স্টাফ রিপোর্টার, ১১ মে, বিডিটুডে ২৪ডটকম : স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না বলে মন্তব্য করেছেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আবেদ খান।
শুক্রবার বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমী চট্টগ্রাম মিলনায়তনে জাহানারা ইমামের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম জেলা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন শাখা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
আবেদ খান বলেন, 'স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না। ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পর জেনারেল জিয়ার আমলে স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতির যাত্রা শুরু হয়। নানা সময়ে তাদের অভিযাত্রা গতি পেয়েছে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির বিভক্তির কারণে।'
তিনি বলেন, 'শহীদ জননী জাহানারা ইমাম শক্ত হাতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে একত্রিত করে স্বাধীনতাবিরোধীদের বিরুদ্ধে যে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তা আজ বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। এখন প্রয়োজন শুধু মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির জোটবদ্ধ ঐক্যবদ্ধতা। তাদের ইস্পাত কঠিন দৃঢ় ঐক্য দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে সাহায্য করবে।'
মুক্তিযুদ্ধের দ্বিতীয় পর্বের সূচনালগ্নে একটি রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশে স্বাভাবিক মৃত্যুর আশাবাদ ব্যক্ত করে আবেদ খান বলেন, 'দেশের মানুষ আজ দু'ভাগে বিভক্ত। স্বাধীনতার পক্ষ শক্তি ও বিরোধী শক্তি। এখন সময় এসেছে একটি পক্ষ বেছে নেওয়ার। সচেতন প্রতিটি মানুষ অবশ্যই স্বাধীনতার পক্ষ শক্তিকে বেছে নেবে।'
সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কাউন্সিলর শওকত বাঙালির সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি
শাহরিয়ার কবির।
শাহরিয়ার কবির বলেন, 'জামায়াত জানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার যথাসময়ে সম্পন্ন হলে তাদের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। এই বিচার প্রতিহত করার পাশাপাশি একাত্তরের পরাজয়ের বদলা নেওয়ার জন্য তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। শত শত কোটি টাকা ব্যয় করে আস্তিনের তলায় লুকিয়ে রাখা জঙ্গীদের মাঠে নামিয়ে বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চাইছে। এই সংকট পরিস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিনাশী যাবতীয় মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।'
সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য প্রফেসর ড. গাজী সালেহউদ্দিনের সূচনা বক্তব্যের পর আলোচনায় অংশ নেন সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম জেলা কমান্ডার মো. সাহাবউদ্দিন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী, মহিলা পরিষদ চট্টগ্রাম সভাপতি অধ্যাপক লতিফা কবির, প্রত্যয় '৭১ সভাপতি সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, বিশিষ্ট রাজনীতিক অ্যাডভোকেট সীমান্ত তালুকদার, আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম, চবি শিক্ষক আশরাফুজ্জামান অশ্রু, সংগঠনের সহ-সভাপতি স্বপন সেন প্রমুখ।
অন্যদের মধ্যে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রের প্রথম কণ্ঠস্বর মুক্তিযোদ্ধা রাখাল চন্দ্র বণিক, চবি ছাত্রলীগের প্রাক্তন সভাপতি বেলাল নূরী, প্রাক্তন যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যাপক মো. ইসমাইল, মুক্তিযোদ্ধা এবিএম সিদ্দিকুর রহমান, আলোকচিত্র সংগ্রাহক সাহাব উদ্দিন মজুমদার, মহিলা নেত্রী নিলুফার জাহান বেবি, পূর্বা দাশ, সুগতা বড়ুয়া, জেচিন্তা ডায়েস, চবি শিক্ষক মাইদুল, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল হাসনাত মো. বেলাল, সংগঠনের জেলা দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ সেন, জেলা নেতা নাজমুল আলম খান, মো. শিবলী নোমান চৌধুরী, সাব্বির হোসাইন, আসাদুজ্জামান জেবিন, আখতারুজ্জামান বাবলু, বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়ক অমিত নন্দী, নির্মূল কমিটি পাঁচলাইশ সভাপতি আবু তালেব হায়দার, খুলশী সভাপতি আবু সালেহ বাপ্পি, ৪২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মো. আবদুর রহমান রিকু, বাঁশখালী কমিটির সদস্য মো. সাহাবউদ্দিন, আসিফুর রহমান চৌধুরী, আসিফ মাঈনুদ্দিন মুকুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Short URL: http://bdtoday24.com/?p=25922