Banner Advertiser

Tuesday, March 19, 2013

[mukto-mona] হরতালের দ্বিতীয় দিন ॥: সারাদেশে টানা ৩৬ ঘণ্টা হরতালে সাড়া দেয়নি দেশের মানুষ।




বুধবার, ২০ মার্চ ২০১৩, ৬ চৈত্র ১৪১৯
হরতালের দ্বিতীয় দিন ॥ হত্যা, মন্দির ভাঙ্গা, লুট
০ টাঙ্গাইলে ছাত্রলীগ নেতা ইমরানকে কুপিয়ে হত্যা 
০ খুলনা ও নেত্রকোনায় মন্দির ভাংচুর 
০ সাতক্ষীরা ও খুলনায় সংখ্যালঘুর বাড়ি ও দোকান লুট 
০ ইডেন কলেজ মসজিদের পাশে ককটেল নিক্ষেপ
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে ১৮ দলীয় জোটের সারাদেশে টানা ৩৬ ঘণ্টা হরতালে সাড়া দেয়নি দেশের মানুষ। তবে আগের দিনের মতো মঙ্গলবারও বিএনপি-জামায়াতের কর্মী-সমর্থকরা বিক্ষিপ্তভাবে রাস্তায় ঝটিকা মিছিল, ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগসহ নাশকতার মাধ্যমে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। হরতালকারীদের সহিংস হামলার হাত থেকে রক্ষা পায়নি রেলস্টেশন, মসজিদ, মন্দির সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরও। টাঙ্গাইলের গোপালপুরে হরতালকারীরা ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করে। মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় পিকেটাররা ট্রেনলাইন উপড়ে ফেললে উপবন ট্রেন লাইনচ্যুত হয় এবং ১২ ঘণ্টা সিলেট-ঢাকা ট্রেন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। এছাড়া চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট স্টেশন ভাংচুর করা হয়। খুলনা, সাতক্ষীরা ও নেত্রকোনায় মন্দির, বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাংচুর করে হরতালকারীরা। পুলিশ কোথাও কোথাও হরতালকারীদের নাশকতা ঠেকাতে লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। হরতালের সময় নাশকতার চেষ্টাকালে সারাদেশে বিএনপি-জামায়াতের শতাধিক কর্মী-সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত ক'জনকে তাৎক্ষণিকভাবে শাস্তির ব্যবস্থা করেছে। খবর নিজস্ব সংবাদদাতাদের।
টাঙ্গাইলে ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা ॥ টাঙ্গাইলের গোপালপুরে হরতালকারীরা হরতালবিরোধীদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমরান হোসেনকে (২৫) কুপিয়ে হত্যা করে।
১৮ দলের হরতালের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সকালে গোপালপুরের কোনাবাড়ীতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গোপালপুর থানার ওসি মনির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বিএনপি নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে কোনাবাড়ীতে সড়ক অবরোধ করলে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেয়। কিছুক্ষণ পরে বিএনপি কর্মীরা সংগঠিত হয়ে এসে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় রামদার কোপে গুরুতর জখম হন ইমরান। প্রথমে তাঁকে গোপালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখান থেকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। 
কুলাউড়ায় ট্রেনলাইন উপড়ে ফেলে হরতালকারীরা ॥ মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বেইস প্লেট খুলে ট্রেনলাইন উপড়ে ফেলে হরতালকারীরা। এর ফলে আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন ও ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে সিলেটের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ প্রায় ১২ ঘণ্টা বন্ধ থাকে। মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে উপবন এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হলে ঢাকা-সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। লাইন মেরামত করে বগিগুলো উদ্ধারের পর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ নাশকতার ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ, যাদের মধ্যে তিনজন ইসলামী ছাত্রশিবিরের এবং দু'জন বিএনপি কর্মী বলে জানিয়েছেন কুলাউড়া থানার ওসি সেলিম নেওয়াজ।
কুলাউড়ার স্টেশন মাস্টার মহিদুর রহমান জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উপবন এক্সপ্রেস ভোর পৌনে ৫টার দিকে কুলাউড়া স্টেশন অতিক্রম করে। এরপর ভোর ৫টায় ছকাপন ও বরমচাল স্টেশনের মধ্যবর্তী ৭ নম্বর রেলসেতুর আগে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। হরতালকারীরা রেললাইনের একটি অংশ উপড়ে ফেলায় এ ঘটনা ঘটে। লাইনচ্যুত উপবনের কয়েকজন যাত্রী সামান্য আহত হলেও কারও আঘাত গুরুতর নয় বলে রেল কর্মকর্তারা জানান। ট্রেনের চালক নজরুল ইসলাম বলেন, ট্রেনের গতি কম থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে।
এ নাশকতার ঘটনায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলো ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী আবুল কাশেম (৩৫), আব্দুস সোবহান (৩০) ও রেদোয়ান হক (২০) এবং বিএনপি কর্মী আলমগীর হোসেন (৪৫) ও আব্দুল মতলিব (৪০)। 
ফৌজদারহাট ট্রেন স্টেশনে ভাংচুর ॥ সকাল ৯টায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট রেলস্টেশনে ভাংচুর চালিয়েছে হরতালকারীরা। এ সময় কিছুক্ষণের জন্য চট্টগ্রামের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকে। বেলা ১১টা থেকে আবার এ এলাকা দিয়ে রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়। সীতাকু- থানার ওসি সামিউল হাসান জানান, সকাল নয়টার দিকে ফৌজদারহাট ট্রেনস্টেশনে ভাংচুর করার সময় এ এলাকায় পুলিশের সঙ্গে হরতাল সমর্থক শিবির ও বিএনপি কর্মীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে।
খুলনায় মন্দির বাড়িঘর ॥ খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরের পাবলা বণিকপাড়া সার্বজনীন কালীবাড়ি মন্দির ও গাছতলা মন্দিরসহ বাড়িঘর এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত ৯টার দিকে এক দল দুষ্কৃতকারী এ হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দু'জনকে আটক করেছে। পুলিশ বলছে, বণিকপাড়া ও দফাদার পাড়ার দুই গ্রুপের বিরোধের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ দিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে পূজা উদযাপন কমিটির উদ্যোগে বণিকপাড়া মন্দির প্রাঙ্গণে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। 
এলাকাবাসী জানায়, সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শতাধিক যুবক লাঠিসোটা, ইটপাটকেল ও রামদা নিয়ে দৌলতপুরের বণিকপাড়ায় সার্বজনীন কালীবাড়ি মন্দিরে হামলা চালিয়ে মন্দিরে স্থাপিত টাইলস ও গ্লাস ভাংচুর করে। তারা পার্শ্ববর্তী গাছতলা মন্দিরেও হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। তবে প্রতিমার কোন ক্ষতি হয়নি। এরপর হামলাকারী দুর্বৃত্তরা ওই এলাকার আশুতোষ সাধু, সাধন সাধু, মন্টু ও পশুপতি ঘোষের বাড়িসহ হাকিম সরদার ও কবির মিয়ার মালিকানাধীন বাড়ির হিন্দু ভাড়াটিয়াদের ঘরের দরজা-জানালা এবং এমকে এন্টারপ্রাইজ, মিহির দত্ত, ফুল সাহাসহ আরও কয়েকজনের দোকান ভাংচুর করে। হামলাকারীরা হিন্দুদের সম্পর্কে কটূক্তি এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় তারা দুটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায়। মন্দির ও বাড়িঘরে হামলার খবর পেয়ে রাতেই সেখানে ছুটে যান খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল হালদার, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা ও পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ। পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকা সন্দেহে হুমায়ুন কবির (২৬) ও আরমান (২০) নামের দুই যুবককে আটক করেছে। এ ঘটনার পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে ভীতি-আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। 
নেত্রকোনায় মন্দিরে হামলা ৫ মূর্তি ভাংচুর ॥ নেত্রকোনা সদর উপজেলার কালিয়ারা-গাবরাগাতি ইউনিয়নের বোবাহালা গ্রামের সর্বজনীন হরিমন্দিরে হামলা চালিয়ে পাঁচটি মূর্তি ভাংচুর করেছে একদল মাদ্রাসা ছাত্র। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মাঝে চরম ক্ষোভ ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সোমবার সন্ধ্যার পর পর পার্শ্ববর্তী পাইপুকুরিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও বাইরকান্দা কওমী মাদ্রাসার ৭-৮ ছাত্র এসে বোবাহালা গ্রামের সর্বজনীন হরিমন্দিরে ঢুকে রাধাকৃষ্ণ, গৌর-নিতাই ও অদ্বৈত মহাপ্রভুর পাঁচটি মূর্তি ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেয়। ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খান জনকণ্ঠকে বলেন, একটি সাম্প্রদায়িক ও প্রতিক্রিয়াশীল চক্র মাদ্রাসা ছাত্রদের উস্কানি দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। মঙ্গলবার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইউসুফ আলী, সদর উপজেলার ইউএনও জাকিয়া পারভীন এবং জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির পরিদর্শন করেছেন। 
শ্রীপুরের কৃপাময়ী কালী মন্দিরের ৫টি মূর্তি ভাংচুর ॥ শ্রীপুরের প্রহলাদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মারতা গ্রামের মাস্টার বাড়ির হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনালয় শ্রী কৃপাময়ী কালী মন্দিরের ৫টি মূর্তি ভাংচুর করেছে হরতালকারীরা। সোমবার মধ্যরাতের পর কে বা কারা ওই মন্দিরে প্রবেশ করে কালী মা, নাগিনী, যুগিনী ও মহাদেবের মাথা কেটে নিয়ে যায় এবং মা লক্ষ্মীর মূর্তি ভাংচুর করে। শ্রী কৃপাময়ী কালী মন্দিরের সভাপতি সুপেন্দ্র চন্দ্র দাস জানান, এই গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে জেলা জামায়াতের আমির আবুল হাসেম খান ও তার দুই ছেলে শিবির নেতা গ্রেফতার হওয়ার পর তারই অনুসারীরা এই মন্দিরটি তাক করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার রাতে তারা এই মূর্তিগুলো ভাংচুর করতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন। 
ৎসাতক্ষীরায় হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি দোকন ভাংচুর ॥ সাতক্ষীরায় হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি দোকন ভাংচুর করেছে হরতালকারীরা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরা সরকারী কলেজ মোড়ে করুণাময়ী স্টোরে ভাংচুর চালানো হয়। স্টোরের মালিক আনন্দ কর্মকার সাংবাদিকদের জানান, এক বিএনপি নেতার নেতৃত্বে কয়েকজন এসে এই ভাংচুর চালায়। সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি আমান উল্যাহ জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। 
হরতাল চলাকালে রাজধানীসহ সরাদেশেই যানবাহন চলাচল, শিল্প-কারখানা, অফিস-আদালত ও ব্যাংক-বীমায় স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে। হরতালকারীরা আগের দিন অনেক যানবাহন পুড়িয়ে দেয়ার কারণে সকালের দিকে যানবাহন চলাচল কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বেড়েছে। অন্যান্য হরতালের দিনের মতো মঙ্গলবারও সকাল থেকেই রাস্তায় বিপুলসংখ্যক রিকশা ও অটোরিকশা চলাচল করছে। তবে দূরপাল্লার কোন বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। সকাল থেকেই রাজধানীর প্রতিটি এলাকায় বিপুলসংখ্যক র‌্যাব-পুলিশ অবস্থান করে। র‌্যাব-পুলিশের পাশাপাশি রাজপথে ছিল বিজিবিও (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ)। এছাড়া ছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত। 
রাজধানীর চিত্র ॥ সকাল সাড়ে ৭টায় মতিঝিলের ইডেন মসজিদের সামনে ৪টি ককটেল বিস্ফোরণের পর হরতালকারীরা সেখানে একটি ৮ নম্বর বাস ও ব্র্র্যাক ব্যাংকের বুথ ভাংচুর করে। এ সময় অভিযান চালিয়ে মোবারক হোসেনসহ ২ জনকে আটক করে পুলিশ। তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে সোপর্দ করা হলে আদালত মোবারক হোসেনকে এক বছরের কারাদ- দিয়ে জেলহাজতে পাঠায়। মতিঝিল থানার ওসি হায়াতউজ্জামান জানান, সকালে আরামবাগ নটর ডেম কলেজের সামনে হরতালের সমর্থনে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হলে পুলিশ বাধা দিলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও পাল্টা রাবার বুলেট ছোড়ে এবং তাদের ধাওয়া করে। এ সময় মোবারককে গ্রেফতার করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দেয়া হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় মাদারটেক চৌরাস্তায় একটি লেগুনায় আগুন দেয়ার চেষ্টা করে হরতাল সমর্থক মনু মিয়া। সেখান থেকে সবুজবাগ থানার ওসি মোঃ বাবুল মিয়া তাকে আটক করে তাৎক্ষণিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে সোপর্দ করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ১ বছরের কারাদ- দেয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় আরমনিটোলার তারামসজিদ সংলগ্ন চৌরাস্তায় ১৫ থেকে ২০ যুবদল কর্মী ঝটিকা মিছিল করে। একপর্যায়ে তাদের সঙ্গে থাকা একটি ব্যানারে আগুন দেয়ার পাশাপাশি পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ১০টি ককটেলের বিস্ফোরণ করে। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এ সময় ৫-৬ জনকে আটক করে পুলিশ। বেলা আড়াইটায় মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে মিরপুরগামী বিকল্প পরিবহনের একটি বাসে হঠাৎ হরতালকারীরা আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। 
সকাল সাড়ে ১০টায় মালিবাগ রেলগেট এলাকায় হরতালের পক্ষে ঝটিকা মিছিল বের করে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী-সমর্থকরা ৭টি ককটেল বিস্ফোরণ করে। এ সময় তারা সেখানে বিআরটিসির একটি দ্বিতল বাস ও ৫টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ভাংচুর করে। এতে ১৫ যাত্রী আহত হন। সকাল পৌনে ১০টায় শ্যামলী এলাকায় খালেকের গলি থেকে একটি ঝটিকা মিছিল করার চেষ্টা করে জামায়াত-শিবির। পুলিশ এগিয়ে এলে ১টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে তারা। সকাল ৭টায় মিরপুর স্টেডিয়ামের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরণ করে পিকেটাররা। সকাল ৯টায় শেওড়াপাড়ায় একটি পিকআপভ্যান ভাংচুর করে জ্বালিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে তারা। 
সকাল সাড়ে ৭টায় মতিঝিলের জসীমউদদীন রোডে পর পর ১১টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সকাল সাড়ে ৭টায় মিরপুর প্রশিকা উন্নয়ন কেন্দ্রের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। পরে সেখান থেকে আরও একটি ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় সন্দেহভাজন দু'জনকে আটক করা হয়। সকাল সোয়া আটটায় যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সরণিতে কয়েকজন হরতাল সমর্থক কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। একই সময় জুরাইনে মহিলা দল একটি মিছিল বের করলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এ সময় দু'জনকে আটক করা হয়। 
সকাল সাড়ে ৭টার দিকে খিলগাঁও টেম্পোস্ট্যান্ড থেকে হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল বের করে শিবির। এ সময় স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা একটি টেম্পো ভাংচুর করে আগুন দেয়ার চেষ্টা করে শিবির কর্মীরা। পরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায় তারা। একই সময় গাবতলীতে একটি বাস ভাংচুর করেছে পিকেটাররা। সকাল ৮টায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা গেটে ছাত্রদলের একটি মিছিল থেকে ৮-১০টি গাড়ি ভাংচুর করা হয়। সকাল নয়টায় বাবুবাজার ব্রিজের কাছে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বেলা পৌনে ১১টার দিকে রমনা থানার রেইনবো ক্রসিং এলাকায় হরতাল সমর্থকদের মিছিল থেকে গাড়ি ভাংচুরের চেষ্টাকালে রিপন ও সোহেল খান নামে আরও দু'জনকে আটক করে পুলিশ।
বিকেল পৌনে ৩টায় হাতিরপুলে মোতালেব প্লাজার সামনে ৩টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ছাত্রদল কর্মীরা। দুপুর পৌনে ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির কার্যালয়ের সামনে মল চত্বরে ২টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার কয়েক মিনিটের ব্যবধানে টিএসসি এলাকাতেও ৩টি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। এর আগে সকালে আরও ১টি ককটেল বিস্ফোরিত হয় ঢাবির অমর একুশে হলের সামনে। এ ঘটনার পর পুলিশ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালায়। 
দুপুর পৌনে ১২টায় শাহীনবাগ এলাকায় তিতুমীর কলেজের ছাত্রদল সভাপতি মাসুমের নেতৃত্বে ছাত্রদল কর্মীরা একটি মিছিল বের করার চেষ্টা করে। এ সময় তারা একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পুলিশ আসার আগেই দ্রুত পালিয়ে যায়। 
সকাল সোয়া আটটায় যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সরণি রোডে হরতাল সমর্থকরা কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। সকাল ১০টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল মিছিল বের করার জন্য কলতাবাজার এলাকায় জড়ো হওয়ার সময় ওই শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ফয়সাল হোসেন সজলকে আটক করে পুলিশ। 
নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় এলাকায় হরতালের কোন প্রভাব পড়েনি। কার্যালয়ের গেটে তালা দিয়ে ওপরে অবস্থান করেন দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ। বিএনপি নেতারা নিষ্ক্রিয় থাকায় পুলিশ সেখানে গল্প-গুজব করে অলস সময় কাটায়। দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে হরতাল চলাকালে গণমাধ্যমের গাড়িতে হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি একে অনভিপ্রেত বলে মন্তব্য করে বলেন, হরতালের আওতামুক্ত আছে গণমাধ্যমের গাড়ি। তবু হামলা হচ্ছে। আমরা এখনও হামলাকারীদের পরিচয় পাইনি। খাবার দোকান, ফার্মেসি, গণমাধ্যমের গাড়ি, এ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি হরতালের আওতামুক্ত। এদিকে হরতাল চলাকালে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসা নেতাকর্মীরা। তাই দলটির কার্যালয়ে নিজেদের উদ্যোগেই নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ক'টি কক্ষে সাংবাদিক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সোমবার থেকে। ভবিষ্যতে পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে কাউকেই ভেতরে ঢুকতে দেয়া হবে না। সাংবাদিক পরিচয়ে অফিসের ভেতরে ঢুকে যাচ্ছে অপরিচিতরা। এটা এখন থেকে আর কেউই করতে পারবে না। কার্যালয় ও আমাদের জানমাল রক্ষার্থে নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে।
চট্টগ্রামে বোমাবাজি, গাড়ি ভাংচুর, গ্রেফতার ২০ ॥ স্টাফ রিপোর্টার চট্টগ্রাম থেকে জানান, বিক্ষিপ্ত বোমাবাজি, কিছু গাড়ি ভাংচুর এবং ঝটিকা মিছিলের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার চট্টগ্রামে শেষ হয়েছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের দ্বিতীয় দিন। এ দিনের হরতাল ছিল আগের দিন সোমবারের চেয়েও ঢিলেঢালা। জেলার রাঙ্গুনিয়া ও সীতাকুণ্ডে কিছু ঘটনা ঘটলেও চট্টগ্রাম নগরীতে পরিস্থিতি ছিল অনেকটাই স্বাভাবিক। সড়কে সিটি বাস চলাচল সীমিত থাকলেও হিউম্যান হলার, বেবিট্যাক্সি, টেম্পো ও রিকশা চলেছে প্রচুরসংখ্যক। দুয়েকটি স্থানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা থাকলেও পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে সামাল দিয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে প্রায় ২০ জনকে। 
চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় হরতালের সমর্থনে সমাবেশ ও খ- মিছিলে বের করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একটি মিছিল বের হয় স্টেশন রোড এলাকায়। সেখানে চারটি অটোরিকশা ভাংচুর করে পিকেটাররা। নগরীর একে খান গেট এলাকায়ও সকালে গাড়ি ভাংচুরের চেষ্টা চালায় হরতালকারীরা। পুলিশ সেখান থেকে তিনজনকে আটক করে। সকালে সিইপিজেড এলাকায় ভাংচুর হয় যাত্রীবাহী একটি বাস। তবে এটি পিকেটাররা ভাংচুর করেছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে যাত্রীরাই এ ভাংচুর চালিয়েছে। নগরীর সিরাজুদ্দৌলা রোড থেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে ১০ জনকে। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হরতালের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল ও ভাংচুরের চেষ্টা ঠেকাতে পুলিশের এ অভিযান। দুপুরে নগর বিএনপির কার্যালয় সংলগ্ন কাজির দেউড়ি এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে হরতালকারীরা। এতে আহত হন এক রিকশাচালক। বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার এলাকায়ও দুটি ককটেল ফাটিয়েছে হরতাল সমর্থকরা। কর্ণফুলী সেতু এলাকায় ধাওয়া পাল্টাধাওয়া হয়েছে হরতালকারী এবং আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের মাঝে। হরতালের সমর্থনে এবং হরতালের বিরুদ্ধে দুটি মিছিল মুখোমুখি হলে এ ধাওয়া পাল্টাধাওয়া হয়। পুলিশী তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ফলে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়নি। 
রাজশাহীতে পুলিশের সংঘর্ষ, ১০ পুলিশসহ আহত ৩৫, আটক ৬১ ॥ স্টাফ রিপোর্টার রাজশাহী থেকে জানান, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের ৩৬ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিন রাজশাহীতে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকার ম-লের মোড়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। এ সময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ৩০-৪০টি হাতবোমা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে মতিহার থানা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল হাসনাতসহ ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়। এছাড়া পৃথক ঘটনায় জামায়াত-শিবির ও বিএনপির আরও ২৫ জন আহত হয়। 
আহতদের মধ্যে এসিসহ ৬ জনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষ, আহত ২০, রেলপথের সিøপারে আগুন, আটক ১৫ ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে জানান, ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৩৬ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের সঙ্গে পিকেটারদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া সংঘর্ষ, রেল ¯িপারে আগুন, গাড়ি ভাংচুরসহ বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের শহরের পুনিয়াউট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে পিকেটারদের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ২১ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ৬ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। সংঘর্ষের সময় কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। শহরের শেরপুরে পুলিশের সঙ্গে পিকেটারদের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া হয়। চট্টগ্রাম-সিলেট মহাসড়কের ঘাটুরা এলাকায় ৫টি সিএনজি ভাংচুর করে হরতালকারীরা। এ সময় পুলিশ ৩ রাউন্ড টিয়ারশেল ব্যবহার করে ও ঘটনাস্থল থেকে ২ জনকে আটক করে। দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট রেলপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিমরাইলকান্দি এলাকায় রেল সিøপারে আগুন ধরিয়ে হরতালকারীরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে।
লালমনিরহাটে গুলিবিদ্ধ ৪ ॥ স্টাফ রিপোর্টার লালমনিরহাট থেকে জানান, লালমনিরহাট শহরের কয়েকটি স্থানে থেমে থেমে কয়েক ঘণ্টা ধরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় দলের কর্মীরা শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ও আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে গুলিবর্ষণ করতে দেখা যায়। শহরের মিশন মোড় সাপটানা বাজার, স্টেডিয়াম রোড়, মালিক সমিতির মোড় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশের এসআই, মহিলা পুলিশ ও সংবাদকর্মীসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে বিএনপির ৪ কর্মী বুলেটবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। তাঁরা হলেন সিরাজ (৪২), রফিকুল ইসলাম (৩৬), নুরুজ্জামান (৩২), রায়হান (২০)। বিএনপির স্টেশন রোড়ের রেল শ্রমিক ও শ্রমিক দলের কার্যালয়টি আওয়ামী লীগের কর্মীরা জ্বালিয়ে দিয়েছে। উভয় দলের নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়েছে। এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে এসে মানিক নামের এক সংবাদকর্মী ও মহিলা পুলিশ জেমী ইটের আঘাতে আহত হন। বিএনপির উদ্যোগে শহরের সাপটানা, নয়ারহাট ও মিশন মোড়ে হরতালের সর্মথনে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ খবরে শহরের থানা রোড়ের আওয়ামী লীগের জেলা কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা জমায়েত হয়ে সকাল ১০টায় ১টি হরতালবিরোধী মিছিল বের করে।

হরতালের দ্বিতীয় দিন লাইন উৎপাটন স্টেশনে ভাঙচুর নিজস্ব প্রতিবেদক, মৌলভীবাজার ও



__._,_.___


****************************************************
Mukto Mona plans for a Grand Darwin Day Celebration: 
Call For Articles:

http://mukto-mona.com/wordpress/?p=68

http://mukto-mona.com/banga_blog/?p=585

****************************************************

VISIT MUKTO-MONA WEB-SITE : http://www.mukto-mona.com/

****************************************************

"I disapprove of what you say, but I will defend to the death your right to say it".
               -Beatrice Hall [pseudonym: S.G. Tallentyre], 190




Your email settings: Individual Email|Traditional
Change settings via the Web (Yahoo! ID required)
Change settings via email: Switch delivery to Daily Digest | Switch to Fully Featured
Visit Your Group | Yahoo! Groups Terms of Use | Unsubscribe

__,_._,___