134505
মঙ্গলবার, ৭ মে ২০১৩, ২৪ বৈশাখ ১৪২
Also Read:
 'কুরআন-হাদিস দেখেও আগুন দিয়েছে তারা'

রিয়াজুল বাশার, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Published: 2013-05-06 11:35:58.0 GMT Updated: 2013-05-06 12:44:14.0 GMT

http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article622068.bdnews

হেফাজতের তাণ্ডবে পল্টন-মতিঝিলে ধ্বংসস্তূপ (ভিডিও)

নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ০৬-০৫-২০১৩

 
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে পড়ে আছে বিদ্যুতের ল্যাম্পপোস্ট

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে পড়ে আছে বিদ্যুতের ল্যাম্পপোস্ট

ছবি : কমল জোহা খান

হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা গতকাল রোববার বিকেল থেকে আজ সোমবার ভোর পর্যন্ত রাজধানীর মতিঝিল, নয়াপল্টন, বায়তুল মোকাররম, দৈনিক বাংলা মোড় ও ফকিরাপুল এলাকায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছেন। তাঁদের তাণ্ডবে এই এলাকাগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
 







Hephajata Isalam (Motijheel):


হেফাজতে ইসলামের ধ্বংসযজ্ঞ :

পুড়িয়ে দেওয়া বইবাজারে জীবনের আর্তনাদ


হেফাজতে ইসলামের ধ্বংসযজ্ঞ : কোরান-হাদিসের ৮২ দোকান ছাই


হেফাজতি তাণ্ডব, নিহত ১১
মতিঝিল শাপলা চত্বরে অবস্থান ধরে রাখার পাশাপাশি রোববার রাতেও সংলগ্ন এলাকায় তাণ্ডব চালায় আহমদ শফীর হেফাজতে ইসলাম।

হেফাজতের তাণ্ডব: মতিঝিলের সর্বত্র ধ্বংসের স্বাক্ষর


স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=2cabcc15d436ce946b4530f0f438043e&nttl=06052013194215

মতিঝিলে চলছে পরিচ্ছন্নতা অভিযান


বাংলানিউজ টিম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=3a83a2ccbcad91650b25bfc79e604984&nttl=06052013194218

মতিঝিল এখন হেফাজত শূন্য


বাংলানিউজ টিম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=344b1679fc488b9766f72c6e00432c75&nttl=06052013194217

মুহূর্তেই ফাঁকা শাপলা চত্বর


স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=d6b9dde0935f0fa0e3ed7bc9304fb3c3&nttl=06052013194213

আত্মসমর্পণের ভঙ্গিতে প্রস্থান


কো-অর্ডিনেশন এডিটর, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=2fb5154720055a438929514ce526a9b4&nttl=06052013194216

হেফাজতের নিরাপত্তা ব্যুহ টিকলনা


ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=83017a623ffacfb47e3698cf7d47616e&nttl=06052013194211

হেফাজতের পাশে থাকার আহবান খালেদার


স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম


http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=0be0cde05c6adb6ffd4a6cdd81f64bfc&nttl=05052013194180

Hifazat sets vehicles on fire

Staff Correspondent,  bdnews24.com

Published: 2013-05-05 16:05:07.0 Updated: 2013-05-05 18:11:31.0

At least 50 vehicles and several buildings were vandalised and torched in Dhaka by supporters of the Hifazat-e Islam during their rally at Motijheel on Sunday. ..... Detalis at:http://bdnews24.com/bangladesh/2013/05/05/hifazat-sets-vehicles-on-fire

বহু ভবন-দোকান-গাড়িতে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক,  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

Published: 2013-05-05 15:40:45.0 GMT Updated: 2013-05-06 00:18:31.0 GMT

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে পুরানা পল্টন ও বিজয় নগরে বহু ভবন ভাংচুর এবং আগুন দিয়েছে হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা, পুড়িয়েছে অর্ধশতাধিক গাড়ি।

হেফাজতি তাণ্ডব চলছেই, নিহত ৫, হাসপাতালে দেড়শতাধিক - Coxsbazar Mirror

হেফাজতি তাণ্ডব চলছেই, নিহত ৫, হাসপাতালে দেড়শতাধিক. মে 5, 2013 | Filed under: আলোচিত/সমালোচিত,জাতীয় | Posted by: কক্সবাজার মিরর · cox'sbazarmirror হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধ ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাত ৮টা পর্যন্ত পাঁচ জন নিহত এবং দেড় শতাধিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে একজন হেফাজত কর্মী। তার লাশ শাপলা চত্বরে ...

হেফাজতি তাণ্ডব চলছেই, নিহত ৩ | exclusive-lead-news | Samakal Online ...

16 hours ago – মতিঝিল শাপলা চত্বরে অবস্থান ধরে রাখার পাশাপাশি সংলগ্ন এলাকায় তাণ্ডবচালিয়েই যাচ্ছে আহমদ শফীর হেফাজতে ইসলাম।






__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___