আওমীলীগ. বি এন পি, জামাত শিবির, হেফাজতি ইসলাম সবাই আজ ধর্ম নিয়ে ভন্ডামী শুরু করেছে, ধর্ম আজ রাজনৈতিক ব্যবসা| এ যেন আজ ভোটের খেলা| বাংলাদেশ আজ গৃহ যুদ্ধের দ্বার গোরে দাড়িয়ে আছে, এই দায় থেকে কেউ মুক্তি পেতে পারে না|
ধর্মান্ধতা, ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে রাজনীতি, ৫ জন নিহত ১৬ জন নিখোজ, মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে | গুম হচ্ছে অনেকে, তাদের আদোও কোনো খোজ পওয়া যাবে কি না কে জানে | একটি মসজিদ থেকে একটি গুজব ঘোষণা দেয়া হলো, একটি পরিকল্পিত ঘটনা একদিনে তৈরী করা যায় না, এটা নিশ্চিতভাবে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মসজিদ ব্যবহার করে তৈরী থাকা সশস্র জনগোষ্ঠীকে ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে গৃহযুদ্ধের অবতারণা করা হয় | এই হচ্ছে আজকের ফটিকছড়ির চিত্র | ১২-০৩-২০১৩ একটি অহিংস মিছিলের উপর এইভাবেই হামলা শুরু হয়|
দিন কতক আগেই মাননীয় প্রধান মন্ত্রী বি বি সি সাক্ষাতকার বলে এলেন পরিস্থিতি কি ভাবে সামাল দিতে হয় সেটা আমাদের(আমার) জানা আছে| এটাই যদি হয় সমস্যা সমাধানের নমুনা? তা হলে আমার বলার কিছুই নাই|
আপনি আপনার দুটি চোখ বন্ধ করে একটু চিন্তা করুন, উগ্র জঙ্গীবাদের উত্থাণের মাধ্যমে আজ বাংলাদেশ এর চিত্র আফগানিস্তানের চাইতে ভিন্ন কিছু কি? এর জন্যে দায়ী কারা ? একবার ভেবে দেখুন, গৃহযুদ্ধ শুরু হলো কি না? মাহমুদুর রহমান তার পত্রিকার মাধ্যমে ধর্মভীরু মানুষের মাঝে একটি সহিংস উত্তজনা ছড়িয়ে দিতে, পরিকল্পনা মাফিক সব কর্ম সম্পন্ন করেই খান্ত হোন নাই, একটি অহিংস আন্দোলনকে আস্তিক আর নাস্তিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে মাহমুদুর রহমান আজ সম্পূর্ণ ভাবেই দায়ী|
আওমীলীগ, বি এন পি, জামাত শিবির শেষ পর্যন্ত হেফাজতি ইসলাম গণজাগরণকে মঞ্চকে ধর্মীয় খেলা ধুলাতে সম্পৃক্ত করতে সমর্থ হলো, গণজাগরণ মঞ্চকে এ ভাবেই সবাই তছনছ করার পরিকল্পনায় লিপ্ত হলো|
এখানে এখন আমার প্রশ্ন করতেই পারি, ফটিকছড়িতে এ রকম ঘটনা ঘটলো কি করে? সরকারের গোয়েন্দা বিভাগ কি ঘুমিয়েছিলো? মাহমুদুর রহমান কে পুলিশের হেফাজতে নিতে এতো দেরী হলো কেন?
সরকারের হেফাজত থেকে যুদ্ধ অপরাধীরা দেশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছে, সাক্ষী সুরক্ষা আইন প্রণয়নে ও প্রয়োগে সরকার এর গাফিলতি, রাজাকারদের সাক্ষীরা আজ ট্রাইব্যুনালে যেতে ভয় পাচ্ছে, সাকার সাক্ষীদের হত্যা করে সাক্ষীদের চিরতরে বিদায় করে দেয়া হচ্ছে , জনগণের দাবী কে ধামাচাপা দিতে গণজাগরণ মঞ্চের একটিভিস্টদের নাস্তিক বলে অপবাদ দেয়া হচ্ছে|
যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার কি আদোও সম্পন্ন হবে নাকি এটাও একটা তালবাহানা যেটাতে আওমীলীগ, বি এন পি, জামাত, হেফাজতি ইসলাম সবাই একই সাথে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক অথবা আঁতাতের মাধ্যমে বানচাল করে দিতে চাইছে, আর নিরীহ লোক ফটিক ছড়িতে রাস্তায় লুটিয়ে পরছে?
___ কিন্তু____
__._,_.___