লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গতকাল হামলা চালিয়েছে হরতাল সমর্থকরা। এ সময় উচ্ছৃঙ্খল পিকেটাররা তা-ব চালিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শিক্ষক, শিক্ষিকাসহ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। শুধু তাই নয় পিকেটারদের তা-ব আর আক্রোশ থেকে রেহাই পায়নি শিক্ষার্থীদের বই-খাতাও! শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পিকেটিংয়ের এই বর্বর ঘটনাটি ঘটেছে জেলা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে প্রত্যন্ত গ্রামে ওই স্কুলটিতে। অতর্কিত এ হামলায় তিন শিক্ষক ছাড়াও কমপক্ষে ১৩ ক্ষুদে শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ সময় হামলাকারীরা বেশ কিছু শিক্ষার্থীর বই-খাতাও ছিঁড়ে ফেলে। এছাড়া আসবাবপত্রও ভাঙচুর করা হয় বলে জানা গেছে। পরে এলাকাবাসীর বাধার মুখে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় হরতাল সমর্থকরা। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অন্য দিনের মতো গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খুনিয়াগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সমাবেশ শুরু হয়। জাতীয় সংগীতের সঙ্গে পতাকা উত্তোলন পর্ব শেষ হতে না হতেই হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল ঢুকে পড়ে বিদ্যালয় চত্বরে। খুনিয়াগাছ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম আমিনের নেতৃত্বে মিছিলকারীরা বিদ্যালয় চত্বরে ঢুকেই অতর্কিত হামলা চালায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর। তাদের মারপিটে প্রধান শিক্ষক আবদুল হাই লেবু, সহকারী শিক্ষক মোশারফ হোসেন ও সহকারী শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমিন এবং ১৩ শিক্ষার্থী আহত হয়। আহত শিক্ষার্থীদের কয়েকজন হচ্ছে আঁখি মনি, আরিফুল ইসলাম, জেমি আক্তার, মিঠুল, জুই আক্তার ও সুজন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। হামলাকারীরা বেশ কিছু শিক্ষার্থীর বই-খাতাও ছিঁড়ে ফেলে। এছাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ কিছু চেয়ার টেবিলও ভাঙচুর করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হয়ে হরতাল সমর্থকদের ধাওয়া করলে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। খুনিয়াগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হাই লেবু জানেিয়ছেন, 'বিদ্যালয়ের সমাবেশ শেষ হতে না হতেই হরতালকারীরা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর এভাবে নগ্ন হামলা চালায়।' লালমনিরহাট সদর থানার ওসি জমির উদ্দিন জানান, 'বিদ্যালয়ে হামলাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।'
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৩৬ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিন গতকাল পিকেটারদের ছোড়া হাতবোমার বিস্ফোরণে এক স্কুলছাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, ওই শিক্ষার্থী তার এক চোখ হারাতে পারে। এছাড়া সকাল থেকে নগরীর ৬টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এ সময় সমস্ত এলাকাগুজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে গত বুধবার রাতে নগরীর ২০ পয়েন্টে একযোগে ককটেল বিস্ফোরণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল হরতাল সমর্থকরা। হরতাল চলাকালে বিএনপির মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে এতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় নগরীর অর্ধশতাধিক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এক হাজার ৭৬০ জন অতিরিক্ত পুলিশ ও দেড় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন ছিল।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর বন্দর থানার নিমতলা এলাকায় পুলিশ বিএনপির একটি মিছিলে ধাওয়া দেয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে। পুলিশ জানায়, বিএনপির মিছিল থেকে গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা হলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে হরতালকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। তবে টানা হরতালের দ্বিতীয় দিনেও নগরীর বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পরিমাণে যানবাহন চলতে দেখা গেছে। রিকশা চলাচলও প্রায় স্বাভাবিক দেখা গেছে। ব্যক্তিগত যানবাহনও বিচ্ছিন্নভাবে চলেছে তবে তুলনামূলকভাবে তা খুবই নগণ্য।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর বন্দর থানার সিইপিজেড মোড়ে নগর বিএনপির সভাপতি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার, নগর সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের বেষ্টনীর মধ্যে সমাবেশ করে ওই এলাকা ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) সাইফুল ইসলাম বলেন, সিইপিজেড মোড়ে যেখানে বিএনপি সমাবেশ করেছে তার পাশেই আওয়ামী লীগও সমাবেশ করছিল। সল্টগোলা, সিমেন্ট ক্রসিং মোড়েও আওয়ামী লীগের সমাবেশ চলছিল। বিএনপি মিছিল বের করলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কায় আমরা তাদের অনুরোধ করে মিছিল বন্ধ করেছি।
পুলিশ জানায়, সকাল ৮টার দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার হেমসেন লেইনের মুখে আকস্মিকভাবে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় পিকেটাররা। এ সময় কোচিংয়ে যাওয়ার পথে অন্তু বড়ুয়া (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রী গুরুতর আহত হন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্তু অপর্ণাচরণ সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। এ হরতাল কোচিং সেন্টারের বদলে তার ঠিকানা এখন হাসপাতালের বিছানা। অসহ্য যন্ত্রণায় সেখানে কাতরাচ্ছে এ ছাত্রী। বর্তমানে সে চমেক হাসপাতালের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। সকাল আটটার দিকে পিকেটাররা পরপর দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ওই রোড দিয়ে মা শিউলি বড়ুয়াকে নিয়ে নগরীর চেরাগী পাহাড় এলাকায় অবস্থিত একটি কোচিং সেন্টারে ক্লাস করার জন্য যাচ্ছিল সে। শিবিরের নিক্ষেপ করা একটি ককটেল বিস্ফোরণে ডান চোখে আঘাত পায় অন্তু বড়ুয়া।
দুপুরে হাসপাতালের করিডোরে দাঁড়িয়ে শিউলি বড়ুয়া জানান, দুটি ককটেলের একটি বিস্ফোরণ হয় তাদের পেছনেই। আতঙ্কে দৌড় দিতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে যায় অন্তু বড়ুয়া। তার ওপর পড়ে যান তিনি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে শিউলি বড়ুয়া বলেন, মেয়েকে নিয়ে কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিলাম। কিন্তু ককটেল বিস্ফোরণের পর দেখি মেয়ে ডান চোখে হাত চেপে মা মা বলে কান্না করছে। দেখি সেখান থেকে রক্ত ঝরছে। আমার মেয়ের তো কোন দোষ নেই। তাহলে তার ওপর এ হামলা কেন? তাদের গ্রামের বাড়ি রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের বৈদ্য পাড়ায়। নগরীতে তারা আসকারদিঘী পাড় এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, ১৮ দলীয় জোটের ডাকা ৩৬ ঘণ্টা হরতালের দ্বিতীয় দিন গতকাল পিকেটারদের ছোড়া হাতবোমার বিস্ফোরণে এক স্কুলছাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, ওই শিক্ষার্থী তার এক চোখ হারাতে পারে। এছাড়া সকাল থেকে নগরীর ৬টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। এ সময় সমস্ত এলাকাগুজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর আগে গত বুধবার রাতে নগরীর ২০ পয়েন্টে একযোগে ককটেল বিস্ফোরণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল হরতাল সমর্থকরা। হরতাল চলাকালে বিএনপির মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে এতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কায় নগরীর অর্ধশতাধিক গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এক হাজার ৭৬০ জন অতিরিক্ত পুলিশ ও দেড় প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন ছিল।
জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর বন্দর থানার নিমতলা এলাকায় পুলিশ বিএনপির একটি মিছিলে ধাওয়া দেয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে। পুলিশ জানায়, বিএনপির মিছিল থেকে গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা হলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে হরতালকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে। তবে টানা হরতালের দ্বিতীয় দিনেও নগরীর বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর পরিমাণে যানবাহন চলতে দেখা গেছে। রিকশা চলাচলও প্রায় স্বাভাবিক দেখা গেছে। ব্যক্তিগত যানবাহনও বিচ্ছিন্নভাবে চলেছে তবে তুলনামূলকভাবে তা খুবই নগণ্য।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর বন্দর থানার সিইপিজেড মোড়ে নগর বিএনপির সভাপতি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার, নগর সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা হরতালের সমর্থনে মিছিল বের করার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা বিজিবি, পুলিশ ও র্যাবের বেষ্টনীর মধ্যে সমাবেশ করে ওই এলাকা ত্যাগ করেন।
এ বিষয়ে নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (বন্দর) সাইফুল ইসলাম বলেন, সিইপিজেড মোড়ে যেখানে বিএনপি সমাবেশ করেছে তার পাশেই আওয়ামী লীগও সমাবেশ করছিল। সল্টগোলা, সিমেন্ট ক্রসিং মোড়েও আওয়ামী লীগের সমাবেশ চলছিল। বিএনপি মিছিল বের করলে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কায় আমরা তাদের অনুরোধ করে মিছিল বন্ধ করেছি।
পুলিশ জানায়, সকাল ৮টার দিকে নগরীর কোতোয়ালি থানার হেমসেন লেইনের মুখে আকস্মিকভাবে ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় পিকেটাররা। এ সময় কোচিংয়ে যাওয়ার পথে অন্তু বড়ুয়া (১৪) নামে এক স্কুলছাত্রী গুরুতর আহত হন। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্তু অপর্ণাচরণ সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। এ হরতাল কোচিং সেন্টারের বদলে তার ঠিকানা এখন হাসপাতালের বিছানা। অসহ্য যন্ত্রণায় সেখানে কাতরাচ্ছে এ ছাত্রী। বর্তমানে সে চমেক হাসপাতালের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। সকাল আটটার দিকে পিকেটাররা পরপর দুটি ককটেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ওই রোড দিয়ে মা শিউলি বড়ুয়াকে নিয়ে নগরীর চেরাগী পাহাড় এলাকায় অবস্থিত একটি কোচিং সেন্টারে ক্লাস করার জন্য যাচ্ছিল সে। শিবিরের নিক্ষেপ করা একটি ককটেল বিস্ফোরণে ডান চোখে আঘাত পায় অন্তু বড়ুয়া।
দুপুরে হাসপাতালের করিডোরে দাঁড়িয়ে শিউলি বড়ুয়া জানান, দুটি ককটেলের একটি বিস্ফোরণ হয় তাদের পেছনেই। আতঙ্কে দৌড় দিতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে যায় অন্তু বড়ুয়া। তার ওপর পড়ে যান তিনি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে শিউলি বড়ুয়া বলেন, মেয়েকে নিয়ে কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিলাম। কিন্তু ককটেল বিস্ফোরণের পর দেখি মেয়ে ডান চোখে হাত চেপে মা মা বলে কান্না করছে। দেখি সেখান থেকে রক্ত ঝরছে। আমার মেয়ের তো কোন দোষ নেই। তাহলে তার ওপর এ হামলা কেন? তাদের গ্রামের বাড়ি রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের বৈদ্য পাড়ায়। নগরীতে তারা আসকারদিঘী পাড় এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
জাতীয় পতাকার খুঁটি খুলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ধাওয়া
হরতালে স্কুলে হামলা, শিশু শিক্ষার্থীসহ আহত ১০
লালমনিরহাট প্রতিনিধি | তারিখ: ২৮-০৩-২০১৩
পাঁচ মাসে ৪০০ বাস-ট্রাকে আগুন, ৩০০০ ভাঙচুর
আনোয়ার হোসেন | তারিখ: ২৭-০৩-২০১৩
__._,_.___