পদ্মা সেতু প্রকল্পে তথাকথিত দুর্নীতি নিয়ে নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টির চেষ্টা চলছে এবং মূল পদ্মা সেতুর নির্মান কাজ পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে দুর্নীতি হয় নাই এবং কোন সুযোগও ছিল না ---বলেছেন পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দরপত্র যাচাই বাছাই এবং দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির দু'জন সদস্য --
• বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক, বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যলয়ের ভিসি ডক্টর আইনুন নিশাত
• বুয়েটের সাবেক ভিসি, বর্তমানে আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালের ভিসি ডক্টর শফিউলস্নাহ
পদ্মা সেতু প্রকল্পে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দরপত্র যাচাই বাছাই কমিটির দু'জন সদস্য ডক্টর শফিউলস্নাহ এবং ডক্টর আইনুন নিশাত জানিয়েছেন বাংলাদেশের তরফ থেকে কোন্ ধরনের দুর্নীতি হয়েছে এমন অভিযোগ করা সম্ভব হবে না।
বিশ্বব্যাংক যে গাইড লাইন দিয়েছে তার ভিত্তিতে দরপত্র মূল্যায়ন করা হয়েছে। তাঁরা বলছেন এৰেত্রে বিশ্বব্যাংক আমাদের সুপারিশ না মানতে চাইলে, অবশ্যই তাদেরও বলতে হবে কেন তারা তা মানবেন না। তবে এসএনসি-লাভালিন দরপত্রে যে কাগজপত্র জমা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক তার সত্যতা খুঁজে দেখতে পারে বলে জানান তারা।
পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এমনও হতে পারে বিশ্বব্যাংক তাদের পছন্দের কোন কোম্পানিকে কাজ দিতে চাইছে। আবার যাঁরা কাজ পাচ্ছেন না বলে ধারণা করছেন তাঁরাও নানা ভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করতে পারেন। সূত্র জানায়, এৰেত্রে বিশ্বব্যাংক ধীরে চল নীতির কারণে কালৰেপণও করতে পারে। তবে বিশ্বব্যাংক এখনও বাংলাদেশকে কিছু না জানানোতে পুরো বিষয়টি নিয়ে এক প্রকার ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক, বর্তমানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যলয়ের ভিসি ডক্টর আইনুন নিশাত বলেন, আমাদের পত্রপত্রিকায় যে খবর ছাপা হয়েছে তা দিয়ে কোন বিষয়ে পরিস্কার ধরনা পাওয়া কঠিন। আসলে কি হয়েছে বা কি হচ্ছে বিশ্বব্যাংক তা বাংলাদেশেকে জানালেই পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যেত, কিন্তু তা তারা করেনি। তিনি বলেন, দরপত্রে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক মার্কিং নির্ধারণ করে দিয়েছে। সেই মার্কিং ধরেই প্রত্যেকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে মার্কস দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এসএনসি-লাভালিন যে দরপত্র দিয়েছে তার প্রত্যেকটি কাগজপত্র পদ্মা সেতুর মূল পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সঠিক বলে ছাড়পত্র দেয়ার পরই আমরা তা মূল্যায়ন করেছিলাম।
ডক্টর আইনুন নিশাত জানান দরপত্রে অংশ নেয়া অন্য দু'-একটি প্রতিষ্ঠানের বিরম্নদ্ধে বরং জালজালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এসএনসি-লাভালিন এদের চেয়ে অনেক স্বচ্ছ ছিল বলে দাবি করেন তিনি।
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈযদ আবুল হোসেনের কোন প্রভাব ছিল কিনা জানতে চাইলে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য ডক্টর আইনুন নিশাত বলেন, তখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুর বিষয়ে এক পয়সাও দুর্নীতির সুযোগ তৈরি হয়নি। দরপত্র মূল্যায়নের সময় কোন দিন যোগাযোগমন্ত্রী তাদের কোন বিষয়ে কথা বলেননি বলে জানান তিনি।
দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির অপর সদস্য বুয়েটের সাবেক ভিসি, বর্তমানে আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালের ভিসি ডক্টর শফিউলস্নাহ জানান, আমরা পুরো বিষয় যাচাই বাছাই করে বিশ্বব্যাংকের কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছি। দরদাতা প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান যে কাগজপত্র দিয়েছে তা মূল্যায়ন করা হয়েছে। যতদূর পেরেছি যাচাই বাছাই করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। কিন্তু কোন পদ্মা সেতুতে কথিত দুর্নীতিতে বাংলাদেশ জড়িত, বিশ্বব্যাংকের চট করে তা বলে দেয়া উচিত হয় নাই।
সাবেক যোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের দাবি পদ্মা সেতু নির্মাণে কোন দুর্নীতি হয়নি
সাবেক যোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন বলেছেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে কোন ধরনের দুর্নীতি হয়নি। এই সেতু প্রকল্পটি দেশীয় ষড়যন্ত্র ও বিশ্ব রাজনৈতিক কূটচালের শিকার হয়েছে।
তিনি বলেন, 'পদ্মা সেতু নির্মাণে কোনো স্তরে কোনো অনিয়ম করিনি। অবৈধ কাজেরও প্রশ্রয় দিইনি। কারো দ্বারা প্রভাবিত হইনি। এর প্রতিটি স্তরে স্বচ্ছতা, সততা, জবাবদিহিতা ও ইন্টিগ্রিটি শতভাগ নিশ্চিত করা হয়েছে।'
সাবেক মন্ত্রী তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও সততার সাথে কাজ করা সত্ত্বেও বিশ্বব্যাংক যে যুক্তিতে এই ঋণ চুক্তি বাতিল করে বাংলাদেশের ওপর দোষারোপ করেছে তা অপ্রত্যাশিত ও অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।
২০১০ সালে প্রথমে বিশ্বব্যাংকের অনুরোধে দুদক পদ্মা সেতুর মূল কাজের "সম্ভাব্য অনিয়ম ও দুর্নীতি" বিষয়ে তদন্ত করে দুর্নীতি হয়নি বলে যে রিপোর্ট বিশ্বব্যাংককে দিয়েছে তা বিশ্বব্যাংকের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। পরবর্তীতে বিশ্বব্যাংক কেবলমাত্র পরামর্শক নিয়োগের ক্ষেত্রে অধিকতর তদন্তের দাবি করে এবং সে ব্যাপারে তারা কানাডীয় পুলিশের প্রাপ্ত কিছু কাগজপত্র সরকার ও দুদকের কাছে পাঠিয়েছে। যার ভিত্তিতে দুদক প্রায় দুই বছর তদন্ত করে পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ সরকারের কোনো সম্ভাব্য অনিয়ম ও দুর্নীতি পাওয়া যায় নাই - একথা উল্লেখ করে সাবেক মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণের কোনো পর্যায়েই কোনো দুর্নীতি হয়নি। বিশ্বব্যাংকের অভিযোগকৃত পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়াও স্বচ্ছতা ও সততার সাথে সম্পাদন করা হয় এবং এর প্রতিটি স্তরে বিশ্বব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে প্রকল্পের পরবর্তী কাজ শুরু করা হয়।
বিশ্বব্যাংকের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হয়তো এ ব্যাপারটি অনুধাবন করে বাংলাদেশে দুদকের তদন্ত এবং কানাডায় বিচার কাজ শেষ হওয়ার আগেই তড়িঘড়ি করে ঋণ চুক্তিটি বাতিল করে দিয়ে যান। নজিরবিহীন ও অনভিপ্রেত এই ঘটনার মাধ্যমে বাংলাদেশের ১৫ কোটি মানুষের প্রতি চরম অবিচার করা হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন ব্যক্তি ও মহলের অসত্য অভিযোগের অজুহাতে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ তিন বছর পিছিয়ে দিয়েছে।
উল্লেখ্য কানাডার আদালতে পদ্মা সেতু পরামর্শক নিয়োগ দুর্নীতি ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দায়ের করা মামলার বিচারের প্রাক-শুনানি ৫ম বারের মত পিছিয়ে আগামী ১০ জানুয়ারি, ২০১৪ তারিখে ৬স্ট বারের মত শুনানীর পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর তার রাজনৈতিক অঙ্গীকার বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে অত্যন্ত স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সাথে পদ্মা সেতুর নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু করে। প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণসহ পুনর্বাসন কাজ সততা ও দ্রুততার সাথে সম্পাদন করা হয়। এ জন্য বিশ্বব্যাংক এবং অন্য তিনটি দাতা সংস্থা সরকারের এ কাজের ভূয়সী প্রশংসা করে।
এ প্রসঙ্গে সাবেক মন্ত্রী দেশের সংবাদ মাধ্যমকে পদ্মা সেতু সম্পর্কিত রিপোর্ট প্রকাশে অধিকতর তথ্যনির্ভর, যুক্তিপূর্ণ, নির্মোহ ও নিরপেক্ষ থাকার অনুরোধ জানান। এক্ষেত্রে তিনি অহেতুক, অনুমান নির্ভর ও মনগড়া রিপোর্ট দিয়ে তাকে এবং দেশকে বিতর্কিত করা থেকে বিরত থাকার জন্যও সংবাদ মাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের মামলার প্রধান আসামি
সাবেক সেতু সচিব মোশাররফ দুর্নীতির অভিযোগ আদালতে অস্বীকার করেছেন
শুক্রবার, ৪ জানুয়ারী ২০১৩,
'পদ্মা সেতু নির্মাণে আমি কোন দুর্নীতি করিনি।
'আমি ৩৩ বছর সরকারী চাকরি করেছি। আমার বিরুদ্ধে কেউ কোনদিন কোন অভিযোগ আনতে পারেনি!
আমি পদ্মা সেতুর মূল্যায়ন কমিটির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না।
যাঁরা কমিটিতে ছিলেন তাঁরা হলেন- ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, ড. শফিউল্লাহ, ড. আইনুন নিশাত, ড. দাউদ আহমদ।
তাঁরাই এসএনসি লাভালিন নামক কোম্পানিকে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবেই কার্যাদেশ দেয়ার সুপারিশ করেছিলেন।'
বিশ্বব্যাংক ও মন্ত্রীর অনুমোদন নিয়ে সব কাজ করা হয়েছে। মামলা বিচারে গেলে আমি কোন আইনজীবী রাখব না।
নিজেই মামলা পরিচালনা করব।
বিচারের সময় আমার বিরুদ্ধে আনীত এ কেস আমি তুড়ি মেরেই উড়িয়ে দেব।
আমার কাছে সব প্রমাণ আছে।'
মিথ্যার পরাজয় হচ্ছে এবং হবেই
শাক দিয়ে যেমন মাছ ঢেখে রাখা যায় না,
তেমনি মিথ্যা বা চাপাবাজী করে, সত্যকে চাপা দেওয়া যায় না
প্রকৌশলী সফিকুর রহমান অনু
অকলেন্ড, নিউজিলেন্ড
--
দেশে বিদেশে বাঙ্গালীরা এবং বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ গুনুমুগ্ধ ভক্ত গন
সুখে থাকুন, ভালো থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন
জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু
শুভেচ্ছান্তে
Engr. Shafiqur Rahman Anu
__._,_.___