বুধবার, ২০ মার্চ ২০১৩, ৬ চৈত্র ১৪১৯
জামায়াত একাত্তরেও আমাকে নাস্তিক মুরতাদ বলেছিল
অপপ্রচারের জবাবে শোলাকিয়ার ইমাম ফরীদউদ্দীন মাসউদ
জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ পবিত্র ইসলামকে বিকৃত করে জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবসহ সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে আগামী ২৩ মার্চ রাজধানীতে ডাকা ওলামা-মাশায়েখ তৌহিদী জনতার মহাসমাবেশ বানচালের অপচেষ্টা শুরু হয়েছে। ভুল ও বিকৃত তথ্যের মাধ্যমে সাধারণ মুসল্লিদের বিভ্রান্ত করতে নেমেছে জামায়াত ও তাদের আর্থিক সহায়তাপুষ্ট ব্যক্তি এবং গণমাধ্যম। লক্ষ্য বাস্তবায়নে অপপ্রচার চলছে ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগার ইমাম ও খতিব আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদের বিরুদ্ধে। এদিকে গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত হেফাজতে ইসলামকে জামায়াতের নিজস্ব সংগঠন অভিহিত করে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেৎনা প্রতিরোধ কমিটি। কমিটি একই সঙ্গে বলেছে, বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া ইসলাম ধর্ম নিয়ে প্রতারণার খেলা খেলছেন। যিনি জীবনে এক বেলা ফজরের আজান শুনেছেন কিনা সন্দেহ, নামাজ পড়া তো দূরের কথা।'
তবে স্বাধীনতাবিরোধীদের এ অপতৎপরতার জবাবে আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ বলেন, এই জামায়াত একাত্তরেও আমার বিরুদ্ধে লেগেছিল। আমায় নাস্তিক, মুরতাদ বলেছিল। কিন্তু এতে ফায়দা হয়নি। এবারও হবে না। এর আগে গত ১৪ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করে একাত্তরের ন্যায় ইসলামের নামে জামায়াত-শিবিরের তা-বসহ সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে রাজপথে নামার ঘোষণা দেয় দেশের ওলামা-মাশায়েখ তৌহিদী জনতা। বিভিন্ন ইসলামী দলের রাজপথে নামার ঘোষণার পর এবার স্বাধীনতাবিরোধী ধর্মদ্রোহী জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ, যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির দাবিতে এ মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ ওলামা-মাশায়েখ তৌহিদী জনতা সংহতি পরিষদ। ওই দিন সকাল ১১টায় মতিঝিলের শাপলাচত্বরে শুরু হবে মহাসমাবেশ। পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগার ইমাম ও খতিব আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ ইতোমধ্যেই ওলামা-মাশায়েখ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে '৭১-এর মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে মহাসমাবেশে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, 'জামায়াত শুধু যুদ্ধাপরাধী শক্তি নয়, এরা ইসলামেরও শত্রু। চলুন, সবাই মিলে আবারও গর্জে উঠি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই, এবার তাদের রক্ষা নাই।' দেশের বিশিষ্ট এ ইসলামী চিন্তাবিদ বলেন, ইসলামের দৃষ্টিতে যুদ্ধাপরাধ জঘন্যতম মানবতাবিরোধী অপরাধ। রাষ্ট্রের কর্তব্য হলো, এদের বিচার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা। আমরা ধর্মোদ্রোহী ও রাষ্ট্রদ্রোহীদের মুখোশ উন্মোচনে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছি। জামায়াত জন্ম থেকে ইসলামেরও শত্রু। এরা দেশে ধর্মের নামে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা আমদানি করেছে। সুতরাং ধর্মের নামে জঙ্গীবাদ রুখতে হলে জামায়াতের উগ্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং এদের অর্থের উৎসগুলোকে বাজেয়াফত করতে হবে। আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ বলেন, মুরতাদ নাস্তিকদের স্থান বাংলাদেশে নাই, এদের বরদাস্ত করা হবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই, এবার তাদের রক্ষা নাই।' তবে মুরতাদ-নাস্তিক বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? একই সঙ্গে এ বিষয়ের ব্যখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, যারা নিজেদেরকে আল্লাহর বিরুদ্ধে এবং রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে তারাই নাস্তিক, যারাই ইসলাম নিয়ে কুৎসা প্রচার করে তারা সবাই মুরতাদ, এককথায় যারা ধর্ম মানে না। ইনকিলাব, আমার দেশ ধর্মের বিরুদ্ধে কুৎসা প্রচার করে রসূল ও ইসলামের অবমাননা করেছে। আমার দেশ সাংবাদিকতার ন্যুনতম নৈতিকতা রক্ষা করতে পারেনিÑ মন্তব্য করে আল্লামা মাসঊদ বলেন, আমার দেশ এসব কথা কিভাবে টাইপ করল। তাদের হৃদয় কি একটুও কাঁপেনি। নকল করা অপরাধ। আল্লাহ তাল্লা বলেছেন, মুনাফিকরা অশ্লীল কথা প্রচার করে। কে বা কারা ব্লগে ইসলাম ও নবীকে নিয়ে কুৎসা রচনা করেছে তার হিসাব নেই। একজন দু'জনের ব্যক্তিগত ব্লগের কথা নিয়ে সকল ব্লগারের ওপর চাপিয়ে দেয়া অপরাধ। এদিকে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে যে গণজাগরণ শুরু হয়েছে, চলছে একে বানচালের পাঁয়তারা। ইতোমধ্যে জামায়াত ও বিএনপির মদদপুষ্ট কিছু ধর্ম ব্যবসায়ী নামে-বেনামে বিকৃত তথ্য প্রচার শুরু করেছে। ফেসবুক এমনকি স্বাধীনতাবিরোধীদের মুখপত্র হয়ে ওঠা একটি গণমাধ্যম ওলামা-মাশায়েখদের মহাসমাবেশকে রীতিমতো নাস্তিকদের কাজ বলে ঔদ্ধত্য দেখানো শুরু করেছে।
জামায়াতের কিছু ধর্ম ব্যবসায়ী ও একটি গণমাধ্যম অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে মিথ্য তথ্য প্রচার শুরু করেছে ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগার ইমাম ও খতিব আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদের বিরুদ্ধে। দেশের বিশিষ্ট এ ইসলামী চিন্তাবিদকে রীতিমতো নাস্তিক বলে অভিহিত করারও ঔদ্ধত্য দেখানো হয়েছে। তবে স্বাধীনতাবিরোধীদের এ অপতৎপরতাকে আমলেই নিতে রাজি নন আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ। তিনি তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই জামায়াত একাত্তরেও আমার বিরুদ্ধে লেগেছিল। আমায় নাস্তিক, মুরতাদ বলেছিল। কিন্তু এতে ফায়দা হয়নি। এবারও হবে না। এরা ইসলামকে বিকৃত করে পবিত্র ইসলামকে অপমান করছে। তিনি আরও বলেন, যারা আমার বিরুদ্ধে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে তাদের বলি আপনারা আগেই কাউকে শাস্তি না দিয়ে আমাদের মহাসমাবেশে এসে দেখুন সেখানে কি বলি। সেখানে কি কথা হয় তা আগে দেখুন। এক প্রশ্নের জবাবে বিশিষ্ট এ ইসলামী চিন্তাবিদ বলেন, 'যারা এসব করছেন আল্লাহ যেন তাদের হেদায়েত করেন।'
অন্যদিকে গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত হেফাজতে ইসলামকে জামায়াতের নিজস্ব সংগঠন অভিহিত করে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেৎনা প্রতিরোধ কমিটি। সোমবার সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনাসভায় কমিটির নেতৃবৃন্দ একই সঙ্গে বলেছেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া ইসলাম ধর্ম নিয়ে প্রতারণার খেলা খেলছেন। যিনি জীবনে এক বেলা ফজরের আজান শুনেছেন কিনা সন্দেহ, নামাজ পড়া তো দূরের কথা।' নেতৃবৃন্দ বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য জামায়াত-শিবির আড়াল থেকে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য হেফাজতে ইসলাম নামের সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছে। আর আত্মপ্রকাশের সময় অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করলেও ১৮ দলের জোটের প্রত্যেক রাজনৈতিক কর্মসূচীকে সমর্থন দিয়ে আসছে ঐ সংগঠন। কওমি আলেম ওলামাসহ দেশের সর্বস্তরের জনগণ হাটহাজারী মাদ্রাসার সম্মানীত শ্রদ্ধা করে। আর এই শ্রদ্ধাকে পুঁজি করে জোটের শরিক সংগঠন ইসলামী ঐক্যজোট গ্রুপের চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মাওলানা রুহীর মাধ্যমে শাহ আহম্মদ শফী সাহেবকে সামনে রেখে হেফাজতে ইসলাম নামের সংগঠনটিকে প্রতিষ্ঠা করেন, পেছনে জামায়াত-শিবিরসহ ১৮ দলীয় জোট। ফেৎনা প্রতিরোধ কমিটি বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে বলেন, ২০০১ সালের কওমি ঘরানার আলেম ওলামাদের ধর্ম রক্ষার নামে জোটে নিয়ে খালেদা জিয়া কি ব্যবহার করেছেন তা কি কওমি মাদ্রাসায় পড়ুয়া আলেম ওলামাগণ ভুলে গেছেন। আবারও পূর্বের মতো জামায়াত-শিবিরের প্রেসক্রিপশন নিয়ে খালেদা জিয়া ধর্ম রক্ষার প্রতারণার রাজনীতিতে অংশ নিচ্ছেন। নামে-বেনামে সংগঠন তৈরি করে আলেম-ওলামাদের স্বাধীনতাবিরোধীগোষ্ঠী হিসেবে দাঁড় করার অপচেষ্টায় লিপ্ত খালেদা জিয়া। জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্যকর তা-বকে আড়াল করে দেশ ও ধর্ম রক্ষার ইজারা নিয়েছে। দেশরক্ষা করার কথা কতটুকু তাঁর মুখে শোভা পায় তা মুুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ইতিহাসই সাক্ষ্য আছে। নাস্তিকদের কথা বলছেন, তিনি কি নিজ দলের নাস্তিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন? আসলে বিএনপি-জামায়াত-শিবির অভিন্ন সত্তা। তারা ধর্মকে ব্যবহার করছেন ক্ষমতায় যাওয়ার ঢাল হিসেবে। জীবনে ধর্মের কোন অনুশীলন নেই তাদের। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- ফেৎনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আব্দুস সাত্তার, ঢাকা মহানগণ সভাপতি মুফতী ইব্রহীম খলিল ফারুকী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মুফতী বাকী বিল্লাহ এবং মিশকাত চৌধুরী।
তবে স্বাধীনতাবিরোধীদের এ অপতৎপরতার জবাবে আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ বলেন, এই জামায়াত একাত্তরেও আমার বিরুদ্ধে লেগেছিল। আমায় নাস্তিক, মুরতাদ বলেছিল। কিন্তু এতে ফায়দা হয়নি। এবারও হবে না। এর আগে গত ১৪ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করে একাত্তরের ন্যায় ইসলামের নামে জামায়াত-শিবিরের তা-বসহ সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে রাজপথে নামার ঘোষণা দেয় দেশের ওলামা-মাশায়েখ তৌহিদী জনতা। বিভিন্ন ইসলামী দলের রাজপথে নামার ঘোষণার পর এবার স্বাধীনতাবিরোধী ধর্মদ্রোহী জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ, যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির দাবিতে এ মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ ওলামা-মাশায়েখ তৌহিদী জনতা সংহতি পরিষদ। ওই দিন সকাল ১১টায় মতিঝিলের শাপলাচত্বরে শুরু হবে মহাসমাবেশ। পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগার ইমাম ও খতিব আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ ইতোমধ্যেই ওলামা-মাশায়েখ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে '৭১-এর মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে মহাসমাবেশে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, 'জামায়াত শুধু যুদ্ধাপরাধী শক্তি নয়, এরা ইসলামেরও শত্রু। চলুন, সবাই মিলে আবারও গর্জে উঠি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই, এবার তাদের রক্ষা নাই।' দেশের বিশিষ্ট এ ইসলামী চিন্তাবিদ বলেন, ইসলামের দৃষ্টিতে যুদ্ধাপরাধ জঘন্যতম মানবতাবিরোধী অপরাধ। রাষ্ট্রের কর্তব্য হলো, এদের বিচার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা। আমরা ধর্মোদ্রোহী ও রাষ্ট্রদ্রোহীদের মুখোশ উন্মোচনে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছি। জামায়াত জন্ম থেকে ইসলামেরও শত্রু। এরা দেশে ধর্মের নামে উগ্র সাম্প্রদায়িকতা আমদানি করেছে। সুতরাং ধর্মের নামে জঙ্গীবাদ রুখতে হলে জামায়াতের উগ্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধ এবং এদের অর্থের উৎসগুলোকে বাজেয়াফত করতে হবে। আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ বলেন, মুরতাদ নাস্তিকদের স্থান বাংলাদেশে নাই, এদের বরদাস্ত করা হবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই, এবার তাদের রক্ষা নাই।' তবে মুরতাদ-নাস্তিক বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে? একই সঙ্গে এ বিষয়ের ব্যখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, যারা নিজেদেরকে আল্লাহর বিরুদ্ধে এবং রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে তারাই নাস্তিক, যারাই ইসলাম নিয়ে কুৎসা প্রচার করে তারা সবাই মুরতাদ, এককথায় যারা ধর্ম মানে না। ইনকিলাব, আমার দেশ ধর্মের বিরুদ্ধে কুৎসা প্রচার করে রসূল ও ইসলামের অবমাননা করেছে। আমার দেশ সাংবাদিকতার ন্যুনতম নৈতিকতা রক্ষা করতে পারেনিÑ মন্তব্য করে আল্লামা মাসঊদ বলেন, আমার দেশ এসব কথা কিভাবে টাইপ করল। তাদের হৃদয় কি একটুও কাঁপেনি। নকল করা অপরাধ। আল্লাহ তাল্লা বলেছেন, মুনাফিকরা অশ্লীল কথা প্রচার করে। কে বা কারা ব্লগে ইসলাম ও নবীকে নিয়ে কুৎসা রচনা করেছে তার হিসাব নেই। একজন দু'জনের ব্যক্তিগত ব্লগের কথা নিয়ে সকল ব্লগারের ওপর চাপিয়ে দেয়া অপরাধ। এদিকে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে যে গণজাগরণ শুরু হয়েছে, চলছে একে বানচালের পাঁয়তারা। ইতোমধ্যে জামায়াত ও বিএনপির মদদপুষ্ট কিছু ধর্ম ব্যবসায়ী নামে-বেনামে বিকৃত তথ্য প্রচার শুরু করেছে। ফেসবুক এমনকি স্বাধীনতাবিরোধীদের মুখপত্র হয়ে ওঠা একটি গণমাধ্যম ওলামা-মাশায়েখদের মহাসমাবেশকে রীতিমতো নাস্তিকদের কাজ বলে ঔদ্ধত্য দেখানো শুরু করেছে।
জামায়াতের কিছু ধর্ম ব্যবসায়ী ও একটি গণমাধ্যম অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে মিথ্য তথ্য প্রচার শুরু করেছে ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগার ইমাম ও খতিব আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদের বিরুদ্ধে। দেশের বিশিষ্ট এ ইসলামী চিন্তাবিদকে রীতিমতো নাস্তিক বলে অভিহিত করারও ঔদ্ধত্য দেখানো হয়েছে। তবে স্বাধীনতাবিরোধীদের এ অপতৎপরতাকে আমলেই নিতে রাজি নন আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ। তিনি তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই জামায়াত একাত্তরেও আমার বিরুদ্ধে লেগেছিল। আমায় নাস্তিক, মুরতাদ বলেছিল। কিন্তু এতে ফায়দা হয়নি। এবারও হবে না। এরা ইসলামকে বিকৃত করে পবিত্র ইসলামকে অপমান করছে। তিনি আরও বলেন, যারা আমার বিরুদ্ধে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে তাদের বলি আপনারা আগেই কাউকে শাস্তি না দিয়ে আমাদের মহাসমাবেশে এসে দেখুন সেখানে কি বলি। সেখানে কি কথা হয় তা আগে দেখুন। এক প্রশ্নের জবাবে বিশিষ্ট এ ইসলামী চিন্তাবিদ বলেন, 'যারা এসব করছেন আল্লাহ যেন তাদের হেদায়েত করেন।'
অন্যদিকে গণজাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত হেফাজতে ইসলামকে জামায়াতের নিজস্ব সংগঠন অভিহিত করে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেৎনা প্রতিরোধ কমিটি। সোমবার সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনাসভায় কমিটির নেতৃবৃন্দ একই সঙ্গে বলেছেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়া ইসলাম ধর্ম নিয়ে প্রতারণার খেলা খেলছেন। যিনি জীবনে এক বেলা ফজরের আজান শুনেছেন কিনা সন্দেহ, নামাজ পড়া তো দূরের কথা।' নেতৃবৃন্দ বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার জন্য জামায়াত-শিবির আড়াল থেকে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য হেফাজতে ইসলাম নামের সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছে। আর আত্মপ্রকাশের সময় অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করলেও ১৮ দলের জোটের প্রত্যেক রাজনৈতিক কর্মসূচীকে সমর্থন দিয়ে আসছে ঐ সংগঠন। কওমি আলেম ওলামাসহ দেশের সর্বস্তরের জনগণ হাটহাজারী মাদ্রাসার সম্মানীত শ্রদ্ধা করে। আর এই শ্রদ্ধাকে পুঁজি করে জোটের শরিক সংগঠন ইসলামী ঐক্যজোট গ্রুপের চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি মাওলানা রুহীর মাধ্যমে শাহ আহম্মদ শফী সাহেবকে সামনে রেখে হেফাজতে ইসলাম নামের সংগঠনটিকে প্রতিষ্ঠা করেন, পেছনে জামায়াত-শিবিরসহ ১৮ দলীয় জোট। ফেৎনা প্রতিরোধ কমিটি বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে বলেন, ২০০১ সালের কওমি ঘরানার আলেম ওলামাদের ধর্ম রক্ষার নামে জোটে নিয়ে খালেদা জিয়া কি ব্যবহার করেছেন তা কি কওমি মাদ্রাসায় পড়ুয়া আলেম ওলামাগণ ভুলে গেছেন। আবারও পূর্বের মতো জামায়াত-শিবিরের প্রেসক্রিপশন নিয়ে খালেদা জিয়া ধর্ম রক্ষার প্রতারণার রাজনীতিতে অংশ নিচ্ছেন। নামে-বেনামে সংগঠন তৈরি করে আলেম-ওলামাদের স্বাধীনতাবিরোধীগোষ্ঠী হিসেবে দাঁড় করার অপচেষ্টায় লিপ্ত খালেদা জিয়া। জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্যকর তা-বকে আড়াল করে দেশ ও ধর্ম রক্ষার ইজারা নিয়েছে। দেশরক্ষা করার কথা কতটুকু তাঁর মুখে শোভা পায় তা মুুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ইতিহাসই সাক্ষ্য আছে। নাস্তিকদের কথা বলছেন, তিনি কি নিজ দলের নাস্তিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন? আসলে বিএনপি-জামায়াত-শিবির অভিন্ন সত্তা। তারা ধর্মকে ব্যবহার করছেন ক্ষমতায় যাওয়ার ঢাল হিসেবে। জীবনে ধর্মের কোন অনুশীলন নেই তাদের। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- ফেৎনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা আব্দুস সাত্তার, ঢাকা মহানগণ সভাপতি মুফতী ইব্রহীম খলিল ফারুকী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মুফতী বাকী বিল্লাহ এবং মিশকাত চৌধুরী।
__._,_.___