Banner Advertiser

Saturday, July 20, 2013

[mukto-mona] এদের আর সুযোগ দেয়া যায় না! - ২



এদের আর সুযোগ দেয়া যায় না! - 
সুমি খান
(গতকালের পর)

দেশের পোশাক শিল্প দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই শিল্পের ৮০ শতাংশ শ্রমিক নারী । এদের উপার্জনে দেশ আজ স্বনির্র্র্র্র্ভর। সেই টাকায় শফী সাহেব হেলিকপ্টারে সারা দেশ ঘুরে বেড়ান আর ভুরিভোজন করেন আর বলে বেড়ান, মেয়েরা আসবাবপত্রের মতো। গার্মেন্টসের মেয়েদের 'জেনা' থেকে রক্ষা করতে চার দেয়ালের ভেতর বন্দী করে রাখতে। ধিক্ শত ধিক্ !!
হাটহাজারী আলজমিয়াতুল আহলিয়া উলুম মাদ্রাসার পরিচালক, কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির কী করে হলেন আহমদ শফী? কারা তাকে এসব পদে অধিষ্ঠ করছেন? কী উদ্দেশে? 
সবাই জানেন, এই শফী জাতিকে উপদেশ দিয়েছেন মেয়েদের ৪/৫ ক্লাসের বেশি না পড়াতে, সর্বদা ঘরে থাকতে, এমনকি জিনিসপত্র কিনতেও বাইরে না যেতে। বলেছেন গার্মেন্ট নারীরা জেনা করে উপার্জন করে, নারীরা তেঁতুলের মতো যা দেখলেই পুরুষের মুখে লালা পড়ে। বলেছেন, স্ত্রীদের আল্লাহ 'বাদশা' বানিয়েছেন, তারা শুধু স্বামী-পুত্রকে 'অর্ডার' করবে আর তারা তা করবে। এছাড়া আরো যা বলেছেন তা উল্লেখ করতে রুচিতে বাধছে। নারীদের নাকি ২২ তাল। 
এতদিন শুনে এলামÑ ইসলাম শান্তির ধর্ম, নারীবান্ধব ধর্ম! আপনি এবং আপনার মতো মুসলিম ব্রাদারহুড নেতারা ইসলামের এই শান্তির বাণী মিথ্যা প্রমাণ করে দিলেন শফী সাহেব! আপনার মতো মোল্লারা অস্ত্র তুলে দিলেন ইসলামবিরোধীদের হাতে! আহমদ শফী এত নোংরা, হিংস্র কথা বলেছেন- যা ইসলাম, মানবসভ্যতা এবং মানবাধিকারের বিরুদ্ধে চরম হুমকি । 
জনাব শফী, জানেন তো, হিংস্র পশুদের খাঁচায় বন্দী করে রাখতে হয়? আপনাকে অনেক আগেই খাঁচায় বন্দী করে রাখা উচিত ছিল। এখনই আপনাকে আর আপনার অনুসারীদের খাঁচায় বন্দী না করলে আমাদের দেশের নারীদের যে কী পরিণতি হবে, সেই ভয়াবহতা আপনার কথাতেই প্রকাশ পাচ্ছে। তবে আপনাদের তা-বের কারণে বাংলাদেশে এমন সৎসাহস নিয়ে কেউ রাষ্ট্রক্ষমতায় এখনও আসেনি; যে কারণে সেক্যুলারিজম প্রতিষ্ঠা হয়নি এ সমাজে। আমরা নিজেরাই যেন অন্ধকারকে ভালবাসি। গায়ের ওপর না আসলে আপনার মতো বিষাক্ত সাপদের দুধকলা দিয়ে পুষতেই ভালবাসেন আমাদের এক শ্রেণীর রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা! 
জনাব শফী, তবু আপনাকে বলি: যিনি ইসলাম বা অন্য ধর্মকে মানুষের মঙ্গল কামনায় সহায়ক শক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন, তিনিই প্রকৃত আলেম, প্রকৃত মাওলানা অথবা ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব।
অতীত-বর্তমানে বিশ্ব মুসলিমের অনেক ক্ষতি করেছেন অনেক ডিগ্রীধারী তথাকথিত মাওলানা। বড়পীর হযরত আবদুল কাদির জিলানীর (র.) মতো দরবেশকেও এক হাজার 'মাওলানা' কাফের ফতোয়ায় স্বাক্ষর করেছিল ইমাম হৌজ-এর নেতৃত্বে-(মুখবন্ধ.ফতহুল.গযব,-তার.বক্তৃতার.সংকলন)।
এ জন্যই রসুল (স.) বলেছেন: উম্মতের জন্য তাঁর 'সর্বাপেক্ষা গভীর উদ্বেগ পথভ্রষ্টকারী আলেমদের নিয়া'-সহি ইবনে মাজাহ ৫ম খণ্ড ৩৯৫২। এটাও দেখুন:-'এ সম্পর্কে হযরত মুজাদ্দেদ আলফে সানী মাকতুবাত গ্রন্থে লিখেছেন যে, জনৈক বুযুর্গ ব্যক্তি একবার অভিশপ্ত ইবলিশকে দেখতে পায় যে, সে একেবারে খোশ মেজাজে ও বেকার বসে আছে। ঐ বুযুর্গ ব্যক্তি ইবলিশকে তার এহেন বেকার বসে থাকার কারণ জিজ্ঞেস করলে প্রত্যুত্তরে সে বলে যে, বর্তমান সময়ের আলেম সমাজ আমাদের কাজ সমাধা করছে, জনগণকে পথভ্রষ্ট করার জন্য তারাই যথেষ্ট।' এখন বিচার করুন আপনি ইবলিশের হয়ে কাজ করছেন? রসুলের (স.) 'সর্বাপেক্ষা গভীর উদ্বেগ' আপনাকে নিয়ে নয় কি?
শফীর মতো গোঁড়া, ধর্মান্ধদের নিষ্ঠুরতার কয়েক শ' উদাহরণ তুলে ধরেছেন গবেষক হাসান মাহমুদ; যিনি দশ বছর একনিষ্ঠভাবে শরিয়া নিয়ে গবেষণা করে 'শরিয়া কি বলে, আমরা কি করি' বইটি প্রকাশ করেছেন। তার গবেষণা গ্রন্থটি যারা মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন, তারা অনুধাবন করতে পারবেন- শফী, সাঈদী, নিজামী, গোলাম আযমের মতো ধর্মব্যবসায়ীরা পবিত্র কোরান-হাদিস নিয়ে কতটা মিথ্যাচার করেন। 
কোরান-রসুলের (স.) সুন্নাহ থেকে যারা তুলে আনেন মানুষের মঙ্গল তারাই সত্যিকার আলেম, মাওলানা ও ইসলামের পতাকাবাহী। আর যারা এসবের বিপরীতে মানুষের অমঙ্গল ও নারীর ওপর অত্যাচারের পক্ষ নেয়, ফতোয়া জারি করে তারা আলেমের ছদ্মবেশে ভয়ঙ্কর জালেম। 
নারীর ওপর অত্যাচারের মধ্যে তারা দেখেন সওয়াব, খোঁজেন বেহেশত। 'কোরান' 'কোরান' বলে মুখে ফেনা তুলে কাজে তারা ধর্মের অপব্যাখ্যার আশ্রয় নেন। বৌ পেটানোর মতো অমানবিক সন্ত্রাসকে তারা হালাল করেছেন। অথচ, ইসলাম সম্পূর্ণ আলাদা ও নারীবান্ধব। সহি মুসলিমে নবীজীর (স.) সুস্পষ্ট ও কঠিন নির্দেশ দেয়া আছে যে, স্ত্রীদের প্রহার করবে না।
Book 11, Number 2138: Narrated Mu'awiyah ibn Haydah: I said: Apostle of Allah, how should we approach our wives and how should we leave them? He replied: Approach your tilth when or how you will, give her (your wife) food when you take food, clothe when you clothe yourself, do not revile her face, and do not beat her.
Book 11, Number 2139:Narrated Mu'awiyah al-Qushayri: I went to the Apostle of Allah peace_be_upon_him) and asked him: What do you say (command) about our wives? He replied: Give them food what you have for yourself, and clothe them by which you clothe yourself, and do not beat them, and do not revile them.
তাহলে? এ ব্যাপারে বিদায় হজের বক্তৃতায় নবীজী (স.) কি হুকুম করেছেন সেটাও তারা কখনই জাতিকে জানতে দেন না: 'তাহাদের (স্ত্রীদের) উচিত নয় তোমরা যাহাকে পছন্দ কর না তাহাকে নিজের বিছানায় বসায় - তাহা করিলে প্রহার করিতে পার, কিন্তু মৃদুভাবে' - "they should not allow anyone to sit on your bed whom you do not like. But if they do that, you can chastise them but not severely.- সহি মুসলিম ৭ম খণ্ড ২৮০৩, সহি ইবনে মাজাহ ৪র্থ খণ্ড ৩০৭৮ ইত্যাদি। (চলবে)

এদের আর সুযোগ দেয়া যায় না 
! - ১ 
সুমি খান

এদের আর সুযোগ দেয়া যায় না! - (শেষাংশ) 




__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___