----- Forwarded Message -----
বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতৃবৃন্দের যৌথ বিবৃতি
জামায়াত নিষিদ্ধের নামে ইসলামী রাজনীতি বন্ধের চক্রান্ত ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে
বিভিন্ন ইসলামী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, জামায়াত নিষিদ্ধের নামে ইসলামী রাজনীতি বন্ধের চক্রান্ত ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে হবে। মহান আল্লাহ তায়ালার সার্বভৌমত্ব ও তার নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করা প্রত্যেক ঈমানদারের ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। অথচ জামায়াতের গঠনতন্ত্রে মহান আল্লাহর এ সার্বভৌমত্ব বহাল থাকার অপরাধেই জামায়াত নিষিদ্ধের পাঁয়তারার আড়ালে সকল ইসলামী দল নিষিদ্ধের ষড়যন্ত্র চলছে। নেতৃবৃন্দ বলেন, মূলত মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসেই ইসলাম ধ্বংসের জন্য ইসলাম, ইসলামী মূল্যবোধ ও ঈমান-আকিদাবিরোধী কালা-কানুন প্রণয়ন করেই চলেছে। তারা ২০১০ সাল থেকেই ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে মূলত ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন ও জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ বন্ধ করার ষড়যন্ত্রে বেসামাল হয়ে পড়েছে। যা সরাসরি কুরআন-সুন্নাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।
ইসলামী সংগঠনসমূহের নেতৃবৃন্দ বলেন, ইসলামবিদ্বেষী এ সরকার ইসলামের দুশমনদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ দেশের পরীক্ষিত সর্ববৃহৎ ইসলামী সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নিশ্চিহ্ন করার হীন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। কখনো তারা জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে হত্যার পরিকল্পনা করছে। আবার কখনো বা আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে চাচ্ছে। যাতে অন্য সকল ছোট ছোট ইসলামী দলগুলোকে ফু দিয়ে উড়িয়ে দেয়া যায়। এটা স্বাধীন সার্বভৌম সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দেয়ার সুগভীর চক্রান্তেরই অংশ। আমরা সরকার ও সংশ্লিষ্ট সকলকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র থেকে বিরত থাকুন। কুরআন-সুন্নাহর বিরুদ্ধে অবস্থান নিবেন না। ইসলামী জিহাদ ও ইসলামী আন্দোলন ধ্বংসের ষড়যন্ত্র পরিহার করুন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মতো একটি আদর্শিক, সুশৃংখল ইসলামী আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা পরিহার করুন। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনতার মনের ভাষা উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন। ক্ষমতার মোহে কতিপয় নাস্তিক-মুরতাদকে খুশি করতে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে অবস্থান নিবেন না। অন্যথায় দুনিয়া ও আখিরাতে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেনÑ নাস্তিক-মুরতাদ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল ক্দ্দুুস ও সেক্রেটারি মুফতী নাজমুস সালেহিন, জাতীয় মোফাসসির পরিষদ সভাপতি মাওলানা আব্দুল আওয়াল ও মহাসচিব মাওলানা আবু ফয়সাল, জমিয়াতে ওলামা দেওবন্দ পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহাদ্দিস আবদুল্লাহ কাসেমী ও সেক্রেটারি মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক কাসেমী, জাতীয় খতীব পরিষদের আমীর মুফতী মাসউদুর রহমান ও সেক্রেটারি মুফতী নাসিম উদ্দিন, ইমাম-ওলামা পরিষদের আমীর শায়খুল হাদীস আশরাফ আলী ও সেক্রেটারি মাওলানা মুনিরুল হক কাতেবী, জমিয়তুল মুফাসসিরিন সভাপতি মাওলানা বেলাল হোসাইন ও সেক্রেটারি মাওলানা নুরুল আমীন, ইসলাহুল মুসলিমিন সভাপতি মুফতী আবুল বাশার, ইসলাহুল উম্মাহ সভাপতি আবু হানিফ নেসারী, ইসলামী জনতা সভাপতি মুফতী আবদুল করিম ও সেক্রেটারি মাওলানা ইসহাক, ইসলামী সংগ্রাম পরিষদ সভাপতি শায়েখ যাইনুল আবেদীন ও সেক্রেটারি ড. আবদুর রহমান, ইমাম কল্যাণ সমিতি সভাপতি পীর সাহেব মাওলানা কুতুবুল ইসলাম নোমানী, ইমাম-মুয়াজ্জিন পরিষদ সভাপতি মাওলানা সালেহ সিদ্দিকী ও সেক্রেটারি মুফতী মাহমুদ, আহকামে শরীয়াহ হেফাজত কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা মাহবুবুর রহমান ও যুগ্ম আহ্বায়ক-মুফতী আবু ইউসুফ খান, মাদরাসা কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দীন মাসুম, সেক্রেটারি মাওলানা মোস্তাফিজ, তালিমুল কুরআন সোসাইটির আমীর মুফতি ফয়েজুল্লাহ ও সেক্রেটারি মুফতি আবদুল হালিম, আল কুরআন ফাউন্ডেশন সভাপতি মুফতী জামাল উদ্দীন ও সেক্রেটারি মুফতী নূর হোসাইন, ঈমান রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি মুফতী ফজলুর রহমান জিহাদী ও সেক্রেটারি মুহাদ্দিস সাইদুর রহমান প্রমুখ।
__._,_.___