জামায়াতী মিডিয়ার আসল রূপ বেরিয়ে আসছে, মরণ কামড় দিচ্ছে
রাজীবকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ রিপোর্ট ॥ ১৯ প্রজন্মসেনাকে নিরাপত্তা দেয়ার নির্দেশ
ফিরোজ মান্না ॥ এক এক করে জামায়াতী মিডিয়ার রূপ বেরিয়ে আসছে। তারাও জামায়াতীদের মতো মরণ কামড় দিচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর। সাইবার যোদ্ধা রাজীবকে নিয়ে রবিবার একটি দৈনিক পত্রিকা এমন একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যুদ্ধাপরাধীরা যে ভাষায় কথা বলে তার চেযেও কুরুচিপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করা হয়। একই ধরনের বক্তব্য দিয়ে সোমবার আরেকটি দৈনিক পত্রিকা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। রবিবার যে পত্রিকাটি রাজীবকে নাস্তিক হিসেবে প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওই পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন একজন বড় মাপের যুদ্ধাপরাধী। তিনি মরে গিয়ে বেঁচে গেছেন।
মৃত্যু না হলে তিনিও মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী মামলার আাসামি হতে পারতেন। পত্রিকাটির স্বরূপ এভাবে উন্মোচিত হবে এটাই স্বাভাবিক। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই পত্রিকাটি সরকারের আস্থায় আসার জন্য সরকারের গুণগান গেয়েছে। কিন্তু কাল-সাপ যে সুযোগ পেলেই ছোবল মারে তা সরকার এখন বুঝতে পেরেছে। এ যেন 'কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না'র মতো অবস্থা। দীর্ঘদিন মুখোশ পরে থেকে পত্রিকাটির মালিক বর্তমান সরকারের কাছ থেকে নানা সুবিধা নিয়েছে। কিন্তু সময়ে তার ভয়ঙ্কর রূপটি বেরিয়ে এসেছে।
জামায়াতী টাকায় পরিচালিত আরেকটি পত্রিকা প্রজন্মসেনা রাজীবকে নিয়ে একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই পত্রিকা দু'টির যে আন্তঃযোগাযোগ তা প্রকাশিত প্রতিবেদনটি পড়লেই বোঝা যায়। এই পত্রিকার সম্পাদক কোন দিনই সাংবাদিক ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন বেসরকারী চাকরিজীবী। চারদলীয় জোট সরকারের সময় তিনি হঠাৎ করে সরকারের প্রতিমন্ত্রী মর্যাদার পদবি পেয়েছিলেন। এর পর থেকেই তাঁর উত্থান। ওই পত্রিকাটি যখন আর্থিক সঙ্কটে পড়ে তখন তিনি জামায়াতের টাকা নিয়ে তার সম্পাদক বনে যান। পত্রিকাটিতে তিনি যা খুশি তাই লিখে যাচ্ছেন। সরকার উদার দৃষ্টিতে বিষয়টি নিলেও জনগণ তার পত্রিকার প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। অবিশ্বাস্য সব তথ্য দিয়ে পত্রিকাটি প্রতিনিয়ত মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে। শাহাবাগ প্রজন্ম চত্বর থেকে এই পত্রিকাটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে এ্যাক্টিভিস্ট সদস্য রাজীব হত্যার দিন জামায়াতীদের 'টুডে ব্লগে' স্ট্যাটাস দেয়া হয়, আজ থেকে শুরু হলো লাশের মিছিল। রাজীবের হত্যার মধ্য দিয়ে জামায়াত শিবির হুঁশিয়ারি দিযেছে- ১৯ সাইবার যোদ্ধাকে চিরতরে দুনিয়া থেকে বিদায় করার তালিকা প্রকাশ করেছে তাদের এই ব্লগে। তবে প্রধানমন্ত্রী এই ১৯ জনকে নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো ১৯ প্রজন্মসেনা হলেন ডা. ইমরান সরকার, অমিয় রহমান পিয়াল, গোলাম রসুল মারুফ, আরিফ জেবতিক, লাকি আক্তার, কামাল পাশা চৌধুরী, মাহবুব রশিদ, মুক্তা বাড়ৈ, শাকিল আহমেদ অরণ্য, মাহমুদুল হক মুন্সী, আলামিন বাবু, কানিস আলমাস সুলতানা কিনু, জাকির আহমেদ রনি, মোরসালিন মিজান, ডা. রাশেদুল হাসান, পলাশ আহমেদ, প্রীতম আহমেদ, আসিফ মহিউদ্দিন ও রাকিবুল বাশার রাকিব।
অন্যদিকে বিটিআরসি জামায়াতীদের ৫ ওয়েবসাইট ও এক হাজারের বেশি ফেসবুকের 'ফেক আইডি' বন্ধ করে দিয়েছে। অনলাইনে বাধাহীনভাবে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে পক্ষ-বিপক্ষ, আক্রমণাত্মক-ব্যঙ্গাত্মক এবং অশালীন নানা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য। শাহবাগে অনলাইন এ্যাক্টিভিস্টদের আন্দোলন শুরুর পর বিটিআরসি ওয়েবসাইটগুলোর ওপর নজর রাখছিল। পরে সোমবার চূড়ান্তভাবে এই সাইটগুলো বন্ধ করা হয়। জামায়াতীদের আরও কিছু ওয়েবসাইটের ওপর কড়া নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে বিটিআরসি। গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এগুলো বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এ বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস জানিয়েছেন, 'মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে নানা ধরনের বিষোদ্গার করার অভিযোগে সরকারের চাহিদা অনুযায়ী পাঁচটি ব্লগ ও এক হাজারের বেশি ফেসবুক আইডি বন্ধ করা হয়েছে।
এ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সোমবার রাতে জামায়াত শিবিরের সাইবার দুনিয়ায় চরম আঘাত হানা হবে। এতে তাদের বিপর্যয় অবধারিত। সাইবার যুদ্ধে তারা এমনভাবে বিপর্যস্ত হবে যে, তারা আর মেরুদ- সোজা করতে পারবে না। গত দুই দিন ধরে এ রকম কাজ করা হয়েছে। শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর থেকে তাদের সাইবার দুনিয়া যে অন্ধকার হয়ে গেছে তার ঘোষণা দেয়া হবে। এটা শুধু কথার কথা নয়, সত্যিকারের সাইবার যুদ্ধ নিযে আমরা যে কাজ করেছি তা বিশ্ববাসী অবাক হয়ে দেখবে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম কী পারে। বিদেশের এক শ্রেণীর মিডিয়া জামায়াতীদের টাকায় বিক্রি হয়ে গেছে। তারা আমাদের নিউজ দিচ্ছে না। আলজাজিরা আমাদের নিউজ না দিয়ে জামায়াতীদের পক্ষে নিউজ দিচ্ছে। দেশীয় কয়েকটি মিডিয়ায় যা লেখা হচ্ছে আন্তর্জাতিক, অনেক মিডিয়া একই ধরনের নিউজ দিচ্ছে।
জামায়াত-শিবির তাদের বিভিন্ন ব্লগ থেকে পোস্ট দিচ্ছে, ৩১৩ নামের একটি শক্তিশালী ভাইরাস ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। এই ভাইরাসটি কম্পিউটারের মাদারবোর্ডের 'বায়োস' নামক সফটওয়্যারটি নষ্ট করার মাধ্যমে পুরো কম্পিউটারকে অকেজো করে দেবে। জামায়াতীদের পক্ষে তুর্কী সাইবার আর্মি এই ভাইরাসটি ছেড়েছে। তারা ইউকের বাংলা মিডিয়ার সদস্যদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে পোস্ট দেয়ার আহ্বান করেছে।
এ্যাক্টিভিস্টরা বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া আর রায় নিয়ে অনেক বিদেশী মিডিয়া ও সংগঠন বিভ্রান্তি ছড়াাচ্ছে, জল ঘোলা করছে। কেউ করছে জেনেশুনে, আর কেউ তা রিপিট করছে তোতা পাখির মতো না বুঝে। কয়েকটি মিডিয়া রাজীবকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করে লিখেছে, ২০১২ সালে রাজীব এমন পোস্ট দিয়েছে। তাদের প্রশ্ন কেন তাহলে তখন রাজীব খুন হলো না। জামায়াত-শিবিরসহ ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং গৃহযুদ্ধের হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার পোস্ট দিয়েছে।
একজন এ্যাক্টিভিস্ট বলেন, স্বাধীন দেশে দাঁড়িয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার চাওয়া মানুষের সংখ্যা যেখানে শতভাগ হওয়া উচিত সেখানে এখন জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির, তাদের প্রতি সমব্যথী কিছু রাজনৈতিক দল ও এদের সমর্থিত অসংখ্য মানুষ আজ যুদ্ধাপরাধের বিচারকার্যের বিরুদ্ধাচরণ করার সাহস পায় কোথা থেকে? এটি একটি জাতীয় ইস্যু, দলীয় বা রাজনৈতিক নয়। একটিবার ভাবুন না আপনার বাবা বা ভাইকে যদি একাত্তরে শরীরের বিভিন্ন মাংস খুবলে নিয়ে জবাই করা হতো, আপনার মা বা বোন বা স্ত্রীকে ধর্ষণের পর নিম্নাঙ্গে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে বা মরিচের গুঁড়ো ঢেলে দিয়ে বা দু' পা দু'দিকে টেনে ছিড়ে ফেলে হত্যা করা হতো, তখন কি আপনি আজকের মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখতে পারতেন। একটু ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন আক্ষরিক অর্থে এ কাজগুলোই করেছিল পাকিস্তান আর্মির দোসর হয়ে রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্য আমাদের 'বাঙালী, বাংলাদেশী ও মুসলমান ভাইরা।' এখন আপনিই ভেবে দেখুন কী করবেন? যুদ্ধাপরাধের বিচারকার্য নিশ্চিত করার জন্য সহায়তা করে নিজেকে মানুষ ভাবার চেষ্টা করবেন? নাকি 'দূষিত রাজনীতি', 'পাকিস্তানী ও রাজাকাররা আমাদের ভাই', 'মুক্তিযোদ্ধারা ভারতীয় দালাল' এসবের ধুয়া তুলে অচেতন হয়ে জীবন পার করে দেবেন?
প্রজন্মসেনারা আজকে তাদের পোস্টে লিখেছে, রাজীবের রক্ত বৃথা যেতে দেব না- শোক নয়, চাই প্রতিরোধ, এক রাজীবের রক্ত থেকে লক্ষ রাজীবের জন্ম হয়েছে। রাজীব তোমার মৃত্যু নাই-আমরা তোমায় ভুলি নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই-রাজাকারের ক্ষমা নাই, জয় বাংলা।
মৃত্যু না হলে তিনিও মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী মামলার আাসামি হতে পারতেন। পত্রিকাটির স্বরূপ এভাবে উন্মোচিত হবে এটাই স্বাভাবিক। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই পত্রিকাটি সরকারের আস্থায় আসার জন্য সরকারের গুণগান গেয়েছে। কিন্তু কাল-সাপ যে সুযোগ পেলেই ছোবল মারে তা সরকার এখন বুঝতে পেরেছে। এ যেন 'কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না'র মতো অবস্থা। দীর্ঘদিন মুখোশ পরে থেকে পত্রিকাটির মালিক বর্তমান সরকারের কাছ থেকে নানা সুবিধা নিয়েছে। কিন্তু সময়ে তার ভয়ঙ্কর রূপটি বেরিয়ে এসেছে।
জামায়াতী টাকায় পরিচালিত আরেকটি পত্রিকা প্রজন্মসেনা রাজীবকে নিয়ে একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই পত্রিকা দু'টির যে আন্তঃযোগাযোগ তা প্রকাশিত প্রতিবেদনটি পড়লেই বোঝা যায়। এই পত্রিকার সম্পাদক কোন দিনই সাংবাদিক ছিলেন না। তিনি ছিলেন একজন বেসরকারী চাকরিজীবী। চারদলীয় জোট সরকারের সময় তিনি হঠাৎ করে সরকারের প্রতিমন্ত্রী মর্যাদার পদবি পেয়েছিলেন। এর পর থেকেই তাঁর উত্থান। ওই পত্রিকাটি যখন আর্থিক সঙ্কটে পড়ে তখন তিনি জামায়াতের টাকা নিয়ে তার সম্পাদক বনে যান। পত্রিকাটিতে তিনি যা খুশি তাই লিখে যাচ্ছেন। সরকার উদার দৃষ্টিতে বিষয়টি নিলেও জনগণ তার পত্রিকার প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। অবিশ্বাস্য সব তথ্য দিয়ে পত্রিকাটি প্রতিনিয়ত মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে। শাহাবাগ প্রজন্ম চত্বর থেকে এই পত্রিকাটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে এ্যাক্টিভিস্ট সদস্য রাজীব হত্যার দিন জামায়াতীদের 'টুডে ব্লগে' স্ট্যাটাস দেয়া হয়, আজ থেকে শুরু হলো লাশের মিছিল। রাজীবের হত্যার মধ্য দিয়ে জামায়াত শিবির হুঁশিয়ারি দিযেছে- ১৯ সাইবার যোদ্ধাকে চিরতরে দুনিয়া থেকে বিদায় করার তালিকা প্রকাশ করেছে তাদের এই ব্লগে। তবে প্রধানমন্ত্রী এই ১৯ জনকে নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো ১৯ প্রজন্মসেনা হলেন ডা. ইমরান সরকার, অমিয় রহমান পিয়াল, গোলাম রসুল মারুফ, আরিফ জেবতিক, লাকি আক্তার, কামাল পাশা চৌধুরী, মাহবুব রশিদ, মুক্তা বাড়ৈ, শাকিল আহমেদ অরণ্য, মাহমুদুল হক মুন্সী, আলামিন বাবু, কানিস আলমাস সুলতানা কিনু, জাকির আহমেদ রনি, মোরসালিন মিজান, ডা. রাশেদুল হাসান, পলাশ আহমেদ, প্রীতম আহমেদ, আসিফ মহিউদ্দিন ও রাকিবুল বাশার রাকিব।
অন্যদিকে বিটিআরসি জামায়াতীদের ৫ ওয়েবসাইট ও এক হাজারের বেশি ফেসবুকের 'ফেক আইডি' বন্ধ করে দিয়েছে। অনলাইনে বাধাহীনভাবে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে পক্ষ-বিপক্ষ, আক্রমণাত্মক-ব্যঙ্গাত্মক এবং অশালীন নানা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য। শাহবাগে অনলাইন এ্যাক্টিভিস্টদের আন্দোলন শুরুর পর বিটিআরসি ওয়েবসাইটগুলোর ওপর নজর রাখছিল। পরে সোমবার চূড়ান্তভাবে এই সাইটগুলো বন্ধ করা হয়। জামায়াতীদের আরও কিছু ওয়েবসাইটের ওপর কড়া নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে বিটিআরসি। গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এগুলো বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এ বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোস জানিয়েছেন, 'মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে নানা ধরনের বিষোদ্গার করার অভিযোগে সরকারের চাহিদা অনুযায়ী পাঁচটি ব্লগ ও এক হাজারের বেশি ফেসবুক আইডি বন্ধ করা হয়েছে।
এ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সোমবার রাতে জামায়াত শিবিরের সাইবার দুনিয়ায় চরম আঘাত হানা হবে। এতে তাদের বিপর্যয় অবধারিত। সাইবার যুদ্ধে তারা এমনভাবে বিপর্যস্ত হবে যে, তারা আর মেরুদ- সোজা করতে পারবে না। গত দুই দিন ধরে এ রকম কাজ করা হয়েছে। শাহবাগ প্রজন্ম চত্বর থেকে তাদের সাইবার দুনিয়া যে অন্ধকার হয়ে গেছে তার ঘোষণা দেয়া হবে। এটা শুধু কথার কথা নয়, সত্যিকারের সাইবার যুদ্ধ নিযে আমরা যে কাজ করেছি তা বিশ্ববাসী অবাক হয়ে দেখবে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম কী পারে। বিদেশের এক শ্রেণীর মিডিয়া জামায়াতীদের টাকায় বিক্রি হয়ে গেছে। তারা আমাদের নিউজ দিচ্ছে না। আলজাজিরা আমাদের নিউজ না দিয়ে জামায়াতীদের পক্ষে নিউজ দিচ্ছে। দেশীয় কয়েকটি মিডিয়ায় যা লেখা হচ্ছে আন্তর্জাতিক, অনেক মিডিয়া একই ধরনের নিউজ দিচ্ছে।
জামায়াত-শিবির তাদের বিভিন্ন ব্লগ থেকে পোস্ট দিচ্ছে, ৩১৩ নামের একটি শক্তিশালী ভাইরাস ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। এই ভাইরাসটি কম্পিউটারের মাদারবোর্ডের 'বায়োস' নামক সফটওয়্যারটি নষ্ট করার মাধ্যমে পুরো কম্পিউটারকে অকেজো করে দেবে। জামায়াতীদের পক্ষে তুর্কী সাইবার আর্মি এই ভাইরাসটি ছেড়েছে। তারা ইউকের বাংলা মিডিয়ার সদস্যদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে পোস্ট দেয়ার আহ্বান করেছে।
এ্যাক্টিভিস্টরা বলেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার প্রক্রিয়া আর রায় নিয়ে অনেক বিদেশী মিডিয়া ও সংগঠন বিভ্রান্তি ছড়াাচ্ছে, জল ঘোলা করছে। কেউ করছে জেনেশুনে, আর কেউ তা রিপিট করছে তোতা পাখির মতো না বুঝে। কয়েকটি মিডিয়া রাজীবকে নিয়ে অশ্লীল মন্তব্য করে লিখেছে, ২০১২ সালে রাজীব এমন পোস্ট দিয়েছে। তাদের প্রশ্ন কেন তাহলে তখন রাজীব খুন হলো না। জামায়াত-শিবিরসহ ধর্মের নামে রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং গৃহযুদ্ধের হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার পোস্ট দিয়েছে।
একজন এ্যাক্টিভিস্ট বলেন, স্বাধীন দেশে দাঁড়িয়ে যুদ্ধাপরাধের বিচার চাওয়া মানুষের সংখ্যা যেখানে শতভাগ হওয়া উচিত সেখানে এখন জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির, তাদের প্রতি সমব্যথী কিছু রাজনৈতিক দল ও এদের সমর্থিত অসংখ্য মানুষ আজ যুদ্ধাপরাধের বিচারকার্যের বিরুদ্ধাচরণ করার সাহস পায় কোথা থেকে? এটি একটি জাতীয় ইস্যু, দলীয় বা রাজনৈতিক নয়। একটিবার ভাবুন না আপনার বাবা বা ভাইকে যদি একাত্তরে শরীরের বিভিন্ন মাংস খুবলে নিয়ে জবাই করা হতো, আপনার মা বা বোন বা স্ত্রীকে ধর্ষণের পর নিম্নাঙ্গে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে বা মরিচের গুঁড়ো ঢেলে দিয়ে বা দু' পা দু'দিকে টেনে ছিড়ে ফেলে হত্যা করা হতো, তখন কি আপনি আজকের মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামাশা দেখতে পারতেন। একটু ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন আক্ষরিক অর্থে এ কাজগুলোই করেছিল পাকিস্তান আর্মির দোসর হয়ে রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্য আমাদের 'বাঙালী, বাংলাদেশী ও মুসলমান ভাইরা।' এখন আপনিই ভেবে দেখুন কী করবেন? যুদ্ধাপরাধের বিচারকার্য নিশ্চিত করার জন্য সহায়তা করে নিজেকে মানুষ ভাবার চেষ্টা করবেন? নাকি 'দূষিত রাজনীতি', 'পাকিস্তানী ও রাজাকাররা আমাদের ভাই', 'মুক্তিযোদ্ধারা ভারতীয় দালাল' এসবের ধুয়া তুলে অচেতন হয়ে জীবন পার করে দেবেন?
প্রজন্মসেনারা আজকে তাদের পোস্টে লিখেছে, রাজীবের রক্ত বৃথা যেতে দেব না- শোক নয়, চাই প্রতিরোধ, এক রাজীবের রক্ত থেকে লক্ষ রাজীবের জন্ম হয়েছে। রাজীব তোমার মৃত্যু নাই-আমরা তোমায় ভুলি নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই-রাজাকারের ক্ষমা নাই, জয় বাংলা।
__._,_.___