Banner Advertiser

Tuesday, August 13, 2013

[mukto-mona] আওয়ামীলীগের বিলবোর্ড কাহিনী - রাতের আঁধারে উঠেছিল রাতের আঁধারেই নামছে




আওয়ামীলীগের বিলবোর্ড কাহিনী
রাতের আঁধারে উঠেছিল রাতের আঁধারেই নামছে
তোফাজ্জল হোসেন কামাল :  রাতের আঁধারে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গার বাহারী রঙের বিজ্ঞাপনী বিলবোর্ডগুলো দখল করেছিল বেনামী ও বেওয়ারিশ একদলীয় প্রচারণা। সকাল বেলায় রাজধানীবাসী ধাঁধাঁয় পড়েছিল। ফের ৮ দিনের মাথায় ধাঁধাঁয় পড়েছে তারা।  সরকারের উন্নযন কর্মকা--সংবলিত 'বেনামী' বিলবোর্ডগুলো গতকাল সোমবার সকাল থেকে আর দেখছে না তারা। লোক লজ্জার ভয়ে রাতের আঁধারেই সেগুলোর কিছু কিছু হাওয়া হয়ে গেছে।
এই বিলবোর্ড প্রচারণার মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের গত সাড়ে ৪ বছরের উন্নয়ন কর্মকা-ের ফিরিস্তির আড়ালে গুরুত্ব পায় নির্বাচনী প্রচার। কারণ বিলবোর্ডগুলোতে শুধু সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের বিজ্ঞাপনই নয়, একই সঙ্গে স্থান পেয়েছে বিগত বিএনপি জোট সরকারের আমলের নেতিবাচক কর্মকা-ের তথ্য।
এ নিয়ে রাজনীতির মাঠে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। বিরোধী দলের নেতারা বিলবোর্ড নিয়ে কঠোর ভাষায় সরকারকে আক্রমণ করে। সরকারি দলের নেতারা নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে বিরোধী দলকেও উন্নয়নের বিলবোর্ড লাগানোর পরামর্শ দেয়।
জানা গেছে, বিগত ৮ দিনের তুমুল আলোচনা আর সমালোচনার মুখে সরকারের হুঁশ হওয়ার পরই সেগুলো সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। গতকাল পর্যন্ত রাজধানীর বিজয় সরণি, পান্থকুঞ্জসহ ৫টি জায়গা থেকে বিলবোর্ড সরানো হয়। তবে কার নির্দেশে বিলবোর্ডগুলো সরানো হচ্ছে, সেটা স্পষ্ট করেনি কেউ।
রাজধানীতে সরকারের উন্নয়নসংবলিত বিলবোর্ড সরানো হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিলবোর্ড মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাশেদ বলেন, আমরা খবর পেয়েছি, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার বিলবোর্ড সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। আমরা জানতাম, তারা সরাবে। কারণ, অধিকাংশ জায়গায় অবৈধভাবে এই বিলবোর্ড দেয়া হযেছে।
গতকাল দেখা গেছে, মহাজোট সরকারের অর্জিত সাফল্য প্রচার করে রাজধানীজুড়ে টাঙ্গানো বিলবোর্ডগুলোর পর্দা নামছে।  গত রোববার রাত থেকে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কের পাশে লাগানো এসব বিলবোর্ডগুলো খুলে ফেলতে দেখা গেছে। তবে  গতকাল সোমবার দুপুরেও বনানী, মহাখালী, খামারবাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় বিলবোর্ড ঝুলতে দেখা গেছে।
গত রোববার মধ্যরাতে রাজধানীর ফার্মগেট, শাহবাগ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে একদল লোক সরকারের সাফল্যগাঁথার বিলবোর্ডগুলো খুলে ফেলছে। তবে তারা কাদের নির্দেশে এসব খুলছেন তা স্পষ্ট করে বলতে পারেনি।
নিজামুদ্দিন নামে এককর্মী জানান, যারা তাদের এসব লাগাতে বলেছিলেন, তারাই খুলতে বলেছেন। তারা কারা? জানতে চাইলে কিছু বলতে চাননি ঐ কর্মী।
বিলবোর্ড সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক নজমুল আলম  বলেন, বিলবোর্ড টাঙ্গানো ও সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না।
নগরের বাসিন্দারা বলছেন, যেভাবে তড়িঘড়ি করে বিলবোর্ডগুলো লাগানো হয়েছিল ঠিক সেভাবেই হঠাৎ করেই খুলে নেয়া হচ্ছে। তাহলে ঢাউস আকারের এসব বিজ্ঞাপন ছাপিয়ে কি লাভ হল?
পান্থকুঞ্জে বিলবোর্ডের ব্যানার সরানোর দায়িত্বে থাকা কয়েকজন কর্মী সাংবাদিকদের বলেন, আমাগো মালিকরা কইছে বিলবোর্ড সরাইতে। আমরা কাজ করতাছি।
বিলবোর্ড সরিয়ে ফেলার বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, 'কার নির্দেশে বিলবোর্ড সাঁটানো আর কার নির্দেশে সেগুলো সরানো হচ্ছে, সেটা আমি জানি না। তিনি বলেন, এগুলো সরানো হচ্ছে কেন, ভালোই তো লাগছিল!
এ দিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য নূহ উল আলম লেনিন বলেন, শুধু বিলবোর্ড নয়, সরকারের সফলতা তুলে ধরতে যোগাযোগের সব মাধ্যম ব্যবহার করা হবে। এ ক্ষেত্রে পথসভা, লিফলেট, পোস্টারসহ সব ধরনের প্রচারযন্ত্রের সহযোগিতা নেয়া হবে।
গত ৩ আগস্ট রাতে রাজধানীজুড়ে এসব বিলবোর্ড টাঙ্গানো হয়। এমনকি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন সরিয়ে রাতারাতি সেঁটে দেয়া হয় সরকারের সাফল্যগাঁথার চিত্র। এর পরপরই এগুলো নিয়ে নগরবাসীদের মধ্যে কৌতুহল দেখা দেয়। রাতারাতি এসব বিলবোর্ড কোথা থেকে আসল এমন প্রশ্নও ঘুরে-ফিরে উঠে আসে বিভিন্ন মহলে। বিলবোর্ড নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে খবর প্রকাশ হওয়ার পর বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক দলগুলো এগুলো নিয়ে সরকারের কড়া সমালোচনা শুরু করে। এসব সমালোচনার মুখে সরকার এসব বিলবোর্ডের দায় অস্বীকার করে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ বলেছিলেন, রাতের অন্ধকারে ব্যক্তিমালিকানাধীন বিজ্ঞাপনগুলো তুলে দিয়ে সরকারের মদদপুষ্ট ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা নিজেদের বিলবোর্ড বসিয়েছে। বর্তমান সরকারের দুর্নীতির টাকায় এই বিলবোর্ডগুলো বসানো হয়েছে। এই বিলবোর্ড দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে যে কত শত শত কোটি টাকা তারা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে।   
তবে কার নির্দেশে রাতারাতি আড়াইশ, বিলবোর্ড বেদখল হয়েছে, সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য ঐ সময় পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিল বলেছিলেন, বিলবোর্ড তো আমরা করিনি, করেছে সরকার। প্রচার বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ দাযত্বি আগেই তথ্য মন্ত্রণালয়কে দেয়া হয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হলে সেখানকার দায়ত্বিশীল সূত্র জানায়, এ কাজ আওযামী লীগের, সরকারের নয়। তথ্য মন্ত্রণালয় একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে সরকারের ৪ বছরের উন্নযন নিয়ে প্রচারের বিষয়ে কাজ শুরু করবে। কিন্তু বিলবোর্ডগুলো এর অংশ নয়।
আওয়ামী লীগের গবেষণা সেলের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, সরকার করলে 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' লেখা থাকত না। এটা দলীয়ভাবে করা হয়েছে। সাফল্য প্রচারে আওয়ামী লীগ দুর্বল দলের ভেতর থেকে এমন অভিযোগ ওঠার পর থেকে প্রচার বিভাগ ভীষণ চাপে ছিল। তখন একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে দিয়ে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকা-ের প্রচারের বিষয়ে আলোচনা হয়। ঐ সংস্থার কর্ণধার ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য। শেষ পর্যন্ত ঐ সংস্থাকে কাজ দেয়া হয়নি। প্রচার সেলের যে কর্মকর্তারা পোস্টার, লিফলেটের নকশা করেন, তারাও কাজটা করেননি। ঐ সূত্রটি বলেছে, আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এবং পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হাছান মাহমুদ তার নির্বাচনী এলাকায় যুবলীগের এক নেতাকে দিয়ে করিয়েছেন। যুবলীগের ঐ নেতার সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, এ বিষয়ে বিন্দুবিসর্গও তিনি জানেন না। হাছান মাহমুদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পরে এ বিষয়ে কথা বলবেন বলে জানান। অন্য একটি সূত্র জানায়, গোটা বিষয়টি তদারক করছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
কোথায় ছিল না বিলবোর্ড?
রাজধানীর বিজয় সরণি, খামারবাড়ি মোড, কাওরান বাজার, রূপসী বাংলা মোড়, কাকরাইল, মগবাজার, গুলশান, বনানী, পল্টন, মতিঝিল, উওরা, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর, ধানমন্ডি, মহাখালীসহ এমন কোনো জায়গা ছিল না যেখানে বিলবোর্ড ছিল না। যেগুলো ছিল, সেগুলোর এক-একটির আকৃতি এক-এক রকম। কোনোটি চওড়ায় ৪০ ফুট, উচ্চতায় ২০ ফুট; কোনোটি চওড়ায় ৩০ ফুট, উচ্চতায় ১৫ ফুট, কোনোটি এর চেয়েও ছোট। এলাকা ঘুরে দেখা গিয়েছিল, বনানী ডিওএইচএস থেকে মহাখালী পর্যন্ত বিলবোর্ড ছিল ২৬টি।
সূত্রগুলো বলেছে, এক-একটি বিলবোর্ডে ডিজিটাল ব্যানার ছাপাতে গড়ে ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আওয়ামী লীগের অফিস থেকে যে আড়াইশ বিলবোর্ডের কথা বলা হয়েছে, সেগুলোয় বিজ্ঞাপন ছাপাতে খরচ হয়েছে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। 
উন্নয়ন বিজ্ঞাপনের আড়ালে ছিল নির্বাচনী প্রচার!
হঠাৎ করেই সরকারের উন্নয়ন কর্মকা- প্রচারের জন্য রাজধানীজুড়ে বিভিন্ন আয়তনের বিলবোর্ড লাগানো হয়েছিল। এ সরকারের আমলে যেসব উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে তার সবই শোভা পায় এসব বিলবোর্ডে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকা- জনগণকে মনে করিয়ে দিতেই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল।
কিন্তু এই বিলবোর্ড প্রচারণার মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের গত সাড়ে ৪ বছরের উন্নয়ন কর্মকা-ের ফিরিস্তির আড়ালে গুরুত্ব পাচ্ছে নির্বাচনী প্রচার। কারণ বিলবোর্ডগুলোতে শুধু সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের বিজ্ঞাপনই নয়, একই সঙ্গে স্থান পেয়েছে বিগত বিএনপি জোট সরকারের আমলের নেতিবাচক কর্মকা-ের তথ্য। প্রতিটি বিলবোর্ডেই রয়েছে 'উন্নয়নের অঙ্গীকার ধারাবাহিকতা দরকার' এই লাইনটি। এরই মাধ্যমে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন জোটকে পুননির্বাচিত করার ইঙ্গিত দেয়া হয়।
তবে এই বিলবোর্ডগুলো দলীয় খরচে নাকি সরকারি উদ্যোগে তা পরিষ্কার ছিল না। বিলবোর্ডেও নেই কোনো তথ্য। এমনকি এ নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের কাছেও কোনো তথ্য ছিল না। পূর্বে বিভিন্ন প্রচারণায় দল কিংবা সরকারের বিষয়টি উল্লেখ থাকলেও এই বিলবোর্ডগুলোতে তা ছিল না।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূহ উল আলম লেনিন বলেন, এই বিলবোর্ডগুলো সরকারি উদ্যোগেও হতে পারে আবার দলীয়ভাবে হতে পারে। এ বিষয়ে আমি ঠিক ভালো জানি না। এতদিন অনেকেই আমাদের কাছে অভিযোগ করেছে আওয়ামী লীগের প্রচার দুর্বল। তাই আওয়ামী লীগ তাদের উন্নয়ন কর্মকা- তুলে ধরতে পারছে না। এখন এমনও হতে পারে দল নতুন উদ্যমে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছে।
প্রচার দলীয় উদ্যোগে কিনা এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল বলেন, এই সমস্ত কাজ তো মূলত দলীয় উদ্যোগেই হয়ে থাকে। আমি এ বিষয়ে এর বেশি কিছু জানি না এবং বলতেও চাচ্ছি না। বেশি কিছু জানতে হলে আপনি আমাদের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
এদিকে বিলবোর্ডে ক্ষমতাসীন দলের উন্নয়নের নানা ফিরিস্তির পাশাপাশি বিএনপি আমলের নেতিবাচক তথ্য উপস্থাপন প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) মাহবুবুর রহমান বলেন, এভাবে সরকারের হারানো জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়। সরকার দুর্নীতি এবং ব্যর্থতা ঢাকতে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
প্রচারণার বিষয়ে মুখ খোলেননি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ম-লীর সদস্য তোফায়েল আহমদ। তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারছি না। আমি এখন চুপ আছি। আমার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য নেই।
বিলবোর্ডগুলোতে সরকার বা দলের নাম না থাকলেও ছিল প্রধানমন্ত্রীর ছবি। একই সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ছবিও। বিলবোর্ডগুলোতে তুলে ধরা হয়েছিল জঙ্গি দমন, খাদ্য নিরপত্তা, কৃষি উন্নয়ন, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, শিক্ষা, অবাধ তথ্য প্রবাহ, নতুন টেলিভিশন চ্যানেল, কমিউনিটি রেডিও, এফএম রেডিও প্রচারের অনুমোদন, যোগাযোগ ব্যবস্থায় অগ্রগতি, সামাজিক নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন তথ্য।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে, বিলবোর্ডগুলো যারাই লাগিয়ে ছিল তারা রাতের আঁধারে অপরের বিলবোর্ড দখল করে ফৌজদারী অপরাধ করেছিল। এখন আবার রাতের আঁধারে সেগুলো সরিয়ে নিচ্ছে তীব্র সমালোচনা ও নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার মুখে।


__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___