জাগরণ মঞ্চের বিবৃতি
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা উসকে দিয়েছেন খালেদা জিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ০৩-০৩-২০১৩গতকাল শনিবার রাতে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরের জাগরণ মঞ্চ থেকে ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট নেটওয়ার্কের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। রাত সাড়ে আটটায় দেওয়া ওই বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার হতাশাব্যঞ্জক সংবাদ সম্মেলন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা আরও উসকে দিয়েছে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি যুদ্ধাপরাধী ও দেশবিরোধী সংগঠন জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী ছাত্রশিবিরকে নির্লজ্জ সমর্থনের মাধ্যমে বিরোধীদলীয় নেতা দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে হায়েনাদের উসকে দিয়েছেন। এই অপকৌশল ইতিহাসের পাতায় কালো অক্ষরে লেখা থাকবে। বিবৃতিতে হিন্দুধর্মাবলম্বীসহ সব ধর্মের জনসাধারণের বাড়িঘর ও উপাসনালয়কে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়ারও দাবি জানানো হয়।
হরতাল প্রতিহত করার আহ্বান: এর আগে দুপুরে শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ থেকে হরতাল প্রত্যাখ্যানের জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়। সব মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্তদের ফাঁসির রায় এবং তা কার্যকর করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে ছাত্রসমাজের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়।
গতকাল শনিবার শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে পূর্বঘোষিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হয় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে মধুর ক্যানটিন থেকে মিছিলটি বের হয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে শেষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর সদস্য কয়েক শ শিক্ষার্থী এতে অংশ নেন।
জাগরণ মঞ্চ থেকে জানানো হয়, আজ রোববার হরতাল প্রতিরোধের কর্মসূচি হিসেবে সকাল ১০টার দিকে প্রজন্ম চত্বর থেকে একটি মিছিল বের হবে। তা রাজধানীর বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করবে। বেলা তিনটার দিকে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
গতকাল ছিল শাহবাগের জাগরণ মঞ্চের ২৬তম দিন। অন্যান্য দিনের মতোই গতকাল সকাল থেকেই শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে চলে স্লোগান আর বক্তৃতা। বিকেল নাগাদ সমাবেশস্থলে জমায়েত বাড়ে। রাত আটটার দিকে জাগরণ মঞ্চসংলগ্ন সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান দিয়ে শিবির কর্মীদের একটি দল সমাবেশস্থলের দিকে এগিয়ে আসছে এই খবরে উত্তেজনা তৈরি হয়। সে সময় মঞ্চ থেকে ছাত্রসংগঠন ও ব্লগারদের একটি দল লাঠি মিছিল নিয়ে উদ্যানের ছবির হাটের দিকে এগিয়ে গেলে ওই দলটি পালিয়ে যায়।
সকালের সমাবেশ: সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন ও ছাত্রলীগের কর্মীরা জড়ো হন। তাঁরা একটি মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করেন।
সমাবেশে ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ফোরামের আহ্বায়ক ইমরান এইচ সরকার বলেন, বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান, একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ছাত্ররা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। গণজাগরণ মঞ্চের ছয় দফা দাবির এই আন্দোলনেরও মূল শক্তি ছাত্ররা। তাঁরা চাইলে যেকোনো দাবি আদায় করা সম্ভব। দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায়কে আন্দোলনের প্রাথমিক অর্জন হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব মানবতাবিরোধী অপরাধীকে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির রায় দেওয়া ও তা কার্যকর করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
সমাবেশে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফ দেশ থেকে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি উচ্ছেদে ছাত্রসমাজকে ঐক্যবন্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সামিয়া রহমান বলেন, শাহবাগ হচ্ছে আগামী দিনের বাংলাদেশের নিশানা।
ব্লগার মাহমুদুর রহমান বাঁধনের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্র মৈত্রীসহ বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতারা।
Related:
Lv‡j`v wRqvi e³e¨ DmKvwbg~jK
†fv‡ii KvMR : iweevi, 3 gvP© 2013
http://www.bhorerkagoj.net/new/blog/2013/03/03/106003.php
__._,_.___