Banner Advertiser

Sunday, February 26, 2012

[mukto-mona] আওয়ামী লীগের ইতিহাস ॥ সোহরাওয়ার্দী থেকে শেখ হাসিনা !!!!!!



AWAMI LEAGUE :
 
Means History , Struggle and Victory !!!!!!
 
আওয়ামী লীগের ইতিহাস ॥ সোহরাওয়ার্দী থেকে শেখ হাসিনা
এম এ বার্ণিক
আওয়ামী লীগ দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের ইতিহাস বিনির্মাণে এ দলটি নেতৃত্ব দেয়। ঐতিহাসিক ভাষা-আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন ও স্বাধীনতা আন্দোলন পরিচালনা এবং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করে এই দলটি এ দেশের মূলধারার রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। সে কারণে বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ইতিহাস একাকার হয়ে আছে। তাই দেশকে জানতে হলে এবং দেশের ইতিহাসকে জানতে হলে সর্বাগ্রে আওয়ামী লীগের ইতিহাস জানা আবশ্যক। আওয়ামী লীগের ইতিহাস জানার বিষয়টি ক্ষুদ্র দলীয় বৃত্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এর সঙ্গে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থ বিজড়িত।
আমি ইতিহাসের দাস। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রের বস্তুনিষ্ঠ ইতিহাস যথাযথভাবে তুলে ধরার ব্যাপারে আমি কখনও আপোস করি না। মানুষ মাত্রই যেমন ভুল হতে পারে, তেমনি মানুষচালিত কোন রাজনৈতিক দলও ভুলত্রুটির উর্ধে নয়। ছিদ্রান্বেষণ বা কারও ত্রুটি-বিচ্যুতি খুঁজে বের করা আমার কাজ নয়। দেশ ও জাতির জন্য আওয়ামী লীগ যে-সব অবদান রেখেছে, তা অনুসন্ধানের মাধ্যমে তথ্য উদঘাটন করে 'আওয়ামী লীগের ইতিহাস সোহরাওয়ার্দী থেকে শেখ হাসিনা' গবেষণায় সন্নিবেশিত করে আমি পাঠকের জন্য উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি।

সংগঠনের নাম 'আওয়ামী লীগ' হওয়ার তাৎপর্য
আরবী 'আওয়াম' মানে জনগণ (চবড়ঢ়ষব) এবং ইংরেজি 'লীগ' (খবধমঁব) মানে দল বা সংঘ। 'আওয়াম লীগ' মানে 'জনগণের দল'। এটির পূর্ব নাম ছিল 'আওয়ামী মুসলিম লীগ' (বা জনগণের মুসলিম লীগ)। মুসলিম লীগ পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর যখন জনবিচ্ছিন্ন হতে শুরু করে, তখন ঐতিহাসিক প্রয়োজনে 'আওয়ামী মুসলিম লীগ' নামে জনগণের মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তী কালে 'আওয়ামী মুসলিম লীগ' থেকে 'মুসলিম' শব্দ বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ বা জনগণের দল প্রতিষ্ঠা করা হয়।
আসলে 'আওয়ামী মুসলিম লীগ' নামটি এসেছে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ নেতা মানকি শরিফের পীর সাহেবের সংগঠন 'আওয়ামী মুসলিম লীগ' থেকে। এ ধরনের নামকরণের ক্ষেত্রে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর অনুপ্রেরণা কাজ করেছিল। কারণ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে মানকি শরিফের পীর উক্ত দল গঠন করেন। উল্লেখ্য, "ঢাকা হাইকোর্টে দবিরুল ইসলামের হেবিয়াস কার্পাস মামলা পরিচালনার জন্য জনাব সোহরাওয়ার্দী যখন ঢাকায় এসেছিলেন, তখনই তিনি মানকি শরিফের পীর সাহেবের অনুকরণে সংগঠনের নাম 'আওয়ামী মুসলিম লীগ' রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন" (সূত্র : জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫-৭৫, কৃত-অলি আহাদ : ঢাকা, খোশরোজ কিতাবমহল, ১৯৯৭ : পৃ ৭২)।
শুরুতে নামকরণের বিরোধিতা করেছিলেন অলি আহাদ। এ প্রসঙ্গে অলি আহাদ জানান, "... আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করবার প্রস্তাব উত্থাপিত হলে আমি জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সকল নাগরিকের প্রবেশাধিকার দিয়ে সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক সংগঠন করবার প্রস্তাব করি। নারায়ণগঞ্জের তরুণ নেতৃদ্বয় সর্বজনাব আলমাস আলী ও আবদুল আউয়াল প্রস্তাবের বিরোধিতা করতে গিয়ে আমার ওপর রোষে ফেটে পড়েন। দেখা গেল, আমরা কতিপয় ছাত্র ব্যতীত আর সকলেই 'আওয়ামী মুসলিম লীগ' নামকরণের পক্ষপাতী। আকরম খাঁ, নুরুল আমীন, চৌধুরী খালেকুজ্জামান ও লিয়াকত আলী পরিচালিত মুসলিম লীগ হলো সরকারি মুসলিম লীগ এবং আমাদেরটি হবে আওয়ামের বা জনগণের মুসলিম লীগ" (সূত্র : জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫-৭৫, কৃত-অলি আহাদ : ঢাকা, খোশরোজ কিতাবমহল, ১৯৯৭ : পৃ ৭২)।
তখন পরিস্থিতি এমন ছিল যে, 'মুসলিম' শব্দটি বাদ দিয়ে পুরোপুরি অসাম্প্রদায়িক ও ধর্ম নিরপেক্ষ দল গঠনের পক্ষে কোন কোন সংগঠক সে-সময় অবস্থান নিলেও বেশিরভাগ সংগঠক কৌশলগত কারণে 'আওয়ামী মুসলিম লীগ' নামকরণই সমর্থন করলেন (সূত্র : দৈনিক আজকের আওয়াজ, ২৫ অক্টোবর ১৯৯৯)। এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতামত প্রণিধানযোগ্য। তিনি বলেছেন, "এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, বিরাজমান পরিস্থিতির প্রয়োজনে যখন আওয়ামী লীগের জন্ম হয়, তখন আমাদের সংগঠনটিকে একটি সাম্প্রদায়িক সংগঠনের রূপ দিতে হয়েছিল। পাকিস্তানী জনগণের ধর্মবিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে মুসলিম লীগ ইসলামকে তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে স্বীয় ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখে। এছাড়া মুসলিম লীগ যে বিভ্রান্তিকর অবস্থার সৃষ্টি করে তা থেকে জনগণ তখনও সম্পূর্ণরূপে নিজেদের মুক্ত করতে পারেনি। এ পরিস্থিতিতে যদিও আমাদের সংগঠনটিকে ধর্মনিরপেক্ষতার রূপ দেয়া সম্ভব ছিল, তথাপি তা মুসলিম লীগের প্রতিক্রিয়াশীল প্রভাব মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হতো" (সূত্র : পূর্ব-পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশন, সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমানের বার্ষিক রিপোর্ট, ১৯৫৫, পৃ. ২৬-২৭)। ১৯৫৫ সালের ২১, ২২ ও ২৩ অক্টোবর ঢাকায় তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে দলের নাম থেকে 'মুসলিম' শব্দটি বাদ দিয়ে 'আওয়ামী লীগ' নামকরণ করা হয়। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রথমে 'মুসলিম' শব্দটি বাদ দেয়ার বিপক্ষে থাকলেও ২২ অক্টোবর তিনি তাঁর আপত্তি প্রত্যহার করলে 'মুসলিম' শব্দ খারিজ হয়ে যায় এবং প্রতিষ্ঠানটি 'আওয়ামী লীগ' এ রূপান্তরিত হয়।
এখানে আর একটি বিষয় পরিষ্কার করা দরকার যে, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর উৎসাহ ও নেপথ্য সহযোগিতায় পূর্ব-পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠিত হলেও, প্রথম দিকে তিনি আলোচ্য দলটির সদস্য ছিলেন না। 'জনাব সোহরাওয়ার্দী ছিলেন পাকিস্তান গণপরিষদে মুসলিম লীগের দলীয় সদস্য। বিরোধিতাবশতই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াবজাদা লিয়াকত আলী খান স্বয়ং উদ্যোগী হয়ে ১৯৪৮ সালের শেষার্ধে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর গণপরিষদের সদস্যপদ বাতিল ঘোষণা করেন' (সূত্র : জাতীয় রাজনীতি ১৯৪৫-৭৫, কৃত-অলি আহাদ : ঢাকা, খোশরোজ কিতাবমহল, ১৯৯৭ : পৃ. ৭২)।
প্রসঙ্গত আরও উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, প্রথম দিকে সোহরাওয়ার্দী সাহেব পশ্চিম পাকিস্তানভিত্তিক 'নিখিল পাকিস্তান জিন্নাহ আওয়ামী মুসলিম লীগে'র নেতৃত্বে ছিলেন। ভারত থেকে পাকিস্তানে ফিরে ও করাচীতে অবস্থানকালে ১৯৫১ সালের জানুয়ারি মাসে জিন্নাহ আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠন করেন। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ্র বোন ফাতেমা জিন্নাহ্ও তাঁকে সমর্থন দেন। পূর্ব-পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ ও নিখিল পাকিস্তান জিন্নাহ আওয়ামী মুসলিম লীগ স্বতন্ত্রভাবে কয়েক বছর কাজ করার পর ১৯৫২ সালের ডিসেম্বর মাসে লাহোরে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ব-পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ ও নিখিল পাকিস্তান জিন্নাহ আওয়ামী মুসলিম লীগকে অধিভুক্ত করা হয়। ১৯৫৩ সালের ১১ এপ্রিল পূর্ব-পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সাংগঠনিক কমিটির বৈঠকে উক্ত অধিভুক্তি অনুমোদন করা হলেও পূর্ব-পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য দীর্ঘ সময় বিদ্যামান ছিল। তবে অধিভুক্তির আগেই 'নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগে'র সঙ্গে পূর্ব-পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ একীভূত হয়ে কাজ করতে থাকে এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি হিসেবে স্বীকৃত হন।

১৫০ নম্বর মোগলটুলী থেকে আওয়ামী লীগের জন্ম
ঢাকার ১৫০ নম্বর মোগলটুলীতে অবস্থিত পূর্ববঙ্গ কর্মীশিবির (East Bengal Worker's Camp) থেকে আওয়ামী লীগের জন্ম হয়। কর্মীশিবির প্রতিষ্ঠার আগে এ স্থানে বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের একটি শাখা অফিস স্থাপিত হয়েছিল। পূর্ব বাংলায় (বর্তমান 'বাংলাদেশ' এলাকায়) বঙ্গীয় মুসলিম লীগের সম্পাদক আবুল হাশিমের উদ্যোগে ১৯৪৪ সালের ৯ এপ্রিল ঢাকার ১৫০ নম্বর মোগলটুলীতে প্রাদেশিক মুসলিম লীগের শাখা অফিস স্থাপিত হয় (সূত্র : পূর্ব-বাংলার ভাষা-আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি, ১ম খণ্ড, কৃত-বদরুদ্দীন উমর : ঢাকা, সুবর্ণ, ১৯৭৯ : পৃ. ২০৭)।
কামরুদ্দীন আহমদ তাঁর লেখা 'বাংলার মধ্যবিত্তের আত্মবিকাশ' (২য় খ-) গ্রন্থে ১৫০ নম্বর মোগলটুলী বাড়িটি সম্পর্কে বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, "তিনতলা বাড়ির নিচের তলায় কাগজের দোকান হায়দার সাহেব নামে এক ভদ্রলোকের। দোতলায় অফিস, তেতলায় সর্বক্ষণ কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা এবং কনফারেন্স ঘর।" ১৯৪৭ সালের আগস্টের পর ১৫০ নম্বর মোগলটুলীতে পার্টি অফিসকে কেন্দ্র করে আবুল হাশিম সোহরাওয়ার্দী অনুসারী তরুণ রাজনৈতিক কর্মীরা একত্রিত হতে থাকেন (সূত্র : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-জীবন ও রাজনীতি, ১ম খ-, সম্পাদনায় মোনায়েম সরকার : ঢাকা, বাংলা একাডেমী, ২০০৮ : পৃ. ১৪৭)। এ অফিসটি ঢাকাতে অবস্থিত থাকলেও সারা পূর্ববাংলায় খাজা নাজিমউদ্দিন সরকার বিরোধী যুবকরা রাজনীতির ক্ষেত্রে একটি নতুন অবস্থান সৃষ্টির জন্য এ অফিসটি ব্যবহার করেছেন। ১৫০ নম্বর মোগলটুলীস্থ প্রাদেশিক মুসলিম লীগের ঢাকা কেন্দ্রের নেতাদের পরিচয় প্রসঙ্গে আবুল হাশিম বলেছেন, "কামরুদ্দীন আহমদ, টাঙ্গাইলের শামসুল হক, ঢাকার কাজী মোহাম্মদ বশির, ইয়ার মোহাম্মদ খান, শামসুদ্দীন আহমদ, শওকত আলী, এ কে আর আহমদ, মসিহুদ্দীন আহমদ (রাজামিয়া), আলমাস আলী, আবদুল আউয়াল এবং তাজউদ্দীন আহমদ, কুমিল্লার খন্দকার মোশতাক আহমদ (পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতক খুনি মোশতাক নামে পরিচিত লেখক) ও অলি আহাদ এবং নোয়াখালীর মোহাম্মদ তোয়াহা ও নাজমুল করিম, এঁরা ঢাকা কেন্দ্রের নেতা ছিলেন" (সূত্র : আমার জীবন ও বিভাগপূর্ব বাংলাদেশের রাজনীতি, কৃতÑআবুল হাশিম, অনুবাদকÑশাহাবুদ্দীন মহম্মদ আলী : ঢাকা, নওরোজ কিতাবিস্তান, ১৯৮৭ : পৃ. ৫৮)।
১৫০ নম্বর মোগলটুলীর অফিসে সার্বক্ষণিক থাকতেন শওকত আলী। সেখানেই ছিল তাঁর বাসস্থান। বস্তুত "১৯৪৭ সালের আগস্টের পর শামসুল হক, কামরুদ্দীন আহমদ, মোহাম্মদ তোয়াহা, অলি আহাদ, তাজউদ্দীন আহমদ, শওকত আলী, আলমাস আলী, আবদুল আউয়াল প্রমুখ নাজিমউদ্দীন বিরোধী তরুণ কর্মীরা এ শাখাকে কেন্দ্র করে 'পূববাংলার নতুন রাজনীতি গঠন' চিন্তায় যুক্ত হন। শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সমমনা সাথীরা কলকাতা থেকে এসে সেই রাজনীতির সাথে নিজেদের ঘনিষ্ঠভাবে স¤পৃক্ত করেন" (সূত্র : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবন ও রাজনীতি, সম্পাদনায় মোনায়েম সরকার : ঢাকা, বাংলা একাডেমী, ২০০৮ পৃ. ১৪৭)।
শামসুল হক ও শেখ মুজিবুর রহমান (বঙ্গবন্ধু) ১৫০ নম্বর মোগলটুলীতে অবস্থিত পার্টি অফিসটিকে পূর্ববঙ্গ কর্মীশিবির বা 'ওয়ার্কার্স ক্যাম্প' (ডড়ৎশবৎ'ং ঈধসঢ়) বলে অভিহিত করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাশিমের মতো গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবর্গ পূর্ববঙ্গে (পূর্ব-পাকিস্তানে) ফিরে না আসায় এবং মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আসামের জেলে বন্দি থাকায়, এ অঞ্চলে যে রাজনৈতিক নেতৃত্ব শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে করে মওলানা আকরম খাঁ ও খাজা নাজিমউদ্দীননির্ভর এখানকার রাজনীতিতে ঢাকার নওয়াব পরিবারের একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয়। (ক্রমশ)

লেখক : সভাপতি, ইতিহাস গবেষণা সংসদ



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___