যুক্তি উপস্থাপনকালে রাষ্ট্রপক্ষ
সহযোগী বাহিনীগুলোর ওপর গোলাম আযমের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ ছিল
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গতকাল সোমবার রাষ্ট্রপক্ষ দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তি উপস্থাপন করেছে। রাষ্ট্রপক্ষ বলেছে, মুক্তিযুদ্ধকালে ঊর্ধ্বতন অবস্থানের বলে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী বাহিনীগুলোর ওপর গোলাম আযমের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ ছিল।
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ গতকাল যুক্তি উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেয়াদ-আল-মালুম ও সুলতান মাহ্মুদ। জামায়াতের ডাকা অন্যান্য হরতালের মতো গতকালও আসামিপক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা ট্রাইব্যুনালে ছিলেন না। আসামিপক্ষের দুজন সহযোগী আইনজীবী ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তি উপস্থাপনকালে জেয়াদ-আল-মালুম বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী বাহিনী যেমন: শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস প্রভৃতি গঠনে গোলাম আযমের ভূমিকা ছিল। এসব বাহিনী পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও গণহত্যায় অংশ নেয়।
পরে সুলতান মাহ্মুদ বলেন, গোলাম আযমের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। প্রথমটি মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ, এতে ছয়টি ঘটনা রয়েছে। দ্বিতীয় অভিযোগ অপরাধের পরিকল্পনা করার, এতে তিনটি ঘটনা রয়েছে। তৃতীয় অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে উসকানির ২৮টি ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। চতুর্থ অভিযোগ অপরাধে সহযোগিতা করার বা অপরাধ ঘটানো থেকে নিবৃত্ত করতে ব্যর্থ হওয়ার, এতে ২৩টি ঘটনা রয়েছে। পঞ্চম অভিযোগে একটি ঘটনায় গোলাম আযমের বিরুদ্ধে হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতিটি অভিযোগের সঙ্গে আসামির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনের ৪(১) ধারায় একক ব্যক্তি হিসেবে অপরাধ সংঘটনের দায় এবং ৪(২) ধারায় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বা নেতা হিসেবে দলগত নেতৃত্বের দায়ও আনা হয়েছে।
একাত্তরের বিভিন্ন পত্রিকায় (বিশেষত সংগ্রাম ওআজাদ) প্রকাশিত প্রতিবেদনের উল্লেখ করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বলেন, এসব প্রতিবেদন প্রমাণ করে, পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী বাহিনীগুলোর ওপর আসামির প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ ছিল। পাকিস্তান রক্ষার নামে তহবিল সংগ্রহের জন্য গোলাম আযম স্বাক্ষরিত এক টাকার টোকেন নোট ছাড়া হয়, যা নিশ্চিতভাবে তাঁর ঊর্ধ্বতন অবস্থানকে স্পষ্ট করে।
সুলতান মাহ্মুদ বলেন, একাত্তরের ৪ এপ্রিল অবরুদ্ধ বাংলাদেশের খ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক টিক্কা খানের সঙ্গে বৈঠক করে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। ওই বৈঠকে উপস্থিত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের আমির গোলাম আযম দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর চক্রান্ত কার্যকর করার বিষয়ে আলোচনা ও পরিকল্পনা করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী বাহিনী ও তাদের কাজের ধরন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে পরে নাগরিক শান্তি কমিটি আত্মপ্রকাশ করে। ওই ষড়যন্ত্রের সূত্র ধরে ৬ এপ্রিল টিক্কা খানের সঙ্গে তাঁর আরেকটি বৈঠক হয়।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি একাত্তরের পত্রিকায় প্রকাশিত ৬ এপ্রিলের বৈঠকের একটি ছবি ট্রাইব্যুনালকে দেখান। ছবিটিতে টিক্কা খান, পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) নেতা নুরুল আমিনের সঙ্গে গোলাম আযমকে দেখা যায়। কৌঁসুলি বলেন, ষড়যন্ত্রের এই ধারাবাহিকতায় গোলাম আযম ১৯ জুন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে গোলাম আযম বলেন, 'দুষ্কৃতকারীরা' পূর্ব পাকিস্তানে এখনো সক্রিয়। তাদের নিশ্চিহ্ন করতে রাজাকারদের অস্ত্র সরবরাহ করতে হবে। এখানে 'দুষ্কৃতকারী' বলতে মুক্তিযোদ্ধাদের বোঝানো হয়েছে। সরকারের ওপর যথেষ্ট প্রভাব না থাকলে একজন ব্যক্তি কীভাবে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে অস্ত্র সরবরাহ করতে বলতে পারেন।
গত রোববার রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়। আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষ আবার যুক্তি উপস্থাপন করবে।
বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ গতকাল যুক্তি উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেয়াদ-আল-মালুম ও সুলতান মাহ্মুদ। জামায়াতের ডাকা অন্যান্য হরতালের মতো গতকালও আসামিপক্ষের জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা ট্রাইব্যুনালে ছিলেন না। আসামিপক্ষের দুজন সহযোগী আইনজীবী ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তি উপস্থাপনকালে জেয়াদ-আল-মালুম বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী বাহিনী যেমন: শান্তি কমিটি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস প্রভৃতি গঠনে গোলাম আযমের ভূমিকা ছিল। এসব বাহিনী পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও গণহত্যায় অংশ নেয়।
পরে সুলতান মাহ্মুদ বলেন, গোলাম আযমের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। প্রথমটি মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ, এতে ছয়টি ঘটনা রয়েছে। দ্বিতীয় অভিযোগ অপরাধের পরিকল্পনা করার, এতে তিনটি ঘটনা রয়েছে। তৃতীয় অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে উসকানির ২৮টি ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। চতুর্থ অভিযোগ অপরাধে সহযোগিতা করার বা অপরাধ ঘটানো থেকে নিবৃত্ত করতে ব্যর্থ হওয়ার, এতে ২৩টি ঘটনা রয়েছে। পঞ্চম অভিযোগে একটি ঘটনায় গোলাম আযমের বিরুদ্ধে হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রতিটি অভিযোগের সঙ্গে আসামির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইনের ৪(১) ধারায় একক ব্যক্তি হিসেবে অপরাধ সংঘটনের দায় এবং ৪(২) ধারায় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বা নেতা হিসেবে দলগত নেতৃত্বের দায়ও আনা হয়েছে।
একাত্তরের বিভিন্ন পত্রিকায় (বিশেষত সংগ্রাম ওআজাদ) প্রকাশিত প্রতিবেদনের উল্লেখ করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি বলেন, এসব প্রতিবেদন প্রমাণ করে, পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী বাহিনীগুলোর ওপর আসামির প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণ ছিল। পাকিস্তান রক্ষার নামে তহবিল সংগ্রহের জন্য গোলাম আযম স্বাক্ষরিত এক টাকার টোকেন নোট ছাড়া হয়, যা নিশ্চিতভাবে তাঁর ঊর্ধ্বতন অবস্থানকে স্পষ্ট করে।
সুলতান মাহ্মুদ বলেন, একাত্তরের ৪ এপ্রিল অবরুদ্ধ বাংলাদেশের খ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক টিক্কা খানের সঙ্গে বৈঠক করে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। ওই বৈঠকে উপস্থিত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের আমির গোলাম আযম দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর চক্রান্ত কার্যকর করার বিষয়ে আলোচনা ও পরিকল্পনা করে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগী বাহিনী ও তাদের কাজের ধরন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে পরে নাগরিক শান্তি কমিটি আত্মপ্রকাশ করে। ওই ষড়যন্ত্রের সূত্র ধরে ৬ এপ্রিল টিক্কা খানের সঙ্গে তাঁর আরেকটি বৈঠক হয়।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি একাত্তরের পত্রিকায় প্রকাশিত ৬ এপ্রিলের বৈঠকের একটি ছবি ট্রাইব্যুনালকে দেখান। ছবিটিতে টিক্কা খান, পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) নেতা নুরুল আমিনের সঙ্গে গোলাম আযমকে দেখা যায়। কৌঁসুলি বলেন, ষড়যন্ত্রের এই ধারাবাহিকতায় গোলাম আযম ১৯ জুন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে গোলাম আযম বলেন, 'দুষ্কৃতকারীরা' পূর্ব পাকিস্তানে এখনো সক্রিয়। তাদের নিশ্চিহ্ন করতে রাজাকারদের অস্ত্র সরবরাহ করতে হবে। এখানে 'দুষ্কৃতকারী' বলতে মুক্তিযোদ্ধাদের বোঝানো হয়েছে। সরকারের ওপর যথেষ্ট প্রভাব না থাকলে একজন ব্যক্তি কীভাবে একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে অস্ত্র সরবরাহ করতে বলতে পারেন।
গত রোববার রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়। আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষ আবার যুক্তি উপস্থাপন করবে।
Also Read:
Also Read:
যুদ্ধাপরাধের বিচার :
The prosecution yesterday explained before the International Crimes Tribunal-1 the status of war crimes accused Ghulam Azam and how he exercised power to drive auxiliary forces against the freedom fighters during the Liberation War.
http://www.thedailystar.net/newDesign/news-details.php?nid=269666
Related:
- Golam Azam' is the Eichmann of Bangladesh .....
- Golam Azam is the Gaddere Azam of our time....
- Golam Azam collaborated with a foreign occupation army .....
- Golam Azam is the twentieth century Mir Zafor Ali Khan of Bangladesh ....
- Golam Azam is worse than Mir Zafor in many sense ,,,,,
- Golam Azam with his Jamaate Islami party vis-a-vis Islami Chattro Sangho not only betrayed our nation (emerging Bangladesh), but aided and abetted the Genocide & Mass-rapes of the Yahia Regime ....
- Golam Azam was elected unopposed as an MNA (special November 1971 byelection ) with the blessings of General Aga Mohammad Yahia Khan ......[But as we know, man proposes Allah Subhana Wa Tala disposes ,,,,, Gaddere Azam Golam Azam's dream never came true. Bangladesh emerged as an Independent Republic ...... ]
- Golam Azam created an organization named Purbo Pakistan Punoruddhar Committee. Golam Azam continued his idiotic & treacherous efforts to nullify &stop the recognition of Bangladesh [Bangladesh Na Monjoor ]. Again, that effort too became futile ........
যুদ্ধাপরাধের বিচার : ট্রাইব্যুনাল গঠনের ইতিকথা
Also Read:
যুদ্ধাপরাধের বিচার :
সমকাল ডেস্ক
শুক্রবার, ২৫ জানুয়ারী ২০১৩, ১২ মাঘ ১৪১৯
__._,_.___