হেফাজত নেতারা একাত্তরে মুজাহিদ বাহিনী গঠন করেন ॥ দাবি সুন্নি আলেমদের
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামের সুন্নি আকিদায় বিশ্বাসী আলেম ওলামাদের সংগঠন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত বাংলাদেশ আবারও দাবি করেছে, হেফাজতে ইসলাম নামধারী সংগঠনের উদ্যোক্তারা একাত্তরে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ছিল। তারা মুসলিম লীগ জামায়াতে ইসলামীর পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতায় মুজাহিদ বাহিনী গঠন করেছিল। এ বাহিনী গঠনের পর একাত্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা, গুম, নারী নির্যাতনসহ ক্যাম্পে ধরে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম সংঘটিত করেছে। দেশের পুরনো কওমী তথা ওহাবী মাদ্রাসাগুলোতে মুজাহিদ বাহিনীর ক্যাম্প ছিল। আলবদর, আলশামস-রাজাকারদের মতো এ সংগঠনটিও যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী কর্মকা- সংঘটিত করেছে।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ এয়াকুব আলী খান আবারও হেফাজত ইসলাম সম্পর্কে সাধারণদের জ্ঞাতার্থে স্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন। এর আগে হেফাজতে ইসলাম নিজেদের মুজাহিদ বাহিনী নয় দাবি করে সুন্নি আলেম সংগঠনটির বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দিয়েছিল। সাংবাদিক সম্মেলনে তারা পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, হেফাজতে ইসলামের মামলা দায়েরের অপেক্ষায় ছিলাম আমরা। আমরা চাই তারা মামলা দায়ের করুক। আদালতেই আমরা প্রমাণ করব যে তারা মুজাহিদ বাহিনী গঠনের দায়িত্ব ছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে আরও দাবি করা হয়Ñ দশ শীর্ষ সুন্নি আলেমকে হত্যা চেষ্টার পেছনে জামায়াত-শিবিরের অপকর্মের চেষ্টার বিরুদ্ধে দেশবাসী যখন সোচ্চার হেফাজতীরা বিভ্রান্তিমূলক হ্যান্ডবিল প্রচার করে জাতির কাছে তাদের মুখোশ উন্মোচিত করেছে।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আহলে সুন্নাত নেতারা স্পষ্টভাবে জানান, চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা ও ফটিকছড়ির বাবুনগর মাদ্রাসাসহ সকল উল্লেখযোগ্য কওমী মাদ্রাসাতেই তাদের ক্যাম্প ছিল। তৎকালীন ছাত্র-শিক্ষকদের সমন্বয়ে এ বাহিনী গঠিত হয়েছিল। এসব ওহাবী মৌলভীরা একাত্তর সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় অমুসলিমদের গনিমতের মাল হিসেবে ফতোয়া দিয়েছিল। হাটহাজারী মাদ্রাসা সংলগ্ন যে মন্দিরটি আছে একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সেই মন্দির ভেঙ্গে তারা মসজিদ নির্মাণ করেছিল এবং ওই মন্দির স্থলে কিছুদিন নামাজও পড়েছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তারা নিজেদের অর্থে সে মন্দির তারা পুননির্মাণ করে জনরোষ থেকে রক্ষা পেয়েছিল। নেতৃবৃন্দ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কমিটিকে মুজাহিদ বাহিনীর কার্যক্রম ও নানা তথ্য তদন্ত করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বিভিন্ন স্থানে কওমী মাদ্রাসার পাশে প্রবীণ লোকেরা এ ব্যাপারে সাক্ষী দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন। যথাসময়ে আদালতে সাক্ষী উপস্থাপন করে হেফাজতে নেতাদের অপরাধ প্রমাণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্পটে হরতালবিরোধী কর্মসূচী নিয়ে সক্রিয় ছিল সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি। নগরীর ২৩টি স্পটে এ কমিটির ব্যানারে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। চলে দিনভর সমাবেশ, মিছিল ও মাইকে দেশাত্মবোধক গান। এসব সমাবেশ থেকে সরকার বিরোধী বর্তমান আন্দোলন সংগ্রামকে সন্ত্রাসী কর্মকা- আখ্যায়িত দিয়ে নেতারা বলেন, দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে নিতে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।
চট্টগ্রাম নগরীর দারুল ফজল মার্কেটে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হরতালবিরোধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। সেখানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, ন্যাপ এবং বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত যা করছে তা সন্ত্রাসী কর্মকা-। ট্রেনে-গাড়িতে আগুন, সংখ্যালঘুদের বাড়িতে ধ্বংসযজ্ঞ, মানুষ হত্যাÑ এসব গণতান্ত্রিক আন্দোলন হতে পারে না। এদেশের মানুষ সব সময়ই নৈরাজ্যকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এবারও তাই করবে। তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের ওপর আস্থা হারিয়ে এখন সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করছে। এর জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিচার হওয়া উচিত। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তরুণ প্রজন্মকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান।
অটোচালক মুছার চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা মহিউদ্দিনের ॥ চট্টগ্রামে জামায়াতী নৃশংতায় দগ্ধ ইজিবাইক চালক মোঃ আবু মুছার চিকিৎসায় সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। বৃহস্পতিবার দুপুরে আলহাজ এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর চশমা হিলের বাসায় মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি আবু মুছার চিকিৎসা সহায়তা দেয়ার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি গরিব এ বাইক চালকের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের ঘোষণাও দেন। মহিউদ্দিন চৌধুরী আবু মুছার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি আইনজীবীদের প্রতি অনুরোধ জানান, জামায়াত-বিএনপির কোন সন্ত্রাসীর জন্য যেন তারা আদালতে না ওঠে। তিনি জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে এবং হরতালের নামে নৈরাজ্য প্রতিরোধ করতে চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ এয়াকুব আলী খান আবারও হেফাজত ইসলাম সম্পর্কে সাধারণদের জ্ঞাতার্থে স্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন। এর আগে হেফাজতে ইসলাম নিজেদের মুজাহিদ বাহিনী নয় দাবি করে সুন্নি আলেম সংগঠনটির বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দিয়েছিল। সাংবাদিক সম্মেলনে তারা পাল্টা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, হেফাজতে ইসলামের মামলা দায়েরের অপেক্ষায় ছিলাম আমরা। আমরা চাই তারা মামলা দায়ের করুক। আদালতেই আমরা প্রমাণ করব যে তারা মুজাহিদ বাহিনী গঠনের দায়িত্ব ছিলেন। সাংবাদিক সম্মেলনে আরও দাবি করা হয়Ñ দশ শীর্ষ সুন্নি আলেমকে হত্যা চেষ্টার পেছনে জামায়াত-শিবিরের অপকর্মের চেষ্টার বিরুদ্ধে দেশবাসী যখন সোচ্চার হেফাজতীরা বিভ্রান্তিমূলক হ্যান্ডবিল প্রচার করে জাতির কাছে তাদের মুখোশ উন্মোচিত করেছে।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে আহলে সুন্নাত নেতারা স্পষ্টভাবে জানান, চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা ও ফটিকছড়ির বাবুনগর মাদ্রাসাসহ সকল উল্লেখযোগ্য কওমী মাদ্রাসাতেই তাদের ক্যাম্প ছিল। তৎকালীন ছাত্র-শিক্ষকদের সমন্বয়ে এ বাহিনী গঠিত হয়েছিল। এসব ওহাবী মৌলভীরা একাত্তর সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় অমুসলিমদের গনিমতের মাল হিসেবে ফতোয়া দিয়েছিল। হাটহাজারী মাদ্রাসা সংলগ্ন যে মন্দিরটি আছে একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সেই মন্দির ভেঙ্গে তারা মসজিদ নির্মাণ করেছিল এবং ওই মন্দির স্থলে কিছুদিন নামাজও পড়েছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তারা নিজেদের অর্থে সে মন্দির তারা পুননির্মাণ করে জনরোষ থেকে রক্ষা পেয়েছিল। নেতৃবৃন্দ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত কমিটিকে মুজাহিদ বাহিনীর কার্যক্রম ও নানা তথ্য তদন্ত করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বিভিন্ন স্থানে কওমী মাদ্রাসার পাশে প্রবীণ লোকেরা এ ব্যাপারে সাক্ষী দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছেন। যথাসময়ে আদালতে সাক্ষী উপস্থাপন করে হেফাজতে নেতাদের অপরাধ প্রমাণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন স্পটে হরতালবিরোধী কর্মসূচী নিয়ে সক্রিয় ছিল সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি। নগরীর ২৩টি স্পটে এ কমিটির ব্যানারে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। চলে দিনভর সমাবেশ, মিছিল ও মাইকে দেশাত্মবোধক গান। এসব সমাবেশ থেকে সরকার বিরোধী বর্তমান আন্দোলন সংগ্রামকে সন্ত্রাসী কর্মকা- আখ্যায়িত দিয়ে নেতারা বলেন, দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে নিতে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে প্রতিহত করতে হবে।
চট্টগ্রাম নগরীর দারুল ফজল মার্কেটে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত হরতালবিরোধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। সেখানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, ন্যাপ এবং বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।
এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত যা করছে তা সন্ত্রাসী কর্মকা-। ট্রেনে-গাড়িতে আগুন, সংখ্যালঘুদের বাড়িতে ধ্বংসযজ্ঞ, মানুষ হত্যাÑ এসব গণতান্ত্রিক আন্দোলন হতে পারে না। এদেশের মানুষ সব সময়ই নৈরাজ্যকে প্রত্যাখ্যান করেছে। এবারও তাই করবে। তিনি বলেন, বিএনপি জনগণের ওপর আস্থা হারিয়ে এখন সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা করছে। এর জন্য বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিচার হওয়া উচিত। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তরুণ প্রজন্মকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান।
অটোচালক মুছার চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা মহিউদ্দিনের ॥ চট্টগ্রামে জামায়াতী নৃশংতায় দগ্ধ ইজিবাইক চালক মোঃ আবু মুছার চিকিৎসায় সহায়তার হাত বাড়িয়েছেন সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। বৃহস্পতিবার দুপুরে আলহাজ এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর চশমা হিলের বাসায় মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি আবু মুছার চিকিৎসা সহায়তা দেয়ার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি গরিব এ বাইক চালকের চিকিৎসায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের ঘোষণাও দেন। মহিউদ্দিন চৌধুরী আবু মুছার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি আইনজীবীদের প্রতি অনুরোধ জানান, জামায়াত-বিএনপির কোন সন্ত্রাসীর জন্য যেন তারা আদালতে না ওঠে। তিনি জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করতে এবং হরতালের নামে নৈরাজ্য প্রতিরোধ করতে চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
__._,_.___